PDA

View Full Version : করোনা সংকটে চীনের চাকরিবাজার কর্মহীন ৮ কোটি মানুষ



kohit
2020-05-10, 03:50 PM
চলতি বছরের শুরুতেই চীনের সামগ্রিক কার্যক্রমকে কার্যত স্থবির করে দেয় বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। লকডাউনসহ নেয়া নানা পদক্ষেপ মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির ওপর। ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হতে থাকে বাণিজ্যের আকার। বন্ধ হয়ে যায় কারখানা, একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চাকরি হারাতে থাকে লাখ লাখ মানুষ। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, চীনের সংকটাপন্ন চাকরি বাজার থেকে এরই মধ্যে আট কোটি কর্মী ছিটকে পড়েছেন। আশঙ্কার কথা হলো, শিগগিরই চাকরি অন্বেষণে নামতে যাচ্ছেন দেশটির কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা আরো অন্তত ৯০ লাখ মানুষ। খবর সিএনএন বিজনেস।

চীনে বারবার নতুন করে চাকরি খোঁজার বিষয়ে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন ২৬ বছর বয়সী প্রযুক্তি খাতের কর্মী ওয়াং। গত বছর যখন তাকে এক সংস্থা থেকে অন্য সংস্থায় চাকরির জন্য ছুটতে হয়েছিল, তখনই তিনি দেশটির চাকরি বাজারের প্রতিযোগিতা আঁচ করতে পারছিলেন। কিন্তু সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে বেইজিংভিত্তিক একটি ইন্টারনেট কোম্পানি থেকে যখন তাকে ছাঁটাই করা হয়, তখন তিনি ভাবতেও পারেননি যে তার জন্য কতটা কঠিন পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।

বণিক বার্তা

kohit
2020-05-11, 07:12 PM
কর্মহীনদের জন্য সহায়ক মুদ্রানীতি গ্রহণের চ্যালেঞ্জে ফেড

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমহীন হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ শ্রমিক। সামনের দিনগুলোয় বেতন-মজুরি পাওয়া যাবে কিনা, তার ঠিক নেই। আর আয় বন্ধ হয়ে গেলে কীভাবে পরিবারের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ হবে, সে উত্কণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। আয়ের সংস্থান হারানো শ্রমিকরাই এখন জেরোম পাওয়েলের জন্য বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাদের সহায়তার জন্য মুদ্রানীতি কতটা সহজ করা দরকার এবং সহজীকরণের উপায়গুলো কী কী, তা নির্ধারণ করাই এখন ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) চেয়ারম্যানের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ। খবর ব্লুমবার্গ।

আগামী মাসের ১৮ ও ১৯ তারিখে ফেডের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সভায় অর্থনৈতিক প্রক্ষেপণের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হবে। ফেডের নীতিনির্ধারকরা সভায় আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবেন মুদ্রানীতির গতিপথ কেমন হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ফরোয়ার্ড গাইডেন্স’ আরো শক্তিশালী করা হবে, নাকি সম্পদ ক্রয়ের মাধ্যমে ‘কোয়ান্টিটেটিভ ইজিং’ নীতি গ্রহণ করা হবে, সে সিদ্ধান্তও তখনই নেয়া হবে। মুদ্রানীতি সহজ করা হলে সুদহার আরো চাপে পড়ে যাবে। এখনই তা প্রায় শূন্য শতাংশে রয়েছে।

তবে মুদ্রানীতির যেকোনো টুলস ব্যবহারের আগে ফেড কর্মকর্তাদের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে একটি বিশ্বাসযোগ্য পূর্বাভাস পেতে হবে। অর্থনীতি কোন দিকে ধাবিত হতে পারে, সে বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকলে আগামী সভায় ফেড কর্মকর্তারা কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না-ও নিতে পারেন। কারণ গাড়ি কোন দিকে যাচ্ছে আর কোন দিকে যেতে হবে, সে বিষয়ে জানা থাকলে তবেই না সঠিক পথ নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।

বণিক বার্তা