kohit
2020-04-06, 06:26 PM
নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চাহিদা ও সরবরাহ সংকটের কারণে উৎপাদন খাতে ধস নেমেছে। স্থবির হয়ে পড়েছে আকাশসেবা, পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্পের মতো সেবা খাতগুলো। তৈরি হয়েছে জিডিপি সংকোচনের আশঙ্কা। মোট কথা, অর্থনীতির প্রায় সব সূচকই এখন পতনমুখী। এটি পুরো বিশ্বেরই চিত্র। ভূ-অর্থনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য দেশ ও অঞ্চলের মতো যুক্তরাজ্যের ম্যানুফ্যাকচারিং ও সেবা খাতও রীতিমতো ধুঁকছে। করপোরেট খাতে ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে কর্মসংস্থান হারাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। আর এতে দেশটিতে দারিদ্র্য বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে। খবর এএফপি ও বিবিসি।
যুক্তরাজ্যের সরকারি নথি বলছে, দেশটিতে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছেন ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ। ব্রিটেনের প্রায় ৪২ লাখ বা ৩০ শতাংশ শিশু দরিদ্র। এর সঙ্গে লকডাউন পরিস্থিতিতে লাখ লাখ ব্রিটিশ কর্মসংস্থান হারানোর কারণে দেশটিতে দারিদ্র্য সমস্যা আরো প্রকট হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্রিটেনে কর্মসংস্থানহীনতা সংকট কতটা বেড়েছে, তা একটি পরিসংখ্যানেই পরিষ্কার হয়। গত ১৫ দিনে দেশটিতে রাষ্ট্রীয় সহায়তার জন্য আবেদন করেছেন কর্মহীন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে উল্লিখিত সময়সীমায় গড় আবেদনের তুলনায় এ সংখ্যা প্রায় ১০ গুণ। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সরকারের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) জানিয়েছে, স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ হিসেবে কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে এক-চতুর্থাংশের বেশি ব্রিটিশ কোম্পানি।
কোনো দেশের অর্থনীতি সম্প্রসারণ না সংকুচিত হচ্ছে, তা বোঝাতে অন্যতম নির্দেশক বিবেচনা করা হয় পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্সকে (পিএমআই)। আইএইচএস মার্কিট এবং চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাইয়ের (সিআইপিএস) তথ্য অনুযায়ী, মার্চে যুক্তরাজ্যের পিএমআই দাঁড়িয়েছে ৩৬ পয়েন্টে। ফেব্রুয়ারিতে এ সূচক ছিল ৫৩ পয়েন্ট। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে দেশটির পিএমআই কমেছে ১৭ পয়েন্ট। উল্লেখ্য, পিএমআই ৫০ পয়েন্টের কম থাকলে তা অর্থনীতির সংকোচন নির্দেশ করে। এ হিসেবে ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটেনের অর্থনীতি সম্প্রসারণের পথে থাকলেও করোনার প্রকোপ বাড়ার পর থেকেই তা সংকুচিত হচ্ছে।
বণিক বার্তা
যুক্তরাজ্যের সরকারি নথি বলছে, দেশটিতে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছেন ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ। ব্রিটেনের প্রায় ৪২ লাখ বা ৩০ শতাংশ শিশু দরিদ্র। এর সঙ্গে লকডাউন পরিস্থিতিতে লাখ লাখ ব্রিটিশ কর্মসংস্থান হারানোর কারণে দেশটিতে দারিদ্র্য সমস্যা আরো প্রকট হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্রিটেনে কর্মসংস্থানহীনতা সংকট কতটা বেড়েছে, তা একটি পরিসংখ্যানেই পরিষ্কার হয়। গত ১৫ দিনে দেশটিতে রাষ্ট্রীয় সহায়তার জন্য আবেদন করেছেন কর্মহীন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে উল্লিখিত সময়সীমায় গড় আবেদনের তুলনায় এ সংখ্যা প্রায় ১০ গুণ। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সরকারের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) জানিয়েছে, স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ হিসেবে কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে এক-চতুর্থাংশের বেশি ব্রিটিশ কোম্পানি।
কোনো দেশের অর্থনীতি সম্প্রসারণ না সংকুচিত হচ্ছে, তা বোঝাতে অন্যতম নির্দেশক বিবেচনা করা হয় পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্সকে (পিএমআই)। আইএইচএস মার্কিট এবং চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাইয়ের (সিআইপিএস) তথ্য অনুযায়ী, মার্চে যুক্তরাজ্যের পিএমআই দাঁড়িয়েছে ৩৬ পয়েন্টে। ফেব্রুয়ারিতে এ সূচক ছিল ৫৩ পয়েন্ট। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে দেশটির পিএমআই কমেছে ১৭ পয়েন্ট। উল্লেখ্য, পিএমআই ৫০ পয়েন্টের কম থাকলে তা অর্থনীতির সংকোচন নির্দেশ করে। এ হিসেবে ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটেনের অর্থনীতি সম্প্রসারণের পথে থাকলেও করোনার প্রকোপ বাড়ার পর থেকেই তা সংকুচিত হচ্ছে।
বণিক বার্তা