Log in

View Full Version : মার্কিন-চীন ট্রেডওয়ার ও ব্রেক্সিট নিয়ে নতুন আশায় মার্কেটে চাঙ্গা হচ্ছে!



BDFOREX TRADER
2019-10-22, 12:50 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1388572613.jpg
মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের সমাধানে অগ্রগতি হচ্ছে এমন আশা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেন বিশৃঙ্খলভাবে বেরিয়ে যাবে না এমন বিশ্বাসের ওপর ভর করে গতকাল বৈশ্বিক শেয়ারবাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। খবর রয়টার্স।
৪৭টি দেশের শেয়ার ট্র্যাক করা এমএসসিআইয়ের ওয়ার্ল্ড ইকুইটি ইনডেক্স বাড়ে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। আর বিস্তৃত ইউরো স্টকস ৬০০ বাড়ে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলোতে ইতিবাচক ভাব লক্ষ করা গেছে। জাপান বাদে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিস্তৃত এমএসসিআই সূচক বাড়ে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। চীনা শেয়ারের দাম বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। জাপানের নিক্কেই বেড়েছিল শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। জার্মান ডিএএক্স ফিউচারস বাড়ে শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ ও এফটিএসই ফিউচারস শুধু শূন্য দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ইইউ থেকে বেরিয়ার যাওয়ার চুক্তির ওপর ভোটাভুটি ব্রিটিশ পার্লামেন্ট পিছিয়ে দিলেও বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের সম্ভাবনা কমে এসেছে, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারের দরে। এমনকি ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ারগুলোর অবস্থাও বেশ ভালো ছিল। এদিকে শুক্রবার বাণিজ্য নিয়ে দুপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে উভয় পক্ষ সমতা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিয়ু হি। তার এ মন্তব্যে এশিয়ার বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ অনেকটাই কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে গতকালের শেয়ারসূচকে। গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কণ্ঠেও ইতিবাচক সুর লক্ষ করা গেছে। তিনি বলেছেন, আগামী মাসে চিলিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন সম্মেলনের আগেই একটি বাণিজ্য চুক্তি হওয়া খুব সম্ভব।
জেনেভায় ইউনিজেসশনের ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার জেরেমি গাত্তো বলেন, দুই দেশ বাণিজ্য বিবাদ মেটাতে বেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু আগেও আমরা দেখেছি, একটা সময় সবকিছু বেশ ভালোভাবে এগোচ্ছে মনে হলেও কয়েক দিন বাদে সব কিছু আবার নষ্ট হয়ে যায়। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বিষয়টিও বাণিজ্য আলোচনায় প্রভাব ফেলছে। কেননা চীনের আরোপিত শুল্ক নিজের ভোট ব্যাংকে প্রভাব ফেলুক এমনটা চান না ট্রাম্প। গাত্তো বলেন, ট্রাম্প বুঝতে পেরেছেন যে চলতি বছরের শেষে চীন কিছু শুল্ক আরোপ করতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকদের ওপর প্রভাব ফেলবে এবং এটি হবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য খারাপ সংবাদ এবং অবধারিতভাবে তার জন্যও।
ওয়াল স্ট্রিটের ফিউচারসেও ইতিবাচক ভাব দেখা যায়, বেড়েছিল শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে চলতি সপ্তাহে মাইক্রোসফট ও অ্যামাজনের মতো বড় কোম্পানিগুলোর আয়ের তথ্য প্রকাশ হবে, এটিও বাজারকে চাঙ্গা করতে ভূমিকা রেখেছে। এদিকে ব্রেক্সিট বিলম্ব করতে ইইউর কাছে চিঠি পাঠাতে বরিসকে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বাধ্য করার পর ডলারের বিপরীতে পাঁচ মাসের সর্বোচ্চ থেকে নেমে আসে পাউন্ড। এদিকে ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে ৩১ অক্টোবরই ব্রেক্সিট হবে। কিন্তু ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা কী প্রতিক্রিয়া জানাবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়েছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মুদ্রাটির ওপর। আগামী দিনগুলোয় মুদ্রার মান আরো পতনের জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
গ্লোডম্যান স্যাকস বলছে, তারা মনে করছে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের সম্ভাবনা আগের ১০ শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। লিগ্যাল অ্যান্ড জেনারেল ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টের প্রধান অর্থনীতিবিদ টিম ড্রেসান বলেন, আমি খুব উচ্ছ্বসিত নই এজন্য যে, এখনো বিপুল পরিমাণ অনিশ্চয়তা বজায় রয়েছে এবং আগামীতেও থাকবে, এমনকি চুক্তি হলেও। তিনি বলেন, এ চুক্তি হলেও খুব একটি সহজ ব্রেক্সিট হবে না এবং এটি যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যে বড় ক্ষতি করবেই।

Rakib Hashan
2019-10-30, 04:59 PM
বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ বিনিয়োগকারীদের আস্থায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। দ্রুতই বাণিজ্যযুদ্ধে ইতি ঘটনার সম্ভাবনা না থাকায় বিনিয়োগকারীরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। বাণিজ্যযুদ্ধ যেমন দেশ দুটির অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, তেমনি বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে। এ অনিশ্চিত পরিস্থিতির তীব্রতা বাড়িয়েছে ব্রেক্সিট। এসবের প্রভাব পড়ছে শেয়ারবাজারের ওপর। এ সমস্যাগুলো সমাধানের পথ পেলে বৈশ্বিক শেয়ারবাজার বেশ ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
http://forex-bangla.com/customavatars/1791889591.jpg
এদিকে চলমান বাণিজ্য বিবাদ নিয়ে মার্কিন-চীন আলোচনার ইতিবাচক অগ্রগতি ও চলতি সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের আরেক দফা প্রণোদনা পদক্ষেপ গ্রহণের সম্ভাবনায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে ওয়াল স্ট্রিট। এরই জেরে গতকাল এশিয়ার শেয়ারবাজার তিন মাসের শীর্ষে পৌঁছায়। জাপানের নিক্কেইয়ের সূচক বাড়ে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক স্থিতিশীল ছিল। জাপানের বাইরে এশিয়া প্যাসিফিকের এমএসআইসি বিস্তৃত সূচক বাড়ে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ, যা জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহের পর সর্বোচ্চ। এসঅ্যান্ডপি-৫০০-এর ই-মিনি ফিউচারস বাড়ে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। তবে ইউরোস্টক্স ৫০ ফিউচারস কমে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ।

Tofazzal Mia
2020-01-05, 01:38 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/137054253.jpg
নতুন দশকের শুরুতেই বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারগুলোয় লেনদেন ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। মূলত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাসের উন্নয়ন বিনিয়োগকারিদের আশাবাদী করে তোলায় ইউরোপে শেয়ারবাজারগুলো চাঙ্গা হয়ে উঠেছে, ওয়াল স্ট্রিটের সূচকগুলো নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন করে তোলায় গতকাল এশিয়ার প্রধান শেয়ারবাজারগুলোয় অবনতি দেখা গেছে।
প্রবৃদ্ধি চাঙ্গা করতে ২০২০ সালের প্রথম দিনই প্রায় ১১ হাজার ৪৯০ কোটি ডলার (প্রায় ৮০ হাজার কোটি ইউয়ান) অবমুক্তির ঘোষণা দিয়েছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংক অব চায়না (পিওবিসি)। এদিকে ১৫ জানুয়ারি বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ‘ফেজ ওয়ান’ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে নতুন দশকের প্রথম লেনদেন অধিবেশনেই বৈশ্বিক বাজারগুলোয় শেয়ারদর চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।
আশাবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার লন্ডন এক্সচেঞ্জের এফটিএসই-১০০ সূচকটি ৬০ পয়েন্টের বেশি বা দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৭ হাজার ৬০৪ পয়েন্ট দিয়ে লেনদেন শেষ করে। এছাড়া প্যারিস, ফ্রাংকফুর্ট ও মিলানেও ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে গত মাসের অর্জন ছাড়িয়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে ওয়াল স্ট্রিটের অন্যতম সূচক ডাও জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ। বৃহস্পতিবার সূচকটি ১৮০ পয়েন্ট বা দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি দিয়ে লেনদেন শেষ করে। লেনদেনের শুরুতেই দশমিক ৯ শতাংশ বাড়ে নাসডাক সূচক। এছাড়া এসঅ্যান্ডপি-৫০০ সূচকটিকেও দশমিক ৫ শতাংশ বাড়তে দেখা যায়।

Montu Zaman
2020-01-06, 04:50 PM
9734
চলতি বছরের বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য মুখ্য বাধা হল চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ এবং ব্রেক্সিট। বিশ্ব অর্থনীতির এ পরিস্থিতিতে মার্কেটে রয়েছে পাহাড়সম অনিশ্চয়তা। বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতি কোন পথে এগোচ্ছে, তা নজরে রাখাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তা এবং ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ অব্যাহত থাকায় বিশ্ব অর্থনীতিক কার্যক্রম ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এই বছরের এই উত্তাপ কমতে পারে।