PDA

View Full Version : এক বছরে প্রথম সম্পত্তির দাম কমেছে অস্ট্রেলিয়ায়



kohit
2020-06-02, 05:17 PM
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে স্থবিরতা নেমে এসেছে অর্থনীতিতে। এর প্রভাবে গত মাসে অস্ট্রেলিয়ায় বাড়ির দাম কমে গেছে। গত এক বছরে এই প্রথম সেখানে সম্পত্তির দাম কমল। খবর ব্লুমবার্গ।

ক্যালিফোর্নিয়াভি ্তিক মার্কেট ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি কোরলজিক ইনকরপোরেশন গতকাল এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য ও আঞ্চলিক রাজধানী শহরগুলোয় সম্পত্তির মূল্য গত মাসে দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। ২০১৯ সালের জুনের পর এই প্রথম দেশটিতে সম্পত্তির মূল্য কমল।

সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে মেলবোর্নে। সেখানে সম্পত্তির দাম কমেছে দশমিক ৯ শতাংশ। পার্থে বাড়ির দাম কমেছে দশমিক ৬ শতাংশ।

কঠোর লকডাউনের মাঝেও সম্পত্তির মূল্যে পতনের এ হার কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলেই ধরে নেয়া হচ্ছে। এ কারণে বাজারে কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে যে লকডাউনের শুরুর দিকে যতটা ভয় করা হয়েছিল, বাস্তবে সম্পত্তির মূল্য ততটা না-ও পড়তে পারে।

আসল পরিস্থিতি বোঝা যাবে চলতি বছরের শেষের দিকে, যখন আবাসন খাতে সরকারের প্রণোদনা সহায়তা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। বর্তমানে প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার আবাসন ঋণ গ্রহণকারী ছয় মাসের পেমেন্ট হলিডে সুবিধা পাচ্ছেন এবং প্রায় ২৯ লাখ শ্রমিক সরকারের মজুরি ভর্তুকি সুবিধা পাচ্ছেন।

কোর লজিকের হেড অব রিসার্চ টিম ললেস বলেছেন, ‘একসময় সরকারের প্রণোদনায় টান পড়বে। ঋণগ্রহণকারীদের বিলম্বে ঋণ পরিশোধের সুবিধাও শেষ হবে। এসব সহায়তা না থাকলে সম্পত্তির মূল্যে বাড়তি নিম্নমুখী চাপ সৃষ্টি হতে পারে, যদি না বছরের শেষ নাগাদ অর্থনৈতিক অবস্থা কিছুটা উন্নত হয়।

বণিক বার্তা

kohit
2020-06-04, 05:16 PM
তিন দশকের অর্জন হারানোর পথে অস্ট্রেলিয়া

বৈশ্বিক অর্থনীতিতে কয়েক দফায় সংকট তৈরি হলেও গত প্রায় ২৯ বছরের মধ্যে কোনো ধরনের মন্দায় পড়তে হয়নি অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিকে। তবে নভেল করোনাভাইরাসের কারণে হয়তো এবার সে ধারায় ছেদ পড়তে চলেছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) অস্ট্রেলিয়ার মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। আরো বড় সংকোচনের আশঙ্কা রয়েছে চলতি প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন)। খবর ব্লুমবার্গ।

শুধু মন্দাই নয়, ছোটখাটো সংকোচন থেকেও নিজেদের অর্থনীতিকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০১১ সালের পর এই প্রথম কোনো প্রান্তিকে অস্ট্রেলিয়ার জিডিপি সংকুচিত হলো। আর এ সংকোচনের অন্যতম কারণ হলো করোনার প্রভাবে গৃহস্থালি ব্যয় কমে যাওয়া।

অস্ট্রেলিয়ার পরিসংখ্যান ব্যুরো গতকাল জিডিপির এ উপাত্ত প্রকাশ করেছে। এর পর পরই মার্কিন ডলারের বিপরীতে কিছুটা মান হারায় অস্ট্রেলিয়ান ডলার। এদিন বেলা ১টার দিকে সিডনিতে প্রতি অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৬৯ দশমিক ৩২ সেন্টে লেনদেন হয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা দশমিক ৪ শতাংশ জিডিপি সংকোচনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। বাস্তবে হয়েছে দশমিক ৩ শতাংশ। এ হিসাবে প্রথম প্রান্তিকে অস্ট্রেলিয়ার জিডিপিতে পতন আশঙ্কার চেয়ে কিছুটা কমই হয়েছে। তবে দ্বিতীয় প্রান্তিকের ফলাফলটা এমন আশাব্যঞ্জক না-ও হতে পারে। চলতি প্রান্তিকে আরো গভীর সংকোচনের আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।

বণিক বার্তা