Log in

View Full Version : যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার



kohit
2019-10-27, 07:01 PM
উচ্চ সরকারি ব্যয় এবং ক্রমবর্ধমান ঋণ ও সুদ পরিশোধে ২০১৯ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক বাজেট ঘাটতি সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধিতে দেশটির বাজেট ঘাটতি প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। খবর রয়টার্স ও এএফপি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় সম্পূর্ণ বাজেট বর্ষে যখন শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে কর ভিত্তি সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং বেকারত্ব হার ৫০ বছরের সর্বনিম্নে নেমে এসেছে, ঠিক সে সময়ে এই উপাত্ত প্রকাশিত হলো।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি ৯৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা দেশটির জিডিপির ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি ছিল ৭৭ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি ২০০৯ সালে সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছিল, যার আকার ছিল ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়ানো এবং দেশটির ব্যাংকিং খাতকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে তত্কালীন প্রশাসন ও মার্কিন কংগ্রেস জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল।


২০১৬ সালে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষের সময় যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি কমিয়ে ৫৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে নামিয়ে এনেছিলেন বারাক ওবামা। ওই সময়ে বাজেট ঘাটতি আরো কমাতে না পারার কারণে কংগ্রেসে ওবামার সমালোচনা করেছিলেন রিপাবলিকানরা।

কিন্তু রিপাবলিকান দল থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বাণিজ্য ঘাটতি লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। কর ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ঢেলে সাজানো, করপোরেট কর কমানো এবং সামরিক ব্যয় বাড়ানোর ফলে বাজেট ঘাটতি বেড়েছে। ২০১৯ অর্থবছরের শেষের দিকে করপোরেট কর শোধ ৫ শতাংশ বেড়েছে। চীন ও অন্যদের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্যযুদ্ধে কাস্টমস ডিউটি বছরওয়ারি ৭০ শতাংশ বেড়েছে।

অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানিউচিন এক বিবৃতিতে জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অর্থনৈতিক কর্মসূচিগুলো ফল দিচ্ছে। তিনি আইনপ্রণেতাদের অপচয়কারী ও দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যয় কমানোর আহ্বানও জানান।

বণিক বার্তা