SUROZ Islam
2019-06-25, 07:03 PM
যুক্তরাষ্ট্রের উপর্যুপরি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে অগ্রসর দেশ ইরান ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। বিশেষত দেশটির ব্যাংকিং খাতের অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে দেশটির সামনে এখন দুটি রাস্তা খোলা আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। হয়তো দেশটিকে শাসন ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার আনতে হবে, নয়তো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরাজমান তারল্য সংকট রোধে স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে সাময়িকভাবে হলেও আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। ব্যাংকিং খাতে ভয়াবহ তারল্য সংকট ও ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় দেশটির আর্থিক স্থিতিশীলতা ক্রমে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকসের (পিআইআইই) প্রতিবেদনে। ব্যাংকিং খাতের করুণ অবস্থার জন্য দেশটির জাতীয় পর্যায়ের এলোমেলো পদক্ষেপকে দায়ী বলে উল্লেখ করা হয়েছে পিআইআইইর প্রতিবেদনে। ইরানের আর্থিক খাত দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে ওঠার পেছনে আধাসরকারি বিভিন্ন করপোরেশনের সঙ্গে ব্যাংকের বেআইনি লেনদেন ও ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাও দায়ী বলে পিআইআইইর প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে।