PDA

View Full Version : ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন



Tofazzal Mia
2019-12-04, 03:10 PM
চীন, ভারত, ভিয়েতনামের মতো বেশ কয়েকটি দেশের মুদ্রা দর হারাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে। বিশ্লেষকরা বলছেন বাণিজ্য প্রতিযোগী এসব দেশের মুদ্রার বড় ধরণের অবমূল্যায়নে রপ্তানি প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। তাই আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে মিল রেখে ডলারের দর সমন্বয়ের পরামর্শ তাদের। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে ডলারের বিপরীতে টাকার অস্বাভাবিক অবমূল্যায়ন হলে বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতি। তাই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকার অবমূল্যায়ন ঘটালেও লাগাম নিজের হাতে রেখেছে। এজন্য ধীরলয়ে ৫ পয়সা করে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে।
9488
সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল্যের সঙ্গে খুচরা বাজারে ডলারের দর এক-দেড় টাকা পর্যন্ত ব্যবধান থাকে। বর্তমানে এ ব্যবধান ৩ টাকা ছাড়িয়েছে। ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের পর থেকে কার্ব মার্কেটে ডলারের চাহিদা অস্বাভাবিক বেড়েছে। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ টাকার পরিবর্তে ডলার সংরক্ষণের প্রবণতা বৃদ্ধি ও দেশ থেকে নগদ ডলার পাচারের কারণেই এ তারতম্য তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী, গতকাল প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ বিনিময়মূল্য ছিল ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা। যদিও এ দামে দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানেই ডলার পাওয়া যায়নি। আন্তঃব্যাংক লেনদেনেই ডলারের দর উঠেছে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা। এ দামেই রেমিট্যান্স হাউজ মানিগ্রাম ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন থেকে ডলার কিনেছে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো। আর খোলাবাজারে (কার্ব মার্কেট) প্রতি ডলার ৮৭ টাকা ৫০ পয়সারও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Montu Zaman
2019-12-05, 01:42 PM
9502
বাংলাদেশেও চলছে ডলার সংকট। সংকটটি বেশ পুরনো। গত বেশ কিছুদিনের মধ্যে প্রবল চাপের মুখে বাংলাদেশের টাকার মূল্য অবমূল্যায়িত হয়েছে। ৭৯-৮০ টাকার জায়গায় এখন প্রায় ৮৪.৭৯ বাংলাদেশী টাকা দিয়ে এক ডলার কিনতে হচ্ছে। এর কারণ খুব সহজ। আমদানি ঋণপত্র ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। অথচ এর বিপরীতে রফতানি আয় বেড়েছে কম হারে। রফতানি আয় একই বছরে বেড়েছে ৬ শতাংশেরও কম। আরেকটা উৎস থেকে ডলার আয় হয়; আর সেটা হচ্ছে ‘রেমিটেন্স’। রেমিটেন্স আয় বেড়েছে ১৬-১৭ শতাংশ হারে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, আমদানির পরিমাণ খুবই বেশি। বেসরকারি খাতের আমদানি যেমন বেশি, তেমনি আমদানি বেশি সরকারি খাতেরও। সরকারের হাতে রয়েছে বেশ কিছু অবকাঠামোর কাজ। এর জন্য বিশাল বিশাল আমদানির দরকার হচ্ছে। অর্থনীতির আকার বড় হচ্ছে। এতে বেসরকারি খাতের আমদানিও বাড়ছে। সর্বোপরি রয়েছে একটা বড় এলসি এবং তা হচ্ছে ‘রূপপুর আণবিক প্রকল্পের’ জন্য।
আবার কেউ কেউ মনে করেন, কিছু অসৎ ব্যবসায়ী দেশ থেকে টাকা পাচার করার জন্য বেশি বেশি আমদানি ‘এলসি’ করছে। ফলে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। সংকটটি শুধু ডলারের নয়। ব্যাংকে-ব্যাংকেও দেখা দিয়েছে তারল্য সংকট। অনেক বেসরকারি ব্যাংকের ফান্ড নেই। তারা ঋণ দিয়েছে বেশি অথচ আমানত সংগ্রহের পরিমাণ কম। বছরখানেক ধরে এটা ঘটে যাচ্ছে। সরকারি ব্যাংকে ‘ফান্ড’ আছে, কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে ঋণের নিষেধাজ্ঞা জারি আছে বলে জানা যায়। এ প্রবল তারল্য সংকট মোকাবেলায় সরকার বেসামাল হয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে নানা সুবিধা দিতে শুরু করে। এরই মধ্যে আবার সুদনীতি নিয়ে সরকার কড়াকড়ি আরোপ করে। ঋণের ওপর ৯ শতাংশ সুদ করতে হবে এবং আমানতের ওপর ৬ শতাংশ। এসব কারণে ব্যাংকিং খাত এখন এক অস্থিতিশীলতার মধ্যে রয়েছে। টাকার সংকট যেমন আছে, তেমনি চলছে ডলারের সংকট।

Rassel Vuiya
2020-01-05, 12:50 PM
9725
২০১৯ অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ কমে ৩২ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ সময় ডলারের বিপরীতে টাকার ২ দশমিক ২৯ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। অন্যান্য প্রতিযোগী দেশে মুদ্রার অবমূল্যায়ন হলেও বাংলাদেশে মুদ্রার অবমূল্যায়ন হবে না বলে জানিয়েছে সরকার। ফলে সামনের দিনগুলোতে রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে পারে।

SUROZ Islam
2020-02-06, 01:37 PM
10009
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় বর্তমানের এক মূল আলোচ্য বিষয় মুদ্রা বিনিময় হার। এটি কি ঠিক আছে, নাকি অতিমূল্যায়িত? বাংলাদেশ ব্যাংক কি সঠিক ব্যবস্থাপনা করছে? মুদ্রা বিনিময় হার অতিমূল্যায়িত, নাকি অবমূল্যায়িত, বোঝার উপায় কী? সবচেয়ে সহজ আন্তব্যাংক বাজারের রেটের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বাজারের রেটের ব্যবধান। এটা যত বেশি হবে, তাতে আন্তব্যাংক বাজারের রেট অতিমূল্যায়িত বলে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। গত অর্থবছরে এই দুই রেটের ব্যবধান ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৬৯ পয়সা প্রতি মার্কিন ডলার। বর্তমানে বেড়ে এখন ২ দশমিক ৭ টাকা প্রতি ডলার। আসলে আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে এই ব্যবধানটি বেড়েই চলছে। আন্তব্যাংক বাজারের রেটটি যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করে, ওখানকার প্রচলিত রেটে বিদেশি মুদ্রার সব চাহিদা মেটে না। তাই ক্রেতারা অনানুষ্ঠানিক বাজার থেকে কিনতে আগ্রহী হন। যেকোনো বাজারে যদি প্রচলিত মূল্যে চাহিদা জোগানের বেশি হয়, তাহলে ধরে নিতে পারেন যে ওই বাজারে লেনদেন অবমূল্যায়িত হারে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে টাকার বিপরীতে ডলার অবমূল্যায়িত। অর্থাৎ টাকা অতিমূল্যায়িত।**

BDFOREX TRADER
2020-04-22, 06:19 PM
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রায় বন্ধ রফতানি কার্যক্রম। আসছে না প্রবাসীদের রেমিট্যান্স। যে কারণে দেশের বাজারে মার্কিন ডলারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে; বাড়ছে দাম। ফলে আমদানি দায় পরিশোধে বাড়তি মূল্যে কিনতে হচ্ছে ডলার। এতে বিপাকে পড়েছেন শিল্পের কাঁচামাল আমদানিকারকরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে রফতানি কম। করোনাভাইরাসের কারণে এখন রফতানি নেই বললেই চলে। অন্যদিকে রেমিট্যান্সপ্রবা ও কমে গেছে। কিন্তু পরিশোধ করতে হচ্ছে আমদানি ব্যয়। কারণ যেসব আমদানি এলসি আগে করা হয়েছিল সেগুলো এখন নিষ্পত্তি করতে হচ্ছে। ফলে বাজারে ডলারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে অনেক ব্যাংক আমদানি ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এখন আন্তঃব্যাক রেটে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সা। তবে বাজারের বাস্তবতা ভিন্ন। বেশকিছু ব্যাংক ডলার সংকটের কারণে পণ্য আমদানি দায় পরিশোধে ডলারের মূল্য নিচ্ছে সাড়ে ৮৬ থেকে ৮৭ টাকা। খুচরা পর্যায় দাম আরও বেশি। কোনো কোনো ব্যাংক খুচরা ডলার বিক্রি করছে ৮৮ থেকে সাড়ে ৮৮ টাকা পর্যন্ত, যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ।
http://forex-bangla.com/customavatars/10518847.jpg