View Full Version : করোনার ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ালো চীনের অর্থনীতি
Montu Zaman
2020-07-16, 03:54 PM
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ালো চীনের অর্থনীতি। গত তিন মাসে চীনের অর্থনীতি ৩.২ শতাংশ প্রসারিত হয়েছে। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতিতে এ বছরের প্রথম তিন মাসে চীনের অর্থনীতিতে ব্যাপক সংকোচন হয়। ওই সময় চীনের অর্থনীতি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল, যা ছিল ১৯৯২ সালের পর সবচেয়ে খারাপ ত্রৈমাসিক অবস্থা।
http://forex-bangla.com/customavatars/322284298.jpg
বুধবার প্রকাশিত চীনের সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে আবার প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে এসেছে। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আসলে চীনের অর্থনীতি পুনরায় চালু হয়। তখন থেকেই চীনের অর্থনীতিকে গভীর পর্যবেক্ষণ করা শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। লকডাউন শিথিলের পাশাপাশি অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে অন্যতম অবদান রেখেছে সরকারের কর ছাড়সহ, অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়তার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ। তবে দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, বছরের প্রথম ছয় মাসে গত বছরের তুলনায় অর্থনীতি ১ দশমিক ৬ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।
Montu Zaman
2021-01-19, 06:24 PM
গত বছরের সর্বশেষ প্রান্তিকে মহামারী-পূর্ব সময়ের চেয়েও চাঙ্গা প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে চীন। অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে পুরো বছরের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। গতকাল চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (এনবিএস) জানায়, গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে চীনের জিডিপি বছরওয়ারি বেড়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল চীন। গত প্রান্তিকের জন্য রয়টার্স ও ব্লুমবার্গের জিডিপি প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস ছিল যথাক্রমে ৬ দশমিক ১ শতাংশ ও ৬ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি বছরেও এ ধারা অব্যাহত রাখবে বলে আশা করছে চীন। রয়টার্সের এক জরিপে চলতি বছরের জন্য চীনের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস ৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
http://forex-bangla.com/customavatars/1382069953.jpg
সর্বশেষ উপাত্তে দেখা গেছে, ২০২০ সালে চীনের শিল্প উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ, গত বছরগুলোর তুলনায় যা অনেক কম। শিল্প উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে খুচরা বিক্রিও সংকুচিত হয়েছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রলম্বিত মহামারীতে ভোক্তাদের হাতে অর্থ গেলেও তারা অর্থ ব্যয়ে বেশ হিসেবি। নগর এলাকায় বেকারত্ব হার ৫ দশমিক ২ শতাংশ। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃত বেকারত্বের হার সরকারি উপাত্তের চেয়ে বেশি। চীনের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে জড়িত। অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের গবেষক লুই কুইজ জানান, নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে দুটি প্রদেশে ফের কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন জারিতে প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি শ্লথ হবে।
এখন চীনের সামনে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। শুধু বছর দেড়েক ধরে বেইজিং-ওয়াশিংটনের বিরোধ, বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে তা-ই নয়, বরং ক্রমবর্ধমান শ্রমব্যয়, বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি, সাম্প্রতিক ঋণখেলাপির সংখ্যা বৃদ্ধি চীনের অর্থনীতির সামনে বিশাল ঝুঁকি হিসেবে হাজির হয়েছে। কিছু বিশ্লেষক সতর্ক করে বলছেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আগামী মাসে চীনা চান্দ্র বর্ষের ছুটিতে ভোক্তাব্যয় অন্য বছরগুলোর মতো বাড়বে না। নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কয়েকটি সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানায়, আগামী মাসগুলোয় বেঞ্চমার্ক সুদের হার অপরিবর্তিত রাখতে পারে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিশ্বব্যাংক বলছে, চীনের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি যদিও চার দশকের সর্বনিম্ন, তবে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে সংকোচনের মানে দাঁড়াচ্ছে, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চীনের শেয়ার বাড়বে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাস, ২০২৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতি হবে চীন। পূর্বের পূর্বাভাসের চেয়ে দুই বছর আগেই এ জায়গায় পৌঁছবে এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতিটি। এছাড়া চলতি দশকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমে চীনের অবদান থাকবে এক-চতুর্থাংশ।
Powered by vBulletin® Version 4.1.9 Copyright © 2025 vBulletin Solutions, Inc. All rights reserved.