PDA

View Full Version : কক্সবাজারের মাটিতে ইউরেনিয়াম



Tofazzal Mia
2020-01-22, 03:26 PM
কক্সবাজারের মাটিতে ১০০০ ppm মাত্রার ইউরেনিয়াম এক কেজি কয়লা থেকে ৮ কিলোওয়াট ঘন্টা, এক কেজি খনিজ তেল থেকে ১২ কিলোওয়াট ঘন্টা, আর এক কেজি ইউরেনিয়াম (ইউরেনিয়াম-২৩৫) থেকে প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ কিলোওয়াট ঘন্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। অর্থাৎ তেল বা কয়লার শক্তির তুলনায় ইউরেনিয়াম-২৩৫ এর শক্তি ২০ লাখ থেকে ৩০ লাখ গুণ বেশি। আর সেই ইউরেনিয়ামেরই উচ্চমাত্রায় উপস্থিতি পাওয়া গেছে কক্সবাজারের মাটি ও পানিতে। সদ্য প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে কক্সবাজারের ভ‚-গর্ভস্থ মাটিতে উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
9882
ইউরেনিয়ামের সবচেয়ে উপকারী ব্যবহার হলো নিউক্লিয় চুল্লীতে এর ব্যবহার। নিউক্লিয় চুল্লী বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম মাধ্যম। সর্বপ্রথম পৃথিবীর মধ্যে পারমাণবিক চুল্লী তৈরি করেন ইতালীয় বিজ্ঞানী এনরিকো ফার্মি। তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক উভয় অংশে তার ছিল অসাধারণ দক্ষতা। তিনি দেখান কোনো পারমাণবিক চুল্লীতে আধ টন ইউরেনিয়াম শক্তিতে রূপান্তরিত হলে গড়পড়তা ৪ জন লোকের একটি পরিবারের ৭০ লাখ ৩০৭ হাজার ৬০২ বছর ৩ মাস পর্যন্ত সব রকমের বৈদ্যুতিক চাহিদা পূরণ সম্ভব। এতো গেল ইউরেনিয়ামের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ।
এবার চলুন মৌলটির শত্রুতাপূর্ণ আচরণ জেনে নেই। পারমাণবিক বোমা ও শক্তির উৎস হিসেবে ইউরেনিয়াম ব্যাবহার করা হয়। পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয় ইউরেনিয়াম-২৩৫। দেখা গেছে, এক পাউন্ড ইউরেনিয়াম-২৩৫ একসঙ্গে বিভাজিত হলে যে শক্তি সৃষ্টি হবে তার পরিমাণ ১০ মিলিয়ন শর্ট টন (৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন) টিএটি। পারমাণবিক বিস্ফোরণের কারণে যে শক্তি বের হয় তা তাপ শক্তি, যান্ত্রিক শক্তি এবং বিদ্যুৎ শক্তিতে আত্নপ্রকাশ করে বিপুল ধ্বংস সাধন করে। আগুন এবং প্রচণ্ড উত্তাপ সৃষ্টি করে বোমা নিক্ষিপ্ত স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।