Tofazzal Mia
2020-07-20, 05:59 PM
ইলিয়ট ওয়েভ খুব সহজ বিষয়, নিচে আমি ইলিওটের ইতিহাস টুকু তুলে ধরলাম।*আমাদের ইলিয়ট ওয়েভের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়েছেন রালফ নেলসন ইলিওট(২৮ জুলাই ১৮৭১-১৫ জানুয়ারী ১৯৪৮), তিনি একজন আমেরিকান প্রফেশনাল হিসাবরক্ষক এবং লেখক। তিনি প্রায় ৭৫ বছরের মত স্টক মার্কেটের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেন যে আসলে পুজিবাজারের মুভমেন্ট যতটা বিশৃঙ্খল দেখা যায় আসলে সেরকম না। এলিয়ট ক্যানসাসের মেরিসভিলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং পরে টেক্সাসের সান আন্তোনিওতে চলে আসেন। তিনি ১৮৯০ এর দশকের মাঝামাঝি অ্যাকাউন্টিংয়ের ক্ষেত্রে প্রবেশ করেছিলেন এবং মূলত মধ্য আমেরিকা এবং মেক্সিকোতে রেলপথ সংস্থাগুলির কার্যনির্বাহী পদে কাজ করেছিলেন। ১৯০৩ সালে, এলিয়ট মেরি এলিজাবেথ ফিৎসপ্যাট্রিককে (১৮৬৯-১৯৪১) বিয়ে করেছিলেন, যিনি মেক্সিকোতে প্রবাসী হিসাবে কাজ করার সময়কালে তাঁর সাথে এসেছিলেন। নিউইয়র্ক এসে এলিয়ট একটি সফল পরামর্শক ব্যবসা শুরু করেছিলেন। ১৯২৪ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর এলিয়টকে নিকারাগুয়ার চিফ অ্যাকাউন্ট্যান্ট পদে নিয়োগ দেয়। এর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই, এলিয়ট তার পেশাদার অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে দুটি বই লিখেছিলেন: (১)টি রুম এবং ক্যাফেটেরিয়া ম্যানেজমেন্ট , (২) লাতিন আমেরিকার ভবিষ্যত । ইলিওট ৫৮ বছর বয়সে দেউলিয়া হয়েছিলেন।
১৯৩০ এর দশকের শুরুর দিকে, এলিয়ট পঁচাত্তর বছর স্টক মার্কেটের ডেটা নিয়ে নিয়মিত অধ্যয়ন শুরু করেছিলেন। ১৯৩৮ সালের আগস্টে তিনি তার তৃতীয় বই (চার্লস জে কলিন্সের সহযোগিতায় লেখা) দ্য ওয়েভ প্রিন্সিপাল প্রকাশ করে তাঁর পড়াশুনার ফলাফলগুলি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছিলেন। এলিয়ট বলেছিলেন যে, শেয়ার বাজারের দামগুলি এলোমেলো এবং অবিশ্বাস্যরূপে প্রদর্শিত হতে পারে, তারা আসলে অনুমানযোগ্য, প্রাকৃতিক আইন অনুসরণ করে এবং ফিবোনাচি নম্বর ব্যবহার করে পরিমাপ ও পূর্বাভাস দিতে পারে। দ্য ওয়েভ প্রিন্সিপাল প্রকাশের পরপরই, ফিনান্সিয়াল ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিন এলিয়টকে তার বাজার পূর্বাভাসের নতুন পদ্ধতির বর্ণনা দিয়ে বারোটি নিবন্ধ (তাঁর বইয়ের একই শিরোনামে) রচনার জন্য আদেশ দেয়। ১৯৪০ এর দশকের শুরুর দিকে, এলিয়ট সমস্ত যৌথ মানবিক আচরণের প্রয়োগ করার জন্য তাঁর তত্ত্বটি প্রসারিত করেছিলেন। তাঁর প্রকৃতির আইন সিক্রেট দ্য সিক্রেট অব দ্য ইউনিভার্স, মৃত্যুর দুই বছর পূর্বে, ১৯৪৬ সালের জুনে প্রকাশিত হয়েছিল ।এলিয়টের মৃত্যুর পরের বছরগুলিতে, অন্যান্য অনুশীলনকারীরা (চার্লস কলিনস, হ্যামিল্টন বোল্টন, রিচার্ড রাসেল এবং এ জে ফ্রস্ট সহ) তরঙ্গ নীতিটি ব্যবহার অব্যাহত রেখেছিলেন এবং বিনিয়োগকারীদের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। ফ্রস্ট এবং রবার্ট প্রেচার এলিয়ট ওয়েভ প্রিন্সিপাল লিখেছিলেন, ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত (প্রিল্টার মেরিল লিঞ্চে মার্কেট টেকনিশিয়ান হিসাবে কাজ করার সময় এলিয়টের কাজ জুড়ে এসেছিলেন; ১৯৮০-এর দশকের উর্ধ্বগামী বাজারের সময়কালের পূর্বাভাসক হিসাবে তাঁর খ্যাতি এলিয়টের তরঙ্গ নীতিটিকে সবচেয়ে বড় প্রকাশে আনতে সাহায্য করেছিল)।(তথ্য সংগ্রহ-উইকিপিডিয়া)রালফ নেলসন এলিয়ট তার মতে মার্কেট ক্রমাগত চক্রে মুভ করে, যেটাকে তিনি ইনভেস্টরদের ইমোশন হিসেবে চিহ্নিতকরেছেন যা বাহ্যিক প্রভাব অথবা একসাথে অনেকের সংঘবদ্ধ সাইকোলজি দ্বারা সংঘটিত হয়।তিনি বলেছেন যে প্রাইস উপরের অথবা নিচের দিকের সুইং যা সংঘবদ্ধ সাইকোলজির জন্য হয়, সেগুলো সবসময় প্যাটার্ন হিসেবে দেখা যায়। তিনি এইসব উপরের অথবা নিচের দিকের সুইংগুলকে “ওয়েভ” হিসেবে আখ্যায়িত করেন।তিনি বিশ্বাস করেন যে, যদি এই প্যাটার্নগুলোকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করা যায়, তাহলে আপনি বলে দিতে পারবেন যে প্রাইস পরবর্তীতে কোথায় যাবে অথবা যাবে না। এটা ট্রেডারদের কাছে ইলিয়ট ওয়েভকে আকর্ষণীয় করে তুলে । এটা একটা যথাযথ একটা পয়েন্ট মার্কেট রিভার্সাল চিহ্নিত করার উপায় দেয়। এক কথায়, এলিয়ট ওয়েভ মার্কেটে টপ ও বটম ধরার সুযোগ করে দেয়।ওয়েভের মূল একক ভিত্তি হচ্ছে লেনদেনকারীদের আচরণ যা মার্কেট আচরণের পূর্বনির্ধারিত ফলাফল ঘটতে দেয় না। ইলিয়টিরা, যাদের মধ্যে আছে অনেক ব্যাংক এবং বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের বড় টেকনিকাল কৌশলী, তারা ইলিয়ট ওয়েভ তত্ত্ব ব্যবহার করেন লেনদেনকারীদের বিনিয়োগের আচরণ বোঝার জন্য এবং সেই অনুযায়ী পূর্বাবাস দিয়ে মার্কেট আচরণ প্রকাশ করেন।
11648
১৯৩০ এর দশকের শুরুর দিকে, এলিয়ট পঁচাত্তর বছর স্টক মার্কেটের ডেটা নিয়ে নিয়মিত অধ্যয়ন শুরু করেছিলেন। ১৯৩৮ সালের আগস্টে তিনি তার তৃতীয় বই (চার্লস জে কলিন্সের সহযোগিতায় লেখা) দ্য ওয়েভ প্রিন্সিপাল প্রকাশ করে তাঁর পড়াশুনার ফলাফলগুলি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছিলেন। এলিয়ট বলেছিলেন যে, শেয়ার বাজারের দামগুলি এলোমেলো এবং অবিশ্বাস্যরূপে প্রদর্শিত হতে পারে, তারা আসলে অনুমানযোগ্য, প্রাকৃতিক আইন অনুসরণ করে এবং ফিবোনাচি নম্বর ব্যবহার করে পরিমাপ ও পূর্বাভাস দিতে পারে। দ্য ওয়েভ প্রিন্সিপাল প্রকাশের পরপরই, ফিনান্সিয়াল ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিন এলিয়টকে তার বাজার পূর্বাভাসের নতুন পদ্ধতির বর্ণনা দিয়ে বারোটি নিবন্ধ (তাঁর বইয়ের একই শিরোনামে) রচনার জন্য আদেশ দেয়। ১৯৪০ এর দশকের শুরুর দিকে, এলিয়ট সমস্ত যৌথ মানবিক আচরণের প্রয়োগ করার জন্য তাঁর তত্ত্বটি প্রসারিত করেছিলেন। তাঁর প্রকৃতির আইন সিক্রেট দ্য সিক্রেট অব দ্য ইউনিভার্স, মৃত্যুর দুই বছর পূর্বে, ১৯৪৬ সালের জুনে প্রকাশিত হয়েছিল ।এলিয়টের মৃত্যুর পরের বছরগুলিতে, অন্যান্য অনুশীলনকারীরা (চার্লস কলিনস, হ্যামিল্টন বোল্টন, রিচার্ড রাসেল এবং এ জে ফ্রস্ট সহ) তরঙ্গ নীতিটি ব্যবহার অব্যাহত রেখেছিলেন এবং বিনিয়োগকারীদের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। ফ্রস্ট এবং রবার্ট প্রেচার এলিয়ট ওয়েভ প্রিন্সিপাল লিখেছিলেন, ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত (প্রিল্টার মেরিল লিঞ্চে মার্কেট টেকনিশিয়ান হিসাবে কাজ করার সময় এলিয়টের কাজ জুড়ে এসেছিলেন; ১৯৮০-এর দশকের উর্ধ্বগামী বাজারের সময়কালের পূর্বাভাসক হিসাবে তাঁর খ্যাতি এলিয়টের তরঙ্গ নীতিটিকে সবচেয়ে বড় প্রকাশে আনতে সাহায্য করেছিল)।(তথ্য সংগ্রহ-উইকিপিডিয়া)রালফ নেলসন এলিয়ট তার মতে মার্কেট ক্রমাগত চক্রে মুভ করে, যেটাকে তিনি ইনভেস্টরদের ইমোশন হিসেবে চিহ্নিতকরেছেন যা বাহ্যিক প্রভাব অথবা একসাথে অনেকের সংঘবদ্ধ সাইকোলজি দ্বারা সংঘটিত হয়।তিনি বলেছেন যে প্রাইস উপরের অথবা নিচের দিকের সুইং যা সংঘবদ্ধ সাইকোলজির জন্য হয়, সেগুলো সবসময় প্যাটার্ন হিসেবে দেখা যায়। তিনি এইসব উপরের অথবা নিচের দিকের সুইংগুলকে “ওয়েভ” হিসেবে আখ্যায়িত করেন।তিনি বিশ্বাস করেন যে, যদি এই প্যাটার্নগুলোকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করা যায়, তাহলে আপনি বলে দিতে পারবেন যে প্রাইস পরবর্তীতে কোথায় যাবে অথবা যাবে না। এটা ট্রেডারদের কাছে ইলিয়ট ওয়েভকে আকর্ষণীয় করে তুলে । এটা একটা যথাযথ একটা পয়েন্ট মার্কেট রিভার্সাল চিহ্নিত করার উপায় দেয়। এক কথায়, এলিয়ট ওয়েভ মার্কেটে টপ ও বটম ধরার সুযোগ করে দেয়।ওয়েভের মূল একক ভিত্তি হচ্ছে লেনদেনকারীদের আচরণ যা মার্কেট আচরণের পূর্বনির্ধারিত ফলাফল ঘটতে দেয় না। ইলিয়টিরা, যাদের মধ্যে আছে অনেক ব্যাংক এবং বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের বড় টেকনিকাল কৌশলী, তারা ইলিয়ট ওয়েভ তত্ত্ব ব্যবহার করেন লেনদেনকারীদের বিনিয়োগের আচরণ বোঝার জন্য এবং সেই অনুযায়ী পূর্বাবাস দিয়ে মার্কেট আচরণ প্রকাশ করেন।
11648