View Full Version : করোনা ভাইরাস: বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব
Tofazzal Mia
2020-01-26, 04:05 PM
9913
করোনা ভাইরাস আতঙ্কের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চীনের অর্থনীতিতে। ভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করায় চীন ভ্রমণে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফ্লাইট, হোটেল বুকিং বাতিল হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশটির পর্যটন খাত। চীনের অর্থনীতির ১১ শতাংশ নির্ভর করে পর্যটন খাতের ওপর। এ খাতকে ঘিরে কাজ করে ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ। চীনা লুনার ইয়ার উপলক্ষে প্রতিবছরই এ সময়ে পর্যটনমুখর থাকে চীনের হোটেল আর পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পরিবারের টানে দেশে আসেন চীনারা। বিভিন্ন দেশ থেকে নতুন বছর উদযাপন করতে আসেন পর্যটকরা। যাত্রীসেবায় তাই ব্যস্ত থাকে এয়ারলাইন্সগুলো। কিন্তু এ বছরের চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ফিকে হয়ে গেছে উৎসবের আনন্দ। ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের উহান প্রদেশতো একরকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এ বছর কয়েক লাখ মানুষ দেশটিতে ভ্রমণে যাওয়ার কথা থাকলেও ভাইরাস আতঙ্কে ফ্লাইট বাতিল করছেন অনেকে, বাতিল করছেন হোটেল বুকিংও।
Montu Zaman
2020-01-27, 05:02 PM
আন্তর্জাতিক ঋণমান নির্ধারণকারী সংস্থা ফিচ রেটিংস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া উহান ভাইরাস নামে পরিচিত করোনাভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব তীব্রভাবে বাড়তে থাকলে এশিয়ার সেবা খাতের কার্যক্রম, বিশেষ করে পর্যটনসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়বে। এশিয়ার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও হংকংয়ের মতো অর্থনীতিগুলো এ ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে ।
SUROZ Islam
2020-01-28, 12:18 PM
করোনাভাইরাসের হুমকি ঠেকাতে বিদেশে দলগত সফরে চীনের নিষেধাজ্ঞায় বড় আকারের ধাক্কা খেতে পারে থাইল্যান্ডের অর্থনীতি। থাইল্যান্ডের সরকারি উপাত্তে দেখা গেছে, গত বছর থাইল্যান্ডে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছিলেন চীনের হলিডেমেকাররা, যাদের বেশির ভাগই দলগতভাবে সফরে এসেছিলেন। মোট বিদেশী পর্যটকদের এক-চতুর্থাংশই এসেছিলেন চীন থেকে। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের বরাতে জানা গেছে, থাইল্যান্ডের জিডিপিতে ২১ শতাংশ অবদান ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের। খবর ব্লুমবার্গ।থাই মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে এরই মধ্যে দেশটির পর্যটন ও রফতানি বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে। বার্ষিক বাজেটে বিশৃঙ্খলা দেশটির প্রবৃদ্ধির পথে প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখা দিয়েছে। অর্থনীতি চাঙ্গায় কয়েক মাসের ব্যবধানে ১ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার। ২০১৯ সালে পাঁচ বছরের শ্লথগতির প্রবৃদ্ধিতে ছিল দেশটি।
Montu Zaman
2020-02-03, 03:47 PM
9962
করোনাভাইরাস এর কারনে আরো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে চীনা অর্থনীতি। কেননা করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার নাগরিককে চীনে ভ্রমন স্থগিত রেখেছে এবং তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চীনের নাগরিকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা সাময়িকভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চীনা সরকার এই নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে ।
Rassel Vuiya
2020-02-04, 02:55 PM
9979
করোনাভাইরাসের কারণে ৬২ বিলিয়ন ডলার ঘাটতিতে পড়তে যাচ্ছে চীন যা চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোবাল টাইমস ও অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন। তারা আরো বলছেন, অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব এখনই নির্ধারণ করা অসম্ভব। তবে, চীনের প্রবৃদ্ধির হার দুই শতাংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।চীনের যেসব শহরে এ ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি, সেখানে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ুলোর জন্য প্রধান ব্যাংকগুলো সুদমুক্ত আর্থিক সুবিধা দিতে শুরু করেছে। ব্যাংক অব চীন ঘোষণা দিয়েছে, উহানসহ অন্যান্য প্রদেশগুলোর ব্যবসায়ীরা যদি করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন, তাহলে ঋণ পরিশোধে তাদের কয়েক মাস পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে। জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় বেইজিং। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী দুই বছরে তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২শ’ বিলিয়ন ডলারের পণ্য কিনবে। অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, করোনাভাইরাস দ্রুত সময়ে দুর্বল হয়ে পড়লেও এই লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন হয়ে যাবে।
Tofazzal Mia
2020-02-05, 05:02 PM
করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে তেলের বিশ্ববাজারে।করোন ভাইরাস আতঙ্কে চীনের যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শিল্প উৎপাদনে স্থবিরতা নেমে আসায় তেলের বাজারে ধস নেমেছে। কেননা দেশটিতে জ্বালানী তেলের চাহিদা ২০ শতাংশ কমেছে। যার প্রভাবে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানী তেলের দাম এক মাসের ব্যবধানেই ব্যারল প্রতি ১৪ ডলার কমে গেছে..
SUROZ Islam
2020-02-06, 01:45 PM
চীনে ক্রমে জটিল হয়ে উঠছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই। এ পরিস্থিতিতে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে দেশটির সার্বিক অর্থনীতি। বহুদিন ধরে বন্ধ থাকা কারখানা ও ক্রেতাহীন বাজার বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিকে সংকটে ফেলে দিয়েছে। এরই মধ্যে চীন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিশ্বের বহু দেশ। বন্ধ রয়েছে জনপ্রিয় বিনোদন ও ব্যবসা কেন্দ্র। বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্র শিল্পসমৃদ্ধ হুবেই প্রদেশ। গত সপ্তাহে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে পূর্বাঞ্চলের শিল্পসমৃদ্ধ এলাকায়, যার মধ্যে রয়েছে টেক জায়ান্ট আলিবাবার শহরও। সব মিলিয়ে চীনের অর্থনৈতিক সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
Montu Zaman
2020-02-11, 04:34 PM
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর চীন থেকে পণ্য আমদানি ব্যাপকভাবে কমে গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হিসেবে, জানুয়ারিতে দেশটি থেকে আগের বছর একই সময়ের চেয়ে আমদানি কমেছে ২১ ভাগের মতো। যদিও বাণিজ্যমন্ত্রীর দাবী ভাইরাস নয়, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের ধীরগতিই চীণ থেকে আমদানি কমিয়েছে। সেইসঙ্গে রসুনসহ মসলার বাজার নিয়ন্ত্রনে নতুন উৎস থেকে আমদানির চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি*
Rassel Vuiya
2020-02-17, 06:03 PM
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় চীনের দিকে তাকিয়ে আছেন বৈশ্বিক নীতিনির্ধারকরা। ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক কর্মপরিকল্পনা ও নীতির বিষয়ে দেশটির পরবর্তী পদক্ষেপের মুখাপেক্ষী হয়ে রয়েছে বিশ্বের বহু কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও দেশ। করোনাভাইরাসের কারণে আন্তর্জাতিক রুটে ৩০ ভাগের মত যাত্রী পরিবহন কমে গেছে। এয়ারলাইন্সগুলোর হিসেবে পর্যটন মৌসুম হওয়া সত্ত্বেও ব্যাংকক, কাঠমান্ডু ও দিল্লী রুটে যাত্রী সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকে। বড় আকারের ধাক্কা লেগেছে কার্গো বিমানে পণ্য ও কাঁচামাল আমদানিতে। এছাড়াও অ্যাপলের আইফোন সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান বা অ্যাসেম্বলার ফক্সকন ও পেগাত্রন মধ্য জানুয়ারি থেকে বন্ধ রয়েছে। আগামী মার্চ পর্যন্ত বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীন থেকে স্মার্টফোনের সরবরাহ ৪০ লাখ কমবে। মিকি অ্যান্ড মিনি মাউসসহ চীনে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব থিম পার্ক রয়েছে, সেগুলোও এখন বিরান পড়ে আছে। থিম পার্ক বন্ধ রাখার কারণে তাদের পরিচালন আয় ২৮ কোটি মার্কিন ডলারের মতো কমতে পারে। চীনে থিম পার্কগুলো অন্তত দুই মাস বন্ধ রাখতে হবে বলে ধারণা করা হয়েছে।
Rokibul7
2020-02-23, 12:25 AM
করোনা ভাইরাসের কারনে চিনের অথনৈতিক অবস্থা ব্যাপক পরিবনত হবে হয়তো।চিনে পর্যটন আয় কমতে শুরু করেছে। চিনের সকল এয়ারলাইনস সহ সকল পযটনদের উপর নিষিদ্ধ করা হয়েছে।এ বছর করোনার কারনে চিনে নাগরিক চিনে আসতে পারে নি।দেখা যাচ্চে চিনের ব্যানিজিক ব্যাবস্তা একেবারে অচল হয়ে পড়ছে।
Rokibul7
2020-02-23, 04:16 PM
মারকিনে যদি এমন কোন ভাইরাস ধরা পড়তো তাহলে আমার জন্য খুব ভাল হতো।আমার সব ডলার কেন রইছে।ডলার প্রতিনিয়ত যে পরিমান উধগতিতে রয়েছে তাতে আমার খুব লস হয়ে যাচ্চে।তাই আমি আশাবাদি যে চিনের মত মারকিনেও কোন ভাইরাস বা ব্যাপক ক্ষতি হোক।
DhakaFX
2020-02-23, 05:25 PM
নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বব্যাপী ২৪টিরও বেশি প্রদর্শনী ও সম্মেলন স্থগিত হয়েছে। এতে ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের শিল্পে বড় আকারের ধাক্কা লেগেছে। এছাড়াও এবার করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে বিশ্বের নামকরা মোবাইল ব্র্যান্ড স্যামসাংয়ে। ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রতিষ্ঠানটির মোবাইল কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
Montu Zaman
2020-02-24, 05:40 PM
10165
বিশ্বে চায়নার অর্থনীতি হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম, তারা বর্তমানে করোনা ভাইরাসের জন্য নিজেরাই নিজেদেরকে প্রায় আবদ্ধ করে ফেলেছে। দোকান বন্ধ রাখতে হচ্ছে বলে নাইকি, অ্যাডিডাস, এপেলের মত বড় কোম্পানিরা ইতোমধ্যে জানিয়েছে তাদের বিক্রিতে ভাটা পরেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে চীনা প্যাসেঞ্জার কার অ্যাসোসিয়েশন (cpca) রিপোর্ট করেছে তাদের দেশের প্যাসেঞ্জার কার বিক্রির বাৎসরিক হার ৯২% কমে গিয়েছে। ২০০৩ সালের সার্স ভাইরাসের সময় চীনের বাৎসরিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১১.১% কমে গিয়েছিল, যার প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতেও পরেছিল। সেবার প্রায় ৭৭৪ জন মারা গিয়েছিল আর প্রায় ৮ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল কিন্তু করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০০ জন মারা গিয়েছে আর আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৭৮,৭৭০ জন। পরিসংখ্যান দেখে বুঝতেই পারছেন করোনা ভাইরাসের অবস্থা আগের সার্স ভাইরাস থেকে অনেক ভয়াবহ এবং এটার ক্ষয়ক্ষতি আগের থেকে বেশিই হবে।অক্সফোর্ডের অর্থনীতিবিদের হিসাবে এই বছর ১ ট্রিলিয়ন ডলারের সমমূল্যের উৎপাদন কম হবে এবং ১.৩% বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধি কমে যাবে যদি করোনা ভাইরাস প্যানড্যামিক হয়ে যায়।
Montu Zaman
2020-03-02, 01:07 PM
10222
‘মেড ইন চায়না’ সস্তা শ্রম ও অল্প পরিসরে বৃহৎ উৎপাদনের জন্য বেশ পরিচিত। কিন্তু বর্তমানে নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে অর্থনৈতিকভাবে চীন ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এর প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতেও পড়তে শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের বর্তমান এ পরিস্থিতির ফলে বিশ্ব অর্থনীতি ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এদিকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া সত্ত্বেও চীন প্রায় ৩০০ মিলিয়ন অভিবাসী কর্মীকে চাকরিতে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করছে। ‘দ্য স্লিপিং জায়ান্ট: পোস্টারস অ্যান্ড দ্য চাইনিজ ইকোনমি’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে ১৯২০-এর দশক থেকে শুরু করে ২০০০ দশকের গোড়ার দিকের প্রায় ৫০টিরও বেশি পোস্টার প্রদর্শিত হচ্ছে। এ পোস্টারগুলোতে পণ্য থেকে শুরু করে রাজনৈতিক প্রচার—সব কিছুই উঠে এসেছে। প্রদর্শনীটির মধ্য দিয়ে চীনা অর্থনীতির ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকানোর এটাই উপযুক্ত সময় বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।
amreta
2020-03-02, 06:45 PM
9913
করোনা ভাইরাস আতঙ্কের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চীনের অর্থনীতিতে। ভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করায় চীন ভ্রমণে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফ্লাইট, হোটেল বুকিং বাতিল হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশটির পর্যটন খাত। চীনের অর্থনীতির ১১ শতাংশ নির্ভর করে পর্যটন খাতের ওপর। এ খাতকে ঘিরে কাজ করে ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ। চীনা লুনার ইয়ার উপলক্ষে প্রতিবছরই এ সময়ে পর্যটনমুখর থাকে চীনের হোটেল আর পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পরিবারের টানে দেশে আসেন চীনারা। বিভিন্ন দেশ থেকে নতুন বছর উদযাপন করতে আসেন পর্যটকরা। যাত্রীসেবায় তাই ব্যস্ত থাকে এয়ারলাইন্সগুলো। কিন্তু এ বছরের চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ফিকে হয়ে গেছে উৎসবের আনন্দ। ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের উহান প্রদেশতো একরকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এ বছর কয়েক লাখ মানুষ দেশটিতে ভ্রমণে যাওয়ার কথা থাকলেও ভাইরাস আতঙ্কে ফ্লাইট বাতিল করছেন অনেকে, বাতিল করছেন হোটেল বুকিংও।
বিলকুল সর করোনভাইরাস কি বাজাহ বাজারে প্রতি বাহুত হাই বাদা আসার পদা এবং উসকি বাজার বহুত জ্যাদা গিরি এবং আব জাকার করোন ভাইরাস প্রতি কাবু পাইয়াত জাটা এবং আব চীন বাজার উপার কি জানে খারাপ এবং আমরা হ্যামের সন্ধান করছি। সাথী শাড়ি বাজারকে অ্যাকশনে নিয়ে যাচ্ছে
Tofazzal Mia
2020-03-09, 01:08 PM
করোনা ভাইরাসে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, এখন পর্যন্ত শেয়ার মার্কেট তিন ট্রিলিয়ন ডলার ক্রাস করেছে। এর কারন হিসাবে সোশাল মিডিয়াকে দায়ী করা হচ্ছে। কেননা দুর বলতে এখন আর কিছুই নেই, প্রতি সেকেণ্ডেই দুঃসংবাদ ছড়াচ্ছে আর একটা ভাইরাসে একজন মানুষের মৃত্যু সংবাদ এখন মুহুর্তেই বিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। সুতরাং মানুষতো আতংকিত হয়ে চায়নার উহানের দূর্ঘটনাকে মনে হবে আপনার পাশের বেডরুমেই ঘটছে বলে মনে করছে। হাজার হাজার গ্রুপে, হাজার হাজার পেজে একই সংবাদ ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে সংবাদ যদি হয় দুঃসংবাদ। আর এই বিশাল মিডিয়া পাওয়ারই দুনিয়াব্যাপি মানুষকে আতংকিত করেছে এবং গ্লোবাল ইকোনিমিতে ধ্বস নামিয়েছে।
DhakaFX
2020-03-12, 04:48 PM
নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুরো বিশ্ব। এরই মধ্যে ১০৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসের ধাক্কা লেগেছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। প্রতি মুহূর্তে মূল্য হারাচ্ছে বৈশ্বিক পুঁজি ও পণ্যবাজার। মন্দা থেকে অর্থনীতিকে বাঁচাতে রাজস্ব ও মুদ্রানীতি এবং আর্থিক প্রণোদনা নিয়ে এগিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। করোনায় ভুতুড়ে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পুরো ইতালিতে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েতসহ সৌদি আরবে জেঁকে বসেছে করোনা আতঙ্ক।
DhakaFX
2020-03-16, 04:59 PM
করোনার কাঁপুনি অব্যাহত শেয়ারবাজারে। সোমবার বাজার খুলতেই BSE Sensex ২,০১৫ পয়েন্ট অর্থাত্ ৫.৯১% পড়ে যায়। সূচক গিয়ে পৌঁছয় ৩২,০৮৯-এ। NSE Nifty-র সূচক ৫৪৯ পয়েন্ট অর্থাত্ ৫.৫২% পড়ে পৌঁছে যায় ৯,৪০৬-এ। করোনার ত্রাসে গত কয়েকদিন ধরেই বিপুল ধস নামে শেয়ারবাজারে। বৃহস্পতিবার এক দিনে সেনসেক্স পড়ে ২,৯১৯ পয়েন্ট। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত সংস্থাগুলির মধ্যে ১,১৮০টির শেয়ারদর গত এক বছরের সর্বনিম্ন মাত্রা ছুঁয়েছে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ সূচক নিফটিও ৮৬৮ পয়েন্ট কমে ৯,৫৯০ পয়েন্ট হয়ে যায়। এক দিনে নিফটির পতন ৮.৩০ শতাংশ যা গত এক যুগে সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার দালাল স্ট্রিটে যা রক্তক্ষরণ ঘটেছে, তা নজিরবিহীন। এক দিনে লগ্নিকারীদের প্রায় ১১ লক্ষ কোটি টাকা উবে গিয়েছে!
Montu Zaman
2020-03-18, 02:42 PM
নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে ফিলিপাইন প্রথম দেশ হিসেবে তার শেয়ারবাজার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে। এর মধ্যে দেশটি মুদ্রাবাজার ও বন্ড বাণিজ্যও বন্ধ রেখেছে। দেশটির সব আর্থিক বাজার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফিলিপাইন স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান র্যামন মনজুন বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শেয়ারবাজার বন্ধ থাকবে। এ সিদ্ধান্ত ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার হাত থেকে কর্মচারী ও ট্রেডার্সদের রক্ষা করবে। এছাড়া উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় তিনটি গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি।
Rassel Vuiya
2020-03-19, 04:23 PM
বিশ্ব অর্থনীতিতে রীতিমতো তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে কভিড-১৯। অভূতপূর্ব এক দুর্যোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বৈশ্বিক শিল্পোৎপাদন খাত। চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোসহ বৈশ্বিক অর্থনীতির রথী-মহারথী সব দেশেরই উৎপাদন খাত এখন পুরোপুরি ধরাশায়ী। ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে পুঁজি, মুদ্রা ও পণ্যবাজার। অর্থনৈতিক এ মহাদুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি থেকে নিজ নিজ দেশের আর্থিক খাত, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সর্বোপরি নিজ জনগণকে সুরক্ষা দিতে বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে নেয়া হয়েছে প্রণোদনামূলক নানা পদক্ষেপ। ৮০টিরও বেশি দেশ এরই মধ্যে আংশিক বা পূর্ণভাবে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। লকডাউনে রয়েছে এর অধিকাংশই। পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত চালু থাকলেও বিদেশীদের ঢুকতে দিতে চাচ্ছে না কেউই। বৈশ্বিক পর্যটন, শিল্পোৎপাদন, সেবা ও আর্থিক খাতকে পুরোপুরি তলানিতে এনে ফেলেছে নভেল করোনাভাইরাস। ধস নেমেছে জ্বালানি তেলের বাজারেও। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক দুই বাজার আদর্শ ডব্লিউটিও এবং ব্রেন্টের দাম নেমে এসেছে কয়েক বছরের সর্বনিম্নে, ব্যারেলপ্রতি যথাক্রমে ২৭ ও ২৫ ডলারে। একই দশা মুদ্রাবাজারেরও।
SumonIslam
2020-03-23, 05:00 PM
10399
সারা বিশ্বেই ধস নেমেছে শেয়ারবাজারে, অর্থনীতির ক্ষতি কত হবে, তার চূড়ান্ত পরিসংখ্যান মিলবে আরও পরে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এরই মধ্যে বলে দিয়েছে, বিশ্বের আড়াই কোটি মানুষ চাকরি হারাবে। চীনে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমেছে। দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির উপাত্ত প্রকাশ করেছে। যেমন গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি—এই দুই মাসে চীনের উৎপাদন কমেছে সাড়ে ১৩ শতাংশ, খুচরা বিক্রি কমেছে সাড়ে ২০ শতাংশ আর নির্মাণকাজ কমেছে সাড়ে ২৪ শতাংশ। এই অবস্থায় অর্থনীতি আগের অবস্থায় দ্রুত ও সহজে ফিরিয়ে যে আনা যাবে না, তা পরিষ্কার। বিশ্বের সব সব দেশই এখন চিন্তিত অর্থনীতি নিয়ে। কারণ, এয়ারলাইনস খাত একপ্রকার বসেই আছে। সারা বিশ্ব পর্যটকশূন্য। খাদ্যপণ্য ছাড়া অন্য সব পণ্যের বিক্রি কমে গেছে। দেশগুলোর মধ্যেও যাতায়াত কমে যাওয়ায় অনেক পরিবহন ব্যবসায় লোকসান হচ্ছে। রাস্তাঘাট মানুষশূন্য, রেস্তোরাঁরও একই অবস্থা।*
Montu Zaman
2020-03-24, 03:26 PM
10412
নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপে প্রায় তিন মাস ধরে থমকে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি ও ভাইরাসটি বিস্তারের কেন্দ্র চীন। বাকি বিশ্ব করোনায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দার ঝুঁকি বাড়লেও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করার সম্ভাবনা নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছে চীন সরকার।
kohit
2020-03-24, 04:37 PM
চীনে দুই মাসে দুই কোটি মোবাইল গ্রাহক কোথায় গেল?
নভেল করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহানে। মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালি। তবে মৃত্যুর ভয়াবহ বিভীষিকাটা চীনারাই দেখেছে আগে। সরকারি হিসেবে সেখানে এখন পর্যন্ত কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিন হাজার ১৩৬ জন মানুষ। তবে দেশটির মোবাইল ফোন অপারেটরদের একটি পরিসংখ্যানের আপনার মনে প্রশ্নের উদ্রেগ জাগাতে পারে। সেখানে গেল দুই মাসে তিনটি অপারেটর থেকে প্রায় দুই কোটি ১০ লাখ গ্রাহক ‘নাই’ হয়ে গেছে।
চীনা মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো প্রতিমাসেই তাদের তথ্য প্রকাশ করে। গ্রাফে দেখা যায়, গত বছরও ক্রমান্বয়ে বাড়ছিল মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী। তবে এ বছর জানুয়ারি মাসে তা ব্যাপক হারে কমতে শুরু করে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা কমতে কমতে দুই কোটি গ্রাহক ‘নাই’ হয়ে যায়। অবশ্য, এই বিশাল পরিমাণ গ্রাহক কমার পরও দেশটির শীর্ষ তিন অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা এখনো ১৬০ কোটির মতো।
মোবাইল অপারেটরগুলোর ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে চায়না মোবাইল লিমিটেড হারিয়েছে সবচেয়ে বেশি ৮০ লাখ গ্রাহক, চীনা ইউনিকম হংকং লিমিটেড হারিয়েছে ৭৮ লাখ এবং চীনা টেলিকম করপোরেশন হারিয়ে ৫৬ লাখ গ্রাহক।
এতসংখ্যক গ্রাহক কমার প্রভাব পড়েছে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরেও। গতকাল সোমবার এই তিন মোবাইল অপারেটরের শেয়ারেও পতন হয়েছে। হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে চায়না মোবাইল লিমিটেড শেয়ারদর হারিয়েছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ, যেখানে এক্সচেঞ্জটির মূল সূচক হ্যাং সেং পয়েন্ট হারিয়েছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া অন্য দুই অপারেটর চায়না টেলিকম হারিয়েছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ এবং চায়না ইউনিকম হংকং লিমিটেড হারিয়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
এত সংখ্যক গ্রাহক কোথায় গেল- এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চীনের মানবাধিকার কর্মী ও লেখক জেনিফার জেং। তিনি লিখেছেন, ‘জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে চীনের বড় তিনটি মোবাইল অপারেটর একত্রে দেড় কোটি গ্রাহক হারিয়েছে। তারা এখন কোথায়?’
অবশ্য এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন মার্কিন ব্রোকারেজ হাউজ ‘সানফোর্ড সি বার্নস্টেইন অ্যান্ড কোম্পানি’-র বিশ্লেষক ক্রিস লেন। তিনি বলছেন, ‘গ্রাহক পতনের বড় কারণ হতে পারে দেশটির স্থানীয় ও বিদেশী কর্মজীবী মানুষ। বিদেশীদের বেশিরভাগই নিজ দেশে ফিরে গেছেন। আবার চীনের অনেকেই এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে কাজ করেন এবং অফিস থেকে তাদের ফোন নম্বর সরবরাহ করা হয়। করোনার প্রকোপ শুরু হলে অনেকেই নিজ নিজ অঞ্চলে ফিরে গেছেন। ফলে তাদের মোবাইল নম্বরগুলো অকার্যকর হয়ে গেছে।
বণিক বার্তা
আসলে বৈশ্বিক এই মহামারী পুরো পৃথীবীকে ধ্বংসযোগ্য বানিয়ে ফেলেছে। সব মানুষ এখন আতন্কিত কখন কে আক্রান্ত হয়ে যায়। আসলে এই অবস্হায় মানুষ ঘর থেকেও বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আর অর্থনৈতিক দিক দেখতে গেলে পুরো বিশ্বের অর্থনিিতিই ক্ষতিগ্রস্ত। কবে যে এই পরিস্হিতি স্বাভাবিক হবে এখন শুধু সেটাই দেখার।
Tofazzal Mia
2020-03-25, 02:11 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1121911229.jpg
বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর করোনা সংকট গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে, কেনানা চীন ছাড়িয়ে পুরো বিশ্ব এখন নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীতে আক্রান্ত। ধনী-দরিদ্র, উন্নত-উন্নয়নশীল, উত্তর-দক্ষিণ কোনো বাধাই মানছে না প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। বিশ্ববাসী আতঙ্কিত। ১০০ কোটির বেশি মানুষ কার্যত ঘরবন্দি। স্থবির হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। মহামন্দার ঘণ্টাধ্বনি বাজছে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে। পরিস্থিতি হয়তো সহসাই বদলাবে না। বরং নভেল করোনাভাইরাসের এ বৈশ্বিক সংকট সামনের বছরগুলোতে অর্থনীতির জন্য বোঝা হয়ে থাকবে বলে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা।
SUROZ Islam
2020-03-25, 02:39 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1862120856.jpg
গোটা বিশ্বকেই অভূতপূর্ব এক দুর্যোগের মুখে ঠেলে দিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নিয়েছে ভাইরাসটির সংক্রমণজনিত রোগ কভিড-১৯। শুধু স্বাস্থ্য খাত নয়, বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও মহাবিপদের ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। থমকে দাঁড়িয়েছে বৈশ্বিক উৎপাদন ও সেবা খাত। নানা প্রণোদনা দিয়েও এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে কোনো আশার আলো দেখাতে পারেনি সরকার তথা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। এরই মধ্যে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে গেছে বৈশ্বিক পর্যটন খাত। এয়ারলাইনসগুলোও এখন দেউলিয়াত্বের শঙ্কায়। সামনের দিনগুলোয় এ পরিস্থিতি আরো ভয়ংকর দিকে মোড় নিতে পারে বলে আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদের। চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। বিশ্বব্যাপী সর্বশেষ বড় আকারের মন্দা দেখা গিয়েছিল ২০০৮ সালে। ওই সময়কার বাজার পারিপার্শ্বিকতার বেশকিছু উপাদান চলতি বছরের শুরুতেও পরিলক্ষিত হচ্ছিল।
Sarder
2020-03-30, 05:16 AM
শুক্রবার ইউএস হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ on 2.2 ট্রিলিয়ন ডলারের করোনভাইরাস উন্নতির বান্ডিলকে সমর্থন করেছে। বিলটি বর্তমানে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে চিহ্নিত করার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
দিনের আগের দিন, রিপাবলিকান বিধায়ক টমাস ম্যাসি তার বিরুদ্ধে বিধিনিষেধের কথা বলার পরে বাজারগুলি বিলটিতে প্রবেশের জন্য উদ্বিগ্ন ছিল। ওয়াল স্ট্রিটের প্রাথমিক তালিকাগুলি গত তিন দিন শক্তভাবে বন্ধ করে দেওয়ার পরে প্রতিদিনের দুর্ভাগ্য পোস্ট করার লক্ষ্যে বিনীতভাবে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ে। রচনা করার সময়, ডও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল গড় গড়ে ২.৪% হ্রাস পেয়েছিল এবং এসএন্ডপি 500 এবং নাসডাক সংমিশ্রণ উভয়ই ২.১% নির্মূল করছিলেন ।কোনাভিরাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডেকেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থির রয়েছেন "অনেক আগে" কাজ করার জন্য জাতিকে পুনরুদ্ধার করতে। রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশিত সংখ্যাগুলি যথাযথ হিসাবে গ্রহণ করেন না, যেমন তা হতে পারে, তার নিজস্ব টাস্কফোর্সের সহকর্মী অ্যান্টনি এস ফৌসি রবিবার বলেছিলেন যে দেশটি 100,000 থেকে 200,000 উত্তরণ এবং বিপুল সংখ্যক রোগের রেকর্ড করতে পারে, যেমন অগ্রগতির মাধ্যমে নির্দেশিত অনুমান।
দলের অন্য ব্যক্তি দেবোরা বার্সস অনুরূপভাবে বিরক্তিকর মূল্যায়নের প্রস্তাব দিয়েছিলেন: "কোনও এক্সপ্রেস, কোনও মেট্রো অঞ্চল সংরক্ষণ করা হবে না।" যেমনটি রয়ে গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২,২০০ টিরও বেশি করোনভাইরাস-সম্পর্কিত পাসিংস এবং ১৩০,০০০ স্বীকৃত মামলা রয়েছে।
গ্লোবাল টাইমসের নির্দেশ অনুসারে বিশ্বের অন্য কোথাও, চীনা গবেষকরা COVID-19-এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরেকটি অস্ত্র তৈরি করেছেন। "তারা বলেছে যে তারা একটি ন্যানোম্যাটরিয়া আবিষ্কার করেছে যা 96.5-99.9% উত্পাদনশীলতার সাথে সংক্রমণকে একীভূত করতে এবং নিষ্ক্রিয় করতে পারে।"
Montu Zaman
2020-03-30, 02:27 PM
করোনার প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দায় প্রবেশ করেছে। যা ২০০৯ সালের আর্থিক মন্দা থেকে ভয়াবহ হবে বলে সতর্কতা দিয়েছে আইএমএফ। শুক্রবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান সংস্থার প্রধান ক্রিস্টালিনা জার্জিয়েভা। বলেন, এতে সবচে বেশি ঝুঁকির মুখে পড়বে উন্নয়নশীল দেশগুলো। যা সামাল দিতে এসব দেশের আড়াই ট্রিলিয়ন ডলার জরুরি সহায়তার প্রয়োজন পড়বে..
Tofazzal Mia
2020-04-05, 05:59 PM
10538
করোনাভাইরাস যা বর্তমানে কোভিড-১৯ নামে পরিচিত তার বহুল প্রসারের দরুন বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি এখন ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। করোনার মহামারী যেহেতু প্রায় ১৮০ টি দেশকে এ মুহূর্তে আক্রমণ করেছে তার প্রভাব বিশ্বের সেই দেশগুলোর অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে। আর প্রতিটি দেশই তাদের দেশের প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়া, মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়া ও বেকারত্ব বৃদ্ধি পাওয়া ঠেকাতে আর্থিক নীতি শিথিল করছে এবং বিভিন্ন প্রনোদনা প্রদান করছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, এখনো পর্যন্ত প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়া এই মরণব্যাধি গোটা বিশ্বের অর্থনীতি বদলে দিতে পারে, যদি দ্রুত করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়, তাহলে এই আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। অন্যথায় বিশ্ব অর্থনীতির ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক মন্দার আশঙ্কাও থেকেই যাবে।
চলমান বৈশ্বিক সংকটের এ মুহূর্তে ধীরে ধীরে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ুলো অতিরিক্ত ঋণভার বহন করতে অনিচ্ছুক বা অপারগ। ১৯৩০-এর দশকের পর সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছে ব্রিটিশ অর্থনীতি। এ মুহূর্তে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে শতকোটি পাউন্ডের ঋণ সরবরাহের চেষ্টা করছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নেতৃত্বাধীন সরকার। ব্রিটিশ অর্থনীতির সংকট জোগানে নয়, বরং চাহিদায়।
DhakaFX
2020-04-09, 05:04 PM
বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বজুড়ে পূর্ণকালীন চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে ১৯ কোটি ৫০ লাখ মানুষ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বলছে, ২০২০ সালের জুলাই-ডিসেম্বরের মধ্যে কভিড-১৯-এর প্রভাবে বিশ্বজুড়ে মোট কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। ফলে বিশ্বব্যাপী এ বিপুলসংখ্যক শ্রমিক তাদের চাকরি হারাবেন। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
আইএলও জানিয়েছে, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক শ্রমবাজারে যে প্রভাব পড়তে যাচ্ছে, তা ২০০৮-০৯ সালের অর্থনৈতিক সংকটকেও ছাড়িয়ে যাবে। কর্মঘণ্টা বা চাকরি হারানোর মারাত্মক ক্ষতির শিকার হবে আরব অঞ্চল। আইএলওর পূর্বাভাস অনুযায়ী, আরব রাষ্ট্রগুলোয় কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে ৮ দশমিক ১ শতাংশ, যা ৫০ লাখ পূর্ণকালীন চাকরির সমান। অন্যদিকে ইউরোপে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে চাকরি হারাবে ১ কোটি ২০ লাখ পূর্ণকালীন চাকরিরত শ্রমিক। এছাড়া এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। ফলে এ দুই অঞ্চলে পূর্ণকালীন চাকরি হারাতে হতে পারে ১২ কোটি ৫০ লাখ শ্রমিককে। বিভিন্ন আয়সীমার জনগোষ্ঠীকেই ভয়াবহ এ ক্ষতির শিকার হতে হবে। বিশেষ করে সবচেয়ে বড় ধাক্কা সামলাতে হবে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে। এসব দেশে ৭ শতাংশ কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ার বিপরীতে চাকরি হারাতে হতে পারে ১০ কোটি মানুষকে।
Montu Zaman
2020-04-26, 06:10 PM
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত চলমান সংকট মোকাবেলায় ইইউ সরকারগুলো জাতীয় পর্যায়ে এরই মধ্যে হাজার হাজার কোটি ইউরোর প্রণোদনা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর মধ্য দিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে অঞ্চলটি ১৯৩০ সালের মতো অর্থনৈতিক মন্দায় না পড়ে। মূলত ১৯৩০ সালের পর বৈশ্বিক অর্থনীতি এত বড় মন্দায় আর কখনই পড়েনি। আর এ অবস্থা থেকে উত্তরণের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
10740
বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে টালমাটাল আঞ্চলিক অর্থনীতির পুনর্গঠনে ১ ট্রিলিয়ন ইউরোর তহবিল গঠন বিষয়ে একমত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। তারা এক বিবৃতিতে জানান, বর্তমানে ইউরোপ যে অভূতপূর্ব সংকটের সম্মুখীন হয়েছে, তা সামাল দিতে এ তহবিল পর্যাপ্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তহবিলের অর্থ ব্যয় করা হবে অঞ্চলটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাত ও ভৌগোলিক এলাকার পুনর্গঠনে। কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন ইইউর ২৭ দেশের সরকারপ্রধানরা। এরপর তারা অঞ্চলটির ২০২১-২৭ সালের বাজেটের সঙ্গে পুনরুদ্ধার তহবিলের সমন্বয় প্রক্রিয়া নিয়ে ইউরোপীয় কমিশনকে জরুরি ভিত্তিতে বিস্তারিত প্রস্তাব পেশ করার জন্য বলেন।
10779
নভেল করোনাভাইরাস এর রোগ (কভিড-১৯) টালমাটাল পরিস্থিতিতে রয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। শিল্প উৎপাদন, আমদানি, রফতানি থেকে শুরু করে পুঁজিবাজার, সবকিছুতেই এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। মন্দা সময়ে পুঁজিবাজারের সূচকে বিরাজ করছে নিম্নমুখী ধারা। তবে লোকসান কাটিয়ে উঠে অনেক পুঁজিবাজার এখন ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হচ্ছে। ডেনমার্কের ওএমএক্স কোপেনহেগেন ২৫ বা ওএমএক্সসি-২৫ পুঁজিবাজার তার অন্যতম। ইউরোপের অন্যতম এ পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর মূলে রয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা খাতের বিনিয়োগ।
Tofazzal Mia
2020-04-29, 04:54 PM
10794
করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার মধ্যেও বিশ্বব্যাপী থেমে নেই পুঁজিবাজারের কার্যক্রম। অটোমেটেড ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রায় সব দেশেই চালু রয়েছে লেনদেন। নভেল করেনাভাইরাসের প্রভাবে পুঁজিবাজারে ধস নামলেও অধিকাংশ দেশেই লেনদেন চালু রয়েছে। এশিয়া, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার এরই মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের ধাক্কা কিছুটা সামলে নিয়েছে। জাপানে জরুরি অবস্থা জারির পরও পুঁজিবাজার চালু রাখা হয়েছে। নভেল করোনাভাইরাসের ভয়াবহ আক্রমণে পর্যুদস্ত ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রেও চালু রয়েছে পুঁজিবাজার। ফিলিপাইন দুদিনের জন্য পুঁজিবাজার বন্ধ রাখলেও পরবর্তী সময়ে আবারো চালু করেছে।
SUROZ Islam
2020-04-30, 02:00 PM
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে ব্যাংকগুলো ঋণ সরবরাহের চাপে রয়েছে। মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ুলোকে সহায়তার লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সরকার যেসব আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, তার বেশির ভাগই ব্যাংকঋণ আকারে। আর এসব ঋণসহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোয় নগদ অর্থের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকতে হবে। এ কারণে বিভিন্ন দেশে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ব্যাংকগুলোর সর্বশেষ হিসাব বছরের লভ্যাংশ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। কিছু দেশে আবার লভ্যাংশের পরিমাণও কমানো হয়েছে। তবে চীনের শীর্ষ ব্যাংকগুলো এক্ষেত্রে বিপাকে রয়েছে। নভেল করোনাভাইরাসের উৎস দেশটির প্রথম সারির চারটি ব্যাংক সর্বশেষ হিসাব বছরের জন্য সম্মিলিতভাবে ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। চীনের ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী কমিউনিস্ট পার্টি চায়, ব্যাংকগুলো এ লভ্যাংশ বিতরণ করুক।
http://forex-bangla.com/customavatars/278243440.gif
ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না (আইসিবিসি) লিমিটেড, চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক করপোরেশনসহ শীর্ষ চার ব্যাংক গত বছরে তাদের মুনাফার ৩০ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসেবে ফেরত দিচ্ছে। এক্ষেত্রে গড় ডিভিডেন্ড ইল্ড দাঁড়াচ্ছে ৬ শতাংশ। চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় তা প্রায় দ্বিগুণ।
এদিকে করোনার প্রভাবে চীনা ব্যাংকগুলো লাখ লাখ কোটি ইউয়ানের ক্রেডিট লসের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় চীনের শীর্ষ ব্যাংকগুলো নিজেদের মূলধন ভিত্তি দুর্বল করে হলেও লভ্যাংশ প্রদানের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডার, বিশেষ করে সরকারকে খুশি রাখতে চাইছে। বিষয়টা কতটা যুক্তিসংগত, তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনাও হচ্ছে অনেক।
বেইজিংয়ে মুডি’স ইনভেস্টর সার্ভিসের বিশ্লেষক নিকোলাস ঝু বলেছেন, ‘উচ্চহারে লভ্যাংশ প্রদানকে চীনা ব্যাংকগুলো সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির (সিএসআর) অংশ হিসেবে দেখে। করোনার কারণে ব্যাংকগুলো ধীরে ধীরে মূলধন সংকটের দিকে ধাবিত হবে। এ কারণে চীনে লভ্যাংশ কর্তনের প্রক্রিয়াটিও তাত্ক্ষণিক না হয়ে ধাপে ধাপে দেখা যেতে পারে।’
Rakib Hashan
2020-05-04, 01:33 PM
10848
বিশ্ব জুড়ে করোনার অভিঘাতে থমকে গেছে অর্থনীতি। করোনাযুদ্ধের আগে চীন-আমেরিকান বাণিজ্যযুদ্ধ এবং তদ্পরবর্তীকালে মহামন্দায় ঢুকে পড়া বিশ্ব অর্থনীতি আজ চরম ক্রান্তিকালে। একই সঙ্গে তিন ধরনের সংকটে পড়ার ঘটনা এবারই প্রথম প্রত্যক্ষ করল বিশ্ব অর্থনীতি। চারদিকে বেকারত্ব আর ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থবিরতা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত করে দিয়েছে অর্থনীতিকে। এর রেশ কাটিয়ে উঠতে বেশ কয়েক বছর লাগতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। সর্বশেষ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কেউ কেউ বলেছেন, ২০২৩ সালের আগে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় গতি আসবে না। এরই মধ্যে ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের সবাই কাজের সুযোগও পাবেন না। উন্নত দেশগুলোতে সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধার আওতায় থাকলেও নিম্ন আয়ের দেশগুলোর বেকাররা দরিদ্রসীমার নিচে নেমে যাবে। এসব বলা হলেও বাস্তবে করোনা ভাইরাস অর্থনীতিতে কতটা ক্ষতি করতে পারে সেটি অননুমেয়। কারণ ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পূর্বাভাসেও বলা হয়েছে কোনো কোনো অর্থনীতির এবারে নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি হবে। বড়ো অর্থনীতির দেশগুলোর অবস্থাও বেশ শোচনীয়। অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ আর সামনে এগিয়ে যাওয়া কিংবা কত শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলো, তা নিয়ে ভাবছে না। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, খোদ যুক্তরাষ্ট্র ১৯৩০ সালের পর এরকম বেকারত্ব পরিস্থিতির মুখে পড়েনি। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম নিম্নে চলে আসা মানেই হচ্ছে অর্থনীতি এগোচ্ছে না। এ অবস্থায় প্রণোদনার পর প্রণোদনা দিয়ে কোনোমতে টিকে থাকার লড়াইয়ে শামিল হয়েছে এখন বিশ্ব অর্থনীতি। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখেও পড়বে বিশ্ব। যা সামাল দেওয়া সম্ভবপর হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এ অবস্থায় টিকে থাকতে হলে প্রণোদনা বা টাকা ছড়ানোর বিকল্প নেই। কিন্তু সব দেশের সেই সামর্থ্য নেই যে, যথেষ্ট হারে নাগরিকদের প্রণোদনা দেবে। এ অবস্থায় অনেকেই পুনরুদ্ধারের দৌড়ে পিছিয়ে পড়বে। বাড়বে দরিদ্র দেশের সংখ্যা। নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশগুলোর জন্যও যা হবে চ্যালেঞ্জিং। কেননা, উন্নত বিশ্বের কাছ থেকে আগের মতো পর্যাপ্ত অর্থ সহায়তা মিলবে না। এমনকি কোনো কোনো দেশ বাজেট সাপোর্টও পাবে না।
Mas26
2020-05-04, 11:26 PM
করোনা ভাইরাস: বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব
করোনা ভাইরাস আতঙ্কের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চীনের অর্থনীতিতে। ভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করায় চীন ভ্রমণে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফ্লাইট, হোটেল বুকিং বাতিল হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশটির পর্যটন খাত। চীনের অর্থনীতির ১১ শতাংশ নির্ভর করে পর্যটন খাতের ওপর। এ খাতকে ঘিরে কাজ করে ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ। চীনা লুনার ইয়ার উপলক্ষে প্রতিবছরই এ সময়ে পর্যটনমুখর থাকে চীনের হোটেল আর পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পরিবারের টানে দেশে আসেন চীনারা। বিভিন্ন দেশ থেকে নতুন বছর উদযাপন করতে আসেন পর্যটকরা। যাত্রীসেবায় তাই ব্যস্ত থাকে এয়ারলাইন্সগুলো। কিন্তু এ বছরের চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ফিকে হয়ে গেছে উৎসবের আনন্দ। ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের উহান প্রদেশতো একরকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এ বছর কয়েক লাখ মানুষ দেশটিতে ভ্রমণে যাওয়ার কথা থাকলেও ভাইরাস আতঙ্কে ফ্লাইট বাতিল করছেন অনেকে, বাতিল করছেন হোটেল বুকিংও।
BDFOREX TRADER
2020-05-06, 07:32 PM
10891
স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে থাকা অর্থনীতি করোনা ভাইরাসের থাবায় রাতারাতি ওলটপালট হয়ে গেল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি আর দেখেনি। অর্থনীতি এত বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে তা হয়তো কারো ভাবনায় ছিল না। রীতিমতো স্তব্ধ বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব। একের পর এক কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে ছোটো-বড়ো সব প্রতিষ্ঠানে।
প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত, কেউই নিস্তার পাচ্ছে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩ কোটি মানুষ বেকার ভাতার জন্য আবেদন করেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভাইরাসের ধাক্কায় বিশ্ব অর্থনীতির এত বিপর্যয় আর শ্রমিকের বেঘোরো চাকরি হারানোর ঘটনা আর ঘটেনি। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বলছে, বিশ্ববাজারে শ্রম পরিস্থিতি তাদের ভাবনার চেয়েও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বব্যাপী প্রতি পাঁচ জন শ্রমিকের চার জনই এখন কর্মহীন।
SaifulRahman
2020-05-17, 03:36 PM
বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি দাঁড়াতে পারে ৮.৮ ট্রিলিয়ন ডলারে: এডিবি
10984
মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাসে বৈশ্বিক অর্থনীতির ক্ষতি ৫.৮ ট্রিলিয়ন থেকে ৮.৮ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষতির এ অংক গতমাসে এডিবির করা পূর্বাভাসের দ্বিগুণেরও বেশি এবং বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৬ দশমিক ৪ থেকে ৯ দশমিক ৭ শতাংশের সমান।এডিবির এ নতুন পূর্বাভাস এমন সময়ে এল যখন বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি একপাশে সরিয়ে রেখে অর্থনীতির চাকা সচলে একের পর এক বিধিনিষেধ শিথিল করছে।কোভিড-১৯ এর বিস্তার রুখতে এর আগে দেশে দেশে আরোপ করা কঠোর বিধিনিষেধ বিশ্ব অর্থনীতিকে কার্যত অচল করে দিয়েছিল।মহামারীর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে অর্থনীতিকে বাঁচাতে বিশ্বজুড়েই বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষ নানান আগ্রাসী পদক্ষেপ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার কমিয়েছে; বড় বড় সব প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে।
Rakib Hashan
2020-06-08, 03:12 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1694547422.jpg
প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেয়া হয়ে গেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বাজে মন্দার লক্ষণও কিছুটা কমে এসেছে। ফলে বিশ্বের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর রণকৌশল এখন আত্মরক্ষার পরিবর্তে অগ্রসরতার রূপ নিয়েছে। নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরুতে তাদের সব পরিকল্পনা ছিল উদ্ধারকেন্দ্রিক। সেই সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোই এখন অর্থনৈতিক উত্তরণের জন্য পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। খবর ব্লুমবার্গ। শুরুর দিকে করোনার বিস্তার প্রতিরোধ ও বাজারের উলম্ব পতন ঠেকাতে লাখ লাখ কোটি কোটি ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তারা। এখন তারা অর্থ ঢালছে তার চেয়েও বেশি। তবে তা প্রাণঘাতী ভাইরাস বা বাজারের পতন ঠেকানোর জন্য নয়; বরং অর্থনৈতিক উত্তরণকে গতিশীল করার জন্য। যে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে সাহস জুগিয়েছে তা হলো, অর্থনীতি যতটা খাদে পড়বে বলে পূর্বানুমান করা হয়েছিল, ততটা না পড়ার লক্ষণ তৈরি হওয়া। ব্লুমবার্গ ইকোনমিকসের গ্লোবাল জিডিপি গ্রোথ ট্র্যাকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে মাসে অর্থনৈতিক সংকোচনের বার্ষিক হার ২ দশমিক ৩ শতাংশ। যেখানে এপ্রিলে এ হার ছিল ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
SUROZ Islam
2020-06-10, 07:22 PM
পরিবর্তিত বিশ্বে কোনো একক খাতের ওপর নির্ভর করে অর্থনীতি টিকে থাকতে পারবে না। টিকতে হলে অবশ্যই উৎপাদন ও রফতানিতে বৈচিত্র্য আনতে হবে। এজন্য নীতিসহায়তার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনতে হবে। যেটি চীন, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলো করেছে। বাণিজ্য উন্মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি রফতানি বৈচিত্র্যকরণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ অঞ্চলের অনেক দেশই বাণিজ্য ব্যবস্থা উদার করার পাশাপাশি সময় অনুযায়ী কার্যকর নীতি প্রণয়ন করতে পেরেছে, যা দক্ষতা উন্নয়ন ও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করে রফতানি বৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। সার্বিকভাবে সঠিক সময়ে সঠিক নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে দেশগুলোর প্রতিযোগিতা সক্ষমতা শক্তিশালী হয়েছে।
Rassel Vuiya
2020-06-21, 06:30 PM
প্রাণঘাতী করোনা মহমারিতে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্বে নতুন করে চরম দারিদ্রতার মুখে পড়তে পারে আরো সাড়ে ৩৯ কোটি মানুষ। আর এতে বিশ্বের চরম দরিদ্রের মানুষের সংখ্যা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে নতুন একটি গবেষণায় বলা হয়েছে। ইউনাইটেড নেশনস ইউনিভার্সিটি ওয়ার্ল্ড ইন্সটিটিউট ফর ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকস রিসার্চ কর্তৃক প্রকাশিত ওই গবেষণায় বিশ্ব ব্যাংকের দরিদ্র সীমার বিভিন্ন শর্ত আমলে নেয়া হয়েছে। গবেষণাটিতে দৈনিক ১.৯০ ডলার থেকে ৫.৫০ ডলারের নিচে যাদের আয় তাদেরকে অতি দরিদ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই করোনা মহামারিতে পরিস্থিতি খুব বাজে হলে ২০ শতাংশ মাথা পিছু আয় কমিয়ে দেখা গেছে যে বিশ্বের ১১২ কোটি মানুষ চরম দারিদ্রতার মুখে পড়তে পারেন। এই একই পন্থা অবলম্বন করে আরো দেখা গেছে মাথা পিছু আয় কমে গেলে বিশ্বের প্রায় ৩৭০ কোটি মানুষ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দরিদ্র সীমার নিচে বাস করবে। এই গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য এন্ডি সামনের বলেন, দরিদ্রদের দৈনিক আয়ের ঘাটতি পূরণে সরকারেরা আরো বেশি এবং দ্রুত কাজ না করলে বিশ্বের চরম দারিদ্রতার অবস্থা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1506184481.jpg
SumonIslam
2020-07-05, 06:12 PM
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে বিশ্বজুড়ে সীমান্ত বন্ধের পাশাপাশি গৃহীত বিধিনিষেধের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে বিশ্বব্যাপী। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, কভিড-১৯ মহামারীর কারণে অর্থনীতির ওপর ‘নজিরবিহীন ও দীর্ঘস্থায়ী’ প্রভাব পড়বে। সংস্থাটি আরো বলেছে, বৈশ্বিক মন্দা ৬ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এই সংস্থাটি মনে করছে, মহামারী নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে বৈশিক মন্দা ৬ শতাংশ হবে, আর যদি দ্বিতীয়বারের মতো করোনাভাইরাস হানা দেয় তবে মন্দা পৌঁছতে পারে ৭ দশমিক ৬ শতাংশে। বুন বলেন, ‘উভয় পরিস্থিতিতেই অর্থনীতি ও মানুষের জীবনমানের ওপর ধাক্কাটা হবে নজিরবিহীন এবং প্রভাব হবে দীর্ঘস্থায়ী।
11497
SaifulRahman
2020-08-06, 01:52 PM
বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির ওপর কভিড-১৯ যে চাপ তৈরি করেছে, সরাসরিই তার প্রভাব পড়েছে কর্মসংস্থানে। বৈশ্বিক জায়ান্টগুলোও কর্মীবাহিনী ছোট করে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে তা বাস্তবায়ন করেছে। বাংলাদেশে মার্চের শুরুতে প্রথম কভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পরবর্তী মাসগুলোতে সংক্রমণ রোধের নানা পদক্ষেপে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সংকোচন ঘটেছে। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস পেয়েছে। উল্টো বিদ্যমান কর্মীসংখ্যাই কমিয়ে এনেছে দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানই। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত এপ্রিলে কর্মসংস্থানের বিজ্ঞাপন কমেছে ৮০ শতাংশের বেশি। খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও আগের তুলনায় তা এখনো ৭০ শতাংশের মতো কম।
http://forex-bangla.com/customavatars/1519213082.jpg
DhakaFX
2020-08-17, 02:47 PM
করোনাভাইরাসের প্রভাবে কাবু গোটা বিশ্বের অর্থনীতি। তবে লকডাউন শিথিল করায় বিনিয়োগ বাড়তে শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে পুঁজিবাজারগুলোতে করোনাভাইরাসের প্রভাবে কাবু গোটা বিশ্বের অর্থনীতি। তবে লকডাউন শিথিল করায় বিনিয়োগ বাড়তে শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে পুঁজিবাজারগুলোতে
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি যেভাবে স্থবির হয়ে পড়েছিল, তা একটু একটু করে কাটতে শুরু করেছে। যদিও সব দেশ সেই অর্থে করোনার প্রকোপমুক্ত হয়নি। অনেক দেশে ফের জোরালো হচ্ছে করোনার হানা। গত মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকেই অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব পড়তে শুরু করে। সবকিছু বন্ধ থাকায় কমতে থাকে মানুষের আয়। প্রথমদিকে মধ্যবিত্তের ওপর তেমন প্রভাব না পড়লেও সংকট দীর্ঘায়িত হওয়ায় এখন তারা গভীর সংকটে। এখানে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হলেও অর্থনীতির সবগুলো ক্ষেত্র খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে এখনও ঢের সময় বাকি। এ অবস্থায় দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ থেকেই যাচ্ছে। আর সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে আছে মধ্যবিত্ত। চাকরিচ্যুত ও কর্মহীন হওয়া বেকারের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি কর্মসংস্থানও কমেছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর ভবিষ্যৎ সংকটময়।
Rassel Vuiya
2020-09-15, 02:54 PM
করোনা মহামারী এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নকে মহাসঙ্কটের দিকে ঠেলে দেবে বলে আশঙ্কা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবি বলছে, ছয় দশকের মধ্যে সর্বাধিক আঞ্চলিক অধোগতি দেখবে ‘উন্নয়নশীল এশিয়া’ খ্যাত এ অঞ্চলের ৪৫ দেশ। চলতি ২০২০ সালে এই অঞ্চলের অর্থনীতি দশমিক ৭ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে সংস্থাটি। তবে ২০২১ সালে এই অঞ্চলের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি আগের ধারায় ফিরে আসবে এবং পরের বছর ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হারে বাড়বে বলেও উল্লেখ করেছে এডিবি। আজ মঙ্গলবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০২০ এর হালনাগাদ প্রতিবেদন করেছে এডিবি। সেই প্রতিবেদনে এশিয়ার অঞ্চলের অর্থনীতি সম্পর্কে এমন পর্যবেক্ষণই দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে এশিয়া অঞ্চলের পূর্বাভাসকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে বলা হয়েছে। এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়াসুয়ুকি সাউয়াদা এক বিবৃতিতে বলেন, এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ দেশের অর্থনীতি চলতি বছরের বাকি সময় বেশ ভুগবে। এডিবির এই ভবিষ্যদ্বাণী অবশ্য নতুন কোনো শঙ্কার কথা বলছে না। চলতি বছরের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) একই ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল।
12227
Rassel Vuiya
2020-09-30, 05:10 PM
বিশ্বজুড়ে করোনার দ্বিতীয় দফার সংক্রমন উদ্বেগজনক রূপ নিয়েছে। ইউরোপ থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া সব খানেই নতুন করে বিশেষ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সময়সীমায়। এমন অবস্থায় মাত্র ৫ ডলার বা ৪০০ টাকায় করোনা পরীক্ষার কিট সরবরাহের কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা। স্বল্প মূল্যের এই কিট নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোকে দেয়া হবে।
SaifulRahman
2020-10-21, 05:45 PM
করোনা মেকাবেলায় লকডাউনের কারনে বর্তমানে পৃথিবীর সর্বত্র শেয়ার বাজার বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছেন যে করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি হলে ইউরোপের সরকার তাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম আবার বন্ধ করতে বাধ্য করবে। ইউরোপে প্রতিদিন প্রায় 100,000 নতুন মানুষ করোনভাইরাসতে আক্রান্ত হচ্ছেন। যুক্তরাজ্যে প্রায় 20 হাজার নতুন রোগী রয়েছে। ফ্রান্স জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিছু দেশ, যেমন জার্মানি, ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন এবং অন্যান্য অঞ্চলে, ইতিমধ্যে সীমাবদ্ধ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হয়েছে। বার, রেস্তোঁরা এবং অন্যান্য সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সংক্রমণের বিস্তার বন্ধ করতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, দেশগুলো কোয়ারেন্টাইনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার তেলের মুল্য কিছুটা কমেছে। wti ক্রুডের ফিউচার 0.6% কমে ব্যারেল প্রতি $40.80 লেনদেন হয়েছে। ব্রেন্টও 0.6% হারিয়ে $43.06 স্থায়ী হয়েছে। আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট বলেছে যে মার্কিন অপরিশোধিত তেল এক সপ্তাহে 5.4 মিলিয়ন কমেছে, যা বিশ্লেষকরা প্রত্যাশা করেছিলেন এর দ্বিগুণ। সোনার ফিউচারগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে এবং আউন্স প্রতি $1,907.50 ডলারে লেনদেন হয়েছে, যখন ইউরো / মার্কিন ডলার 0.1% কমে 1.1740 এ পৌঁছেছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সূচকগুলোও মহামারীর কারণে নেতিবাচক গতিশীলতা দেখাচ্ছে। অধিকন্তু, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির ফলে নেতিবাচক নেতিবাচক মনোভাব বেড়েছে। সাংহাই কম্পোজিট 0.08% এবং শেনজেন কম্পোনেন্ট 0.14% হ্রাস পেয়েছে। তবে চীনে ভোক্তা মূল্য সূচক সেপ্টেম্বরে 1.7% বেড়েছে। উৎপাদক মূল্য সূচক বার্ষিক ভিত্তিতে 2.1% কমেছে, আগস্টে 1.8% হ্রাস এবং 2% হ্রাসের পূর্বাভাসকে পিছনে ফেলে। জাপানি নিকেকেই 225 হ্রাস পেয়েছে 0.69%, অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার kospi 0.83% কমেছে। হংকং হ্যাং সেনং সূচকও হ্রাস পেয়েছে 1.15%। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে শীঘ্রই বাজারে বিক্রয়-বন্ধ শুরু হতে পারে কারণ মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে নতুন উদ্দীপনা ব্যবস্থা গ্রহণের সম্ভাবনা নেই। এই বিষয়ে আলোচনাটি অচলাবস্থায় শেষ হয়েছে। অন্য কথায়, বিশ্বের অর্থনীতির দ্রুত পুনরুদ্ধারের আশা করার কোনও কারন নেই, এতে যুক্ত করার মত কোন বিষয় নেই।
786.ariful.islam.bd
2020-10-26, 11:56 AM
কোবিড -১৯ এর প্রভাবের কারণে যুক্তরাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ব্র্রেসিতের আর একটি উদ্বেগ হ'ল এটি বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে a যদি কোনও NEGOTIATIONS হয় আমার অর্থ ইউকে এবং ইইউর মধ্যে ট্রেড ডিল ঘটে যা কিছুটা সময়ের জন্য জিবিপি এবং ইউরো হয়ে উঠবে তবে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব জিবিপিকে আরও বাধাগ্রস্ত করবে। দ্বিতীয় শর্ত যদি না ডিল ব্রেক্সিট ঘটে তবে জিবিপি মারাত্মকভাবে হ্রাস পাবে এবং জিবিপি / ইউএসডি আবার 1.1400 স্তরে পৌঁছতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদী আক্রমণাত্মক পদ্ধতিতে আরও হ্রাস পাবে।
Montu Zaman
2020-11-12, 06:34 PM
মঙ্গলবার সম্ভাব্য আসন্ন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিবন্ধনের খবরে তিনটি প্রধান মার্কিন সূচক রেকর্ড উচ্চতায় যাওয়ার পরে মার্কিন শেয়ার বাজারগুলি মঙ্গলবার মিশ্র পরিবর্তনের সাথে শেষ হয়েছে। জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক এবং আমেরিকান ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ফাইজার তাদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল সফলভাবে তৃতীয় পর্বের ঘোষণা করেছে, সেই সময় ড্রাগটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে 90% এর বেশি কার্যকারিতা দেখিয়েছিল। নির্মাতারা এই মাসে ভ্যাকসিনটি নিবন্ধন করার পরিকল্পনা করেছেন।এই ধরনের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সংবাদ অবিলম্বে শেয়ার বাজারগুলিকে উচ্চাভিলাষী করেছিল এবং এর মধ্যে সর্বাধিক সক্রিয় ছিল মার্কিন স্টক সূচক, যার জন্য সোমবার অন্তহীন রেকর্ডের দিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যাইহোক, পরের দিন বাজারে উত্তেজনা হ্রাস পেয়েছে, তবে এখনও যারা এটি ধরে রেখেছেন তারা ব্যবসায়ের দিন শেষে মিশ্র পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছেন। দ্য জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ 262.95 পয়েন্ট (0.9%) বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে, এবং 29420.92 এর মান পর্যন্ত পৌঁছেছে, এটি চক্রাকার স্টকগুলির জন্য হয়েছে, যা বিশেষত অর্থনীতির সাথে সংবেদনশীল। এটি সমস্ত ডিজেআইএর ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্তর ছিল। সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি লাভ করেছে বোয়িং, শেভরন এবং 3এম। এস অ্যান্ড পি 500 সূচক হিসাবে, স্টকগুলি ব্যবহারিকভাবে পূর্ববর্তী মান থেকে পৃথক হয় নি, কেবলমাত্র 4.97 পয়েন্ট (0.1%) হ্রাস পেয়ে 3545.53 এর মূল্যে ক্লোজ হয়েছে। নাসডাক কম্পোজিট সূচকটিও 159.53 পয়েন্ট (1.4%) কমেছে এবং 11553.86 এর মান দিয়ে শেষ হয়েছে। এটি ২০২০ জুড়ে স্টক এক্সচেঞ্জগুলিতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে উস্কে দিয়ে বড় বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলির শেয়ার মূল্যের দাম হ্রাসের (যা টানা দ্বিতীয় সেশনে চলবে) এর পটভূমির বিপরীতে এসেছিল। সোমবার ডিজেআইএ এবং এসএন্ডপি ৫০০-এ পরিবর্তনগুলি সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল, কারণ উভয়ই সোমবার পর্যায়ে রেকর্ডে উঠেছিল, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত কোভিড -১৯ টি ভ্যাকসিন সম্পর্কিত ফাইজার এবং বায়োএনটেকের প্রত্যাশিত ঘোষণার জন্য হয়েছে। এই সংবাদটি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত ছিল। সুতরাং করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ বিমান সংস্থা, আঞ্চলিক ব্যাংক, খুচরা চেইন এবং অন্যান্য কর্পোরেশনগুলিতে শেয়ার কেনার জন্য অনেকে আবার শুরু করতে উত্সাহিত হয়েছিল। অনেকে বিশ্বাস শুরু করছেন যে শিগগিরই অনেক সংস্থার অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করবে। যাইহোক, শেয়ার বাজারে একটি চিত্তাকর্ষক বৃদ্ধি আছে, এমনকি করোনাভাইরাস মহামারী দিনের পর দিন আমাদের প্রতিদিনের ঘটনাগুলির জন্য নতুন রেকর্ড সহ চমকে দেয়। ফাইজারের অগ্রগতি অবশ্যই দুর্দান্ত, তবে বাজার দেখে মনে হচ্ছিল প্রবণতা রাতারাতি পাল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এক্ষেত্রে অনেক বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে গ্রোথ স্টক থেকে মান স্টকগুলিতে কাঠামোগত রূপান্তর করা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে এবং এর পরিণতি নির্মূল করতে অনেক সময় লাগবে। বাজারের অস্থিরতা বহাল থাকবে বলে আশা করা যায়। জনসংখ্যা ও অর্থনীতিকে সহায়তার জন্য সরকার অতিরিক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তার পরিবর্তে উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে, যার অর্থ বর্তমান বর্ধিত সরকারী ব্যয় শেষ নয়। একই সময়ে, ভ্যাকসিন সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সংবাদ এবং মার্কিন অর্থনীতির সক্রিয় পুনরুদ্ধার মার্কিন আইন প্রণেতাদের মধ্যে বিশেষত আরেকটি আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন সম্পর্কে সন্দেহ সৃষ্টি করতে পারে। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিন রিপাবলিকানদের জন্য উদ্দীপনা প্যাকেজটি বিলম্ব করতে বা কমাতে একটি শক্তিশালী যুক্তি হতে পারে। তবে বিশ্লেষকরা পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী যে ব্যর্থতা ছাড়াই কিছু সমর্থন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে বিমান সংস্থাগুলিতে সহায়তা এবং অন্যান্য লক্ষ্যযুক্ত ব্যবস্থা, যা মার্কিন সিনেট মিচ ম্যাককনেল এর আগে বলেছিলেন। http://forex-bangla.com/customavatars/40049240.jpg
Tofazzal Mia
2020-11-22, 06:06 PM
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর ঋণের পরিমাণ হয়ে পড়েছে আকাশচুম্বী এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ক্রমাগতই সতর্কঘণ্টা বাজিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রখ্যাত বৈশ্বিক অর্থনীতি বিশ্লেষক নিক ডিয়ারডেন বলছেন, ঋণ স্বস্তি ও ভোগান্তি লাঘবে খুব কমই ভূমিকা রাখবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পৃথিবীর ঋণ বিতরণ পদ্ধতিকেই বদলানো প্রয়োজন। ‘সবচে’ খারাপ এ সময়ে ঋণদাতারা যতক্ষণ পর্যন্ত চুক্তি মোতাবেক ‘যৌক্তিক দাবি’ অব্যাহত রাখবে ততক্ষণ পর্যন্ত বাধ্যতামূলকভাবেই দরিদ্রতম ও একেবারে সর্বস্বান্ত দেশগুলোকে তাদের সরকারের নেওয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধ করে যেতে হবে। বর্তমান যুগে এটি ‘দেনাদারদের বন্দিশালার সমতুল্য’—এই কথাগুলো কোনো ঋণ প্রচারকের নয়, অতিসম্প্রতি উচ্চারিত হয়েছে স্বয়ং বিশ্ব ব্যাংকের সভাপতি ডেভিড ম্যালপাসের মুখ থেকে। আর তারও আগে আইএমএফ প্রধান আহ্বান জানান আন্তর্জাতিক ঋণ স্থাপত্য সংস্কারের। উভয়ের বাণীই বড় কিছু ঘটার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1806580534.jpg
DhakaFX
2020-11-24, 03:06 PM
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে। যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিলে বৃহদায়তনে পরিচালিত পরীক্ষণ কার্যক্রমে পাওয়া ফলাফলের ভিত্তিতে গতকাল এ তথ্য জানানো হয়। এর মধ্য দিয়ে করোনা মহামারী প্রতিরোধে ফাইজার ও মডার্নার পর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনটিও বাজারে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা প্রতিষেধকের তালিকায় যুক্ত হলো। এখন প্রয়োজন শুধু দরকারি অনুমোদনের। এদিকে এক সপ্তাহের মধ্যে পরপর তিনটি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার সুখবর প্রকাশে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন বৈশ্বিক আর্থিক ও বিনিয়োগ খাতসংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে ইউরোপীয় ও মার্কিন পুঁজিবাজারে সুখবরগুলোর স্পষ্ট প্রভাব দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের সফলতার খবরে আটলান্টিকের দুই পারের সব পুঁজিবাজারেই গতকাল বড় উল্লম্ফন দেখা গিয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1930451509.jpg
Montu Zaman
2020-12-24, 02:10 PM
যুক্তরাজ্যে নভেল করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি শনাক্তের পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। একের পর এক দেশ থেকে আসছে ব্রিটিশ ফ্লাইট নিষিদ্ধের ঘোষণা। এর প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতেও। ইউরোপের বেশির ভাগ দেশ তো বটেই, যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারেও দেখা দিয়েছে শ্লথগতি। যুক্তরাজ্যের ওপর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় ধস নেমেছে ব্রিটিশ উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর শেয়ারে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের মালিক আইএজির দর কমেছে এক ধাক্কায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। ইজি জেটের অবস্থা আরো খারাপ। তাদের শেয়ারের সূচক নেমেছে ৯ শতাংশের নিচে। উড়োজাহাজের ইঞ্জিন প্রস্তুতকারী রোলস-রয়েসের শেয়ারেও দেখা গেছে বাজে অবস্থা। তাদের সূচক কমেছে অন্তত ৮ শতাংশ। স্বস্তিতে নেই ইউরোপের প্রতিষ্ঠানগুলোও। এয়ার ফ্রান্স-কেএলএমের শেয়ারের সূচক কমেছে ৫ শতাংশ। একই পরিমাণ ধস বিমান নির্মাতা এয়ারবাসের।
শুধু শেয়ারবাজারেই নয়, নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে যুক্তরাজ্যের মুদ্রার মানেও। ইউরোর বিপরীতে এরই মধ্যে ১ শতাংশ কমেছে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মান, মার্কিন ডলারের বিপরীতে তা কমেছে অন্তত ১ দশমিক ৪ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা মহামারীর আঘাত সামলে ২০২১ সালে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে যে গতি আশা করা হচ্ছিল, ভাইরাসের নয়া রূপে সেই সম্ভাবনা মিলিয়ে যেতে বসেছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/34367179.jpg
DhakaFX
2020-12-31, 12:34 PM
নতুন করোনাভাইরাস পরিবর্তনশীল: এটি বিশ্ব অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে পারে। সম্প্রতি, এটি যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত একটি নতুন স্ট্রেন সম্পর্কে পরিচিতি পেয়েছে, যা আরও সংক্রামক এবং দ্রুত প্রসারিত। দেশগুলো কঠোর পৃথক কোয়ারেন্টাইন পুনরায় শুরু করছে এবং সম্প্রতি খোলা সীমানা বন্ধ করে দিয়েছে। মানুষ এ জাতীয় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছে। তারা দারিদ্র্যসীমার নীচে পড়তে ভয় পান, এবং উদ্যোক্তারা দেউলিয়া হওয়ার ভয় পান। অর্থনীতিবিদরা বিশ্বাস করেন যে খুব শীঘ্রই বিশ্ব অর্থনীতির পতন ঘটতে পারে। যদি দেশগুলো কঠিন কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা অব্যহত রাখে তবে জিডিপির হ্রাস 10% এ তীব্র হবে। পুনরাবৃত্তি পৃথকীকরণ অবশেষে পুরো ছোট ব্যবসায়কে বন্ধ করে দিতে পারে। পরিষেবা শিল্প, হোটেল ব্যবসা, পর্যটন এবং রেস্তোঁরা সেক্টরগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং এখন তারা অব্যহত থাকার চেষ্টা করছেন। আসল বিষয়টি হল এই সংগঠনগুলোকে নতুন বছরের ছুটিতে কাজ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ইসিবিকে আবারও ইউরোপীয়দের সহায়তার জন্য কোটি কোটি ইউরো বরাদ্দ করতে হবে। যাইহোক, ইইউ সম্প্রতি €1.8 ট্রিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক উদ্দীপনা প্যাকেজে সম্মত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, ধারণা করা হচ্ছে যে এই অর্থ মহামারীটি প্রথম তরঙ্গ থেকে পুনরুদ্ধার করতে ব্যবহৃত হবে। তবে এটি স্পষ্ট যে দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় অর্থনীতির গভীর অবনতি থেকে বাঁচাতে এই পরিমাণ অর্থ ব্যবহৃত হবে। বিশেষজ্ঞরা এড়িয়ে যাচ্ছেন না যে মার্কিন যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাজ্যের উদাহরণ অনুসরণ করে, পরের বছর সহায়তা ব্যবস্থা গ্রহণের কর্মসূচি প্রসারিত করবে। তারা আরও উল্লেখ করেছে যে একটি নতুন এন্টি-ক্রাইসিস প্যাকেজ প্রবর্তন নির্ভর করবে টিকার কার্যকারিতা এবং করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনগুলোর অনুপস্থিতি বা উপস্থিতির উপর। ব্রিটেন সঙ্কটের কিনারায় যুক্তরাজ্যে অন্যান্য অঞ্চলে ভ্রমণ নিষিদ্ধ, কারণ দেশে মহামারী সংক্রান্ত পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে অজানা ধরণের ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া এমন দেশকে বন্ধ করে দেওয়া একটি ভাল সিদ্ধান্ত। তবে, অন্যদিকে, পরিণতিগুলো ক্ষতিকারক: ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, পাউন্ড স্টার্লিংকে দুর্বল করা এবং কিছু ছোট ব্যবসা বন্ধ করা। জনসংখ্যা ও ছোট ব্যবসায় সহায়তার একটি প্যাকেজ যুক্তরাজ্য সরকারকে পুনরায় অনুমোদন করতে হবে। মোট পরিমাণ 50 বিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছতে পারে, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অর্থনীতিতে জিডিপির 8-10% পর্যন্ত হ্রাস করা যেতে পারে। এছাড়াও, 2021 সালের 1 জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্য ইইউ ত্যাগ করবে এবং পূর্ণ রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাবে। অবশ্যই, এটি অর্থনীতিতে আরও বেশি ক্ষতি সাধন করবে। দেশের অনেক কারখানা ইইউর বাজারগুলোতে বিনামূল্যে প্রবেশের দিকে মনোনিবেশ করেছে। এখন, লকডাউনের পাশাপাশি রসদ, পরিষেবা এবং উত্পাদন অচল করে দেওয়া হবে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে গ্রেট ব্রিটেন একটি সঙ্কটে প্রবেশ করছে। দেশটির সরকার ইতিমধ্যে সুপারমার্কেটগুলো ে খাদ্য মজুদ করার পরামর্শ দিয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/740971132.jpg
DhakaFX
2021-01-14, 03:31 PM
জেপি মরগান চেজ অ্যান্ড কোং এর বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে করোন ভাইরাস সংক্রমণের কারণে নতুন লকডাউনের মধ্যে ইউরোজোন অর্থনীতি আবার মন্দায় ডুবে যেতে পারে। এছাড়াও, আশঙ্কা রয়েছে যে যুক্তরাজ্যের মাধ্যমে ভাইরাসের নতুন একটি চাপ ছড়িয়ে পড়ার ফলে ভয়াবহ পরিণতি ঘটতে পারে। অধিকন্তু, ব্র্যাকক্সিটের কারণে ভ্যাকসিনের বিলম্ব এবং ট্রেডিং এর ব্যাঘাত কেবল পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে। সম্ভবত যুক্তরাজ্যের জিডিপিতে হ্রাস ২০২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অব্যাহত থাকবে। অন্য কথায়, অর্থনীতি ২০২০ এর প্রথম দিকে মন্দার পুনরাবৃত্তি করতে পারে, তবে সম্ভবত এটি কম তীব্র হবে। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন যে ইউরোজেনে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বেড়েছে, তবে এক বছর আগের তুলনায় অনেক কম রয়েছে। কোয়ারেন্টাইন এবং ভ্যাকসিনগুলোর ধীরে বিতরণ করার কারণে সহায়তা করছে না, এবং দীর্ঘায়িত বিধিনিষেধ একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পূর্বে বিশ্লেষকরা ইউরোজোন অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি 1.3% দ্বারা পূর্বাভাস করেছিল এবং সীমাবদ্ধতার সময়কালের পূর্বাভাসকে বিবেচনা করে এখন তারা 4% হ্রাস অনুমান করে। জেপি মরগান অনুসারে, 2020 সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে অর্থনীতি প্রায় 9% সঙ্কুচিত হয়েছে। এর ভিত্তিতে, কোম্পানিটি এই বছরের প্রথম প্রান্তিকে 2% প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের তুলনায় 1% হ্রাসের পূর্বাভাস দিচ্ছে। কিছু বিশ্লেষক আত্মবিশ্বাসী যে 2023 সাল পর্যন্ত অর্থনীতি প্রাক-করোনভাইরাস লেভেলে ফিরে আসবে না। বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে পুনরুদ্ধারটি 2021 সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শুরু হবে। একবার প্রতিবন্ধকতা হ্রাস করা এবং ভ্যাকসিনের প্রসারণের মাধ্যমে মৃত্যুর হার হ্রাস পাওয়ার পরে, কমপক্ষে প্রাথমিকভাবে তীব্র প্রত্যাবর্তন হতে পারে আশঙ্কা রয়েছে যে গ্রাহকরা তাদের সঞ্চয়পত্র ব্যয় করা শুরু করবেন যা মুদ্রাস্ফীতিতে বাড়তে পারে। বছরের দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যে, সরকারের পদক্ষেপগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করবে। আশা করা হচ্ছে যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনীতিকে সহায়তা করতে 1.8 ট্রিলিয়ন ইউরো ($ 2.2 ট্রিলিয়ন) বরাদ্দ করা হবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1923872261.jpg
Bossking
2021-01-23, 07:10 PM
কোভিডের কারণে চীনা অর্থনীতি আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে উঠছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) কোভিড পরিস্থিতিকে বিশ্বব্যাপী সঙ্কট হিসাবে ঘোষণা করেছে। এরপরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, বাংলাদেশ এবং মঙ্গোলিয়ার বাসিন্দারা চীনে তাদের চলাচল স্থগিত করেছে এবং তাদের বাসিন্দাদের পুনরায় দাবি আদায় শুরু করেছে। তারপরে, গ্রহের চারপাশের কয়েকটি দেশ কোভিড দূষণকে বন্যার জন্য চীনা বাসিন্দাদের জন্য উপস্থিত-উপস্থিতি ভিসা অফিসগুলি সংক্ষেপে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চীন সরকার বয়কটের নিন্দা করেছে।
BDFOREX TRADER
2021-03-04, 04:11 PM
করোনা মহামারীর প্রভাবে গত বছর ইতালির সরকারি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ২০ শতাংশের বেশি। গত বছর ইতালির মোট সরকারি ঋণ ছিল জিডিপির ১৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০১৯ সালে ছিল ১৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইসট্যাট বলছে, ২০২০ সালে ইতালির সরকারি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৫৭ ট্রিলিয়ন ইউরো, যা ২০১৯ সালে ছিল ২ দশমিক ৪১ ট্রিলিয়ন ইউরো। গতকাল ইসট্যাট কর্তৃক প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির একটি অস্থায়ী পরিসংখ্যান মতে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইতালির ভোক্তামূল্য আগের মাসের তুলনায় শূন্য দশমিক ১ শতাংশ ও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। করোনার প্রভাবে গত বছর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল ইউরোজোনের জিডিপি ৮ দশমিক ৯ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের করোনা পুনরুদ্ধার তহবিল থেকে ইতালিকে ২০ হাজার কোটি ইউরো সহায়তা দেয়ার কথা রয়েছে। এই সহায়তাকে পুঁজি করে অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার আশা করছে দেশটি।
http://forex-bangla.com/customavatars/1621416615.jpg
SaifulRahman
2021-03-07, 05:18 PM
মহামারীর ধাক্কা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শিগগিরই সীমান্ত চালুর কথা ভাবছে সিঙ্গাপুর। কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এশিয়ার ব্যস্ততম বিমানবন্দর চাঙ্গি এয়ারপোর্ট চালু করা যায়, সেটাও ভেবে দেখছে তারা। গত শুক্রবার সিঙ্গাপুর পার্লামেন্টে পরিবহনমন্ত্রী অং ইয়ে কুং জানান, এভিয়েশন খাত রাতারাতি ঘুরে দাঁড়াবে এমনটা আশা করছি না। কিন্তু নতুন স্বাভাবিক পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে, নিরাপদভাবে চালুর মাধ্যমে গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা জাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা। কভিড-১৯ উত্তর পৃথিবীতেও আন্তর্জাতিক এয়ার হাব হওয়ার সব সুযোগ রয়েছে চাঙ্গির। এভিয়েশন শিল্প ও ভ্রমণ খাত চাঙ্গায় ট্রাভেল বাবলের মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে সিঙ্গাপুর। অং ইয়ে কুং জানান, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস কিংবা চাঙ্গি এয়ারপোর্ট যদি আগের পর্যায়ে ফিরে না আসে তাহলে সিঙ্গাপুরের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হবে না। মহামারীতে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এশিয়ার প্রাণকেন্দ্র সিঙ্গাপুরের এভিয়েশন খাতও বিপর্যস্ত হয়েছে। গত বছর চাঙ্গি বিমানবন্দরে মাত্র ১ কোটি ১৮ লাখ যাত্রী এসেছে। ২০১৯ সালে যেখানে ছয় কোটি যাত্রী গ্রহণ করেছিল তারা।
http://forex-bangla.com/customavatars/1647538812.jpg
BDFOREX TRADER
2021-03-31, 02:43 PM
কভিড-১৯ মহামারীতে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বৈষম্য দেখা দিয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জারি করা বিধিনিষেধে অর্থনৈতিক কার্যক্রম থমকে গেলও অতিধনীদের সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ। যুক্তরাষ্ট্রের অতিধনীরা রিবাউন্ডিং স্টক ও আবাসন খাতের মতো উচ্চ উপার্জনের খাতগুলোয় ঝুঁকে পড়ায় তাদের সম্পদ বেড়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ থেকে পারিবারিক সম্পদের ওপর সর্বশেষ প্রান্তিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২০ সালে অতিধনী ১ শতাংশ পরিবারের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ তারা দেশজুড়ে বৃদ্ধি পাওয়া সম্পদের প্রায় ৩৫ শতাংশ দখল করেছে। যেখানে দরিদ্র অর্ধেক মানুষ সামগ্রিক বৃদ্ধি পাওয়া সম্পদের মাত্র ৪ শতাংশের মালিকানায় ছিল।
http://forex-bangla.com/customavatars/1045942227.jpg
OishyFX
2021-04-14, 04:42 PM
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় চীনের দিকে তাকিয়ে আছেন বৈশ্বিক নীতিনির্ধারকরা। ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক কর্মপরিকল্পনা ও নীতির বিষয়ে দেশটির পরবর্তী পদক্ষেপের মুখাপেক্ষী হয়ে রয়েছে বিশ্বের বহু কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও দেশ। করোনাভাইরাসের কারণে আন্তর্জাতিক রুটে ৩০ ভাগের মত যাত্রী পরিবহন কমে গেছে। এয়ারলাইন্সগুলোর হিসেবে পর্যটন মৌসুম হওয়া সত্ত্বেও ব্যাংকক, কাঠমান্ডু ও দিল্লী রুটে যাত্রী সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকে। বড় আকারের ধাক্কা লেগেছে কার্গো বিমানে পণ্য ও কাঁচামাল আমদানিতে। এছাড়াও অ্যাপলের আইফোন সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান বা অ্যাসেম্বলার ফক্সকন ও পেগাত্রন মধ্য জানুয়ারি থেকে বন্ধ রয়েছে। আগামী মার্চ পর্যন্ত বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীন থেকে স্মার্টফোনের সরবরাহ ৪০ লাখ কমবে। মিকি অ্যান্ড মিনি মাউসসহ চীনে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব থিম পার্ক রয়েছে, সেগুলোও এখন বিরান পড়ে আছে। থিম পার্ক বন্ধ রাখার কারণে তাদের পরিচালন আয় ২৮ কোটি মার্কিন ডলারের মতো কমতে পারে।
Montu Zaman
2021-06-03, 10:25 AM
বিশ্বজুড়ে চলছে কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম। কভিডজনিত বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় স্বাভাবিক হচ্ছে ব্যবসায়িক কার্যক্রম। জীবনযাপন অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় তীব্র চাহিদার মুখোমুখি হয়েছে উৎপাদন খাত। এটি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরো অঞ্চলের কারখানাগুলোয় চাহিদাকে নতুন উচ্চতায় ঠেলে দিয়েছে। উৎপাদন খাতে মে মাসের রেকর্ড এপ্রিলের বৃদ্ধিকেও ছাড়িয়ে গেছে। আর এটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে গতিশীল করে তুলেছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারগুলো নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় উপাদান ও কাঁচামাল সরবরাহ কম হওয়ায় আগামী মাসগুলোয় উৎপাদন খাতের প্রবৃদ্ধি থমকে যেতে পারে। এছাড়া টিকাদান কার্যক্রমে অসমতার কারণে পুনরুদ্ধার নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। উন্নয়নশীল বিশ্বে দ্রুত টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা না করলে চলতি বছরের শেষ দিকে বৈশ্বিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধারটি ধীর হয়ে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সতর্ক করেছে, ভাইরাসটির রূপান্তরগুলো বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলোয় ছড়িয়ে পড়তে দেয়া হলে বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি খুব সহজেই হ্রাস পেতে পারে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1011847069.jpg
SUROZ Islam
2021-06-24, 01:08 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/756360466.jpg
বিশ্বব্যাপী দ্রুতগতিতে চলছে কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম। বিভিন্ন দেশে ধাপে ধাপে শিথিল করা হচ্ছে কভিডজনিত বিধিনিষেধ। ফলে চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্ব অর্থনীতির বেশির ভাগ সূচকে ঊর্ধ্বগতি দেখা যায়। এর মধ্যেই বিশ্ব অর্থনীতি প্রাক-মহামারীর স্তরকে ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস মার্কিট।ব্যবসায়ে ওপর মাসভিত্তিক জরিপ পরিচালনা করা সংস্থাটি চলতি বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি ৬ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। এমনটা ঘটলে প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধির রেকর্ড সৃষ্টি হবে।এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, বিশ্ব অর্থনীতি ২০২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকে পৌঁছেছে। জিডিপির এ প্রবৃদ্ধি ২০১৯ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে প্রকৃত জিডিপির শীর্ষকে ছাড়িয়ে গেছে।গত বছরের শেষ দিকেই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্থনীতি কভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে এ অঞ্চলের বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের স্থিতিস্থাপকতা বড় ভূমিকা পালন করেছে।আইএইচএস মার্কিটের অর্থনীতিবিদরা অনুমান করেছেন, মে মাসে মার্কিন প্রকৃত জিডিপি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল। তারা পূর্বাভাস দিয়েছেন, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রাক-মহামারীর পর্যায়ে ফিরবে। এছাড়া বছরের শেষ নাগাদ ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হবে।আইএইচএস মার্কিটের বৈশ্বিক অর্থনীতি বিভাগের নির্বাহী পরিচালক সারা জনসন বলেন, কভিড-১৯ মহামারীর বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সম্পূর্ণ হয়েছে। বর্তমানে অর্থনীতি আরো ভালো অবস্থানে যাওয়ার পথে রয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বৈশ্বিক প্রকৃত জিডিপি ১ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। তবে পুরো বছরে প্রবৃদ্ধির হার ৬ থেকে ৭ শতাংশে উন্নীত হবে।২০২১ সালে আইএইচএস মার্কিটের বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস গত এপ্রিলে ঘোষণা দেয়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাসের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে আইএমএফ বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে অসমতার ওপর জোর দিয়েছিল। সংস্থাটি জানিয়েছে, অনেক দেশ ২০২২ কিংবা ২০২৩ সালের আগে প্রাক-মহামারীর পর্যায়ে ফিরবে না।
Mas26
2021-06-29, 11:20 PM
করোনাভাইরাসের হুমকি ঠেকাতে বিদেশে দলগত সফরে চীনের নিষেধাজ্ঞায় বড় আকারের ধাক্কা খেতে পারে থাইল্যান্ডের অর্থনীতি। থাইল্যান্ডের সরকারি উপাত্তে দেখা গেছে, গত বছর থাইল্যান্ডে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছিলেন চীনের হলিডেমেকাররা, যাদের বেশির ভাগই দলগতভাবে সফরে এসেছিলেন। মোট বিদেশী পর্যটকদের এক-চতুর্থাংশই এসেছিলেন চীন থেকে। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের বরাতে জানা গেছে, থাইল্যান্ডের জিডিপিতে ২১ শতাংশ অবদান ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের। খবর ব্লুমবার্গ।থাই মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে এরই মধ্যে দেশটির পর্যটন ও রফতানি বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে। বার্ষিক বাজেটে বিশৃঙ্খলা দেশটির প্রবৃদ্ধির পথে প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখা দিয়েছে।আন্তর্জাত ক ঋণমান নির্ধারণকারী সংস্থা ফিচ রেটিংস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া উহান ভাইরাস নামে পরিচিত করোনাভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব তীব্রভাবে বাড়তে থাকলে এশিয়ার সেবা খাতের কার্যক্রম, বিশেষ করে পর্যটনসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়বে। এশিয়ার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও হংকংয়ের মতো অর্থনীতিগুলো এ ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে।অর্থনীতি চাঙ্গায় কয়েক মাসের ব্যবধানে ১ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার। ২০১৯ সালে পাঁচ বছরের শ্লথগতির প্রবৃদ্ধিতে ছিল দেশটি।অর্থনীতিবি ও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, করোনাভাইরাস দ্রুত সময়ে দুর্বল হয়ে পড়লেও এই লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন হয়ে যাবে।
SumonIslam
2021-06-30, 02:34 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1900442208.jpg
নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের চাহিদা ও সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যেও চলতি বছর খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকবে। এক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। সংস্থাটির ‘ফুড আউটলুক বাইঅ্যানুয়াল রিপোর্টে’ বলা হয়, কভিডকালে খাদ্যপণ্যের বাণিজ্য নতুন উচ্চতায় বৃদ্ধি পায়। এ সময় অন্যান্য পণ্যের তুলনায় কৃষিপণ্যের বাণিজ্য সবচেয়ে বেশি ত্বরান্বিত হয়েছিল। এ বছর চাহিদা ও সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও স্থিতিশীল থাকবে বাণিজ্য। এএফওর প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০২১ সালে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক আমদানি বিল দাঁড়াবে ১ দশমিক ৭২ ট্রিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। সংস্থাটি বলছে, মূল্যবৃদ্ধি খাদ্যপণ্য আমদানিতে উচ্চব্যয়ের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়বে খাদ্যসংকটে থাকা দেশগুলো। আমদানি ব্যয় বাড়লে এসব দেশে খাদ্য সরবরাহ আরো সংকুচিত হতে পারে।
Tofazzal Mia
2021-08-03, 12:28 PM
বছরের শুরুতে কভিড-১৯ মহামারীর বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে পুনরুদ্ধার হচ্ছিল এশীয় অর্থনীতিগুলো। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পণ্যের তুমুল চাহিদা রফতানিনির্ভর এ দেশগুলোকে আশা দেখাচ্ছিল। তবে বছরের মাঝামাঝি এসে বাধার মুখে পড়েছে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া। কাঁচামালের ব্যয় বৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান কভিডের সংক্রমণের মতো বিষয়গুলো গত মাসে এ অঞ্চলের উৎপাদন কার্যক্রমে আঘাত হানে। রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদিও জুলাইয়ে রফতানি পাওয়ারহাউজ খ্যাত জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার উৎপাদন কার্যক্রম বেড়েছে। তবে সংস্থাগুলো সরবরাহ চেইন সংক্রান্ত ব্যাঘাত ও কাঁচামালের ঘাটতিতে ভুগেছে। আর এতে সংস্থাগুলোর ব্যয়ও বেড়ে গেছে। চাহিদা কমে যাওয়ায় এক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জুলাইয়ে চীনের কারখানা কার্যক্রমের প্রবৃদ্ধি দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। অর্থনৈতিক গবেষণা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের সিনিয়র চীনা অর্থনীতিবিদ জুলিয়ান ইভান্স-প্রিচার্ড বলেন, সরবরাহ চেইনে ব্যাঘাত একটি সীমাবদ্ধতা হিসেবে রয়ে গেছে। তবে পিএমআই সূচকে দেখা যায়, চাহিদার পরিমাণও কমছে। পাশাপাশি উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি শিল্প ও নির্মাণ কার্যক্রমকে সংকুচিত করেছে। এদিকে পুনরায় সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং কভিডজনিত বিধিনিষেধের কারণে জুলাইয়ে ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ায় কারখানা কার্যক্রম সংকুচিত হয়েছে। বেসরকারি জরিপের ফলাফলে এমনটা দেখা গেছে।
এ জরিপগুলোতে বিশ্ব অর্থনীতিতে মহামারীজনিত বাধার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। ফলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এশিয়ার চলতি বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে। এইচএসবিসির এশিয়ান ইকোনমিক রিসার্চের সহপ্রধান ফ্রেডরিক নিউম্যান বলেন, আগামী মাসগুলোতে কারখানার কার্যক্রম পুনরুদ্ধার হলেও ঝুঁকি থাকবে। কারণ প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্তের এ প্রভাবগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়। চীনের মার্কিট ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই) জুলাইয়ে ৫০ দশমিক ৩ পয়েন্টে নেমে এসেছে। যেখানে জুনে এ সূচক ছিল ৫১ দশমিক ৩ পয়েন্ট। জুলাইয়ের সূচক গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। উৎপাদন কার্যক্রমে ক্রমবর্ধমান ব্যয় বিশ্বের উৎপাদন হাবে ঝুঁকি তৈরি করেছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/2058923124.jpg
Powered by vBulletin® Version 4.1.9 Copyright © 2025 vBulletin Solutions, Inc. All rights reserved.