PDA

View Full Version : এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা



DhakaFX
2019-02-04, 04:45 PM
জাতিসংঘ সারাবিশ্বের উন্নয়ন টেকসই করতে ১৭টি লক্ষ্য (এসডিজি) নির্ধারণ করে দিয়েছে, বাংলাদেশ এই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) যা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করার করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সেই লক্ষ্যগুলো নিচে দেওয়া হল
#মাতৃমৃত্যুর হার ৭০%-এ নামিয়ে আনা (প্রতিলাখে)।
#সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুমৃত্যুর হার প্রতিহাজারে ১২ ও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার প্রতিহাজারে ২৫-এ নামিয়ে আনা।
#এইডস, যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি অবহেলিত উষ্ণম-লীয় রোগ, হেপাটাইটিস, পানিবাহিত ও অন্যান্য ছোঁয়াচে রোগমুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলা।
#অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার মাধ্যমে এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা।
#মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে মাদকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসাব্যবস্থা জোরদার করা।
#২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা।
#পরিবার পরিকল্পনাসহ সবার জন্য যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় অভিগম্যতা নিশ্চিত করা। প্রজনন স্বাস্থ্যসেবাকে জাতীয় কৌশল ও কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।
#বিশ্বব্যাপী সবার জন্য উন্নত চিকিৎসা, ওষুধের সরবরাহসহ সার্বজনীন চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করা। ২০৩০ সালের মধ্যে বায়ু, পানি, মাটিসহ পরিবেশ দূষণজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা।
#বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাঠামো অনুযায়ী বিশ্বের সব দেশে তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত করা।
#বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক তৈরিতে গবেষণা কার্যক্রমে সাহায্য-সহযোগিতা বাড়ানো। ট্রিপস চুক্তির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনগণের জন্য ওষুধ ও প্রতিষেধক প্রাপ্তি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ।
#সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ যেগুলো উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে এ রকমের বিস্তার রোধে ঔষধ ও টিকা আবিষ্কারের জন্য গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য সহায়তা করা। সহায়তা সম্প্রসারণ করা, যা কার্যকর জরুরি ঔষধ, এবং টিকা যা ট্রিপস চুক্তি ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক দোহা ঘোষণা অনুসারে জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় ও জনগণের ক্রয়সীমার মধ্যে ঔষধ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, যা সবার জন্য ঔষধ ও সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিষয়ক উন্নয়নশীল দেশগুলোর অধিকারকে বোঝায়, যা ট্রিপস ও মেধাস্বত্ব আইনে বর্ণিত রয়েছে।
#স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে অর্থায়ন বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ গ্রহণ। উন্নয়নশীল, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত ও ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলো স্বাস্থ্য খাতের মানবসম্পদ উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ।
#উন্নয়নশীল দেশগুলোসহ বিশ্বের সব দেশের স্বাস্থ্যবিষয়ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঝুঁকি মোকাবিলার সামর্থ্য বাড়ানো।

Montu Zaman
2019-12-18, 05:14 PM
সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি)' বা টেকসই উন্নয়ন বলতে ঐ ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে বোঝায় যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাও নিশ্চিত হয় আবার প্রকৃতি এবং বাস্তুতন্ত্র বা ইকোসিস্টেমেও কোনো বাজে প্রভাব পড়ে না। ভিন্নভাবে বললে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা হলো, ভবিষ্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত একগুচ্ছ লক্ষ্যমাত্রা। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশন্স নেটওয়ার্কের এসডিজি সূচক এবং ড্যাশবোর্ডস রিপোর্ট ২০১৮ অনুযায়ী, ১৫৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১১তম। সবদিক মিলে বাংলাদেশের স্কোর ৫৯ দশমিক ৩। ২০১৭ সালে এর অবস্থান ও স্কোর ছিলো যথাক্রমে ১২০ ও ৫৬ দশমিক ২। শুধু ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বাদে দক্ষিণ এশিয়ার নেপাল, ভুটান র*্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। ৫৯ দশমিক ১ স্কোর নিয়ে ভারত আছে ১১২ নম্বরে, ৫৪ দশমিক ৯ স্কোর নিয়ে পাকিস্তান আছে ১২৬ নম্বরে। আফগানিস্তানের অবস্থান ১৫১, ৪৬.২ স্কোর নিয়ে।
এমডিজির ৮টি লক্ষ্য সফলভাবে পূরণ করলেও প্রকাশিত এই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে এসডিজির ১৭ টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ৮ টি তেই ‘লাল কার্ড’ পেয়েছে বাংলাদেশ, ২০১৭ তে যার সংখ্যা ছিলো ১০টি।
9603
বাংলাদেশ সরকারসহ দেশের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য। তন্মধ্যে ‘ইউথ চেইঞ্জ মেকার’ অন্যতম। দেশের তরুণদের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিতের মাধ্যমে তারা এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করতে বদ্ধ পরিকর। ‘ক্যাম্পেইন ফর এসডিজিস’ নামক ফেসবুক গ্রুপ ও পেইজের মাধ্যমে ‘ইউথ চেইঞ্জ মেকার’ এর এসডিজি বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যারা এটা নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক তারা ‘ইউথ চেইঞ্জ মেকার’ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।