PDA

View Full Version : হুয়াওয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ‘কালো তালিকা ভুক্ত’



SUROZ Islam
2019-05-22, 02:26 PM
গত বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে চীনা টেলিকমিউনিকেশন জায়ান্ট হুয়াওয়েকে যুক্তরাষ্ট্রে ‘কালো তালিকা’ ভুক্ত করে। ট্রাম্প প্রশাসন হুয়াওয়েকে এমন কোম্পানিতে তালিকাভুক্ত করার কারনে হুয়াওয়ের সঙ্গে বাণিজ্য করতে হলে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স নিতে হবে। এরপরই হুয়াওয়ের ওপর এক ধরনের ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি করছে গুগল। এখন থেকে গুগল হুয়াওয়ের অ্যান্ড্রয়েড অপারেট সিস্টেমে বেশ কিছু সেবার আর কোনো আপডেট ভার্সন দেবে না। ফলে নতুন হুয়াওয়ে স্মার্টফোনে গুগলের ইউটিউব, গুগল ম্যাপসের মতো অ্যাপগুলো আর থাকবে না। তবে হুয়াওয়ের অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ওপেন সোর্স লাইসেন্স ব্যবহার করে এখনো সুযোগ সুবিধা পেতে পারবেন। সেইসঙ্গে যারা পুরোনো অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ব্যবহার করছেন তারা সেটি চালিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু হুয়াওয়ে ব্যবহারকারীরা গুগল ম্যাপস ইউটিউব এসব জনপ্রিয় এ্যাপসগুলোর আপডেট ভার্সন ব্যবহার করতে পারবেন না।
http://forex-bangla.com/customavatars/1035532192.jpg
হুয়াওয়ের কালো তালিকাভুক্তি শুধু হুয়াওয়ের ব্যবসাকেই ক্ষতিগ্রস্থ করবে না, এর ফলে বড় অংকের ব্যবসা হারাবে মার্কিন চিপ ও প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণায় এরই মধ্যে হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন বিক্রি কমে গেছে এশিয়াসহ বড় বাজারগুলোতে। যদিও হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা বলছেন, এতে মোবাইল ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ফাইভ জি প্রযুক্তিতে তা প্রভাব ফেলবে না। বরং আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এ প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দিবে হুয়াওয়ে। যদিও সোমবার এই নিষেধাজ্ঞা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ।

Rassel Vuiya
2019-05-22, 03:14 PM
জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুয়াওয়ের যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং কালো তালিকাভুক্ত করার ঘোষণা দেয়ার কয়েক দিন পর চীনা টেলিকম জায়ান্টটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। এর প্রতিক্রিয়ায় গতকাল বিশ্বের প্রধান প্রধান শেয়ারবাজারে এশীয় ইকুইটিতে পতন দেখা গেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে হুয়াওয়ের ওপর আরোপিত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে শিথিল করায় এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলোয় সামান্য উল্লম্ফন প্রত্যক্ষ করা গেলেও তা এখনো চার মাসের সর্বনিম্নে রয়েছে। এ সংকট আরো কিছুদিন বহাল থাকবে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা। গতকাল ওয়াল স্ট্রিটের প্রযুক্তি সূচক নাসডাক কম্পোজিটে তীব্র পতন ঘটে, যা আঞ্চলিক বিনিয়োগকারীদের ভীত করে তুলেছে।

Tofazzal Mia
2019-06-13, 05:10 PM
ট্রাম্প প্রশাসনের আদেশে হুয়াওয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ‘কালো তালিকা ভুক্ত’ হয় এবয় মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল তাদের অ্যান্ড্রয়েড ব্যবসার লাইসেন্স হুয়াওয়ের জন্য স্থগিত করে। ফলে হুয়াওয়ের স্মার্টফোনগুলোতে গুগলের জনপ্রিয় অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও কয়েকটি বড় চিপ নির্মাতা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে চাপ দিয়ে হুয়াওয়ের সঙ্গে সম্পর্ক বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়। এর পরপরই ওয়াই-ফাই অ্যালায়েন্স, ব্লুটুথ এসআইজি ও এসডি অ্যাসোসিয়েশন হুয়াওয়ের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার ঘোষণা দেয়।
কিন্তু সম্প্রতি হুয়াওয়ে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছে, কেনানা যারা হুয়াওয়েকে ছেড়ে গিয়েছিল তারা আবার নীরবে হুয়াওয়ের পাশে ফিরতে শুরু করেছে। বিভিন্ন কোম্পানির তিনটি ভিন্ন নেটওয়ার্কে আবারও যুক্ত হয়েছে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি। ওই তিনটি নেটওয়ার্ক ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ও মাইক্রো এসডি কার্ড নিয়ে কাজ করে। ওয়াই-ফাই অ্যালায়েন্স, ব্লুটুথ এসআইজি ও এসডি অ্যাসোসিয়েশন নীরবেই হুয়াওয়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তারা হুয়াওয়ের সদস্যপদ নবায়ন করেছে। স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের জন্য এ তিনটি নেটওয়ার্ককে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। কারণ, তারা ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ও মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহারের বৈধতা দেয়। অ্যান্ড্রয়েডের নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করে হুয়াওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের বিকল্প পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে এনেছে। তাদের ভবিষ্যৎ স্মার্টফোনে নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম ‘আরকে’ বা ‘হংমেং’ ব্যবহৃত হতে পারে। হুয়াওয়ে ও অনার ফোনের গ্রাহকদের সফটওয়্যার নিরাপত্তা হালনাগাদ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হুয়াওয়ে। তবে, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত গুগলের পক্ষ থেকে অ্যান্ড্রয়েড আপডেট নিয়ে মন্তব্য করা হয়নি। অবশ্য গুগল বর্তমান হুয়াওয়ে ডিভাইস ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা আপডেট চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে।

BDFOREX TRADER
2019-06-16, 04:43 PM
এন্ড্রোয়েডের দিন বোধহয় শেষ হয়ে এলো। কথায় বলে "অতি বাড় বেড়ো নাকো, ঝড়ে পরে যাবে!"ট্রাম্প সরকার হুয়াওয়ে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করল তার দেশে, কিন্ত এই হুয়াওয়ে কোম্পানির শিকড় যে কত গভীরে তা বোধহয় ট্রাম্প প্রশাসনের আইডিয়াতেও ছিল না। আর চীনারা যে কতটা সমৃদ্ধ ও একতাবদ্ধ জাতী তাও স্বার্থলোভী পুজিবাদীদের মাথাতেও আসেনি কখনো। তবে সম্প্রতি কিছুটা টের পেতে শুরু করেছে বিশ্ববাসী।
হুয়াওয়ে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ হবার পরপরই এই হ্যান্ডসেটের নেক্সট মডেলগুলোতে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমও বন্ধ থাকবে বলে ঘোষনা করা হয় এন্ড্রোয়েড অথরিটির এর পক্ষ থেকে। ভেবেছিল এতে হুয়াওয়ে হয়তো দমে যাবে। কিন্ত তারা মুখে উচ্চবাচ্য না করে কাজে নেমে পড়ল।
এন্ড্রোয়েড বাদ দিয়ে নিজেদের তৈরি অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ শুরু করে দিল তারা। যার নাম "হুং মেং"। এই অপারেটিং সিস্টেম এন্ড্রয়েড এর চেয়েও বেশ ফাস্ট কাজ করে। আর এই সিস্টেমে সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করা হয় চীন দেশে প্রচলিত নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন। অর্থাৎ গুগল এর মত সার্চ ইঞ্জিনও আর এসব মোবাইল ফোনে ইউজ হচ্ছে না আগামী থেকে। একই সাথে ঘোষনা এসেছে, চাইনিজ অন্যান্য ব্রান্ড, যেমন শাওমি, অপো প্রভৃতি ব্রান্ডের মোবাইল ফোনের আগামী মডেলগুলোতেও 'হুং মেং' অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করা হবে।
বিশ্বের সিংহভাগ মোবাইল আসে চীন থেকে। এখন চীনা কোম্পানিগুলো যদি এন্ড্রোয়েড ব্যবহার বাদ দেয়, তবে স্বভাবতই এন্ড্রোয়েড সিস্টেম একেবারেই বেকার হয়ে পড়বে বিশ্ববাসীর কাছে। কারন সারাবিশ্ব এই চীনা কোম্পানির মোবাইলফোন দিয়েই তাদের প্রযুক্তিগত কাজ সেড়ে থাকে। ফলশ্রুতিতে সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে গুগলের জনপ্রিয়তাও একেবারে তলানিতে এসে ঠেকবে। পরিশেষে বলা যায়, এক অতি বাড়াবাড়ি সন্দেহের বশে নেওয়া ট্রাম্প সরকারের খামখেয়ালিপনা সিদ্ধান্ত তথ্য প্রযুক্তির দিক দিয়ে আমেরিকার একছত্র আধিপত্য খর্ব করে দিতে যাচ্ছে তা এক কথায় দিনের আলোর মতোই পরিস্কার।