PDA

View Full Version : চীনা কারেন্সী ইউয়ান এর দরপতন আর বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাব!



SaifulRahman
2019-08-07, 04:19 PM
চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ এর কারনে গত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে চীনের মুদ্রা ইউয়ানের মান এবার তার সর্বনিম্ন পয়েন্টে নেমে এসেছে। ফলে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনা এখন তীব্র আকার ধারন করেছে। তাই অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ইউয়ানের দরপতন বাজারের ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে এবং মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ, বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনা তীব্র করতে পারে।
গত রোববার ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো চীনা মুদ্রার মান মার্কিন ডলারের চাইতে সাত ইউয়ান পড়ে যায়। তারপর গত সোমবার নতুন করে শুল্ক আরোপের মার্কিন সিদ্ধান্তটি আসে। যা এখন দুই দেশের বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও বেগবান করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি ৩০ হাজার কোটি ডলার মূল্যের চীনা পণ্যের উপর ১০% শুল্ক আরোপ করবেন। যুক্তরাষ্ট্রে আসা চীনের সমস্ত আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ক আরোপই এর লক্ষ্য।

Montu Zaman
2019-08-08, 03:30 PM
চীনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মুদ্রা কারসাজিকারক’ হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, বেইজিংকে ‘মুদ্রা কারসাজিকারক’ হিসেবে ওয়াশিংটনের ঘোষণা আন্তর্জাতিক আর্থিক শৃঙ্খলে মারাত্মক ক্ষতি করবে এবং আর্থিক বাজারে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণায় বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ আরো বাড়বে। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে চীনকে ‘মুদ্রা কারসাজিকারক’ উল্লেখ করে বিবৃতি দেয়। ক্লিনটন প্রশাসনের পর এমন ঐতিহাসিক পদক্ষেপ আর কখনো নেয়নি হোয়াইট হাউজ। মাকির্ন ডলারের বিপরীতে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের মানের বড় পতন ঘটার পর এ ঘোষণা দেয়া হলো। ওই বিবৃতিতে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলছে, ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন মানিউচিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে চিহ্নিত করছেন যে চীন ‘মুদ্রা কারসাজিকারক’। এ চিহ্নিতকরণের ফলাফল হিসেবে ট্রেজারি সেক্রেটারি মানিউচিন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে মিলে চীন সর্বশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে যে অন্যায্য প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পেতে চাইছে, তা অপসারণ করবেন।
সোমবার ডলারের বিপরীতে চীনা মুদ্রার বিনিময় হার ৭ ইউয়ানের নিচে নেমে আসে। ২০০৮ সালের পর মুদ্রাটির এত বড় পতন দেখা গেল। ৩০ হাজার কোটি ডলার চীনা পণ্যে নতুন করে ১০ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আগামী ১ সেপ্টেম্বর এ শুল্কারোপ কার্যকর হওয়ার কথা। ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘোষণার পাল্টা জবাব হিসেবেই মুদ্রাটির মানের এমন পতন ঘটেছে। তবে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, চীনা পণ্যের ওপর আরো শুল্ক আরোপ করতে পারেন ট্রাম্প, এ আশঙ্কা থেকেই এ পতন। ট্রাম্প বরাবরই অভিযোগ করে আসছেন, নিজ দেশের রফতানিকে সহায়তা করতে চীন অন্যায্যভাবে নিজেদের মুদ্রা অবমূল্যায়িত রাখে।

SaifulRahman
2019-10-29, 05:00 PM
টানা দ্বিতীয় মাসের মতো গত সেপ্টেম্বরে শিল্প-কারখানার মুনাফা কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ এবং শ্লথগতির অর্থনীতিতে শিল্প মুনাফা গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৫৭ হাজার ৫৬০ কোটি ইউয়ান বা ৮ হাজার ১৪৮ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (এনবিএস) গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গত আগস্টে শিল্প মুনাফা হ্রাস পেয়েছিল ২ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের ফলে চীনের বৃহৎ শিল্প খাত বেশ চাপে রয়েছে। বেইজিংয়ের সহায়তা কর্মসূচিতে মাঝে মধ্যে কিছুটা চাঙ্গাভাব দেখা দিলেও চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মুনাফা হ্রাস পেতে শুরু করেছে। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরে শিল্প-কারখানাগুলোর মুনাফা বছওয়ারি ২ দশমিক ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৪ দশমিক ৫৯ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রি প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা হ্রাস পেয়েছে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাত ছিল জ্বালানি তেল, কয়লা ও অন্যান্য জ্বালানি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, যেসবে মুনাফা হ্রাস পেয়েছে ৫৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।

SUROZ Islam
2020-01-19, 04:46 PM
চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস তথ্য অনুসারে ২০১৯ সালে চীনের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ, যা গত ৩ দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। ১৯৯০ সালের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে ৬ দশমিক ১ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি পেয়ে আসছে চীন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির মুখ দেখেছিল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ এ অর্থনীতি। ২০১৯ সালে ৬ থেকে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল চীন সরকার। সেই হিসেবে অর্জিত প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যের মধ্যে ছিল। কিন্তু দুর্বল অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও বাণিজ্য উত্তেজনার ফলে গত বছরের অর্জিত প্রবৃদ্ধি ছিল তিন দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। এনবিএসের উপাত্তে দেখা গেছে, সদ্য বিদায়ী বছরে চীনের জিডিপির আকার ছিল ১৪ দশমিক ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার। ওই বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে চীনে, যা তৃতীয় প্রান্তিকের সমান। এর আগে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং প্রথম প্রান্তিকে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল দেশটিতে।