PDA

View Full Version : সতর্ক অবস্থানে বিনিয়োগকারীরা : এশিয়ার শেয়ারবাজারে অস্থিরতা



DhakaFX
2019-03-14, 07:30 PM
বিনিয়োগকারীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে গতকাল বুধবার এশিয়ার শেয়ারবাজারে অস্থিরতা বজায় ছিল। অন্যদিকে পাউন্ড কিছুটা স্থিতিশীল হয়ে উঠলেও ঝুঁকি কাটেনি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর রয়টার্স।
সমঝোতার ভিত্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যেতে একটি চুক্তির খসড়া করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মে। কিন্তু দেশটির সংসদ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ-সংক্রান্ত ভোটাভুটিতে ৩৯১ জন আইনপ্রণেতা বিপক্ষে এবং ২৪২ জন পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এ সিদ্ধান্ত ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে দুর্ভাবনা তৈরি করেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বুধবার এশিয়ার শেয়ারবাজারে। নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা সতর্কতা অবলম্বন করছেন।
বুধবার এশিয়ার প্রধান শেয়ারবাজারগুলো শ্লথগতিতে শুরু হয়। জাপান বাদে এশিয়ার বিস্তৃত সূচক এমএসসিআই হারায় দশমিক ৪৫ শতাংশ। চার মাসের মধ্যে জানুয়ারিতে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে স্থানীয় যন্ত্রাংশ ক্রয়াদেশ কমেছে, এ সংবাদে নিক্কেই-২২৫ সূচকের পতন হয় ১ দশমিক ২ শতাংশ। দুদিন বৃদ্ধির পর সাংহাইয়ের ‘ব্লু চিপ’ সিএসআই-৩০০ সূচকের পতন হয় দশমিক ৫ শতাংশ। এসঅ্যান্ডপি ৫০০-এর ই-মিনি ফিউচার সূচক হ্রাস পায় দশমিক ২ শতাংশ।
সোমবার শেষ মুহূর্তে এসে ইইউ নেতাদের সঙ্গে মে আলোচনায় বসেছিলেন ব্রিটেনের ইইউ বিচ্ছেদ চুক্তিতে পরিবর্তন করা যায় কিনা, তা নিয়ে। ধারণা করা হয়েছিল, এটি সমালোচকদের শান্ত করবে। কিন্তু সংসদে এর প্রতিফলন দেখা যায়নি। এখন ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে কয়েক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ‘চুক্তিহীন ব্রেক্সিট’ গ্রহণ করবে নাকি আরো কিছুটা সময় চাইবে। ২৯ মার্চ ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে বুধবার আরেক দফা ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি যদি ব্যর্থ হয়, তবে বিচ্ছেদের চূড়ান্ত সময়সীমা বাড়ানো যায় কিনা, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার আরেকটি ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে।
ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়া নিয়ে মঙ্গলবারের ভোটাভুটিকে কেন্দ্র করে পাউন্ড কিছুটা স্থির হয়েছে। তবে বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ব্রেক্সিট-সংক্রান্ত আগামী প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে মুদ্রাটি আরো বেশি অস্থির হয়ে উঠতে পারে। ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়ান ব্যাংকের অর্থনীতি ও বাজার বিভাগের পরিচালক ডেভিড দে গারিস বলেন, আজকের (মঙ্গলবারের) ভোট যে সরকারের বিরুদ্ধে যাবে, তা প্রায় নিশ্চিতই ছিল। তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার সময় বৃদ্ধির পক্ষে ভোট পড়বে বলে আমরা অনুমান করছি এবং এটি হলে স্টার্লিং কিছুটা স্বস্তি পাবে। তিনি আরো বলেন, এটি এখনো দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিবেশ, যেখানে রাজনৈতিক চাপ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

Tofazzal Mia
2019-03-21, 05:24 PM
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতি সিদ্ধান্ত বৈঠক ঘিরে বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেয়ায় বুধবার এশিয়ার শেয়ারবাজার ছয় মাসের উচ্চতা থেকে নেমে এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের বাকি সময়ের জন্য নিজেদের সুদের হারসংক্রান্ত পরিকল্পনা জানাবে ফেড। জাপান বাদে এশিয়ার বিস্তৃত সূচক এমএসসিআই হারায় অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ায় পতনের প্রভাবে হারিয়েছে দশমিক ৪ শতাংশ। জাপানের নিক্কেইতে সামান্য পরিবর্তন ঘটেছে, যখন চীনা শেয়ারের পতন হয়েছে দশমিক ৫ শতাংশ। মঙ্গলবার ওয়াল স্ট্রিট শেয়ারের দরে ওঠানামার মিশ্রণ ছিল। এদিন এসঅ্যান্ডপি হারায় দশমিক শূন্য ১ শতাংশ এবং নাসডাকে যোগ হয়েছে দশমিক ১২ শতাংশ। শেয়ারবাজারের কয়েকজন বড় বিনিয়োগকারী বলছেন, বাণিজ্য আলোচনায় মার্কিন দাবি মানতে যাচ্ছে না চীন, যা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র—এ খবরে শেয়ার বিক্রি বেড়ে যায়। এখনো সামগ্রিকভাবে বাজারের অনেক বড় বিনিয়োগকারী আশায় রয়েছেন যে, ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হতে যাচ্ছে, কারণ উভয় পক্ষের মধ্যস্থতাকারীরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

Montu Zaman
2019-04-04, 04:24 PM
বাণিজ্য বিরোধ নিরসনে গত সপ্তাহে বেইজিংয়ে বৈঠক করেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আলোচকরা। শুল্ক নিয়ে এ আলোচনায় যথেষ্ট অগ্রগতি হওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা। এছাড়া চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনে আরেক দফা আলোচনার কথা রয়েছে। এখন পর্যন্ত আলোচনা সম্পর্কে বিস্তারিত না জানা গেলেও বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনৈতিক শক্তি একটি চুক্তির দিকেই এগিয়ে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের এ সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি দেশ দুটির দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য বিরোধের অবসান ঘটাবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, শীর্ষ অর্থনীতি দুটির বাণিজ্য বিরোধের জেরে গত বছরের শেষ দিকে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে ধস দেখা দেয়।
কিন্তু সম্প্রতি চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা নিয়ে আশা তৈরী হয়েছে এবং চীনের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি শক্তিশালী কারখানা পরিসংখ্যান বিনিয়োগকারীদের উদ্দীপ্ত করে তুলেছে। যার সুবাদে গতকাল চাঙ্গা ছিল এশিয়ার শেয়ারবাজার। অন্যদিকে তৃতীয়বারের মতো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মের ব্রেক্সিট চুক্তি মুখ থুবড়ে পড়ায় পাউন্ডের মান ধাক্কা খেয়েছে।