PDA

View Full Version : প্রথম দুই মাসে চীনের আমদানি-রফতানিতে পতন



kohit
2020-03-08, 04:22 PM
নভেল করোনাভাইরাস মহামারীতে বিভিন্ন ব্যবসা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন বিঘ্নিত হয়েছে। এতে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে চীনের রফতানিতে বড় আকারের পতন হয়েছে। শনিবার প্রকাশিত চীনের সরকারি উপাত্তে দেখা গেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির রফতানি ১৭ দশমিক ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি-পরবর্তী সর্বনিম্ন। এদিকে দেশটির আমদানি হ্রাস পেয়েছে ৪ শতাংশ। খবর এএফপি ও রয়টার্স।

ব্লুমবার্গের একদল অর্থনীতিবিদের সমীক্ষায় রফতানি ১৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং আমদানি ১৬ দশমিক ১ শতাংশ পতনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল।

জানুয়ারির শেষ দিকে চীনা চান্দ্রবর্ষের ছুটিতে অনেক ভোক্তা ঘরে বসে ছিলেন এবং ছুটি শেষে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ুলোতে কমসংখ্যক কর্মী কাজে ফিরেছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হচ্ছে চীন, যেখানে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য বিরোধের প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত বেইজিংয়ের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত গত দুই মাসে ৪০ শতাংশ কমেছে। গত বছরের প্রথম দুই মাসে যেখানে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে তা ২ হাজার ৫৪০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির উপাত্ত যে একত্রিত করা হবে, তা গত মাসেই জানিয়েছিল চীনা কর্তৃপক্ষ। নববর্ষের ছুটির কারণে অর্থনীতিতে যে প্রভাব পড়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে দুই মাসের উপাত্ত একসঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে।

করোনাভাইরাস চীনের অর্থনীতিতে যে ভয়াবহ প্রভাব রাখতে যাচ্ছে, তার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে দেশটির ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের কার্যক্রম গত ফেব্রুয়ারিতে রেকর্ড সর্বনিম্ন স্তরে নেমে আসে। এছাড়া নন-ম্যানুফ্যাকচারিং খাতেও এর প্রভাব পড়ে।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের জুলিয়ান ইভানস-প্রিচার্ড জানান, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির উপাত্ত একসঙ্গে প্রকাশের মানে দাঁড়াচ্ছে, প্রকাশিত এ প্রবৃদ্ধি হারে সাম্প্রতিক দুর্বলতার পুরোপুরি প্রতিফলন ঘটেনি। কারণ চীনের অর্থনীতিতে বৃহৎ ধাক্কা লেগেছে গত ফেব্রুয়ারিতে।

বণিক বার্তা