PDA

View Full Version : যুক্তরাজ্য কি ব্যাকস্টপের ফাঁদে?



SUROZ Islam
2019-02-08, 02:11 PM
২৯ মার্চ ব্রেক্সিট কার্যকরের আগে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে পার্লামেন্ট সদস্যদের সম্মতি দরকার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর। ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা এর আগে ইইউর সঙ্গে মের চুক্তিতে অনুমোদন দেননি। ব্রিটেনের পার্লামেন্টে ২৩০ ভোটের বিশাল ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে'র ব্রেক্সিট চুক্তি নাকচ হয়ে যাওয়ার পর এখন কি যুক্তরাজ্য ব্যাকস্টপের ফাঁদে আটকে পরবে? যদিও ব্রেক্সিট বিষয়ক চুক্তির আইনি বাধ্যবাধকতার পরিবর্তনে ইউরোপীয় নেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ফের ব্রাসেলস যাওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের। চুক্তি নিয়ে নতুন আলোচনা শুরুর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ আয়ারল্যান্ড সীমান্তের ‘ব্যাকস্টপের ফাঁদে’ আটকে থাকবে না। ইউরোপের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে যে চুক্তিই হোক না কেন, তাতে যেন আয়ারল্যান্ড সীমান্তে তল্লাশির বিষয়টি এড়ানো যায়, তা অর্জনই মে’র এবারের সফরের লক্ষ্য।

https://d30fl32nd2baj9.cloudfront.net/media/2018/12/10/pro-anti-brexit-protest-01.jpg/ALTERNATES/w640/pro-anti-brexit-protest-01.jpg

DhakaFX
2019-02-11, 06:15 PM
নেদারল্যান্ডসের অর্থনীতি-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে, যুক্তরাজ্য থেকে প্রধান কার্যালয় নেদারল্যান্ডসে সরিয়ে নেয়ার জন্য ২৫০টি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে ডাচ সরকার। ব্রেক্সিট সম্পন্ন হওয়ার আগেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু করতে চাচ্ছে দেশটি। গত বছর তাদের টোপে যুক্তরাজ্য থেকে ৪২টি কোম্পানি বা ব্রাঞ্চ অফিস ও ১ হাজার ৯২৩টি কর্মসংস্থান স্থানান্তরিত হয়েছে। নেদারল্যান্ডসে যারা বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে ডিসকভারি চ্যানেল, সনি ও ব্লুমবার্গ

SaifulRahman
2019-02-12, 02:04 PM
৪৬ বছরের সম্পর্কচ্ছেদ করে আগামী ২৯ মার্চ ইউরোপীয় জোট থেকে বেরিয়ে যাবে ব্রিটেন। যার জন্য আর মাত্র ৫০ দিনেরও কম সময় হাতে রয়েছে। কিন্তু এখনো ব্রেক্সিট নিয়ে কোনো নিশ্চিত চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি ব্রিটিশ সরকার। ফলে ব্রেক্সিটের কয়েক সপ্তাহ বাকি থাকতে ব্যাপক উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ পরিস্থিতিতে ইইউর কাছ থেকে সুবিধা নিশ্চিত করতে আরো সময় চাইছে সরকার। চুক্তি নিয়ে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মেকে আরো সময় দেয়ার জন্য আইনপ্রণেতাদের অনুরোধ জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। ১৪ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট বিকল্প নিয়ে পুনরায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তবে টেরিসা মের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা আরো দুই সপ্তাহ পর ভোট আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। এর ফলে ইইউর সঙ্গে আরো আলোচনার সময় পাবেন প্রধানমন্ত্রী। রোববার রাজ্য ও স্থানীয় সরকারবিষয়ক মন্ত্রী জেমস ব্রোকেনশায়ার বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পার্লামেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট পরিকল্পনা পাস করতে হবে। যদিও গত মাসে ইইউর সঙ্গে সম্পাদিত টেরিসা মের একটি ব্রেক্সিট চুক্তি খারিজ করে দেয় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট।

SUROZ Islam
2019-02-13, 06:57 PM
ব্রিটেন কোনো চুক্তি ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগ করলে সারা বিশ্বের ছয় লাখ চাকরি ঝুঁকিতে পড়বে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে জার্মানি। এটা তা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন পূর্ব জার্মানিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইডব্লিউএইচের গবেষকরা। তারা দেখেছেন ব্রেক্সিটের পর অবশিষ্ট ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের আমদানি ২৫ শতাংশ হ্রাস পেলে এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি জার্মানির প্রায় ১ লাখ ৩ হাজার ও ফ্রান্সের ৫০ হাজার চাকরি ঝুঁকিতে পড়বে। অর্থনীতিবিদদের মতে, ব্রেক্সিটের মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়া মানে এই নয় যে কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে। বহু উন্নত অর্থনীতি দক্ষ শ্রমিক ঘাটতিতে থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রমঘণ্টা হ্রাস বা নতুন নতুন বাজার খোলার মাধ্যমে কর্মীদের ধরে রাখার চেষ্টা করতে পারে।

Montu Zaman
2019-02-14, 04:34 PM
শেষ পর্যন্ত কোন চুক্তি ছাড়াই ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে যেতে পারে, এমন আশংকাকে মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। কিন্তু থেরেসা মের এই আশাবাদে কোন ভরসা দেখছেন না বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন

SumonIslam
2019-02-18, 04:58 PM
ধসে পড়েছে ব্রিটেনের আঞ্চলিক আকাশসেবা সংস্থা ফ্লাই বিএমআই। টিকে থাকতে ব্যর্থ হয়ে সবগুলো ফ্লাইট বাতিল করে দিয়েছে সংস্থাটি। এ ধসের প্রধান কারণ হিসেবে ব্রেক্সিটকে দায়ী করেছে ফ্লাই বিএমআই। ৩৭৬ জন কর্মী নিয়ে প্রতি সপ্তাহে ৬০০-এর বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করে ব্রিটিশ এয়ারলাইনটি। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় জ্বালানি ও কার্বন ব্যয় বৃদ্ধিসহ বেশকিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সম্প্রতি এমিশন ট্রেডিং স্কিমে যুক্তরাজ্যের আকাশসেবা সংস্থাগুলোর পূর্ণ অংশগ্রহণ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যার প্রভাবে ব্রিটিশ আকাশসেবা সংস্থাগুলোর জ্বালানি ব্যয় বেড়ে গেছে।

SumonIslam
2019-03-13, 03:05 PM
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ব্রেক্সিটের নেতিবাচক প্রভাব বেশ ভালোভাবেই পড়ছে বলে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় বহু ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান নিজেদের সম্পদ ইউরোপে সরিয়ে নিচ্ছে বলে সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। পুঁজিবাজারের থিংকট্যাংক নিউ ফিন্যান্সিয়াল কর্তৃক পরিচালিত ওই গবেষণার তথ্যানুসারে, যুক্তরাজ্য থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় ৯০ হাজার কোটি পাউন্ডের সম্পদ ইউরোপে স্থানান্তর করা হচ্ছে। আর এ স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় লাভবান হবে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন, ক্ষতিগ্রস্ত হবে লন্ডন।

SaifulRahman
2019-03-19, 04:03 PM
ব্রেক্সিট নিয়ে অনিশ্চয়তায় ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো ২০১৯ সালে বিনিয়োগ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১০ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ কমছে। ফলে ২০১৯ সালে ব্যবসায়িক বিনিয়োগ ১ শতাংশ হ্রাস পাবে। কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ কমার কারণে উৎপাদনশীলতা ও মজুরি প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হবে, যার প্রভাব পড়বে পুরো অর্থনীতির ওপর। তাই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মে কোনো চুক্তিতে পৌঁছতে পারলেও বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে মনে হচ্ছে না।

SaifulRahman
2019-04-16, 04:37 PM
ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তা ও মন্থর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির মধ্যে ভোক্তা ব্যয়ের ওপর ক্রমে নির্ভরশীলতা বাড়ছে ব্রিটিশ অর্থনীতির। একই সঙ্গে এ পরিস্থিতিতে ব্যবসা বিনিয়োগ ও রফতানি ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। গত বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের প্রস্থানের সময়সীমা পিছিয়ে অক্টোবরের শেষে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এ সময়ের মধ্যেও লন্ডনের আইনপ্রণেতারা ব্রেক্সিট নিয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছতে পারবেন কিনা, সে নিয়ে গভীর সন্দেহ রয়েছে। এদিকে ২০১৮ সালে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্ অর্থনীতিটির প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল সম্প্রসারণ। চলতি বছর প্রবৃদ্ধি আরো মন্থর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রিটেন ইইউর সদস্যপদ নিয়ে গণভোটের আয়োজন করতে যাচ্ছে—বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার পর থেকেই ব্যবসাগুলো তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনার লাগাম ধরে রাখতে শুরু করে। ২০০৯ সালের শেষ থেকে ২০১৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত সাধারণ প্রবৃদ্ধি প্রবণতার তুলনায় গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে প্রায় ১ হাজার কোটি পাউন্ডের ব্যবসা বিনিয়োগ হারিয়েছে ব্রিটিশ অর্থনীতি।

FXBD
2019-05-14, 04:45 PM
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বেড়েছে। চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কায় দেশটির ম্যানুফ্যাকচারার া পণ্য মজুদ করার ফলে প্রবৃদ্ধি বাড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে দশমিক ৫ শতাংশ। এর পূর্ববর্তী তিন মাসে প্রবৃদ্ধি ছিল দশমিক ২ শতাংশ। এদিকে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ১৯৮৮ সালের পর ম্যানুফ্যাকচারিং খাত সবচেয়ে দ্রুত হারে বেড়েছে। ওএনএস আরো জানিয়েছে, চলতি বছরের ২৯ মার্চ ছিল ব্রেক্সিটের ডেডলাইন। ফলে ম্যানুফ্যাকচারার া সম্ভাব্য ব্রেক্সিট চুক্তির আগে নিজেদের সরবরাহ আদেশ পূরণ করার জন্য তোড়জোড় শুরু করায় প্রবৃদ্ধির গতি বেড়েছে। যেসব খাতে প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে ভালো হয়েছে, ফার্মাসিউটিক্যাল তার অন্যতম। জানুয়ারি ও মার্চে এ খাতের প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৪ শতাংশ।

SaifulRahman
2019-07-03, 12:42 PM
ব্রেক্সিটসংশ্লিষ ট অনিশ্চয়তার কারণে যুক্তরাজ্যের কারখানাগুলোর উৎপাদন গত ছয় বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্নে চলে এসেছে। এদিকে দেশটির ভোক্তাঋণও পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে চলে এসেছে। ইনফরমেশন হ্যান্ডলিং সার্ভিসেস বা আইএইচএস মার্কিট ও দ্য চার্টার্ড ইনস্টিটিউড অব প্রোকিউরমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাইয়ের (সিআইপিএস) মাসিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত মাসে যুক্তরাজ্যের কারখানাগুলোর উৎপাদন ২০১৩ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। মজুদভাণ্ডার শক্তিশালী হওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন ক্রয়াদেশ না দেয়ায় বা ক্রয়াদেশ হ্রাস করায় এমনটি ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইএইচএস মার্কিট ও সিআইপিএসের প্রতিবেদনে।

SUROZ Islam
2019-08-14, 03:47 PM
ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তা, গাড়ির কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া, ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পূর্বের মার্চের ডেডলাইনের আগে মজুদকৃত পণ্য শেষ হয়ে আসায় জুনে শেষ হওয়া তিন মাসে ব্রিটেনের জিডিপি কমেছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের জিডিপি কমেছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। ২০১২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের পর এবারই প্রথম দেশটির অর্থনীতি সংকুচিত হলো। যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (ওএনএস) জিডিপির তথ্য প্রকাশ করার পর পূর্বাভাসকারীরা বড় ধাক্কা খেয়েছেন, কেননা তারা ধারণা করেছিলেন অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। জিডিপি কমার ফলে দেশটিতে মন্দার ও ব্যাকস্টপের আশঙ্কা আরো জোরদার হলো।

SUROZ Islam
2019-10-13, 04:56 PM
আগস্ট নিয়ে তিন মাসে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধির দেখা পেয়েছে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি। আগস্টের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির খবরে খানিকটা চাঙ্গা দেশটির অর্থনীতি। এতে দেশটি মন্দায় পড়ার যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা এড়ানোর কিছুটা হলেও সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে দেশটির অর্থনীতি নির্ঘাত সংকুচিত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (ওএনএস)। তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হয়ে পড়াটা দেশটির অর্থনীতির সার্বিক দুরবস্থার ইঙ্গিত দেয়। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ৩ শতাংশ। এখানকার ম্যানুফ্যাকচারিং খাত দুর্বল থাকা সত্ত্বেও টিভি ও চলচ্চিত্র নির্মাণে চাঙ্গা ভাব দেখা যাওয়ায় তা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আগস্টে দেশটির অর্থনীতি দশমিক ১ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে ওএনএস।
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ২০১২ সালের পর প্রথমবারের মতো সংকুচিত হওয়ায় দেশটির প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। বিশেষত দেশটি মন্দায় পড়ার বিভিন্ন দিক চিহ্নিত করায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়। সেপ্টেম্বরের পরিসংখ্যান নিয়ে দেশটির তৃতীয় প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধির চূড়ান্ত হিসাব পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে ওএনএস। তবে তৃতীয় প্রান্তিকের দ্বিতীয় মাসে তথা আগস্টে দেশটির অর্থনীতি সংকুচিত হওয়া সত্ত্বেও ওএনএসের জুলাইয়ে করা এ প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস বাড়িয়ে দশমিক ৩ শতাংশ থেকে দশমিক ৪ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।
ইতিবাচকভাবে সংশোধিত দেশটির তৃতীয় প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস সম্পর্কে ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ অ্যান্ড্রু উইশার্ট বলেন, প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস সংশোধনের অর্থ হলো, আমাদের অর্থনীতি মন্দায় পড়তে যাওয়ার যে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল, তা কেটে গেছে। তবে সেপ্টেম্বরে দেশটির অর্থনীতি ১ দশমিক ৫ শতাংশ সংকুচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ওএনএস। প্রসঙ্গত, ওএনএস দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রান্তিকওয়ারি পরিসংখ্যান দেখানোর জন্য মাসিক তথ্য ব্যবহার করে।
ওএনএস বলছে, মার্চে ব্রেক্সিটের আদি তারিখ থাকায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে কিছুটা চাঙ্গা ভাব দেখা গেছে। এ সময় এখানকার পণ্য মজুদও কিছুটা বেড়েছে।

Rassel Vuiya
2019-11-14, 04:43 PM
9316
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে অর্থনীতি দশমিক ৩ শতাংশ সম্প্রসারিত হওয়ায় মন্দা এড়াতে সক্ষম হয়েছে ব্রিটেন। তবে ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তা ব্যবসা কার্যক্রমকে সংকুচিত করায় তৃতীয় প্রান্তিকে ব্রিটেনের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মন্থর হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকসের (ওএনএস) পরিসংখ্যান অনুসারে, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১০ সালের প্রথম প্রান্তিকের পর সবচেয়ে মন্থর। দ্বিতীয় প্রান্তিকে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি ছিল ১ দশমিক ৩ শতাংশ। এদিকে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে দশমিক ২ শতাংশ সংকোচনের পর জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে অর্থনীতি প্রবৃদ্ধিতে ফিরে আসায় মন্দা এড়াতে সক্ষম হয়েছে যুক্তরাজ্য। পরপর দুই প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হলে মন্দা ধরা হয়।
ওএনএসের এক পরিসংখ্যানবিদ বলেন, মূলত জুলাইয়ের শক্তিশালী পরিসংখ্যানের সুবাদে তৃতীয় প্রান্তিকে জিডিপি ‘স্থিতিশীলভাবে’ বেড়েছে। পণ্য ও সেবা উভয়ের রফতানি বাড়ায় ব্রিটেনের অন্তর্নিহিত বাণিজ্য ঘাটতি সংকুচিত হয়েছে। তবে তৃতীয় প্রান্তিকে অর্থনীতি সম্প্রসারিত হলেও তা অর্থনীতিবিদদের দেয়া দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের চেয়ে মন্থর ছিল।
এদিকে সেপ্টেম্বরে জিডিপিতে দশমিক ১ শতাংশ পতন দেখা গেছে। এছাড়া আগস্টে ওএনএসের সংশোধিত পরিসংখ্যানে সংকোচন দশমিক ১ শতাংশ থেকে বেড়ে দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়ায়। এর আগে কেবল জুলাইয়ে দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির দেখা মেলে।
ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তা তৃতীয় প্রান্তিকে ব্রিটেনের অর্থনীতিকে আরো ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির দিকে ঠেলে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্তু দেশটির সেবা খাত যুক্তরাজ্যকে ধনাত্মক টেরিটোরিতে নিয়ে আসার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। চলচ্চিত্র ও টিভি প্রোডাকশন শিল্প থেকে শুরু করে ব্যাংকিং খাতটির অন্তর্গত।
ব্রিটেনের ছায়া অর্থমন্ত্রী জন ম্যাকডোনেল বলেন, আমাদের মন্ত্রীরা গত ছয় মাসের মধ্যে কেবল দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়াতেও যেভাবে আনন্দ উদযাপন করছেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে অর্থনীতি নিয়ে তাদের আশা ও প্রত্যাশা কতটা কম।ব্রিটেনের লিবারেল ডেমোক্র্যাটস পার্টির ট্রেজারি মুখপাত্র এড ডেভি বলেন, এ ‘ফ্যাকাশে’ অর্থনীতির জন্য সরকার দায়ী। আজকের এ প্রবৃদ্ধি পরিসংখ্যান উদযাপনের একটি কারণ ছাড়া আর কিছুই নয়।এদিকে ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ এ পরিসংখ্যানকে ‘ওয়েলকাম সাইন’ হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির মৌলিক ভিত্তি যে শক্তিশালী এ পরিসংখ্যান তারই আভাস দিচ্ছে।
ওএনএসের পরিসংখ্যান অনুসারে, তৃতীয় প্রান্তিকে ব্রিটেনের রফতানি প্রান্তিকওয়ারি ৫ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। একই সময় আমদানি বেড়েছে মাত্র দশমিক ৮ শতাংশ। ফলে নিট বাণিজ্য বেড়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। তবে এ পরিসংখ্যানের যথাযথতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওএনএস। সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘বহিঃস্থ তথ্য’ থেকে সরকারিভাবে প্রকাশিত পরিসংখ্যানের তুলনায় দুর্বল রফতানি প্রবৃদ্ধির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের ম্যানুফ্যাকচারিং খাত প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে ব্যবসা বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ম্যানুফ্যাকচারার ের সংগঠন মেক ইউকের প্রধান অর্থনীতিবিদ সিমাস নেভিন বলেন, ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তা ও মন্থর বৈশ্বিক অর্থনীতির কারণে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো কর্মী ছাঁটাই অব্যাহত রেখেছে। তবে সরকারি খাতের আবাসন নির্মাণ বৃদ্ধি ও বাণিজ্যিক কাজের নতুন কার্যাদেশ ঘুরে দাঁড়ানোয় মে মাসের পর নির্মাণ খাতে প্রথম ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।

SUROZ Islam
2019-12-29, 04:54 PM
9694
২০০৮ সালের পর সবচেয়ে চাপে ব্রিটিশ অর্থনীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ব্রেক্সিট অনিশ্চতায় পড়ে ব্রিটেনের অর্থনীতির অবস্থা একেবারে নাজেহাল। অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, ২০০৮ সালের পর সবচেয়ে খারাপ বছরের দেখা পেতে যাচ্ছে ব্রিটিশ অর্থনীতি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মন্দার সময় ব্যতীত এমন খারাপ সময় আর দেখেনি অর্থনীতিটি। চলতি বছরের পুরোটা সময় অস্থির ছিল ব্রিটিশ অর্থনীতি। অন্যদিকে বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জয় পেয়েছেন বরিস জনসন। এ সবকিছুই প্রভাব ফেলছে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ওপর। ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ওপর পরিচালিত জরিপ ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের শেষ তিন মাস স্থবির থাকবে অর্থনীতিটি। কর্মসংস্থান বাজারে উদ্বেগ লক্ষ করা যাচ্ছে এবং এক দশক ধরে উন্নতি হওয়ার পর সরকারি ঋণ আবার খাড়াভাবে বাড়তে শুরু করেছে। বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের জিডিপি প্রবৃদ্ধি মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ হবে বলে নতুন পূর্বাভাসে জানিয়েছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (বিওই)। নির্বাচনের আগে ও ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অশ্চিয়তার দরুন খুচরা বিক্রি কমে যাওয়ায় এবং ব্যবসা বিনিয়োগ স্থগিত থাকায় প্রবৃদ্ধির এমন হাল হবে বলে মনে করছে বিওই। ব্যাংকটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৯-এ পুরো বছরে প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ১ শতাংশ, মন্দার সময় বাদে অর্ধশতকের বেশি সময়ে এমন দুর্বল প্রবৃদ্ধি দেখা যায়নি।