kohit
2020-05-27, 05:34 PM
চলমান নভেল করোনাভাইরাস মহামারীতে সারা বিশ্বের অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে। দেশে দেশে বেকার সংকট চরমে। এমনকি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রেও কোটি কোটি মানুষ বেকার হিসেবে সরকারি সহায়তার আবেদন করেছেন।
ছোট, মাঝারি অর্থনীতির দেশের কথা বলাইবাহুল্য; এই সংকটের বাইরে নয় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তির দেশ চীনও। দেশটির বিভিন্ন শহরে কাজ করা ২৯ কোটি পরিযায়ী শ্রমিকের বেশিরভাগই বেকার, তারা কোনো সরকারি সুবিধাও পাচ্ছেন না। বিশ্লেষকরা বলছেন, সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কিংবা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার চেয়েও এবার চীনের চাকরির বাজার অধিকতর সংকটে।
জানুয়ারির শুরুর দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে যখন ‘নতুন ধরনের নিউমোনিয়া’ হানা দেয় তখন হঠাৎ করেই ঠান্ডা জ্বরে পড়েন গৃহকর্মী জু ল্যান। তখনো শহর কর্তৃপক্ষ নভেল করোনাভাইরাস নামের এ রোগটি সম্পর্কে প্রকাশ্যে কিছু বলেনি। তবু নিয়োগকর্তা ল্যানকে বিশ্রাম নিতে বলেন। উহানের লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে। কিন্তু ল্যান এখন পর্যন্ত কাজে যোগ দিতে পারেননি।
‘সিঙ্গেল মাদার’ ল্যান ১০ বছর ধরে নানজিং শহরে কাজ করেন। তিন সন্তানকে নিয়ে এখন ভীষণ বিপদে। চার মাস ধরে কাজ খুঁজে পাননি। একাধিক জায়গায় আবেদন করেও ব্যর্থ হয়ে ভীষণভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ৪১ বছর বয়সী এ নারীর কথায়, ‘আমার সাবেক নিয়োগকর্তা আমাকে ভালোই রেখেছিলেন। জানুয়ারিতে তিনি আমাকে বলছিলেন, যেন তার ফোনকলের অপেক্ষা করি। প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আসার পর আমাকে ডাকার আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু মাসের পর মাস অপেক্ষা করে আমি এখন আশাই ছেড়ে দিয়েছি।’
বণিক বার্তা
ছোট, মাঝারি অর্থনীতির দেশের কথা বলাইবাহুল্য; এই সংকটের বাইরে নয় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তির দেশ চীনও। দেশটির বিভিন্ন শহরে কাজ করা ২৯ কোটি পরিযায়ী শ্রমিকের বেশিরভাগই বেকার, তারা কোনো সরকারি সুবিধাও পাচ্ছেন না। বিশ্লেষকরা বলছেন, সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কিংবা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার চেয়েও এবার চীনের চাকরির বাজার অধিকতর সংকটে।
জানুয়ারির শুরুর দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে যখন ‘নতুন ধরনের নিউমোনিয়া’ হানা দেয় তখন হঠাৎ করেই ঠান্ডা জ্বরে পড়েন গৃহকর্মী জু ল্যান। তখনো শহর কর্তৃপক্ষ নভেল করোনাভাইরাস নামের এ রোগটি সম্পর্কে প্রকাশ্যে কিছু বলেনি। তবু নিয়োগকর্তা ল্যানকে বিশ্রাম নিতে বলেন। উহানের লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে। কিন্তু ল্যান এখন পর্যন্ত কাজে যোগ দিতে পারেননি।
‘সিঙ্গেল মাদার’ ল্যান ১০ বছর ধরে নানজিং শহরে কাজ করেন। তিন সন্তানকে নিয়ে এখন ভীষণ বিপদে। চার মাস ধরে কাজ খুঁজে পাননি। একাধিক জায়গায় আবেদন করেও ব্যর্থ হয়ে ভীষণভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ৪১ বছর বয়সী এ নারীর কথায়, ‘আমার সাবেক নিয়োগকর্তা আমাকে ভালোই রেখেছিলেন। জানুয়ারিতে তিনি আমাকে বলছিলেন, যেন তার ফোনকলের অপেক্ষা করি। প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আসার পর আমাকে ডাকার আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু মাসের পর মাস অপেক্ষা করে আমি এখন আশাই ছেড়ে দিয়েছি।’
বণিক বার্তা