PDA

View Full Version : বাংলাদেশে অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব!



SUROZ Islam
2020-02-12, 06:01 PM
10069
চীন থেকে দেশে হাজারো পণ্য আসে। ফলে বাংলাদেশে অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে। এছাড়া চীনা ভাইরাস ইস্যুর কারণে চীনের বাইরে নজর দিচ্ছেন পশ্চিমা পোশাক ক্রেতারা। ফলে বাংলাদেশের টেক্সটাইল পণ্য, পোশাক ও বস্ত্র খাত লাভবান হতে পারে। যদিও চীনে কাঁকড়া রপ্তানি বন্ধ থাকায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে ক্রেতারা বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। জার্মানির ফ্রাংকফুর্টে আয়োজিত অ্যাম্বিয়েন্তে শীর্ষক প্রদর্শনীর দর্শনার্থী-ক্রেতা প্রতিনিধিদের প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এমন প্রত্যাশা জানিয়েছে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো। ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের ৩৪টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে সিরামিক ও পাট খাতের প্রতিষ্ঠানও। তারা বলছে, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত পশ্চিমা ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা। ফলে চীন থেকে পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহ রয়েছে। নির্ভরযোগ্য বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকছেন তারা।

SumonIslam
2020-02-13, 01:10 PM
চীন থেকে শিল্পের কাঁচামাল ও বাণিজ্যিক পণ্য আমদানিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশে। ইতিমধ্যে চীনের বন্দরগুলো থেকে বাংলাদেশমুখী জাহাজে পণ্য পরিবহন কমে যাচ্ছে। কোনো কোনো জাহাজে চীনের পণ্য পরিবহন ৫০ শতাংশে নেমেছে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে নববর্ষের ছুটির আগে চীনের বন্দর থেকে জাহাজে তোলা পণ্যও হাতে পেতে দেরি হচ্ছে। চীন থেকে অন্য বন্দর হয়ে চট্টগ্রামে আসার পথে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার মধ্যে পড়ায় জাহাজ চলাচলের সময়সূচিও ব্যাহত হচ্ছে। চীনে কয়েকটি প্রদেশে গত সোমবার ছুটি শেষ হলেও এখনো বেশির ভাগ কারখানা সচল হয়নি। আবার অনেক কারখানা খুলবে ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির পর। কারখানা সচল হওয়ার পর পোশাকের কাঁচামাল উৎপাদন করে জাহাজীকরণে সময় লাগবে। সরবরাহব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় আগামী কয়েক মাস ভুগবেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা।

BDFOREX TRADER
2020-02-16, 01:56 PM
10094
করোনা ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশে । যোগাযোগ অনেকটা বিচ্ছিন্ন থাকায় বন্দরে আসছে না চীনা পণ্য । যার প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে ।চীনে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা চীন যাচ্ছেন না । যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় চীনের পণ্যও আসতে পারছে না। ফলে আগে যেসব পণ্য ১০০ থেকে ১১০ টাকায় পাওয়া যেতে সেগুলো এখন খুচরা বিক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকায় । আবার যেসব পণ্য ২০০ টাকায় পাওয়া যেতে সেগুলো কিনতে হচ্ছে ২৫০ টাকায় । আর এর প্রভাব পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের উপর।এছাড়াও বাংলাদেশে এর প্রভাবে দাম বেড়েছে মাস্কের। এছাড়া করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের প্রযুক্তি পণ্যেও। মোবাইল হ্যান্ডসেট ছাড়া সবকিছুতেই চরম সংকট শুরু হয়েছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে মোবাইল নেটওয়ার্কে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রধানত চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে ও জেডটিইর ওপর নির্ভরশীল। করোনার প্রভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই চীনা প্রকৌশলীরা কাজে যাচ্ছেন না। ফলে অনেকটা জোড়াতালি দিয়েই চালানো হচ্ছে নেটওয়ার্ক সংস্কারের কাজ। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে বাজারে বড়ো ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে হাসপাতালের চিকিত্সা সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতিও এখন আর আনা যাচ্ছে না।

Rassel Vuiya
2020-02-19, 05:02 PM
বাজারের ৮০ শতাংশ পণ্য আসে চীন থেকে। তবে নভেল করোনাভাইরাসের কারণে দেশে পণ্য সরবরাহে তেমন একটা বিঘ্ন ঘটেনি এখনো। যদিও এরই মধ্যে ব্যবসায়ীদের পণ্যের মজুদ প্রবণতা বেড়েছে। চীনা পণ্যকে কেন্দ্র করে বাজারে উদ্ভব ঘটেছে এক ধরনের ফড়িয়া ব্যবসায়ীর, যাদের কারণে বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ চেইনে তৈরি হয়েছে একধরনের অনিশ্চয়তা। নভেল করোনাভাইরাসের কারণে গোটা বাজারে একটা চাপা আতঙ্ক কাজ করছে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের মনে। কারণ চীন থেকে আসা পণ্যের বিকল্প বাজার খুুঁজতেই অনেক সময় লাগবে। এছাড়া এমন কিছু পণ্য আছে, যেগুলোর ক্ষেত্রে চীনের কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। চীন থেকে আমদানীকৃত পণ্যের মধ্যে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে মসলাপণ্য রসুন ও আদার দাম। এছাড়া চীন থেকে আমদানীকৃত অন্যান্য পণ্যের মধ্যে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, রাসায়নিক, ক্রোকারিজ, ফলমূল ইত্যাদিরও দাম এখন বাড়তির দিকে। চীন থেকে আমদানীকৃত পণ্যের মধ্যে ভারী শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি, গার্মেন্টস শিল্পের অ্যাকসেসরিজসহ কিছু শিল্পপণ্যের সংকট দেখা দিতে পারে। তবে অধিকাংশ চীনা পণ্যের বিকল্প বাজার রয়েছে। : দেশে চীন থেকে মোবাইলের পার্টস আমদানি বন্ধ তিন সপ্তাহ ধরে। এ কারণে মোবাইলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশী কোম্পানিগুলো।

FXBD
2020-02-27, 01:44 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/3683015.jpg
করোনাভাইরাস আতঙ্কে প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের রফতানি বাজারে। দেশে উৎপাদিত ৮৫ শতাংশ কাঁকড়া এবং ৮৭ শতাংশ কুঁচে, চীনে রপ্তানি হতো। চলমান পরিস্থিতিতে আমদানি স্থগিত রেখেছে দেশটি। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চাষি ও ব্যবসায়িরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বিভাগীয় মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, তিন জেলায় কাঁকড়া ও কুঁচে খামারি প্রায় পচিশ হাজার। এই সময়ে দিনে অন্তত ৩৫ মেট্রিকটন কাকড়া আর কুঁচে যায় বিদেশের বাজারে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তিন সপ্তাহ ধরে চালান পাঠানো বন্ধ। এতে কয়েকশ’ টন কাঁকড়া ও কুঁচে অবিক্রিত পড়ে আছে। মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের হিসাবে, চলতি অর্থবছরে কাকড়া ও কুঁচে রফতানি হয়েছে এক হাজার ৮শ কোটি টাকার। ১৮-১৯ অর্থ বছরে যা ছিল তিনশ’ কোটি টাকার ঘরে। মৎস্য অফিস বলছে, চীনে রফতানি বন্ধ থাকায় হংকং, কোরিয়া ও তাইওয়ানের বাজারেও দাম পড়ে গেছে।

Tofazzal Mia
2020-03-09, 01:20 PM
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন জন শনাক্ত হয়েছেন গতকাল রোববার। তারপর থেকে জনমনে আতঙ্ক বেড়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, আতঙ্ক নয়, সতর্ক হতে হবে।আজ সোমবার শেয়ার বাজারে ব্যাপক দরপতন হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য মানুষকে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। যদিও বলা হয়েছে, বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট নেই। যার যার মতো প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে মজুদ করলে সংকট দেখা দেবে ও আতঙ্ক বাড়বে। যা কোনোভাবেই করা উচিত নয়। সচেতন নাগরিক হিসেবে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করা উচিত।বাংলাদেশে শনাক্ত তিন রোগীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। আক্রান্ত দুই জন দুই পরিবারের। তারা ইতালি থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। তাদের মাধ্যমে অপরজন আক্রান্ত হয়েছেন।করোনাভাইর সের সংক্রমণস্থল চীনে প্রাদুর্ভাব কমলেও দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, ইরান, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসটির সংক্রমণ বাড়ছে। অনেক দেশেই প্রথম আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছে।বাংলাদেশ ও চীনসহ বিশ্বের ৯৯টি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

DhakaFX
2020-03-12, 04:48 PM
চীন থেকে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তৈরি পোশাকসহ দেশের অনেক খাত। তৈরি পোশাক খাতের ওভেন পণ্যের ৬০ শতাংশ ফ্যাব্রিক্স চীন থেকে আমদানি করা হয়। নিট পোশাক খাতের কাঁচামালের ১৫-২০ শতাংশের আমদানিও চীন থেকে। নিট ও ডায়িংয়ের কেমিক্যাল এবং অ্যাকসেসরিজের ৮০-৮৫ শতাংশের জোগানদাতা দেশও চীন। বর্তমানে এসব পণ্যের আমদানি ও জাহাজীকরণ বন্ধ আছে।
দেশের প্রক্রিয়াজাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের প্রধান রফতানি বাজার চীন। এ খাতের মোট রফতানির ৬০-৬৫ শতাংশ পণ্যই চীনে রফতানি হয়। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই দেশটিতে এ খাতের সব ধরনের পণ্য রফতানি ও জাহাজীকরণ বন্ধ আছে।
প্রতি মাসে চীন থেকে ২০০ কনটেইনারেরও বেশি কসমেটিক বাংলাদেশে আসে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির দাবি, প্রতি মাসে দেশে প্রায় ৯০ লাখ ডলারের কসমেটিক পণ্য আমদানি হয়। যদিও বর্তমানে এসব পণ্য আমদানি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ আছে।
চীনে প্রতি বছর প্রায় ৮১ হাজার টন পাট রফতানি করে বাংলাদেশ। এ পরিমাণ পাটের বাজারমূল্য প্রায় ৫৩২ কোটি টাকা। বর্তমানে চীনে পাট রফতানি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ আছে।
যদিও করোনার উত্পত্তিস্থল চীনের উহানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। আর পুরো চীনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে দেশের আমদানি পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

Tofazzal Mia
2020-03-15, 04:08 PM
একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশে তৈরি পণ্যের প্রধান রফতানি গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। আবার অঞ্চলভিত্তিক হিসাব করলে বাংলাদেশী পণ্যের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার ইউরোপ। পশ্চিমা এসব দেশের সবই এখন নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারীতে আক্রান্ত। এ পরিস্থিতিতে এমনিতেই নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে থাকা রফতানি খাত আরো বড় সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট রফতানির ১৬ দশমিক ৯৬ শতাংশই হয় যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশটিতে রফতানি হয়েছে ৬৮৭ কোটি ডলারের পণ্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) দেশটিতে রফতানি কমেছে ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। ঋণাত্মক রফতানি প্রবৃদ্ধির মধ্যেই করোনাভাইরাস হানা দিয়েছে বাংলাদেশী পণ্যের সবচেয়ে বড় এ গন্তব্যদেশে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হালনাগাদ তথ্য বলছে, গতকাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে কভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৭৮। পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ডসহ ইউরোপের সবক’টি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের পর বাংলাদেশী পণ্যের দ্বিতীয় বৃহৎ বাজার ইউরোপের দেশ জার্মানি। বাংলাদেশের মোট রফতানির ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ যায় দেশটিতে। যদিও চলতি অর্থবছরের আট মাসে দেশটিতে ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ রফতানি কমেছে। ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশটিতেও ছড়িয়ে পড়েছে নভেল করোনাভাইরাস। গতকাল পর্যন্ত দেশটিতে ৩ হাজার ৬২ জন এ রোগে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করেছে ডব্লিএইচও। করোনা মোকাবেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দেশটিতে। বাতিল করা হয়েছে সব ধরনের ক্রীড়া আসর। চলাচলেও আরোপ করা হয়েছে কড়াকড়ি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন দেশের রফতানিকারকরা।

Montu Zaman
2020-03-18, 02:44 PM
করোনার প্রভাবে প্রথমে কাঁচামাল সরবরাহ সংকটে পড়তে হয়েছিল পোশাক খাতকে। বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চীননির্ভর কাঁচামাল আসতে পারছিল না। পরে ধীরগতিতে হলেও কাঁচামাল সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেও কিন্তু এখন চাহিদা সংকটে পড়েছে পোশাক খাত। পশ্চিমা দেশগুলোর ক্রেতারা অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় চাহিদা কমে বিক্রি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতাদেশ দিচ্ছেন ক্রেতারা। এখন পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল-স্থগিত হয়েছে।

Rassel Vuiya
2020-03-19, 04:26 PM
করোনা প্রাদুর্ভাবের আগে থেকেই নানামুখী সমস্যার মোকাবেলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাকের রফতানি এখন নিম্নমুখী। ঘাটতি কাটাতে পারছে না রাজস্ব খাত। খেলাপি ঋণের চাপ ও তারল্য সংকটের কারণে আর্থিক খাতের দশাও বেহাল। বিদেশী বিনিয়োগও আসছে না কাঙ্ক্ষিত হারে। কৃষি খাতে উৎপাদন বাড়লেও বিপণন ও কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে দুর্বলতা কাটানো যায়নি। ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে রেমিট্যান্সের বৃহত্তম উৎস মধ্যপ্রাচ্য নিয়েও তৈরি হয়েছে বড় ধরনের শঙ্কা। কারণে-অকারণে অস্থির হয়ে উঠছে নিত্যপণ্যের বাজার। এসব সমস্যার মধ্যেই এখন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত আক্রান্তের হার কম হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনার বড় আঘাত এসেছে অনেক আগেই। পুরোপুরি স্থবির হয়ে গেছে দেশের শীর্ষ আমদানি, রফতানি ও রেমিট্যান্সের বাজারগুলো। প্রতিনিয়ত বাতিল হচ্ছে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের রফতানি আদেশ। আগে থেকেই বিপর্যস্ত ছিল পুঁজিবাজার। করোনার অভিঘাতে ক্রমাগত রক্তক্ষরণের ধারাবাহিকতায় এখন তা নির্জীব হয়ে পড়েছে পুরোপুরি।

SUROZ Islam
2020-03-29, 06:13 PM
10435
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশের অর্থনীতি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি খাতে বহুমুখী প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়েছে পোশাক খাত। চীন, ইউরোপ ও আমেরিকানির্ভর আমদানি রপ্তানি কমেছে। চীন থেকে এক মাসের ব্যবধানেই পণ্য আমদানি কমেছে প্রায় সাড়ে ২৬ শতাংশ। বন্ধের পথে চীন, ইউরোপ ও আমেরিকায় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এরইমধ্যে পোশাক খাতে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি রপ্তানি অর্ডার বাতিল হয়েছে।

Montu Zaman
2020-03-30, 02:28 PM
করোনাভাইরাসের কারণে দেশীয় অর্থনীতিতে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তাতে সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে পড়েছে অপ্রাতষ্ঠানিক খাতের ৫ কোটিরও বেশি শ্রমিক। যাদের একটি বড় অংশ এরই মধ্যে কাজ হারিয়েছে। বন্ধ হয়েছে আয়ের পথও। এমন অবস্থায় এই জনগোষ্ঠীর জন্য মাসিক ভিত্তিতে নগদ সহায়তা কার্যক্রম চালুর পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা...

Tofazzal Mia
2020-04-01, 04:08 PM
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে গেছে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস। উত্পত্তি চীনে হলেও বর্তমানে করোনা প্রাদুর্ভাবের বড় ক্ষেত্র হলো বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির প্রধান গন্তব্য ইউরোপ ও আমেরিকা। ওই অঞ্চলগুলো বেশির ভাগই বর্তমানে অবরুদ্ধ ও ভোক্তারা ঘরবন্দি। এ পরিপ্রেক্ষিতেই ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতারা একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে এর মধ্যে বড় কিছু ব্র্যান্ড ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত থেকে সরে এসেছে বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পোশাক খাতের বাতিল-স্থগিত ক্রয়াদেশের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। ১ হাজার ৫৯টি কারখানা বাতিল-স্থগিতের এসব তথ্য জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংগঠন বিজিএমইএকে। তবে ক্রয়াদেশ বাতিল-স্থগিত করা কিছু ক্রেতা তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে আসতে শুরু করেছে। তারা বলছে, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে নতুন কোনো ক্রয়াদেশ না দিলেও এরই মধ্যে দেয়া ক্রয়াদেশের পণ্য তারা আমদানি করবে।
সূত্র জানিয়েছে, প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের বাতিল-স্থগিত হওয়া ক্রয়াদেশের মধ্যে ইউরোপের প্রাইমার্কের মতো বড় ক্রেতাদের পাশাপাশি আছে ছোট ও মাঝারি আকারের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে ইউরোপ ও আমেরিকার কিছু ক্রেতা বলছে, তারা এরই মধ্যে কারখানায় দেয়া ক্রয়াদেশ বাতিল-স্থগিত করবে না। এসব ক্রেতা ব্র্যান্ডের মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্রের পিভিএইচ, টার্গেট। আবার ইউরোপের ক্রেতা ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আছে যুক্তরাজ্যের মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার, স্পেনভিত্তিক ইন্ডিটেক্স, ফ্রান্সের কিয়াবি, সুইডেনের এইচঅ্যান্ডএম।

SaifulRahman
2020-04-06, 05:54 PM
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় নতুন ৪টিসহ মোট ৫টি প্যাকেজে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করা ও মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি এ চারটি কার্যক্রম নিয়ে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব ও উত্তরণের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। কর্মপরিকল্পনার আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় এ টাকা দেওয়া হবে।
10549
করোনা সংকটে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত ক্রয়াদেশ বাতিলের মুখে পড়েছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে আগামী ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিত্যপণ্য ও ওষুধ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের তেমন কোনো ক্রেতা থাকবে না। ১০ এপ্রিল সবকিছু খুলবে কি না, সেটাও এখনই হলফ করে বলা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে ব্যবসা বড় ধরনের সংকটে পড়ে গেছে। এতে বিপাকে বেসরকারি খাতের শ্রমিক–চাকরিজীবী, ছোট ব্যবসায়ী, হকার, রিকশা–অটোরিকশাচা ক ও শ্রমজীবী মানুষেরা। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ুলো যেহেতু এখন ভালো আয় করতে পারবে না, সেহেতু বেতন বিলম্বে হতে পারে। কেউ কেউ বিনা বেতনে বাধ্যতামূলক ছুটির মুখেও পড়তে পারেন। কেউ কেউ চাকরি হারাতে পারেন। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধও হয়ে যেতে পারে।

Tofazzal Mia
2020-04-19, 04:12 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/152623862.jpg
নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে থমকে গিয়েছে পুরো পৃথিবী। স্থবির হয়ে পড়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। মন্দার ঘোর অমানিশার আশঙ্কায় বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব। করোনাপরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় বেশকিছু দেশ এরই মধ্যে প্রণোদনা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো সংকটকালে বাড়তি অর্থ সরবরাহের মাধ্যমে অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার করা। বাংলাদেশেও সাড়ে ৯৫ হাজার কোটি টাকার নানা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এর পাশাপাশি দেশে অপ্রদর্শিত হিসেবে থেকে যাওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থকেও যদি অর্থনীতির মূলধারায় নিয়ে আসা যায়, সেক্ষেত্রে তা আসন্ন অর্থনৈতিক চাপ মোকাবেলায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

SUROZ Islam
2020-04-20, 06:45 PM
10670
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় গত ২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে যে অবরুদ্ধ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ১ লাখ ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি (অনুমিত) হবে। আর অবরুদ্ধ পরিস্থিতি মে মাস পর্যন্ত চললে ক্ষতির পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি হতে পারে। এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে দেশে ক্ষতির পরিমাণ প্রতিদিন ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।গবেষণায় বলা হয়েছে, কৃষির প্রধান উপখাত হলো শস্য উৎপাদন, প্রাণিসম্পদ এবং মৎস্যসম্পদ। স্বল্প মেয়াদে এসব উপখাতে উৎপাদন না কমলেও দেশি ও বিদেশি অর্থনীতি অবরুদ্ধ থাকার ফলে উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্যের ওপর নিম্নমুখী প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এর ফলে অর্থনীতিতে প্রতিদিন প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। গবেষণার হিসাব বলছে, শিল্প, বিশেষ করে উৎপাদন ও নির্মাণ খাতে ক্ষতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ খাতে প্রতিদিনের অনুমিত ক্ষতি ১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। সেবা খাতে প্রতিদিনের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি। এ খাতের অনুমিত ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা।

Rassel Vuiya
2020-04-21, 01:00 PM
10678
করোনাভাইরাস মহামারীর অভিঘাতে রেমিটেন্সের মতো বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যেও বড় ধস নেমেছে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রপ্তানি আয়ে কোভিড-১৯ এর তেমন প্রভাব পড়েনি। মার্চ থেকে পড়তে শুরু করেছে। মার্চের প্রথম দিকে কিছু রপ্তানি হলেও শেষের দিকে একেবারেই কমে এসেছে। এপ্রিলে তো বড় ধস নেমেছে। সর্বশেষ মার্চ মাসে ২৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ কম। আর চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের নয় মাসের (জুলাই-মার্চ) হিসাবে রপ্তানি আয় কমেছে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।

SUROZ Islam
2020-04-30, 02:02 PM
করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে। রপ্তানি হচ্ছে খুব কম। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও টাকা পাঠাচ্ছেন সামান্য। এ সময়ে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি সচল রাখতে নানা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। পুরাতন আমদানি দায় মেটাতে সাধারণ ছুটির মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংককে ২০ কোটি ডলারের মতো বিক্রি করতে হয়েছে। এমন সংকটের মধ্যেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/763965000.jpg
জানা গেছে, সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার কিছু ঋণ এসেছে। এর বাইরে জাতিসংঘ থেকে সামান্য কিছু অনুদান দেওয়া হয়েছে। ফলে ডলার বিক্রির মধ্যেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩৩ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০১৭ সালের ২২ জুন। তবে মাস দুয়েক পর তা আবার ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নামে। এ বছরের শুরুতে চীনসহ বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে আমদানি ব্যাপক কমে যায়। তবে রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি থাকায় ব্যাংকগুলোর হাতে প্রচুর উদ্বৃত্ত ডলার জমা হয়। সে সময়ে ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কেনায় গত ১ মার্চ রিজার্ভ আবার ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। তবে দু-একদিন না যেতেই রিজার্ভ আবার ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নামে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু ঋণ ও অনুদান এলেও মূলত আমদানি কমায় রিজার্ভ বেড়েছে। এটা ভালো। সংকট শেষ হলেই আবার ডলারের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হবে। কেননা আমরা আমদানিনির্ভর দেশ। সংকট-পরবর্তী বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল, খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করতে ডলারের দরকার হবে।

BDFOREX TRADER
2020-05-06, 07:40 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/433876496.jpg
ইকোনোমিস্ট পত্রিকা যে চারটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই মূল্যায়নটি করেছে তা হলো- দেশীয় দেনা, বিদেশি দেনা ঋণের ব্যয় পরিশোধের মাত্রা এবং রিজার্ভের পরিস্থিতি। সেই বিচারে বাংলাদেশ ৬৬টি উদীয়মান দেশের ভেতরে নবম স্থানে রয়েছে যা বর্তমান পরিস্থিতিতে যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক, কিন্তু ভবিষ্যৎতে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রচণ্ড ঝুঁকি আছে। কেননা রপ্তানিতে ধস নেমেছে, রেমিটেন্সে ধস নেমেছে। সুতরাং আর্থিক বহির্খাত বড় সমস্যায় এবং আভ্যন্তরীণ উৎপাদন, পরিবহন ইত্যাদি ব্যাহত হচ্ছে। নিঃসন্দেহে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মারাত্মকভাবে আমাদের অর্থনীতি নিরাপদ নয়, আমাদের ক্ষতি অনেক হয়ে গেছে। আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। উৎপাদন এবং কনজাম্পশন যদি চালু করে দেওয়া যায় তাহলে ক্ষতি অতটা মারাত্মক হবে না। অলরেডি চার থেকে ৫ লাখ লোককে মধ্যপ্রাচ্য থেকে চলে আসতে হবে। এতে করে রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যাবে। এতে করে ফরেন রিজার্ভ কমে যাবে। তখন ডলারের দাম বেড়ে যাবে। এক্ষেত্রে সবকিছু মিলিয়ে দুর্বল অর্থনীতির দিকে যাবে দেশ।

Montu Zaman
2020-05-18, 06:21 PM
11017
করোনাভাইরাস মহামারীতে পণ্য রপ্তানিতে ধস নামার পর এবার আমদানিও নেমেছে তলানিতে; যা বিনিয়োগে বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যার ফল হবে কর্মসংস্থান কমে যাওয়া। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য মাত্র ১৬০ কোটি (১.৬ বিলিয়ন) ডলারের ঋণপত্র (এলসি) খুলেছেন ব্যবসায়ীরা।
এই অঙ্ক গত বছরের এপ্রিল মাসের চেয়ে ২৬৮ শতাংশ কম। আর গত মাসের চেয়ে কম ২৬৩ শতাংশ। গত বছরের এপ্রিল মাসে ৫২৬ কোটি (৫.২৬ বিলিয়ন) ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। আর গত মার্চ মাসে এলসি খোলা হয়েছিল ৪৯৭ কোটি ডলারের। গত মার্চ মাসেই করোনাভাইরাস মহামারীতে দেশে দেশে লকডাউন ঘোষণার পর বিশ্বের অর্থনীতিতে নেমে আসে স্থবিরতা। এই পরিস্থিতি বিশ্বকে আরেকটি মহামন্দার দিকে টেনে নিচ্ছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

DhakaFX
2020-05-19, 04:33 PM
11027
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গেলো তিন মাসে ৩ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ইস্পাত ও রড নির্মাণ শিল্পে। ডিসেম্বর পর্যন্ত লকডাউন চললে ক্ষতির পরিমাণ ৬ গুণ বেড়ে যাবার হবার শংকা উদ্যোক্তাদের। এ অবস্থায় আগামী বাজেটে আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে শুল্ক সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছে স্টিল ম্যানুফ্যাচারারস অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়*।

Montu Zaman
2020-06-02, 03:27 PM
করোনাভাইরাসের কারণে নতুন করে ৫ কোটি ৩৬ লাখ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে চলে এসেছে। সবমিলে করোনায় স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক ঝুঁকির মুখে পড়েছে ১০ কোটির বেশি মানুষ। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক, ডেটা সেন্স এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের এক যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। তাদের নগদ সহায়তা দিতে আসছে বাজেটে সার্বজনীন বেকারত্ব সহায়তা ভাতা চালু এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে এ খাতে বরাদ্দ দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছে ব্র্যাক...

FXBD
2020-06-03, 12:50 PM
করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ব বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আমদানি-রপ্তানি একপ্রকার থেমে গেছে বলা যায়। প্রায় একই অবস্থা আমাদের দেশেও। আগে থেকেই যে বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছিল তা আরো প্রকট হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রথম আট মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার কোটি ৭৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯২ হাজার কোটি টাকা। রপ্তানি আয় কমে যাওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। অর্থবছরের শেষ চার মাসে অবস্থা আরো খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে প্রথমে চীনে এবং পরবর্তীতে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। আর এতে লকডাউনে পড়ে গোটা বিশ্বে বাণিজ্যিক কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ফেব্রুয়ারির পরে ব্যাপকহারে কমেছে। অন্যদিকে কমে গেছে রেমিট্যান্সের পরিমাণও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ইপিজেডসহ রপ্তানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ২ হাজার ৫৫৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে ৩ হাজার ৬৩৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। সে হিসেবে ফেব্রুয়ারির শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯১ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আলোচ্য সময়ে আমদানি কমেছে ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। রপ্তানি কমেছে ৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তবে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২০ দশমিক ০৭ শতাংশ।
দেশের অর্থনীতির এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানির জন্য বিকল্প বাজার ও পণ্যের বহুমুখীকরণ করা দরকার বলে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, অন্য দেশের মুদ্রার সঙ্গে দেশীয় মুদ্রার মান ভালো অবস্থায় রয়েছে। বিশ্ববাজারে তেলের দামও কমছে। এসব ইতিবাচক বিষয়গুলো মাথায় রেখে আর্থিক নীতি ঠিক করতে পারলে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান আর্থিক সংকট কাটাতে বৈদেশিক বাণিজ্য বাড়াতে হবে। এজন্য যেসব দেশে করোনা পরিস্থিতি ভালো হয়ে যাচ্ছে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে হবে। আর আমাদের বৈদেশিক ব্যবসার ক্ষেত্রে পশ্চিমা নির্ভরতা কমিয়ে অন্যদিকে এর প্রসার ঘটানোর উদ্যোগ না নিলে অর্থনীতিতে বিপর্যয় নামবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/570598573.jpg

Mahmud1984fx
2020-06-04, 11:37 AM
করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির মন্দাভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। সেই প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। এখানেও প্রায় তিন মাস যাবত লকডাউনে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্র স্থবিব হয়ে পড়েছে। থেমে গেছে একেবারে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন যাত্রা। বিশেষ করে যারা দিন আনে দিন খায় তাদের জন্য ব্যাপক সমস্য দেখা যাচ্ছে। যদি এভাবে আরো কয়েকমাস চলতে থাকে তাহলে সমস্যা প্রকট আকার ধারন করতে পারে।

FXBD
2020-08-16, 06:02 PM
করোনার কারণে দেশের অর্থনীতি তিন মাস স্থবির থাকার পরও, জিডিপি'তে সোয়া পাঁচ ভাগ প্রবৃদ্ধিতে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। একই সঙ্গে খাতভিত্তিক প্রবৃদ্ধির অর্জন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। যদিও পরিকল্পনামন্ত্রী বলছেন, সাময়িক এই হিসেবে করোনার প্রভাব বিবেচনায় নেয়া হয়নি.
11913

Rakib Hashan
2020-09-27, 03:44 PM
কোভিড-১৯-এর ধাক্কায় বিশ্ব অর্থনীতি রীতিমতো কাঁপছে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এক চীন ছাড়া সব বড় অর্থনীতিই সংকুচিত হয়েছে। এদের মধ্যে ভারতের সংকোচন হয়েছে ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ। কোভিডের প্রভাব তো আছেই, ভারতীয় অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বলছেন, মহামারি কীভাবে সামলানো হয়েছে, তার ওপরও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নির্ভর করছে। বাংলাদেশে প্রতি ১০ লাখে মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ দশমিক ১২। অর্থনীতিও দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। গত দুই মাসে রপ্তানি আয় ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। দেশে জিডিপির ত্রৈমাসিক হিসাব করা হয় না। ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ তিন মাস সাধারণ ছুটির মধ্যে পড়লেও সেবার প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ, যদিও এই পরিসংখ্যান নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও বোদ্ধা মহলের আপত্তি আছে।কোভিড নিয়ন্ত্রণে দেশে সমন্বিত ব্যবস্থা না থাকলেও ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী (পিপিই), মাস্ক প্রভৃতির রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় তৈরি পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশই আসে এই তৈরি পোশাক খাত থেকে।
এ সময় দরকার যথাযথ নীতি। অর্থনীতিকে আরও প্রণোদনা দিতে হবে। সব প্রতিভাবান মানুষকে এক ছাদের নিচে আনা হলে যথাযথ নীতি প্রণয়ন করা যাবে।

Tofazzal Mia
2020-11-18, 03:49 PM
মার্চের শুরুতে দেশে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হলে একের পর এক ক্রয়াদেশ হারাতে থাকেন তৈরি পোশাক খাতের রফতানিকারকরা। পরে পরিস্থিতি কিছুট স্বাভাবিক হলে জুন নাগাদ ক্রয়াদেশ ফিরে পেতে শুরু করেন তারা, যার প্রতিফলন ঘটে জুলাইয়ের রফতানি চিত্রে। কিন্তু প্রথম ঢেউয়ের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে ফের আঘাত হেনেছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। যার প্রভাবে এরই মধ্যে ৩০ শতাংশ কমেছে তৈরি পোশাকের রফতানি আদেশ। খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ের স্থবিরতা কাটিয়ে জুন মাস নাগাদ ক্রয়াদেশ পেতে শুরু করে দেশের রফতানিমুখী পোশাক কারখানাগুলো। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত ছিল। কিন্তু অক্টোবরেই আবারো পতন হয় রফতানিতে। মূলত পশ্চিমা দেশগুলোতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় ক্রেতারা ক্রয়াদেশের লাগাম টেনে ধরতে শুরু করেছেন। শীতের মৌসুমকে কেন্দ্র করে ক্রয়াদেশ বৃদ্ধির প্রত্যাশা থাকলেও পোশাক রফতানিকারকদের সেই আশায় এখন গুড়ে বালি। শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর এক জরিপে দেখা গেছে, কভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে পোশাকের ক্রয়াদেশ কমেছে অন্তত ৩০ শতাংশ। যদিও এ জরিপে পোশাক খাতের সব মালিকের সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
http://forex-bangla.com/customavatars/1380163354.jpg

786.ariful.islam.bd
2020-11-23, 10:58 PM
বিশ্বের যে কোনো দেশের থেকে কম দামে করোনার টিকা কিনছে বাংলাদেশ। এমন দাবী করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড আবিস্কৃত টিকা কিনতে সরকার যে দরে চুক্তি করেছে তা সামনে আরও কমতে পারে। সোমবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির মিট দ্যা প্রেস আয়োজনে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা জানান। বলেন, জনগনের করের টাকার সঠিক ব্যবহারের স্বার্থেই প্রণোদনার ঋণ যাচাই বাছাই করে ছাড় করা হচ্ছে।