PDA

View Full Version : চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে পণ্য আনা নেওয়া করতে পারবে ভারত



md shahjahan hossain
2019-10-06, 11:06 AM
প্রতিবেশী ভারতের জনগণের খাবারের পানি সংকট দূর করতে ফেনী নদী থেকে পানি দিচ্ছে বাংলাদেশ। গতকাল শনিবার নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং বৈঠকের পর এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের প্রসঙ্গটিও উঠে এসেছে।

চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ভারতের ব্যবহারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। জানা গেছে, এ বিষয়ে একটি চুক্তি দুই দেশের মধ্যে আগেই হয়েছিল। গতকাল সেই চুক্তি বাস্তবায়নে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি)’ সই হয়েছে। ফলে আগামী দিনগুলোতে ভারত এই বন্দর দুটি ব্যবহার করে নির্ধারিত মাসুল দিয়ে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলী রাজ্যগুলোতে পণ্য আনা নেওয়া করতে পারবে।

উভয় পক্ষই দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত সহজ করার ওপর জোর দিয়েছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশিদের ভারতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যেকোনো বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। উভয় পক্ষই একমত হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের ভিসা নিয়ে দুই দেশের যেকোনো বন্দর দিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অবশিষ্ট যে বিধিনিষেধ আছে সেগুলো পর্যায়ক্রমে উঠে যাবে। আখাউড়া ও গজলডোবা (পশ্চিমবঙ্গ) দিয়েই এটি শুরু হবে। উল্লেখ্য বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসায় কোন বন্দর ব্যবহার করে আসা-যাওয়া করা যাবে তা নির্দিষ্ট থাকে।

বৈঠকে উভয় নেতা দুই দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে কার্গো ও উপকূলীয় জাহাজ চলাচলের বিশাল সম্ভাবনা বাস্তবায়নে জোর দিয়েছেন। ‘প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড টেডের (পিআইডাব্লিউটিটি)’ আওতায় তাঁরা দাউদকান্দি-সোনামুরা রুটসহ ধুলিয়ান-গদাগারি-রাজশাহী-দৌলতদিয়া-আরিচা রুটে (আসা-যাওয়া) পণ্য আনা-নেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
https://www.kalerkantho.com/online/national/2019/10/06/823105

শীর্ষ বৈঠকে উভয় নেতাই পরস্পরের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান, সমতা, বোঝাপড়া ও সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যমান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দুই দেশের সম্পর্ক ‘স্ট্র্যাটেজিক’ মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে তাঁরা মনে করেন। নরেন্দ মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে পূর্ণ সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এই অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টা এবং সন্ত্রাসের ব্যাপারে তাঁর কোনো ধরনের ছাড় না দেওয়ার নীতির প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।