Log in

View Full Version : Gbp কারেন্সির ভবিষ্যত কি হতে পারে?



Rakib Hashan
2019-07-23, 07:07 PM
Gbp কারেন্সির আগামী ভবিষ্যত কি হতে পারে??? চলুন গভীর আলচনায় যাই।
8502
অফিস ফর বাজেট রেসপন্সিবিলিটির সতর্কবার্তাঃ চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে মন্দায় পড়বে যুক্তরাজ্য। ব্রিটেনের আর্থিক পর্যবেক্ষক অফিস ফর বাজেট রেসপন্সিবিলিটি (ওবিআর) বলেছে, যদি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হয়, তবে আগামী বছর মন্দায় পড়বে যুক্তরাজ্য। পর্যবেক্ষক সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, কোনো চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এলে ২০২০ সাল শেষে ব্রিটেনের প্রবৃদ্ধি কমবে ২ শতাংশ। এ পরিস্থিতি সরকারি ঋণ বৃদ্ধি করবে ৩ হাজার কোটি পাউন্ড।
সাম্প্রতিক সময়ে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের আশঙ্কা ক্রমেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, কেননা টোরি নেতৃত্বের দাবিদার দুই প্রার্থীই জানিয়েছেন যে তারা কোনো চুক্তি ছাড়াই ইইউ থেকে বেরিয়ে যেতে ইচ্ছুক। আগামী ৩১ অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। যদি কোন কারনে তারিখ পরিবর্তন না হয়। চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে পরিস্থিতি কেমন দাঁড়াবে, তা নিয়ে এবারই প্রথম পর্যালোচনা জানাল ওবিআর। পর্যবেক্ষক সংস্থাটি বলছে, ২০২১ সালে ঘুরে দাঁড়ানোর আগে ২০২০ সালে ব্রিটেনের অর্থনীতি সংকুচিত হবে।
ব্রিটেনের অর্থনীতিকে বড় ধাক্কা দেবে ইইউর সঙ্গে পণ্য বাণিজ্যের ওপর বাড়তে যাওয়া শুল্ক যা বর্তমানের শূন্য শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ৪ শতাংশ। যদিও সীমান্ত বাণিজ্যে কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি হবে, এমনটা প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। ওবিআর মনে করছে, এ পরিস্থিতিতে অনিশ্চয়তা বাড়বে এবং ব্যবসায়িক আস্থা কমবে যা বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করবে। অন্যদিকে ইইউর সঙ্গে উচ্চতর বাণিজ্য বাধা ব্রিটেনের রফতানিতে বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সংস্থাটি বলছে, সবকিছু মিলিয়ে অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দেবে, সম্পদের মূল্য ও পাউন্ডের(gbp) মানের বড় পতন ঘটবে। যা ভয়ানক রুপ নিবে।
ওবিআরের পূর্বাভাস ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ও ট্রেজারির পূর্বাভাসের তুলনায় কম তীব্র। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জানিয়েছিল, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে পাউন্ডের মানের বড় পতন হবে এবং ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেখতে হবে। ব্যাংকটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, সামাল দেয়ার সময় না পেলে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের অব্যবহিত ফলাফল হিসেবে অর্থনীতি সংকুচিত হবে ৮ শতাংশ।
এদিকে ট্রেজারি পূর্বাভাস দিয়েছে যে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের কারণে ২০৩৫ সাল নাগাদ অর্থনীতির ক্ষতি হবে ৯ হাজার কোটি পাউন্ড।
চলতি সপ্তাহে টেলিগ্রাফকে দেয়া এক বক্তব্যে কনজারভেটিভ পার্টির জ্যাকোব রিস মগ বলেন, মন্দার আশঙ্কা অমূলক।
এপ্রিলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এলে চলতি বছর ও ২০২১ সালের শেষ নাগাদ অন্তত দুই থেকে তিন বছরের সাধারণ প্রবৃদ্ধির সমতুল্য লোকসানের সম্মুখীন হবে ব্রিটেনের অর্থনীতি।
আইএমএফ বলছে, তুলনামূলক সুশৃঙ্খল চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলেও (যেমন সীমান্তে কোনো সমস্যা তৈরি হবে না এবং আর্থিক বাজারে ন্যূনতম অস্থিরতা তৈরি হবে) ২০২১ সাল নাগাদ ব্রিটেনের অর্থনীতি ৩ দশমিক ৫ শতাংশ কম উন্নতি করবে।
আইনি প্রতিষ্ঠান পিনসেন্ট ম্যাসনসের ব্রেক্সিট অ্যাডভাইজরি বিভাগের প্রধান ক্লেয়ার ফ্রান্সিস বলেন, ওবিআর প্রতিবেদন চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, তা আরো সামনে নিয়ে এসেছে। ধন্যবাদ সবাইকে, ভালো থাকুন ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে ট্রেডিং জগতে

Montu Zaman
2019-07-24, 01:42 PM
বরিস জনসন এবার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন, তবে তার বিরুদ্ধেও বিগত কয়েকদিনে অনেক বিক্ষোভ হয়েছে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে। কেননা বরিস জনসন একজন ব্রেক্সিটকে সমর্থন দেওয়া লোক। যেখানে ব্রেক্সিট বাতিল করতে গণভোটের মুখে থেরেসা পদত্যাগ করলেন, সেখানে পুনরায় আরেকজন ব্রেক্সিটের পক্ষে থাকা কাউকে তারা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মানতে পারবে না! তবে বহুল চর্চিত গণতন্ত্রের দেশে রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। এরপর বাকি হিসেব নিকেশ মিলিয়ে পরের পদক্ষেপ নিতে হবে সকল পাউন্ড কারেন্সী ট্রেডারদের।
👉কি ঘটতে পারে gbp এর ভাগ্যে নির্বাচন শেষে?
বরিস প্রধানমন্ত্রী হবার পর জিবিপি টালমাটাল থাকবে পুরোটা সময়, কারন তার কথাবার্তায় ব্রেক্সিটের পক্ষেই ডায়লগ চলে আসবে যা পুনরায় পুরনো হতে যাওয়া ক্ষতকে উসকে দেবে। আর জেরেমি হান্ট হলে অন্তত সেই দুশ্চিন্তা করতে হবে না কাউকে।তবে নির্বাচনকালীন সংশ্লিষ্ট দেশের মুদ্রার মুল্যমান নিম্নমুখি থাকে, কারন পুরো পরিস্থিতিতে লিকুইডিটি শুন্যতায় থাকে মার্কেট। তবে রায় শেষ হওয়া মাত্রই দেশ একজন অভিভাবক পেয়ে যায়, মুদ্রার মুল্যমানও একটা গতি পায়। তা যিনিই প্রধানমন্ত্রী হোন না কেন, সবার ক্ষেত্রে একই ব্যাপার ঘটে। বিগত আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও দেখেছিলাম, ট্রাম্পের মত প্রার্থি যিনি কিনা সকল জরিপেই পিছিয়ে ছিলেন, তিনিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর মার্কেট কিরকম গতি পেয়ে গিয়েছিল। এবারও এর ব্যত্যয় না ঘটার সম্ভাবনাই বেশি।সবার জন্য শুভকামনা রইল। সবাই ভাল থাকুন, এই কামনা রইল।

Tofazzal Mia
2019-07-29, 03:44 PM
8544
gbp) কঠিন সময়ের মুখে যুক্তরাজ্যের কারখানাগুলো অতিবাহিত হচ্ছে। একদিকে ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তা, অন্যদিকে মন্থর বৈশ্বিক বাণিজ্য। এ পরিস্থিতিতে গত দশকের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পর ব্রিটেনের কারখানাগুলোর কার্যাদেশ দ্রুতগতিতে সংকুচিত হতে দেখা যাচ্ছে। গতকাল কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি (সিবিআই) এ কথা জানিয়েছে।
ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে একটি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়ে নিয়োগকারীদের সংগঠনটি জানায়, সর্বশেষ প্রান্তিকে শিল্প উৎপাদনও হ্রাস পেয়েছে, যা ২০১৬ সালের বসন্তকালের পর প্রথম পতন। সিবিআইয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেন্ডস জরিপে দেখা গেছে, ব্যবসাসংক্রান্ত প্রত্যাশায় পতন ঘটেছে। এছাড়া বিনিয়োগের অভিপ্রায় খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছে এবং ২৯ মার্চ ব্রেক্সিটের মূল সময়সীমা ধরে প্রতিষ্ঠানগুলোর করা মজুদের পরিমাণ কমে এসেছে।
জরিপ অনুসারে, তবে আগামী মাসগুলোয় রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি কারখানাগুলোর কার্যাদেশ ও উৎপাদন ঊর্ধ্বমুখী করবে বলে ম্যানুফ্যাকচারার া আশা করছে। সিবিআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ রাইন নিউটন স্মিথ বলেন, মজুদ দুর্বল হতে থাকায় ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের ওপর অন্ধকার নেমে আসছে। খাতটি ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তা ও মন্থর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের কার্যাদেশ, কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ, উৎপাদন ও ব্যবসা প্রত্যাশা সব কিছুরই অবনতি ঘটছে। ফলে এমন পরিস্থিতিতে অক্টোবর সময়সীমার আগে ব্রেক্সিট চুক্তি নিশ্চিত করা নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নসহ স্থানীয় অগ্রাধিকারকে জোরদার করা উচিত। এতে কোম্পানিগুলো নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগে মনোযোগী হবে এবং খাতটির দক্ষ কর্মী সংকট মোকাবেলায় সক্ষম হবে।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (বিওই) নেতৃস্থানীয় এক নীতিনির্ধারকের ব্রেক্সিটসংক্রান ত মন্তব্যের পর সিবিআইয়ের এ হতাশাজনক জরিপ প্রকাশ হলো। নীতিনির্ধারক বলেন, বিওইর পূর্বাভাসে অর্থনীতি সুদহার বাড়াতে প্রস্তুত থাকার আভাস দিলেও ব্রেক্সিট ঝুঁকির কারণে এ পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে।
বিভিন্ন পূর্বাভাসে একটি মসৃণ ব্রেক্সিটের কথা বলা হলেও বিওইর মনিটারি পলিসি কমিটির (এমপিসি) সদস্য মাইকেল স্যান্ডার্স ব্লুমবার্গকে বলেন, ব্রেক্সিটের ফলাফল অনিশ্চিত।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ব্রেক্সিট গণভোটের পর সুদহার কমিয়ে রেকর্ড নিম্ন দশমিক ২৫ শতাংশ করা হয়। কিন্তু এরপর সুদহার দুবার বাড়িয়ে দশমিক ৭৫ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে। বিওইর গত দুবার সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন স্যান্ডার্স। ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকুন ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটের ট্রেডিং জগতে।

SaifulRahman
2019-08-01, 05:09 PM
মেজর কারেন্সী পেয়ার GBPUSD পেয়ারটি বেশ অনেক দিন ধরেই মার্কেট ডাউনট্রেন্ডে আছে। এর মাঝে বেশ কয়েকবার ডাউনট্রেন্ডকেই টাচ করে ট্রেন্ডকে আরও শক্তিশালী করে নেমেই চলেছে মার্কেট। তার সাথে বেশ কিছু সাপোর্ট লেভেল, বেশ কিছু শর্ট আপট্রেন্ড লেভেলগুলো ব্রেক করে পুনরায় রিটেস্ট করে আবারও ডাউনট্রেন্ড কন্টিনিউ করেছে মার্কেট।
GBP পেয়ার অস্বাভাবিক আচরন করছে, প্রথমে ফান্ডামেন্টাল ইস্যু নিয়ে একটু এনালাইসিস করে দেখি। আমরা জানি GBP বৃটেনের কারেন্সী। বৃটেনগোষ্ঠী যুক্তরাজ্য ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম সদস্য। কিছুকাল পুর্বে গণভোটে জনগন রায় দেয় যে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে যুক্ত থাকতে চায় না। তারা নিজেরাই একসময়ের গোটা বিশ্ব শাসনকারী অন্যতম জাতীগোষ্ঠী। সুতরাং তারা নিজেরা একাই একশো। তাদের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার দরকার নেই। বরং ইউরোপীয় ইউনিয়নের তাদের জন্য গর্ববোধ করা উচিত। সুতরাং তাদের এই ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। যাকে বলা হয় Britain Exit যাকে সংক্্ষেপে বলা হয় ব্রেক্সিট বা বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়া। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটা অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এই ইউনিয়নের সদস্যরা নিজেদের মাঝে শুল্কমুক্ত বা স্বল্পশুল্কের মাধ্যমে বাণিজ্য লেনদেন করতে পারবে অনায়াসে। কিন্ত ব্রেক্সিটের মাধ্যমে এই ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার পক্ষে গণরায় হবার পর বৃটেন ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের সাথে সকল বাণিজ্যিক লেনদেনের সুবিধা হারায়। ফলে বিশাল পরিমাণ শুল্কের ফাঁকে পড়ে যায় দেশটি। যার দরুন দেশটির আভ্যন্তরীণ বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে যায়। ফলাফল সেই সময় পাউন্ড এর মার্কেট প্রাইস কমতে কমতে তলাণীতে এসেছিল প্রায়! এরপর বাস্তবতা বুঝে জনগণ আবার ব্রেক্সিটের বিপক্ষে মতামত দেওয়া শুরু করে। ফলে ব্রেক্সিট আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্ব ও পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হওয়া থেরেসা মে শেষমেশ পদত্যাগ করে ফেলেন। এরপর আবারো পুনঃনির্বাচন সংগঠিত হয়। কিন্ত বৃটিশরা যে আসলেই সেই মাপের বৃটিশ! যার ফলে তারা আবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে এমন এক প্রার্থীকে যে কিনা ব্রেক্সিটের পক্ষেই আন্দোলনে থাকা ব্যক্তিত্ব!
ফলাফল যুক্তরাজ্য এবার সত্যিকারেই হারাতে বসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সকল বাণিজ্যিক ও আর্থিক সুবিধা! আমি বৃটেনের সাধারন নির্বাচনের আগের দিনে দেওয়া এনালাইটিক্যাল পোস্টে বলেছিলাম ব্রেক্সিটপন্থি বরিস জনসন জয়ী হবার সম্ভাবনাই বেশি। যদিও তিনি জিতলে বেশ টালমাটাল থাকবে মার্কেট। কারন তিনি সরাসরি ব্রেক্সিট এর কার্য সম্পন্ন করবেন। তার মানে যুক্তরাজ্য এবার সত্যিকারেই শুল্কের চাপে পড়ে যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সৌজন্যে হওয়া সকল বাণিজ্যিক লেনদেন বাতিল হয়ে যাবে। আবার নতুন করে সব করতে হবে একেবারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থাকা রাষ্ট্র হিসেবে।
ফলাফলে খুব অভাবনীয় কোন কার্য না করে ফেললে আগামীতে যুক্তরাজ্যের যে বেশ দুর্দিন অপেক্ষা করছে তা বলাই যায়! তারই ধারাবাহিকতায় মার্কেট তো নামবেই।

Tofazzal Mia
2019-08-05, 04:56 PM
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড যুক্তরাজ্যের আগামী দুই বছরের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়েছে। এদিকে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট দেশটির অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং পাউন্ডকে আরো দুর্বল করবে বলেও জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৈশ্বিক অর্থনীতির দুর্বল প্রবৃদ্ধি এবং চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অস্থির থাকায় যুক্তরাজ্যের সুদহার দশমিক ৭৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রেখেছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়তে পারে বলে নতুন করে পূর্বাভাস করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অথচ মে মাসের পূর্বাভাসে চলতি বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস করা হয়েছিল। তাছাড়া ২০২০ সালে প্রবৃদ্ধি বাড়ার পূর্বাভাস ১ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ দশমিক ৩ শতাংশে নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। উল্লেখ্য, অক্টোবরে যুক্তরাজ্য চুক্তিসহ ব্রেক্সিট করতে যাচ্ছে—এ বিবেচনার ভিত্তিতে উল্লিখিত সব পূর্বাভাস করা হয়েছে। তাই চুক্তিহীন ব্রেক্সিট প্রবৃদ্ধি আরো শ্লথ করতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এদিকে নিজেদের প্রাথমিক হিসাবে জুন পর্যন্ত তিন মাসে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি অসম্প্রসারিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটি (এমপিসি)। প্রসঙ্গত, দেশটির সুদহার নির্ধারণ করে এমপিসি। ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের কারণে এমনটি হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে যুক্তরাজ্যের পূর্বাভাস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আগামী বছর দেশটির অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।

SUROZ Islam
2019-08-06, 03:32 PM
যারা সারাদিন ক্যান্ডেল নিয়ে পড়ে থাকেন বা টেকনিক্যাল এনালাইসিস ছাড়া কিছুই বুঝেন না, তাদের জন্য পাউন্ডের সাম্প্রতিক ধশ একটা বড় ধরনের শিক্ষা। গত কয়েকদিনে পাউন্ড কোনো সাপোর্ট, চ্যানেল,রিট্রেসমে ্ট এরিয়া এমনকি ফিবো এর কোনো ক্যালকুলেশনও মানে নি। এমনিতেই ব্রেক্সিট ঝামেলা নিয়ে পাউন্ড বেশ ঝামেলাতে ছিলো, বর্তমানে এটা ডিভ্যালুড কারেন্সি হিসেবে কাউন্ট হচ্ছে। তার উপর বরিশ জনসন প্রধানমন্ত্রী হবার পর থেকে ইনভেস্টররা পাউন্ড থেকে আরো মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কারন বরিশ জনসন একজন কট্টর হার্ড ব্রেক্সিট পন্থী। প্রথমবার যখন ব্রেক্সিট নিয়ে ভোটাভুটি হয় তখন থেকেই কট্টর ব্রেক্সিট পন্থী হিসেবেই সবার তাকে চিনে। সম্প্রতি ব্রেক্সিট কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন শেষ সময় বেধে দেয় ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। অনেকেই মনে করেছিলেন হয় এর মাঝে কোনো ডিল হবে অথবা কোনো কারনে ব্রেক্সিট কার্যক্রম এর সময় আরো বাড়ানো হবে। কিন্তু বরিস জনসন কট্টর হার্ড ব্রেক্সিট পন্থী হওয়ার ফলে ৩১ এ অক্টোবর এর মাঝে নতুন করে ডিল হবার সম্ভাবনা প্রায় শুন্যের কাছাকাছি নেমে এসেছে, অপরদিকে ৩১ এ অক্টোবরের মাঝেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে বের হবার ব্যাপারেও তিনি বেশ একাট্টা হয়ে লেগেছেন, যদিও এই সময়ের মাঝে পারবেন বলে মনে হয়না। এই সকল কারনে পাউন্ড নতুন করে আবারো আরো বেশি সেল মুড কন্টিনিউ করা শুরু করেছে ।
পোস্টের শুরুতেই বলেছি, যারা ট্রেডিং এ ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস এবং মার্কেট সেন্টিমেন্ট কে তোয়াক্কা না করে শুধুমাত্র ক্যান্ডেল নিয়ে অধিক গবেষনা করে এন্ট্রি নেওয়াটাই বেশি পছন্দ করেন তাদের জন্য পাউন্ডের বর্তমান মুভমেন্ট একটা বড় ধরনের শিক্ষা। সবারই মনে রাখা উচিৎ যদি ক্যান্ডেল ই সব হত তবে মার্কেট নির্দিষ্ট রেঞ্জে্র বাইরে কখনোই যেতোনা, সবসময়ই নির্দিষ্ট এরিয়ার মাঝেই ঘোরাঘুরি করতো। ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি, সেন্টিমেন্টাল এনালাইসিস টা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন। টোটাল মার্কেট মুভ করে ইনভেস্টর এবং ট্রেডারস সেন্টিমেন্ট এর উপর বেজ করে, সাপোর্ট হিসেবে ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো কাজ করে। যদি সেন্টিমেন্ট ই আসল না হত তবে কখনোই একই নিউজের ইমপ্যাক্ট মার্কেটে ভিন্ন ভিন্ন হতোনা বা সাপোর্ট, রেজিস্ট্যান্স এবং ট্রেন্ডলাইন কখনোই ব্রেক হতোনা। মার্কেট একই গদবাধা নিয়মে এবং নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যেই ঘোরাফেরা করতো। তাতে করে মার্কেটে কেউ লস ও করতো না।
একবার ভেবে দেখুন তো আমেরিকান ডলারের রেট ডিসিশন, মনিটারি পলিসি বা লেবার মার্কেট রিপোর্টের মত নিউজে কি মার্কেট প্রতিনিয়ত একইরকম আচরন করে ?? রেট বাড়লেই কি সবসময়ই আমেরিকান ডলার শক্তিশালী হয় বা লেবার মার্কেট নিউজ ভালো/খারাপ আসলেই কি মার্কেট সমসময়ই একই রকম আচরন করে ?? অবশ্যই আপনার উত্তর হবে না। তাহলে নিজেকে আবারো প্রশ্ন করুন, একই রকম নিউজ রিপোর্টের কারনে মার্কেটের এই ভিন্ন ভিন্ন আচরনের কারন্ টা কি ??
মেজর পেয়ারগুলোতে কি সবসময়ই মার্কেট সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স এ বাধা পেয়ে ফিরে আসে ?? সমসময়ই কি মার্কেট নির্দিষ্ট ট্রেন্ড লাইনে বা চ্যানেলের মধ্যেই চলতে থাকে?? অবশ্যই আপনার উত্তর হবে না। তাহলে আরো একটিবার নিজেকে প্রশ্ন করুন এই যে সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্সে এর জায়গাগুলোতে মার্কেট কোনো সময় বাধা পেয়ে ফিরে আসছে আবার কখনো বা ভেঙ্গে আপ/ডাউন হচ্ছে, এটার কারন কি হতে পারে।
এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর একটাই হতে পারে তা হলো , সেন্টিমেন্ট। নিউজ রিপোর্ট একই রকম হলেও সামগ্রীক অর্থনীতির বিচারে ইনভেস্টর বা ট্রেডারদের উপর সেটার ভিন্ন ভিন্ন সেন্টিমেন্ট কাজ করে এবং এর পিছনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো। ভুলে গেলে চলবে না ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল কারনে কখনো মার্কেট ট্রেন্ড বদল করেনা , মার্কেট ট্রেন্ড বদল করে সেন্টিমেন্ট এর উপর বেজ করে, তবে এই সেন্টিমেন্টের মূল নিয়ামক বা উপকরন হিসেবে কাজ করে ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো।
এজন্য ট্রেডারস এবং ইনভেস্টরদের সেন্টিমেন্ট বুঝে ট্রেড করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে সবার আগে ফান্ডামেন্টাল বিষয়গুলোর প্রতি জোর দিতে হবে। অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক বিষয়গুলো সম্পর্কে অনেক ভালো ধারণা থাকতে হবে এবং সবসময়ই এই নিউজগুলোতে আপডেটেড থাকতে হবে এবং এগুলোর আলোকে সঠিকভাবে চার্ট এনালাইসিস করতে হবে। পাশাপাশি কট রিপোর্ট , অপশন এক্সপায়ার ডেট এর টুকিটাকি বিষয়গুলোতে আপডেটেড থেকে এন্ট্রি নিলে ভুল হবার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে এবং লাভ হবার সম্ভাবনা অনেক গুণে বেড়ে যায়।
ট্রেডে এন্ট্রি নেবার আগে মার্কেটের ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো সম্পর্কে আপডেটেড থাকাটা খুবই জরুরী । যদি আপনি মার্কেট সেন্টিমেন্ট না বুঝে এন্ট্রি নেন তবে শর্ট টার্মে প্রোফিট হলেও লং টার্মে লস হবার সম্ভাবনা খুবই বেশি। আর যারা শুধুমাত্র ক্যান্ডেল নিয়ে পরে থাকেন , তারা হয়তো সপ্তাহ বা মাস ধরে লাভ করবেন কিন্তু পাউন্ডের সাম্প্রতিক মুভমেন্টের মত কোনো একটা বড় মুভমেন্টে একাউন্ট ব্যালেন্স শুন্য হতে খুব বেশি সময় লাগবে না। তাই নিজের ব্যালেন্সকে সুরক্ষিত রেখে দীর্ঘদিন প্রোফিট নিয়ে টিকে থাকার জন্য অবশ্যই আপনার নলেজকে ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল উভয় বিষয়ে আপডেটেড রাখুন এবং স্মার্ট ব্যালেন্স নিয়ে ট্রেড করুন। অবশ্যই মার্কেট আপনার পক্ষে থাকবে

Montu Zaman
2019-08-19, 03:22 PM
8644
ডিল/ব্রেক্সিট নিয়ে ইংল্যান্ডের সাংসদদের মধ্যে মতপার্থক্য সৃষ্টি হবার ফলে অনেক সাংসদ জরুরী ভিত্তিতে সংসদ অধিবেশন ডেকে ভোটের আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছেন। যার ফলে পাউন্ড রিলেটেড পেয়ারগুলোতে পাউন্ড সেল হচ্ছে।
নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যদিও 31 অক্টোবর এর বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ডিল/নোডিল ব্রেক্সিট কার্যক্রম সম্পাদনের পক্ষে, কিন্তু বেশিরভাগ সাংসদ নোডিল ব্রেক্সিটের ঘোর বিরোধী। গতদিনের নিউজে আসছে, নোডিল ব্রেক্সিট হলে ইংল্যান্ডের খাদ্য, চিকিৎসা খাত সহ বেশ কিছু খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই ব্রেক্সিট বিষয়ে চলমান ঝামেলা না মেটা অথবা নতুন সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত পাউন্ড রিলেটেড পেয়ারগুলোতে পাউন্ড বাই মুডে থাকা থেকে বিরত থাকা উচিৎ, পাশাপাশি গোল্ড, জাপানি ইয়েন এবং সুইচ ফ্রাঙ্ক সেল করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ।

SaifulRahman
2019-08-20, 04:06 PM
8658
#GBPUSD পেয়ারটির D1 টাইমফ্রেমে আমারা দেখতে পাচ্ছি মার্কেট ডাউন ট্রেন্ড আছে। আরো দেখতে পাচ্ছি ট্রেন্ড লাইন ব্রেক এবং রিটেস্ট সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। Falling wedge pattern তৈরী হয়েছে৷ আমার ধারণা মার্কেট আরো নিচে যাবে, আর সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। আমি আমার কনফার্মেশন অনুযায়ী সেলএন্ট্রি নিয়েছি। আমার স্ট্র্যাটেজি যদি আপনার সাথে মিলে যায় তবে এন্ট্রিটা নিতে পারেন।

Montu Zaman
2019-08-27, 04:55 PM
8722
শুক্রবার একই পতনের ৫০% রিট্রেসমেন্টের কাছাকাছি বিক্রেতাদের সাথে দেখা করার পরে, gbp/usd পেয়ারটি দৈনিক পতনের পরিমাণ 1.2557 থেকে 1.2014এর মধ্যে দেখা যায় 38.2% রিট্রেসমেন্টের সাথে লড়াই করছে। 4 ঘন্টাের চার্টে, 200 টি এসএমএ ছাড়িয়ে যাওয়া ব্যর্থ হওয়ার পরে এই পেয়ারটি একটি বুলিশ 20 এসএমএ চাপে রয়েছে। প্রযুক্তিগত সূচকগুলি দক্ষিণে পরিণত হয়েছে, গতিবেগটি তীব্র নিম্নগামী বিয়ারিশ অঞ্চলগুলিতে বিভক্ত হতে চলেছে এবং আরএসআইও দক্ষিণে প্রায় 53 নম্বরে চলে গেছে। পতন 1,2193 নিচে একটি বিরতি ত্বরান্বিত করতে পারে, শুক্রবারের কম এবং অবিলম্বে সমর্থন।
সমর্থন স্তর: 1.2190 1.2150 1.2115
প্রতিরোধের স্তর: 1.2245 1.2295 1.2320
সাপোর্ট লেভেলগুলো: 1.2190 1.2150 1.2115
রেসিস্টেন্স লেভেলগুলো: 1.2245 1.2295 1.2320

SaifulRahman
2019-08-27, 06:05 PM
সবাইকে শুভেচ্ছা!
গতকাল থেকেই পাউন্ড আমাদের বিভ্রান্ত করেছে কারণ আমরা এটি আরও 100-150 পিপ মুভ করার আশা করছিলাম তবে এটি কার্যকর হয়নি। আজকের পরিস্থিতি একই অবস্থানে।
লেভেলের ক্ষেত্রে: আজকের দিনের জন্য দাম ব্যালেন্স এর উপরে ছিল, সুতরাং এটি রেসিস্টেন্স লেভেল হিসাবে কাজ করেছে। 2252 তে ব্যালেন্স করেছে এবং একটি বাধ্যতামূলক অঞ্চলে 20 পয়েন্ট কম ছিল যেখানে এই পেয়ারটিতে ট্রেডিং অর্ডার খোলা হয়েছে এবং তারপরেও এটা স্থির রয়েছে। 2193 লেভেলটি শর্ট টার্ম টার্গেট এবং এটিতে 90% সম্ভাবনা রয়েছে যে এটি আবার ফিরে আসবে। 2159 লেভেলটি বিকল্প চ্যানেলের নিম্ন সীমানা এবং যদি দামটি বর্তমান তরলতা অনুপাত চিহ্নটি ভেঙে পরিচালিত করে, তবে এটিই মুল লক্ষ্য হবে।
একটি সুপার আইসবার্গ অর্ডার রয়েছে - ১.২৩ এ অপশন কল এর জন্য দামটি ২৩৯৩ লেভেলে ঠেলে দিয়েছে এবং ৪৯৫ টি নতুন অর্ডার খোলা হয়েছিল। এই অর্ডাররের কারনে এটি এত লোভনীয় হয়ে উঠেছে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে যে গতকাল দামটি ২২তম ফিগারে পৌঁছেছে এবং তারপরে নীচে নেমে গেছে যা একটি সিগন্যাল হতে পারে যে আরও ছোট কিছু অর্ডার খোলা হয়েছিল। সুতরাং, তারা আমাদের মাধ্যমে মুভ না করার জন্য সকল কিছু তৈরি করবে।
8723
যাইহোক, পরিস্থিতি অনেকটাই সহজ: 2245 এবং 2280 হল দুটি সর্বোচ্চ রেসিস্টেন্স লেভেল যা দাম বৃদ্ধি পাওয়াকে থামাবে।
গতকাল থেকে আমি বলেছি যে আমরা যদি ব্রেক জোনটির ডাউনট্রেন্ড এর দিকে চলে যাই তবে ট্রেডিং শর্ট হবে কিন্তু পরিমাণ বাড়বে, তাই এটি গত রাতেই ঘটেছিল।
এই কারণেই 2220-35 এখন একটি রেসিস্টেন্স লেভেলে পরিণত হয়েছে এবং সেখানে আমাদের বাই অর্ডার দেওয়া উচিত কারণ টার্গেট পজিশন 2180 তে আছে। যদি দাম 2235 এর লেভেলের উপরে থাকে এবং তারপরে ডাউনওয়ার্ড মুভমেন্ট শুরু হয়, আমাদের লক্ষ্য লং টার্ম অর্ডার খোলা উচিত কমপক্ষে শুক্রবারের সর্বোচ্চ লেভেল পর্যন্ত।
8724

Rassel Vuiya
2019-08-28, 12:40 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1323623240.png
GBPUSD কারেন্সী পেয়ারটিরে চলমান দাম বৃদ্ধি এবার ঘুরে দাড়িয়েছে। এখন দামটি খুবই স্থিতিশীল রয়েছে, আমার টেকনিক্যাল এনালাইসিস থেকে GBPUSD এর দাম কিছুদিন ডাউনওয়ার্ড মুভমেন্ট এর মধ্যে থাকবে কারণ এরই মধ্যে এর দাম ডাউনওয়ার্ড মুভমেন্টকে অনেটাই নিচে নেমে এসেছে। সুতরাং GBPUSD কারেন্সী পেয়ারটির জন্য আমার পরিকল্পনা হল h4 টাইম ফ্রেমে যে কোনও বুলিশ সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করবো এবং সেই মুহুর্ত আসলে ট্রেডিং শুরু করবে, কারণ এই মুহুর্তে এখনও H4 এখনও বিয়ারিশ আধিপত্যে রয়েছে।

SUROZ Islam
2019-09-11, 04:26 PM
8834
এই অবস্থায় দরপতন অব্যাহত রাখতে, আমাদের ক্রেতাদের স্টপ অর্ডারগুলি সরিয়ে ফেলতে হবে যা 1.2310 এ রয়েছে, তবে এখন সেগুলি 1.2330 তে উন্নতি করছে। সেখানে স্টপ অর্ডার ঠিক করা হবে কি না জানি না। আমি মনে করি এটি সংশোধনের জন্য পাউন্ডটি ঘুরে 1.2240 থেকে 1.2330 তে একটি ব্রেক দেওয়া অনেক ভাল হবে।
আমি ১.২২৪০ থেকে ১.২৪৫০ বা ব্রেকআউট হবার প্রত্যাশা করব, তারপরে ১.২০৮৫ এ টানা পিছনে যাওয়ার পরে দামটি হ্রাস করতে সক্ষম হবে।

Montu Zaman
2019-09-16, 05:29 PM
8866
হার্ড ব্রেক্সিটের সম্ভাবনা হ্রাস পাওয়ায় gbp/usd পেয়ারটির দাম অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আগামীতে এটা সর্বোচ্চ 1.2608 পয়েন্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। gbp/usd পেয়ারটির সোপোর্ট হল 1.2330

SaifulRahman
2019-09-17, 05:43 PM
সবাইকে শুভ বিকাল!
সম্প্রতি চার্টটি এ রকম দেখায়: দাম উপরের সীমানায় অনেকদিন থাকার পর এই জোন থেকে ব্রেক করেছে এবং এর সর্বনিন্ম পরীক্ষা করেছে। সুতরাং আমরা ২৩৮৮ এর লেভেল পর্যন্ত কোন ডিল খুলতে পারি, তবে দামটি এখনও আজকের দিনে সর্বনিম্ন 2405 তে পৌঁছতে পারে।
আমার নির্ধারিত লক্ষ্যতে প্রায় 99% এ পৌঁছে গিয়েছিল। দাম 2383 এর লেভেলে পৌঁছায়নি তবে তবুও ২৩নং চিত্রে দেখা যায় পুলব্যাকটি খুব দ্রুত হচ্ছে যে আমি কোন প্রতিক্রিয়াও জানাতে পারিনি এবং এখন আমি অপেক্ষা করছি গতকালকের সর্বনিন্ম পজিশনে ফিরে যাক। অন্ততপক্ষে, এখানে আমাদের লেভেলের ইন্ডিকেটর অনুসারে একটি বাধ্যতামূলক অঞ্চল এবং কিছুটা উপরে যাচ্ছে - আজকের দিনের ব্যালেন্স ২৪২০ তে রিটেস্ট করেছে। সুতরাং দাম ২৩৯৪ না হওয়া অবধি কোন বাই অর্ডার খোলা রাখা আরও ভাল হবে এবং তারপরে আমরা 'এই পেয়ারটি আরও নীচে 2323 তে যাবে কিনা বা এটি ২৪তম চিত্রের মাঝখানে ফিরে আসবে কিনা তা দেখতে পারবো। অপশন চ্যানেলের উপরের লেভেলটি 2457 তে রয়েছে এবং ডিলগুলি আরও বেশি খোলার কোনও পয়েন্ট আমি দেখতে পাচ্ছি না।
8876
ইন্ডিকেটরের হিসাবে, এটা দেখা যায় যে 2451 এর লেভেল (এখানেই সর্বোচ্চ সীমানায় রয়েছে) যা রেসিস্টেন্স এর একটি ভাল পয়েন্ট। দাম এখান থেকে ব্রেক করতে পারে তবে এটি অনেকটাই অসম্ভব। গতকাল থেকে দাম একুমুলেশন জোনটির নীচে পৌঁছায়নি এবং আজ এটির সর্বনিম্ন 2394-তে রয়েছে যা এখানে রেসিস্টেন্স এ পরিণত হয়েছে। যদি দামটি এই লেভেলের মধ্যে ভেঙে যায় তবে এটি শর্ট ডিল খোলার নির্দেশ করবে। এর অর্থ আরও ডাউনট্রেন্ড এবং দিনের সর্বনিম্ন বর্তমানে 2366 তে রয়েছে। = সুতরাং, যদি আমি দেখি যে দামটি সর্বচ্চো লেভেলে পরীক্ষা করতে চলেছে, তবে আমি শর্ট ডিল খুলব।
8877

Montu Zaman
2019-09-18, 06:17 PM
8893
এখন বৃটেন সর্বোচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আজ সুপ্রিম কোর্ট দুটি আপিলের রায় দেবে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রেক্সিট সম্পাদনের আগে ৫ সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন। সেই আদেশ বৈধ নাকি অবৈধ এ বিষয়ে আজ রায় দেবে আদালত। যদি আদালত পার্লামেন্টের স্থগিতাদেশ অবৈধ ঘোষনা করে gbp ইন্সট্যান্ট শক্তিশালী হয়ে যাবে, এতে কোন সন্দেহ নাই। gbp/usd টার্গেট থাকলে ১.২৭০০ পর্যন্ত। এর আগে এডিনবার্গের কোর্ট অব সেশন পার্লামেন্ট স্থগিত করাকে বেআইনি ঘোষণা করেছে। তবে এই আদালত পার্লামেন্ট স্থগিতের আদেশের বিপরীতে রায় দেয়নি আজকের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য। লন্ডনের হাই কোর্ট বলেছে, বিষয়টি আদালতের বিষয় নয়। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, তিনি অপেক্ষা করবেন এবং বিচারকরা কি বলেন সে দিকে দৃষ্টি রাখবেন। যদি সুপ্রিম কোর্ট আজ পার্লামেন্ট স্থগিতাদেশকে বেআইনি বলে রায় দিয়ে পার্লামেন্টকে সচল করার নির্দেশ দেয় তাহলে তাতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বড় এক পরাজয় ঘটবে। আবারো বলি, তাহলে gbp মাস্ট বাই। কারণ, পার্লামেন্ট স্থগিতের কারণে তার নিজদলের ভিতরে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে ব্রেক্সিটবিহীন চুক্তির বিরুদ্ধে। ফলে প্রথম সারির বেশ কয়েকজন রাজনীতিককে তিনি বহিষ্কার করেছেন। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে দল হিসেবে কনজারভেটিভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজকের রায়কে কেন্দ্র করে বরিস জনসন বলেছেন বিচার বিভাগের প্রতি রয়েছে তার সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা। এক সপ্তাহ আগে থেকে তার পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
ফলে ১৪ই অক্টোবরের আগে এমপিরা আর পার্লামেন্টে ফিরতে পারছেন না। ওই ১৪ই অক্টোবর বক্তব্য রাখার কথা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের। ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার কথা রয়েছে বৃটেনের।
তবে পার্লামেন্ট স্থগিতের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তারা চাইছে পার্লামেন্ট সচল করা হোক।

SaifulRahman
2019-09-24, 11:44 AM
8927
হার্ড ব্রেক্সিট বাতিল হবার কারনে gbp/usd পেয়ারটি এখন বেশ দুর্বল এবং ক্রমাগত পিপস নিচের দিকে নামছে। টেকনিক্যাল এনালাইসিস অনুসারে gbp/usd পেয়ারটি তার শেষ বুল থেকে 23.6% রোলব্যাকের পর ট্রেডিং করছে, এটি একটি বড় কারেক্টশন হবার একটি লক্ষন। এই পেয়ারটি 20 sma অনুভূমিক লেভেলের নীচে স্থির হয়েছে, তবে এটি 100 এবং 200 sma এর বুলিশ লেভেলের উপরে। ৪ ঘন্টার চার্টে ইন্ডকেটরগুলি কিছুটা নেতিবাচক জোনে রয়েছে এবং বর্তমানে তাদের দিকনির্দেশক শক্তির অভাব রয়েছে। তাই এট 1.2340 তে ফিরে আসতে পারে িএবং এই লেভেরের নীচে ব্রেক হলে আপওয়ার্ড এর জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হতে পারে। বর্তমানে সাপোর্ট লেভেলগুলো হল: 1.2410 --- 1.2385 --- 1.2340 এছাড়া রেসিস্টেন্স লেভেলগুলো হল: 1.2460 --- 1.2510 --- 1.2555

SaifulRahman
2019-09-26, 04:30 PM
সবাই কেমন আছেন!
গতকাল সত্যিই আমাদের জন্য একটি কঠিন দিন ছিল এবং আজ পর্যন্ত আমি মনে করি আমাদের একটু বিরতি নেওয়া উচিত এবংপজিশন ধরে রাখা উচিত। অন্যদিকে, আমরা শুধু বাই-সেল বোতাম টিপতেই থাকি এবং যদিও পরে এটি ঠিক হয়ে যাবে।
সোমবার থেকেই ট্রেডারার পাউন্ড সেল করা শুরু করেছে, মঙ্গলবার বেয়ারিশ মার্কেটে সবাইকে কিছুটা হতাশ করে কারন ছাড়াই উপরে উঠেছিল, গতকাল এটি আবার বৃুলিশকে একইভাবে হতাশ করেছে।
সুতরাং, আজ আমি ইন্ডিকেটরের এরবিভিন্ন লেভেলগুলিকে আশাব্যঞ্জক বলে মনে হচ্ছে, পাউন্ড এর ট্রেডিং মাঝারিভাবে দেখতে পাচ্ছি।

প্রথমত, গতকাল থেকেই আমার একটি লং ডিল খোলা রয়েছে যা আজকের দিনের সীমানাতে এসে পৌঁছেছে এবং সম্ভবত 2416-এর লেভেল ফিরে আসতে পারে এবং 2423-2440 এর কাছাকাছি একটি বাধ্যতামূলক অঞ্চল আছে যেখানে আমি আমার এই লং অর্ডারটি বন্ধ করতে চলেছি। এটি আজকের দিনের সর্বোচ্চ 2458 তে ছিল এবং এটি আমার টার্গেটের জন্য যথেষ্ট ভাল বলেই মনে হচ্ছে।
8962

Tofazzal Mia
2019-09-30, 01:27 PM
8979
gbpusd পেয়ারটির ডেইলি চার্টে দেখা যাচ্ছে যে একটি সাপোর্ট লাইন এটি ব্রেক করে উপরে উঠে গিয়েছিল।মার্কেট এখন রিটেস্ট নিচ্ছে।কনফারমেশন যদি পেয়ে যান আর আপনার ধারনা আমার ধারনার সাথে মিলে গেলে লং পজিশন খুলে ফেলতে পারেন। লাভঃক্ষতি- ২ঃ১। মানিম্যানেজমেন্ট ঠিক রেখে করবেন।

Montu Zaman
2019-10-01, 11:30 AM
8992
gbpusd পেয়ারটির h1 টাইমফ্রেমের ​টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস অনুসারে পেয়ারটিতে গতকালের টার্গেট অপরিবর্তিত রয়েছে এবং মার্কেট প্রাইস 1.2365 থেকে নিছে চলে যায় তাহলে মার্কেট প্রাইস 1.2210 চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর যদি মার্কেট প্রাইস 1.2365 থেকে উপরে চলে যায় তাহলে মার্কেট আরো ঊর্ধ্বমুখী হয়ে 1.2420 বা 1.2500-30 যেতে পারে। আপনাদের জন্য শুভ কামনা।

SHARIFfx
2019-10-01, 12:14 PM
লং ট্রেড মানি পেরা, আমারা মার্কেট এনালাইসিস করে জানতে পেরেছি যে মার্কেট আবার ১.৩২০০ থেকে ১.৩৩০০ তে জেতে পারে তবে সেটা সময়ের বেপার। আর আমাদের কে এটা আশা করে বলে থেকলে হবে না। হিসাব অনুযায়ী মার্কিনীদের হাতে এখনও বিশ্ব অর্থনীতি। আর এই মুদ্রা বেশিরভাগ সময়ে শক্তিশালী থাকে। তাই আমার মতে মার্কেট যে দিকে থাকুক না কেনো আপনার উচিত টেকনিকালি এনালাইসিস কাজে লাগিয়ে ট্রেড নেওয়া। প্রতিটি ট্রেড টিপি আর স্টোপ লস ব্যবহার করা। আর ডেইলি কেন্ডেল এনালাইসিস করা।

SaifulRahman
2019-10-03, 04:14 PM
ট্রেডার ভাইয়েরা সবাই কেমন আছেন!
পাউন্ড গতকালের ট্র্যাজেক্টরির পুনরাবৃত্তি করতে পারে: আবার মেন্ডাটরি জোন এবং বর্তমানের লিকুইডি লেভেলের রেশিও এর মধ্যে রয়েছে, আবার আজকের দিনের ব্যালেন্স রয়েছে এবং মেন্ডাটরি জোনটি সাপোর্ট লেভেল হিসাবে কাজ করছে।রিভার্সেল ট্রেন্ডটি 2330-এর খুব কাছাকাছি হতে পারে। শুধুমাত্র খারাপ ব্যাপারটি হল যে এই লেভেল অপশন চ্যানেলের একটি সর্বোচ্চ সীমানা রয়েছে, সুতরাং এই লেভেলটি ব্রেক করে উপরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দামটি আরও ভাল হবে।
9022

SUROZ Islam
2019-10-13, 05:04 PM
ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে যখন পাউন্ড বেশ টালমাটাল অবস্থায়, হাওয়া একবার এদিক তো আরেকবার ওদিক দোল দিয়েই যাচ্ছে, অনিশ্চয়তা সব জায়গায় দানা বাধছে, এমন সময় যেন ডিনামাইটের সলতেয় আগুন পেল পাউন্ড। এক লাফে গতকালই ডলারের বিপরীতে ২.১% ও ইউরোর বিপরীতে ১.৮% উপরে উঠে গেল এই কারেন্সীটির মার্কেট ভ্যালু!
9069
শুধু তাই নয়, গতকাল এক দিনেই পাউন্ড প্রায় প্রতিটি পেয়ারে এভারেজ ৩০০+ পিপ্স করে মুভ করেছে। একটি পেয়ারে তো ৪০০+ পিপ্সই মুভ করেছে! অকষাৎ এমন মুভ করার কারন কি? আগামীতে কি হতে পারে?
শুধুমাত্র ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়েই গণতন্ত্র চর্চার উর্বর ভুমি হিসেবে পরিচিত খোদ ইংল্যান্ডেই পরপর তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন দিতে হয়েছে। তবে তাতেও সমস্যার কোন সুরাহা হয় নি। আদৌ ব্রেক্সিট কি হবে? নাকি যেমন আছে ইউরোপীয় কমিউনিটিতে, তেমনই থাকবে আগামীতেও, এটি নিয়েও টালমাটাল চলছে যখন গোটা পরিস্থিতি, তখন এক ব্রেক্সিট পন্থি হিসেবে পরিচিত থেরেসা মে পদত্যাদ করলেও পুনঃ জয়ী হোন আরেক ব্রেক্সিটপন্থি নেতা বরিস জনসন! ক্ষমতা হাতে নিয়েই জনসন সাহেব প্রকাশ্যে ঘোষনা করেছিলেন, তিনি ব্রেক্সিট ঘটিয়েই ছাড়বেন। যার প্রেক্ষিতে পাউন্ডের বেশ ভাল দরপতন ঘটেছিল। গতকাল হঠাৎ যেন কুম্ভকর্ণের ঘুম থেকে জেগে উঠে পাউন্ড। ধাপ করে একটানা উপরে নিয়ে যায় নিজের প্রাইস ভ্যালু। প্রায় প্রতিটি পেয়ারে পাউন্ড স্ট্রংং পজিশনে ছিল পুরো দিনই। এসবের পিছনে অনেকেই অনেক অভিযোগ করেছেন, কোন নিউজ নেই, তবু কেন এতো মুভ করছে? ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে কিভাবে কি করা যাবে সে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে গত শুক্রবার বৃটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যেকার একটি সমঝোতামুলক আলোচনা হয়েছে, যেখানে উভয়ের মাঝে বাণিজ্যিক লেনদেনের সুবিধার জন্য একটি যুগান্তকারী “টানেল” ব্যবস্থার কথায় আলোকপাত করা হয়েছে। যা পাউন্ডকে এক লাফে বেশ ভাল অবস্থায় নিয়ে দাড়িয়েছে। আর তাই পাউন্ড এর পেয়ারগুলো বেশ উপরে উঠতে শুরু করেছে। যদিও এটি ঠিক কতদুরে উঠতে পারে তা নিয়ে এনালিস্টদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে।
ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক এই বিষয়টিকে অকাজের নয়তো অবাস্তব বলে সাবধান করেছেন। অন্যদিকে Markets.com এর চীফ মার্কেট এনালিস্ট নেইল উইলসন বলেছেন, “পাউন্ডের এই উর্ধ্বগমন এখানেই কিন্ত শেষ নয়। এটি আরও উপরে উঠতে পারে! এখন আমাদের দেখতে হবে যে, এই “টানেল” কি আলোচনার পথকে আরও প্রশস্ত করে দেয়, নাকি আরও সংকুচিত করে ফেলে” ট্রেড আইডিয়াঃ যেহেতু ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমোঝোতা ভিত্তিক আলোচনার পথ তৈরি হয়েছে, সেহেতু পাউন্ড আপ মুডে থাকবে বলেই আমরা ধরে নিতে পারি। আপট্রেন্ডে যদি বাই এন্ট্রি প্লেস করার মত কোন সম্ভাবনা পাওয়া যায়, তবে এন্ট্রি নিতেই পারেন।
সকলের জন্য শুভকামনা রইল 🙏🙏🙏

Rakib Hashan
2019-10-15, 04:21 PM
হ্যালো প্রিয় ডে-ট্রেডার ভাইয়েরা,
আসুন সংক্ষিপ্তভাবে পাউন্ডের বর্তমান পরিস্থিতিটি বিচার-বিশ্লেষন করি। তাই প্রথমত আমাদের লন্ডন সেশন দিয়ে শুরু করা উচিত।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের বৈঠকের আগে একটি ব্রেক্সিট চুক্তিতে একমত হওয়া সম্ভব হবে না বলার পরে, একটি সম্ভাব্য চুক্তি প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। “আমি মনে করি ইইউ কাউন্সিল সভার আগে একটি চুক্তি সন্ধান করার জন্য ব্যবহারিক বা আইনী উপায়ে সময় নেই, তাই আমাদের আরও সময় প্রয়োজন ”, - ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আন্তি রিন বলেছেন। এছাড়াও তিনি যোগ করেছেন যে বৃহস্পতিবারের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের ব্রাসেলস শীর্ষ সম্মেলনের পরে আলোচনা চলতে পারে।
সাধারণভাবে, ব্রেক্সিটকে ঘিরে পরিস্থিতি এখনও মার্কেটে কিছুটা চাপে আছে। আসলে, ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের পরে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।অতএব, আমি খুব বেশি মুভমেন্ট আশা করি না। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়গুলি অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে।
মার্কেট ডেল্টা হল
9086
মার্কেট ডেল্টা অনুসারে, এখানে সীমাবদ্ধ ক্রেতা রয়েছে। তদুপরি খুব আক্রমণাত্মক এর আয়তন 1.2520 - 1.2635 এর ভিতরে। এই কারণেই আমি শর্ট ডিলগুলি বন্ধ করে দিয়েছি এবং গতকাল বেশিরভাগই লং ডিল খুলেছিলাম।
9087

SUROZ Islam
2019-10-20, 03:16 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/2085569888.jpg
শনিবার মার্কেট বন্ধ থাকলেও*শুধুমাত্র*ব ্রেক্সিটের ভাগ্য নির্ধারণের**জন্য হাউস অফ কমন্সে একটা সেশন হয়েছে, যেখানে*অলিভার লেটইনের আনা এক সংশোধনী প্রস্তাব পার্লামেন্টে পাশ হওয়ায় এমপিরা ভোট দান থেকে নিজেদের বিরত রাখেন। ফলে*‘বেন অ্যাক্ট’ ফাঁদে আটকা পড়লো ব্রেক্সিট। তাই*খুব ধোয়াসার মধ্যে আছে ইনভেস্টরা।*যার কারনে*আগামী রোববার ট্রেডিং শুরু হলে অনিশ্চিতভাবে অনেকেই হয়তো লস করতে পারে, সেক্ষেত্রে* আপনাদের করনীয় এখন যা যা তা হল :*১.রানিং ট্রেড গুলো ক্লোজ করে ফেলবেন আজকেই বিশেষ করে জিবিপি আর ইউরো। কারন কি হয় বলা যায় না।*২.যারা স্টপ লস ব্যবহার করেন না স্টপ লস দিয়ে দিন।ব্যালেন্স সেভ করুন।একটা কথা আবারো বলি হাই ভোলাটিলিটির সময় স্টপ লস কিন্তু হিট করে না সুতরাং আপনি রিস্কে থেকেই যাচ্ছেন। তাই ট্রেড বন্ধ করে দেয়াটাই উত্তম বলে আমি মনে করি।মারকেটে থাকুন লাভ এমনি আসবে।বাফেট সাহেবের কথার সাথে তাল মিলিয়ে বলি এক ঝুড়িতে সব ডিম রাখবেন না তাতে কিছু থাকবে না সুতরাং এক ব্রেক্সিট এ অনেক টাকা কামাবেন এই ভাবনায় সব ডিম এক ঝুড়িতে না রাখার জন্য অনুরোধ রইল।

Montu Zaman
2019-10-21, 06:10 PM
ব্রেক্সিট কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের বেধে দেওয়া সময় প্রায় শেষের দিকে, এমন পরিস্থিতিতে কোনো সমাধানে না পৌঁছে উল্টা দেশটির সরকার প্রধানের সাথে বেশিরভাগ সরকারি এবং বেসরকারি সাংসদদের মতপার্থক্য উল্টা দেশটিকে আরো বড় সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলেই অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন। অলরেডি মার্কেট বন্ধের দিনেও বেশ কিছু লাইভ ওয়েবসাইটে GbpUsd পেয়ারে ৫০ - ১৫০ পিপস ডাউন শো করছে। যদি আজকের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ৩১শে অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য নিজের সকল কর্মকান্ড বন্ধ করে সরাসরি সময় বৃদ্ধির এবং ডিলের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে তবে হয়তো পাউন্ডের উপর খুব একটা নেগেটিভ ইফেক্ট পরবেনা। কিন্তু জনসন যদি তার অবস্থানে অনড় থাকেন তবে মার্কেট ওপেনিং এ পাউন্ড রিলেটেড পেয়ারগুলোতে বেশ কিছুটা ডাউ গ্যাপ দিয়ে মার্কেট ওপেন হতে পারে। পাশাপাশি ইউরো রিলেটেড পেয়ারগুলোতেও কিছুটা নেগেটিভ ইম্প্যাক্ট পরার সম্ভাবনা আছে। আর যদি ব্রেক্সিট নিয়ে আরো ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয় তবে গোল্ড সাপোর্ট পেয়ে আপ হয়ে যাবার সম্ভাবনা প্রবল।
মনে রাখা উচিৎ আয়ারল্যান্ডের সাথে পজেটিভ আলোচনার ফলে গত সপ্তাহে পাউন্ড সকল কারেন্সির বিপরীতে সুপার ডুপার বুলিশ মুডে ছিল। ব্রেক্সিট নিয়ে নতুন সৃষ্ট ঝামেলার যদি সমাধান না হয় তবে পাউন্ড আবারো বেয়ারিশ মুডে চলে যাবে। যেহেতু পাউন্ডের মুভমেন্ট পুরোপুরি ব্রেক্সিট বিষয়ক নিউজ, মিটিং, ডিল বা টুইট কেন্দ্রিক হচ্ছে তাই পাউন্ড রিলেটেড পেয়ারগুলোতে ট্রেড করতে হলে অবশ্যই অবশ্যই ফান্ডামেন্টাল বিষয়গুলোর বিশেষ করে ব্রেক্সিট বিষয়ক সকল কিছুতে ভালো মত আপডেটেড থাকা উচি

Montu Zaman
2019-10-23, 04:52 PM
9152
অক্টোবর মাসের শুরু থেকেই পাউন্ডের মেধ্য একটা অস্বাভাবিক মুভমেন্টের শুরু হয়েছে, যার মুল কারন হল ব্রেক্সিট। নানা ঘটনার মধ্যে দিয়ে গতকাল ব্রেক্সিট ইস্যুতে মুখোমুখি হয়েছিল স্পিকার ও বৃটিশ সরকার। এদিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সমোঝোতা করে ফেলেছে ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে। আর সমোঝোতা অনুযায়ী আগামী ৯ দিনের মাঝে ইউনিয়ন ছেড়ে যাবার কথা। কিন্ত তা কার্যকর করতে বৃটিশ সরকারের বিষয়টি বৃটিশ পার্লামেন্টে যাকে হাউজ অব কমন্স বলা হয়, সেখানে উথাপন ও সমন্বয়ক হিসেবে বিলটি পাশ করা আবশ্যক কিন্ত এই বিষয়ে বিলটি উথাপন করার সুযোগই পাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী। সর্বশেষ প্রস্তাবটি উথাপন করলে হাউজ অব কমন্সের স্পিকার বিষয়টি পুনরাবৃত্তি বলে প্রস্তাবটি খারিজ করে দেন। তবে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর উথাপন করা বিলে বিপক্ষ অপশনেই ভোট পড়ে বেশি! যা এই ব্রেক্সিট ইস্যুকে আরও অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়। এখানে উল্লেখ্য, হাউজ অব কমন্সে বিল পাশ না হলে ব্রেক্সিট কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। এমন পরিস্থিতিতে পাউন্ড নিয়ে ট্রেড করা যে সত্যি রিস্কি তা বুঝতে আপনাকে ফান্ডামেন্টাল বিশেষজ্ঞ হতে হবে না। সমসাময়িক বিষয়ে একটু চোখ বুলালেই অনেক কিছু পরিস্কার হতে পারবেন বলেই আশা রাখি।

BDFOREX TRADER
2019-12-22, 04:37 PM
ফরেক্স মার্কেটে যদি আপনি দীর্ঘদিন ধরে ট্রেড করে থাকেন, তবে সম্ভবত আপনার সবচেয়ে লাভের এবং লসের ট্রেডটি পাউন্ডের কোন পেয়ারের। হ্যাঁ, পাউন্ড হল সবচেয়ে ভোলাটাইল কারেন্সিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। ঐতিহাসিক ভাবেও পাউড কারেন্সিটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ অবস্থান দখল করে আছে। ফরেক্স ট্রেড করতে হলে শুধু প্রাইস কোনদিকে বাড়ছে বা কমছে তা জানাই শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয়, সাথে সাথে আপনি যে দুটি কারেন্সি বা মুদ্রা নিয়ে ট্রেড করছেন, সেগুলো সম্পর্কে জানাও বেশ জরুরী। পৃথিবীতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি মুদ্রা হচ্ছে ব্রিটিশ পাউন্ড। ব্রিটিশ পাউন্ডকে “পাউন্ড স্টারলিং” ও বলা হয়। পাউন্ড বিশ্বের চতূর্থ সর্বোচ্চ ট্রেড হওয়া মুদ্রা এবং তৃতীয় বৃহত্তম রিজার্ভ কারেন্সি। এর পূর্ণরুপ Great Britain Pound বা সংক্ষেপে GBP নামে পরিচিত। পাউন্ড সংশ্লিষ্ট কারেন্সি পেয়ারগুলোকে আমরা GBP/XXX অথবা XXX/GBP এভাবে দেখতে পাই।
9640
অর্থনীতির ইতিহাসে পাউন্ডের গুরুত্ব রয়েছে অনেক। একটা সময় ছিলো যখন পাউন্ডই ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুদ্রা। কিন্তু বর্তমান মার্কেটের আন্তর্জাতিক ট্রেড এবং অ্যাকাউন্ট বিবেচনায় পাউন্ডের সেই অবস্থান দখল করেছে মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ এবং ব্রিটিশ সম্রাজ্য ভেঙ্গে পড়ার ফলশ্রুতিতে ১৯৪০ সালে পাউন্ড তার শ্রেষ্ঠত্ব হারায়। এরপর ধাপে ধাপে পাউন্ড বিভিন্ন সময় অর্থনৈতিক দুরাবস্থায় পড়ে।হেজ ফান্ড এবং কারেন্সি এক্সচেঞ্জের ইতিহাসেও পাউন্ড গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রেখেছে। ১৯৯০ সালে বৃটেন ইউরোপিয়ান এক্সচেঞ্জ রেট মেকানিজমে যোগ দেয় এই প্রত্যাশায় যে এটি এক্সচেঞ্জ রেটের সমস্ত অনিশ্চয়তা দূর করতে সক্ষম হবে এবং একটি মাত্র কারেন্সি ব্যবহারের পথ সুগম করবে। দুর্ভাগ্যবশত এই পদ্ধতির মাধ্যমে আশানুরূপ সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়নি এবং পাউন্ড বিভিন্ন দিক থেকে চাপের মুখে পড়ে। এ সময়ে বিখ্যাত কারেন্সি বিশেষজ্ঞ জর্জ সরোস বলেন যে পাউন্ডের এই রেট টিকবে না এবং অনেকেই তখন বিপুলভাবে পাউন্ড শর্ট করেন। এবং পাউন্ডও ইতিমধ্যে এই সিস্টেম থেকে বেরিয়ে আসে যা Black Wednesday নামে পরিচিত। জর্জ সরোস একাই ১ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমান লাভ করেন সেই ঘটনার কারণে। সম্প্রতি ব্রেক্সিটের কারনেও পাউন্ড বিপুলভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে।ফরেক্স মার্কেটের সকল গুরুত্বপূর্ণ কারেন্সির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তেমনি পাউন্ড মূলত নিয়ন্ত্রিত হয় ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক - ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের মাধ্যমে। মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রন সব কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডও সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছে মুদ্রাস্ফীতির হার ২% এ বজায় রাখতে।যে বিষয়গুলো পাউন্ডকে প্রভাবিত করেযেই সাধারন অর্থনৈতিক বিষয়গুলো ডলারকে প্রভাবিত করে, সেগুলোর বেশিরভাগই অন্যান্য কারেন্সিগুলোকেও প্রভাবিত করে। পাউন্ডও এর ব্যাতিক্রম নয়। ট্রেডিংয়ের জন্য ট্রেডাররা পাউন্ডের অর্থনৈতিক ডাটা বা রিপোর্টগুলকে খুব গুরুত্বের সাথে নেয়। সুদের হার বা ইন্টারেস্ট রেটের পরিবর্তন, জিডিপি, রিটেইল সেলস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রডাকশন, মুদ্রাস্ফিতি এবং ট্রেড ব্যালেন্স রিপোর্টগুলো এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হয়। এছাড়া Employment রিপোর্টগুলো যেমন কি পরিমান নতুন চাকরী হচ্ছে, বেকারত্বের হার ইত্যাদি রিপোর্টগুলোও মার্কেটে প্রভাব ফেলে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বক্তব্য মার্কেটে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। পাউন্ড ট্রেডিং করার সময় এ সকল বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে।রিজার্ভ কারেন্সির দিক থেকে পাউন্ডের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। বর্তমানেও বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী কারেন্সি হিসেবে পাউন্ড মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে। জনসংখ্যা এবং আকারের দিক থেকে খুব বড় না হলেও ব্রিটেন বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলোর একটি এবং বিশ্ব নেতৃত্বের দিক থেকেও অন্যতম। ভোলাটাইল কারেন্সি হিসেবে পরিচিত হলেও ডলারের শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে পাউন্ডের অবস্থান নিঃসন্দেহে সুদৃঢ়।

SaifulRahman
2019-12-23, 04:15 PM
9650
gbp/usd পেয়ারটিতে 1.3512 লেভেল থেকে ঘুরে দাড়িয়েছে এবং সেখান থেকে মার্কেট ট্রেন্ড নিম্নমুখী ধারবাহিকতা বজায় রয়েছে। বর্তমানে ওভারসোল্ড মার্কেট পরিস্থিতিতে ট্রেন্ডটি 1.2939 থেকে 1.3039 এর ভিতর সাপোর্ট জোন স্পর্শ করেছে। ট্রেন্ড মুভমেন্ট এখন দুর্বল, কিন্তু বাউন্স হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে 1.3101 লেভেলটিকে লক্ষ্য করে এগিয়ে যাবে। পেয়ারটির সাপ্তাহিক পিভট পয়েন্ট: Wr3 - 1.3654, wr2 - 1.3526 ও wr1 - 1.3206। এছাড়া সাপ্তাহিক সাপোর্ট - 1.3091 ws1 - 1.2763 ws2 - 1.2640 ws3 - 1.2325 ট্রেডিংয়ের বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে সেরা ট্রেডিং কৌশল হলো অপেক্ষাকৃত বড় সময়সীমার ভিত্তিতে ট্রেড করা এবং সে অনুযায়ী প্রবণতা এখন ঊর্ধ্বমুখী। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় নিম্নমুখী মুভমেন্টগুলোকে লোকাল কারেকশন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। প্রবণতাকে ঊর্ধ্বমুখী থেকে নিম্নমুখী হওয়ার জন্য 1.2756 লেভেল স্পষ্টভাবে ভেদ করে প্রবণতাকে নিম্নমুখী হতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে সাপোর্টের অবস্থান 1.2231 - 1.2224 এবং টেকনিক্যাল রেসিস্ট্যান্সের অবস্থান 1.3509।

mdmoshin1988
2020-01-06, 06:55 PM
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও দেখেছিলাম, ট্রাম্পের মত প্রার্থি যিনি কিনা সকল জরিপেই পিছিয়ে ছিলেন, তিনিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর মার্কেট কিরকম গতি পেয়ে গিয়েছিল। এবারও এর ব্যত্যয় না ঘটার সম্ভাবনাই বেশি। সবার জন্য শুভকামনা রইল। সবাই ভাল থাকুন, এই কামনা রইল।

BDFOREX TRADER
2020-01-09, 03:12 PM
9771
GBP/USD পেয়ারটির*প্রাইস গত দু’দিন ধরে কমছে।*আজ মার্কেটে যে বিষয়গুলো প্রভাব ফেলতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গর্ভনর এবং ফেড নীতিনির্ধারকদের মন্তব্য।*আজকের ট্রেডিং সেশনে পাউন্ড/ডলার পেয়ারটি ১.৩০৯০ প্রাইসে ওপেন হয়েছিল। বর্তমানে পেয়ারটির প্রাইস বেড়ে ১.৩১০০ এর কাছাকাছি অবস্থান করছে।*যুক্তরাজ্যে Halifax PMI রিপোর্ট প্রত্যাশিত লেভেলের উপরে আসার কারণে GBPUSD পেয়ারটি রিকভারের চেষ্টা করছে। বর্তমানে ট্রেডারদের মনোযোগ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গর্ভনর কার্নির মন্তব্যের দিকে। যেহেতু জানুয়ারির শেষের দিকে ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গর্ভনর পজিটিভ আলোচনা করবেন। যার ফলে পেয়ারটির প্রাইস বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এছাড়াও আজ ফেডারেল রিজার্ভের ভাইস চেয়ারম্যান রিচার্ড ক্লারিদার কনফারেন্স রয়েছে। কনফারেন্সে রিচার্ড ক্লারিদা পজিটিভ মন্তব্য করলে ইউরো বিপরীতে ডলারের প্রাইস বাড়তে পারে।

Montu Zaman
2020-01-09, 05:03 PM
9776
হ্যালো ট্রেডার ভাইয়েরা,
GBP/USD পেয়ারটি নিয়ে এনালাইসিস করবো, প্রথমত লেভেলগুলি স্থির হয়ে রয়েছে, তবে কোনও মেন্ডাটরি জোন নেই, তাই সাইডওয়ে ট্রেন্ডটি আরো দীর্ঘ হবার সময় হয়ে এসেছে।
প্রাইস এখনও ডেইলী বর্ডার এর উপরে রয়েছে। অবশ্যই প্রাইস আরো বাড়তে পারে, তবে সব টার্গেট হল নীচের দিকে এবং প্রথম ডেইলী ব্যালেন্স 3032তে রয়েছে। যেখানে আমাদের debt রয়েছে। এছাড়াও , এটি একটি টেষ্ট এবং রিবাউন্ড এর জন্য ভাল জায়গা। আমি আশা করছি ফান্ডামেন্টাল নিউজগুলো রিলিজ এর পর পরই প্রাইস আরো কমে যাবে। সে কারণেই আমি এখনও আমার সেল ডিলগুলা ওপেন রেখেছি।

Sohagzaman22
2020-01-09, 05:41 PM
যেহেতু এই মাসে ৩১/০১/২০২০ বেক্সিট আছে সুতরাং এই মাসে gpb সকল পেয়ার ট্রেড না করাই ভালো। তবে আপনি মনে করেন আপনি ভালো কিছু করতে চান তাহলে আপনি সব সময় মনে রাখবেন ফরেক্স অপেক্ষা করুন সময়মত আপনি ভালো এন্ট্রি পেয়ে যাবে। এন্ট্রি না পেলে জোর করে এন্ট্রি খুজতে যাওয়ার কারনে লস করে থাকি আর gpb রেলেটেড পেয়ারগুলো সব সময় বেশি মুভমেন্ট দেয় তাই এই মাস সাবধান

Fxxx
2020-01-26, 02:20 PM
জিবিপি ইউএসডি কিছুদিন যাবত একটা রেন্জে ঘুরপাক খাচ্ছে। এখন এই পেয়ারটির পজিশন ১.৩০৭০ এবং আশা করি ধীরে ধীরে এটা নিচে নামবে। আমার টার্গেট থাকবে মার্কেট যদি ১.২৯৮০ ব্রেক করে তখন সেল ট্রেড নেয়া আপাদত সেই অপেক্ষায় থাকলাম।

Rassel Vuiya
2020-07-26, 05:13 PM
গত শুক্রবার মার্কেট ক্লোজ হবার আগে পাউন্ডের মাসিক কোর রিটেইল সেলস, রিটেইল সেলস এবং বার্ষিক কোর রিটেইল সেলস এবং রিটেইল সেলস রিপোর্ট পাবলিশড হয়েছে। প্রতিটা নিউজ রিপোর্ট ই পূর্বের তুলনায় এবং ফোরকাস্টের তুলনায় বেশ ভালো এসেছে। এরপরেই পাউন্ডের সার্ভিস পিএমআই, ম্যানুফ্যাকচারিং পিএমআই এবং কম্পোজিট পিএমআই নিউজ রিপোর্ট রিলিজ হয়েছে। ঐ রিপোর্টের রেজাল্টাও বেশ পজেটিভ। তাই এই সপ্তাহে পাউন্ডের চলমান বুলিশ ট্রেন্ডের পালে আরেকটু হাওয়া লেগে মেজর পেয়ারগুলোতে পাউন্ড আরো কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করে বুলিশ ট্রেন্ড অব্যাহত রাখবে বলে মনে করি। সেক্ষেত্রে মেজর পেয়ারগুলোতে সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স বা ফিবো রিট্রেসমেন্ট এরিয়া থেকে মেজর পেয়ারগুলোতে পাউন্ডে বাই মুডে থাকা যেতে পারে।
11701

BDFOREX TRADER
2020-12-27, 02:47 PM
অর্থনৈতিকভাবে সময়টা এমনিতেই ভালো যাচ্ছিল না যুক্তরাজ্যের। একদিকে মহামারীর দ্বিতীয় ঝড়ের কারণে পুনরায় আরোপ করা লকডাউন এবং অন্যদিকে ছিল ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা। সব মিলিয়ে কয়েক মাস ধরেই কঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছিল দেশটি। কিন্তু সেসব সমস্যা সমাধানের আগেই নতুন এক বিপদ নেমে এসেছে দেশটির জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে নভেল করোনাভাইরাসের নতুন রূপের দেখা মিলেছে দেশটিতে, যা কিনা আগের স্ট্রেইনের চেয়ে ৭০ শতাংশ অধিক সংক্রামক। ভাইরাসের নতুন রূপ ছড়িয়ে পড়ার সংবাদ সামনে আসার পর চার স্তরের লকডাউনের ঘোষণা দেন দেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পাশাপাশি বৈশ্বিকভাবেও কার্যত একঘরে হয়ে পড়ে তারা, যেখানে প্রায় সব দেশ ব্রিটেনের সঙ্গে বিমান ও রেল যোগাযোগ স্থগিত করে। যা দেশটির নিম্নগামী অর্থনৈতিক অবস্থাকে আরো অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/138865792.jpg
আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম লকডাউন শেষেও ব্রিটেনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এক রকম স্থবির হয়েই ছিল। ওএনএস বলছে, অক্টোবরে দেশীয় পণ্য বেড়েছে শূন্য ৪ শতাংশ। সেটি মে থেকে টানা ষষ্ঠ মাসিক বৃদ্ধি ছিল, কিন্তু তার পরও সেটি সংকটপূর্ব সময়ের চেয়ে ৮ শতাংশ নিচে ছিল। এদিকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের হিসাবও বলছে ২০২০ সালের শেষ প্রান্তিকে জিডিপিতে পতন দেখা যাবে। পাশাপাশি ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসেও এটি দুর্বল থাকবে।

Tofazzal Mia
2020-12-28, 06:12 PM
GBP/USD কারেন্সি পেয়ার এই সপ্তাহে দ্রুত বেগে উপরে উঠতে পারে। এই সপ্তাহের দিনগুলোতে পাউন্ডের ভোলাটিলিটি মোট 311 পয়েন্ট। যদিও পাউন্ডটি খুব সক্রিয়ভাবে ট্রেড করেছিল, যা অবাক হওয়ার মতো কিছু নয়, যেমন সপ্তাহের প্রথম দিকে, "করোনাভাইরাস" এর একটি নতুন স্ট্রেনের খবর শুনে মার্কেট কেপেছে, যা কঠোর কোয়ারান্টাইন ঘোষণা করেছে এবং শেষের কাছাকাছি এসেছে, সপ্তাহে জানা গেছে যে লন্ডন এবং ব্রাসেলস ট্রেড চুক্তির বিষয়ে একটি চুক্তিতে এসেছে। সুতরাং, ট্রেডিং সপ্তাহের শুরুতে, পাউন্ডটি কঠিনভাবে পড়েছে, তবে কয়েক দিন পরে এটি আবার বেড়ে যায় এর 2.5 বছরের উচ্চতায় এবং সপ্তাহটি তাদের কাছে বন্ধ করে দিয়েছে। অতএব, এই মুহূর্তে, উর্ধ্বমুখী প্রবণতাটি সমাপ্ত হয়েছে বা এর সমাপ্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে এমন ধারণা করার কোনও প্রযুক্তিগত কারণ নেই। মৌলিক ব্যাকগ্রাউন্ডটি পেয়ারটিকে 500-600 পয়েন্ট নীচে পাঠাচ্ছে, এমনকি একটি ট্রেড চুক্তি সমাপ্ত হওয়ার পরেও। সর্বোপরি, এর আগে, পাউন্ড বাড়ছিল। ইউরোও বৃদ্ধি পাচ্ছিল, সুতরাং, আমরা ধরে নিতে পারি যে সমস্যাটি মার্কিন ডলারের কম চাহিদা ছিল। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাউন্ডটি অহেতুক ভালও অনুভূত হয়েছে। অনির্দিষ্টভাবে ভাল। সুতরাং, আমরা এখনও একটি নতুন নিম্নগামী প্রবণতার সূচনা আশা করি এবং এখনও আপনাকে পরামর্শ দেই যে আপনি প্রথমে এই হাইপোথিসিসের প্রযুক্তিগত নিশ্চিতকরণের জন্য অপেক্ষা করুন এবং কেবল তখনই ডাউনসাইডে ট্রেড বিবেচনা করুন।
http://forex-bangla.com/customavatars/1212681042.jpg

Rakib Hashan
2021-01-07, 05:54 PM
Gbp/usd পেয়ারটির আউটলুক
দামটি একটি চ্যানেলকে ভেঙে দিয়েছে এবং আশা করা হয়েছিল যে নীচের সীমানাটি 1.3624 এ আবার পরীক্ষা করবে। লং পজিশন খোলা রাখা ভাল ধারণা নয়। এটা লেখার মুহুর্তে, দামটি উল্লিখিত লেভেল পরীক্ষা করে 1.3616 এ পৌঁছেছে। ব্রিটিশ কারেন্সী আরও কমে যাওয়ার আশা করছি।
প্রকৃতপক্ষে, আমেরিকান সেশনে চলাকালীন সময়ে বিকল্প সীমানাটি যদি ভেঙে যায় তবে এটি সম্ভবত দিনের একটি ক্লোজিং লেভেলে হতে পারে। মঙ্গলবার, এই পেয়ারটি 1.3567 এর লেভেলৈ পৌঁছেছে এবং আরও উপরে চলে গেছে। আজ এটি পিছু হটে এবং 1.3624 এর লেভেলটি ভেঙে দেয়।
আজকের মুভমেন্ট এর হিসাবে, দুটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি রয়েছে। একদিকে, এই পেয়ারটি ভারসাম্য পর্যায়ে পৌঁছায়নি যার অর্থ একটি আপ ট্রেন্ডটি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
অন্যদিকে, এই পেয়ারটি বাধ্যতামূলক জোনে সেশনটি খুলেছে, তাই ট্রেন্ডটি বিপরীতে দেখতে আজকের নিচের সীমানা পরীক্ষা করার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং, আমার নিকটতম নিচের লক্ষ্য 1.3540। সময়টি নীচের দিকে বা নীচের দিকে একটি প্রারম্ভিক বিন্দু কিনা তা দেখার বিষয়।
13340