View Full Version : জাপানের অর্থনৈতিক মন্দা, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্বোচ্চ
SaifulRahman
2020-07-21, 06:34 PM
করোনাভাইরাস সঙ্কট জাপানের অর্থনীতিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশটিতে অর্থনৈতিক ক্ষতি বাড়ছে। জুন পর্যন্ত টানা চার মাসে জাপানে দুই অঙ্কের বেশি হারে কমেছে রপ্তানি। রপ্তানি কমতে থাকায় কেবল জাপানেই নয় এর বাইরের বিশ্বেও দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেওয়া ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে জাপানি পণ্য রপ্তানি নতুন করে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। চাহিদা কমে যাওয়ায় গাড়ি, গাড়ির যন্ত্রাংশ ও বিমানের ইঞ্জিন রপ্তানি কমেছে। চীনেও রপ্তানি কমেছে। এতে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির শক্তিশালী চালিকাশক্তি মুখ থুবড়ে পড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। জাপানের অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, একবছর আগের তুলনায় এবছর জুনে জাপানের রপ্তানি কমে হয়েছে ২৬.২%। যা রপ্তানিতে ২৪.৯ শতাংশ ধসের চেয়েও বেশি। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের পর জাপানে গত মে মাসে রপ্তানির হার সবচেয়ে কমে দাঁড়িয়েছিল ২৮.৩ শতাংশে। এরপর তা আরও কমতেই দেখা যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের বহু দেশ লকডাউনে যাওয়ায় গত মার্চ মাস থেকেই গাড়ি ও অন্যান্য জিনিসের চাহিদা কমেছে। এখন অনেক দেশই আবার লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করলেও রাতারাতি পণ্যের চাহিদা বেড়ে জাপানের রপ্তানি বাণিজ্য চাঙ্গা হওয়ার আশা ক্ষীণই মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ব্রাজিলের মতো বড় বড় অর্থনীতির দেশগুলোতে আবারো করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে।
11658
BDFOREX TRADER
2020-08-12, 06:33 PM
২০২০ সালের প্রথমার্ধে জাপানের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্তি ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ৭ দশমিক ৩১ ট্রিলিয়ন ইয়েন বা ৬ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত সরকারি উপাত্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর ফলে রফতানি হ্রাস এবং পর্যটক আগমন কমে যাওয়ায় পাঁচ বছরের সর্বনিম্ন উদ্বৃত্তিতে দাঁড়িয়েছে। জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত জুনেই জাপানের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্তি ৮৬ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ১৬ হাজার ৭৫০ কোটি ইয়েনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে জাপানের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্তি ৩ দশমিক ৫৪ ট্রিলিয়ন ইয়েনের পর এটা সর্বনিম্ন। চলতি বছরের প্রথমার্ধে জাপানের রফতানি ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ৩২ দশমিক শূন্য ১ ট্রিলিয়ন ইয়েনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আমদানি ১২ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৩৩ দশমিক ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েনে দাঁড়িয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/590775018.jpg
SaifulRahman
2020-08-19, 04:52 PM
চলতি বছরের শুরুর দিকে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের তাণ্ডব শুরু হওয়ার আগে থেকেই জাপানের অর্থনীতি খুব বেশি ভালো অবস্থায় ছিল না। বিশেষ করে গত বছর অক্টোবর মাসে জাপান সরকার ভোগ্যপণ্য কর ৮ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে বৃদ্ধি করলে নাগরিকদের অনেকেই কেনাকাটা নিয়ে সতর্ক হয়ে ওঠেন। ফলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা হ্রাস পেলে অর্থনীতি সংকোচনের পথে এগিয়ে যায়। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সংগতি রেখে মানুষের উপার্জন বৃদ্ধি না পাওয়া হচ্ছে এর কারণ।
চলতি বছর এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) তার আগের প্রান্তিকের তুলনায় সাত দশমিক আট শতাংশ কমেছে। গত বছরের তুলনায় কমেছে ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
জাপানের অর্থনীতি পুনরুজ্জীবনমন্ত্ ী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি করে নেওয়ার মধ্য দিয়ে সরকার অর্থনীতিকে এপ্রিল ও মে মাসের তলানি অবস্থা থেকে তুলে আনবে। এই লক্ষ্যে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের শিথিল মনোভাব এখন আরও বেশি করে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও সতর্কতা বজায় রাখার বাইরে নাগরিকদের জন্য করণীয় নতুন উপদেশ সরকার এখন আর দিচ্ছে না।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চললেও মৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়া সরকারের এই উদ্যোগের পেছনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। মানুষ এখন আর করোনাভাইরাস নিয়ে প্রাথমিক অবস্থার মতো ততটা আতঙ্কিত নন। এর মধ্যে ভাইরাসের টিকা এসে গেলে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে আসবে এবং জাপানের অর্থনীতির ধীর অগ্রযাত্রা তখন হয়তো আরও বেশি পরিষ্কার হয়ে উঠবে। তবে আপাতত তলানি থেকে উঠে আসা হচ্ছে অর্থনীতির সামনে দেখা দেওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
Rehana
2020-08-20, 08:32 AM
I don't think that Japan can easily come over from economical crisis. Globally the economical crisis are growing fast. The price range for everything will move up and the leaders of world trade will try to get profit in more comparison .
Powered by vBulletin® Version 4.1.9 Copyright © 2025 vBulletin Solutions, Inc. All rights reserved.