Log in

View Full Version : বিশ্বমন্দা শুরু হয়ে গেছে :আইএমএফ



Rassel Vuiya
2020-03-31, 12:19 PM
10474
চীন হতে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে মাত্র তিন মাসেই পালটে গেছে পুরো বিশ্ব। করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রভাবে বিশ্বের আর্থিক কর্মকাণ্ড হঠাত্ স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়ে গেছে মন্দা। এবারের মন্দা ২০০৯-এর মন্দাকেও ছাড়িয়ে যাবে। স্থবির অর্থনীতিকে গতিশীল করার মাধ্যমে মন্দার সময় ও গভীরতাকে কমিয়ে আনতে কার্যক্রম শুরু করতে তাগিদ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফবর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরিভিত্তিতে আগ্রাসি পদক্ষেপ নিতে তাগিদ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ।

SR12
2020-03-31, 01:44 PM
করোনা ভাইরাস কোবিড-১৯ এর প্রভাবে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত। দেশে দেশে লকডাউন পরিস্হিতি এমতাবস্হায় অর্তনীতির চাকা কিভাবে ভালো থাকবে। এই অচলাবস্হা কবে নাগাদ দুর হবে তা বলা যাচ্চে না এখনই কারন চীনের পরে এই ভাইরাস তান্ডব চালাচ্ছে এখন ইউরোপ আমেরিকাতে। প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে আবার আক্রান্ত কয়েক হচ্ছে প্রায় প্রতি দুইদিনেই লাখের কাছাকাছি। আর অর্থনীতির অবস্হা কতোটা ভয়াবহ প্রকোপ নিয়েছিল তা ফরেক্স মার্কেট এর দরপতন দেখলেই বোঝা যায়।

SaifulRahman
2020-04-06, 05:50 PM
10548
করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ডেকে এনেছে।বিশ্বব্যাপ অর্থনৈতিক মন্দার সময় মানুষ চাকরি হারায়, আয় কমে যায়, উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ, হোটেল পর্যটকশূন্য হয়ে যাওয়া, বিপণিবিতান ক্রেতাহীন হয়ে যাওয়া এবং কারখানা বন্ধের মধ্য দিয়ে। সব মিলিয়ে চাহিদায় ধস। আক্রান্ত মোটামুটি বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে বিশ্বজুড়ে যে অর্থনৈতিক মন্দা হয়েছিল, তাতে বহু প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়েছিল। বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী মন্দা হয়েছিল ১৯২৯ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত, যাকে মহামন্দা বলে। আরেকটি মন্দার সময় ঘনিয়ে এসেছিল। তাতে ঘি ঢালছিল মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ। এবার করোনাভাইরাস এসে আগুন জ্বালিয়ে দিল। আগামী কয়েক মাসে করোনাভাইরাস হয়তো নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে, কিছু অর্থনৈতিক প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী, যা দেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও একই কথা বলছে। যেমন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার হিসাবে করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে আড়াই কোটি মানুষ কাজ হারাতে পারে।

SaifulRahman
2020-04-16, 07:49 PM
10649
করোনাভাইরাস জীবনের ওপর যতটা আঘাত, জীবিকার ওপর আঘাতও মোটেই কম নয়। সারা বিশ্বের অর্থনীতি থমকে আছে। অর্থনীতির ক্ষত কতটা তা পুরোপুরি জানা যাবে করোনাভাইরাসের বিদায়ের পরে। তবে এরই মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির এক ধরনের হিসাব কষা শুরু হয়ে গেছে। পাশাপাশি শুরু হয়েছে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নানা কর্মসূচি ঘোষণা। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ করোনাভাইরাসের প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি কোথায় দাঁড়াবে এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে এশিয়ার দেশগুলো শূন্য প্রবৃদ্ধি দেখবে: এছাড়া চলতি বছর এশিয়ার দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি শূন্যের কোঠায় নামতে পারে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), যা কি না গত ৬০ বছরের মধ্যে প্রথম। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে এশিয়ার সেবা খাত। কারণ, দেশে দেশে লকডাউনের কারণে বিমান চলাচল খাত, কারখানা, দোকান, রেস্তোরাঁগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে।

FREEDOM
2020-04-17, 07:13 PM
করোনা ভাইরাস কোভিড নাইনটিন দিন দিন ভয়াল রুপ ধারন করেছে। প্রথমদিকে কেউই হয়তো বুজতে পারেনি এটা এতোটাও ভয়ংকর হয়ে উঠবে। কিন্তু এখন এর ভয়াল রুপ দেখতে পেয়েছে গোটা বিশ্ব। প্রায় ২০ লাভের বেশি মানুষ সারাবিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত, মারা গেছে লক্ষাধিকের উপরে। সারাবিশ্বের অর্থনীতি ধসে পড়েছে, সামনে হয়তো খাদ্য অভাবেও পড়বে কিছু দেশ। এমন অবস্হায় কার্যত এখনো কোনো ভেকসিন আবিস্কার করতে পারেনি কোনো দেশ। এই পরিস্হিতি আরো কতোটা ভয়াবহ হবে আর এর শেষ কোথায় এখন সেই অপেক্ষাতেই রয়েছে গোটা বিশ্ব। আশা করি এই সংকট কাটিয়ে দ্রুত সমাধান হয়ে সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে গোটা বিশ্ব।

BDFOREX TRADER
2020-07-01, 06:32 PM
নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী বিশ্ব অর্থনীতিতে চরম সংকট তৈরি করেছে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে দেশে লকডাউনের জের ধরে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক ক্ষত ও বিশ্বমন্দা। ২০২১ সালের শেষ নাগাদ করোনা মহামারীর কারণে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১২ লাখ কোটি ডলারের সমপরিমাণ। যার মাথাপিছু পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৬০০ ডলার। অর্থাৎ করোনা মহামারীতে ধনী-গরিব, তরুণ-বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে বিশ্বের প্রতিটি মানুষ অন্তত ১ হাজার ৬০০ ডলারের সমপরিমাণ ক্ষতির শিকার হবে। করোনায় সম্ভাব্য এ ক্ষতির পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সম্ভাব্য এ পরিস্থিতি পশ্চিমের ধনীদের চাপের মুখে ফেলবে। তবে তাদের এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠাটাও তুলনামূলক সহজ হতে পারে। যদিও এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকার উন্নয়নশীল ও উন্নয়নকামী দেশগুলোর কোটি কোটি মানুষের পক্ষে এ ধাক্কা সামাল দেয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়তে পারে। কেননা এশিয়া-আফ্রিকার অনেক মানুষের বার্ষিক আয় ১ হাজার ৬০০ ডলারের বেশ কম। তাদের রীতিমতো জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে অর্থনৈতিক এ ক্ষত। আইএলওর প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে কর্মবাজারে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়তে পারে স্বল্প দক্ষতার কাজে নিয়োজিত কর্মী ও শ্রমিকরা। অনেক দেশে স্বল্প আয় করা নারী শ্রমিকরা ছাঁটাইয়ের মুখে পড়তে পারে। বছরের দ্বিতীয়ার্ধ নাগাদ বিশ্বজুড়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মে (যেমন উবার চালক, কৃষি শ্রমিক প্রভৃতি) নিয়োজিত ২০০ কোটি মানুষ ও বিভিন্ন দেশের বস্তিতে বসবাসরত ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ কাজ হারাতে পারে। কিংবা তাদের আয় কমে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, করোনা সংকটের কারণে চলতি বছরের শেষ নাগাদ বৈশ্বিক অর্থনীতি প্রায় ৫ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ।
http://forex-bangla.com/customavatars/11106010.jpg