PDA

View Full Version : চাঙ্গা হচ্ছে ক্রড ওয়েল এর দাম



FXBD
2020-09-02, 05:50 PM
একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মেক্সিকো উপসাগরীয় অঞ্চলে হারিকেন লরার প্রভাবে উত্তোলন কমে আসা, অন্যদিকে করোনাকালীন মন্দার ধাক্কা সামলে বিশ্বজুড়ে চাহিদা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা—এ দুইয়ের জের ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার ঊর্ধ্বমুখিতায় বাড়তে শুরু করেছে ক্রড ওয়েল এর দাম। এ ধারাবাহিকতায় টানা পাঁচ মাস ধরে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম চাঙ্গা রয়েছে। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম বাড়ছে টানা চার মাস ধরে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সর্বশেষ কার্যদিবসে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। দিন শেষে নভেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৬ ডলার শূন্য ৯ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ২৮ সেন্ট বেশি। অন্যদিকে এদিন ডব্লিউটিআইয়ের দাম বেড়েছে ব্যারেলে ১৮ সেন্ট। দিন শেষে নভেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআইয়ের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৩ ডলার ১৫ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।
http://forex-bangla.com/customavatars/647764355.jpg
টানা পাঁচ মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। গত ৫ আগস্ট প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৪৬ ডলার ২৩ সেন্টে উঠেছিল। মার্চের পর এটাই ছিল জ্বালানি পণ্যটির সর্বোচ্চ দাম। অন্যদিকে ডব্লিউটিআইয়ের দাম বাড়তির দিকে রয়েছে টানা চার মাস ধরে। এ ধারাবাহিকতায় ২৬ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জ্বালানি পণ্যটির দাম ব্যারেলপ্রতি ৪৩ ডলার ৭৮ সেন্টে বিক্রি হয়। মূলত হারিকেন লরার কারণে উত্তোলন সীমিত হয়ে আসায় সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি পণ্যটির বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।

BDFOREX TRADER
2020-09-06, 06:17 PM
নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর সবচেয়ে বড় ধাক্কা যেন লেগেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খাতে। বছরের শুরু থেকে একের পর এক দেশে লকডাউন কার্যকর হওয়ায় স্থবির হয়ে পড়ে পরিবহন খাতসহ সামগ্রিক অর্থনীতি। কমতে শুরু করে জ্বালানি তেলের চাহিদা। এ পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের রেকর্ড দরপতন ঘটায়। খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, চাহিদা বাড়ানো না গেলে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের কাঙ্ক্ষিত মূল্যবৃদ্ধির সুফল ভোগ করা সম্ভব নয়। তবে এ সম্ভাবনাও সুদূরপরাহত। রুশ জ্বালানিমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেছেন, বিশ্বজুড়ে চাহিদা পতনের মধ্য দিয়ে ২০২০ সাল পার করবে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খাত। আলেকজান্ডার নোভাক বলেছেন, বিশ্বজুড়ে চাহিদা পতনের মধ্য দিয়ে ২০২০ সাল পার করবে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খাত। খবর রয়টার্স ও অয়েলপ্রাইসডটকম।
শুক্রবার জ্বালানি খাতের একটি অনলাইন সম্মেলনে অংশ নিয়ে রুশ জ্বালানিমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেন, চলতি বছরে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা আগের বছরের তুলনায় দৈনিক গড়ে ৯০ লাখ থেকে এক কোটি ব্যারেল কম থাকতে পারে। এর পেছনে প্রধানতম প্রভাবক হিসেবে ভূূমিকা রাখছে করোনা মহামারী।
আলেকজান্ডার নোভাকের এমন মন্তব্য জ্বালানি তেলের রফতানিকারকদের জোট অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজের (ওপেক) পূর্বাভাসকে সমর্থন করে। গত মাসে এক প্রতিবেদনে ওপেক জানিয়েছিল, ২০২০ সালে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা আগের বছরের তুলনায় দৈনিক গড়ে ৯০ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল কমতে পারে। রুশ জ্বালানিমন্ত্রীও অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা পতনের পরিমাণ কাছাকাছি উল্লেখ করেছেন। িবিশ্বজুড়ে চাহিদার এ মন্দাভাব স্বাভাবিকভাবে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণে প্রভাব ফেলবে। সম্মেলনে নোভাক বলেন, আগামী বছর নাগাদ আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৬৫ ডলারে উন্নীত হতে পারে। তবে এর পেছনে অনেকগুলো যদি ও কিন্তু রয়েছে। প্রথমত, জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়াতে বৈশ্বিক চাহিদা বাড়ানো জরুরি। দ্বিতীয়ত, চাহিদায় মন্দা ভাব চলাকালে উত্তোলন ও সরবরাহে লাগাম টানা না গেলে জ্বালানি পণ্যটির দাম কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে উন্নীত করা সম্ভব হবে না। তৃতীয়ত, জ্বালানি তেলের বাজারে ভারসাম্য ফেরাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বর্তমানের তুলনায় আরো জোরদার করতে হবে।
মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) নাগাদ আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৫ ডলারে উন্নীত হতে পারে। আর আগামী বছর আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের গড় দাম দাঁড়াতে পারে ব্যারেলপ্রতি ৫৯ ডলার ৪০ সেন্টে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1504858644.jpg

FXBD
2020-09-09, 05:33 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/891163617.jpg
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদায় প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস নিয়ে শুরু হয়েছিল ২০২০ সাল। তবে সময় যত গড়িয়েছে এ পূর্বাভাস ততই ঋণাত্মক হয়েছে। নভেল করোনাভাইরাসের মহামারী চলতি বছর জ্বালানি পণ্যটির বৈশ্বিক চাহিদা কমিয়ে দিয়েছে, যা বছরের বাকি সময়েও অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে ২০২১ সাল নাগাদ অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদায় ফের প্রবৃদ্ধি ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। জ্বালানি তেলের রফতানিকারক দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজের (ওপেক) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। খবর অয়েলপ্রাইসডটকম ও রয়টার্স।ওপেকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারীর জের ধরে চলতি বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা দাঁড়াতে পারে দৈনিক গড়ে ৯ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেলে, যা আগের বছরের তুলনায় ৯০ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল বা ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কম। তবে আগামী বছর নাগাদ অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ওপেক। এ সময় জ্বালানি পণ্যটির বৈশ্বিক চাহিদা দাঁড়াতে পারে দৈনিক গড়ে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেলে, যা চলতি বছরের তুলনায় দৈনিক গড়ে ৭০ লাখ ব্যারেল বেশি।
করোনা মহামারীর কারণে চলতি বছরের শুরু থেকে বিশ্ব অর্থনীতি অনেকটাই স্থবির হয়ে আসে। সংক্রমণ এড়াতে উৎপাদন কার্যক্রম থেকে শুরু করে আমদানি-রফতানি, পরিবহন খাত—সবকিছুর কার্যক্রম গুটিয়ে আনতে বাধ্য হয় বিশ্ববাসী। টানা লকডাউনে বিশ্বজুড়ে ঘরবন্দি জীবন কাটান অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। এতে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পতনের মুখে পড়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা। এর জের ধরে রেকর্ড দরপতন ঘটে জ্বালানি তেলের দামেও। তবে ওপেক মনে করছে, করোনার ধাক্কায় চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতির গতি শ্লথ থাকলেও আগামী বছর থেকে তা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে। এতে বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদাও আগের তুলনায় বাড়বে। বাড়তে পারে জ্বালানি পণ্যটির দামও।

SUROZ Islam
2020-09-13, 06:51 PM
জ্বালানি তেলের ব্যারেল ২৫ ডলারে নামতে পারে। নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজারে যে চ্যালেঞ্জের জন্ম দিয়েছে, ইতিহাসে এমন পরিস্থিতি আগে দেখা যায়নি। করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো অর্থনৈতিক মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছে বিশ্বকে। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ছে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা। এমন নানামুখী সংকট সহসাই দূর হওয়ার নয়। ফলে অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক সংকট আন্তর্জাতিক বাজারে দীর্ঘমেয়াদে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দরপতন ঘটাতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেন্ট্রাল ব্যাংক অব রাশিয়া। প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী তিন বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ব্যারেল ২৫ ডলারে নেমে যাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। খবর অয়েলপ্রাইসডটকম ও বিজনেস ইনসাইডার।
http://forex-bangla.com/customavatars/1151334778.jpg

FXBD
2020-09-17, 04:47 PM
নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর জের ধরে চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলনে ধস নামতে যাচ্ছে, এটা প্রায় অনুমেয়। তবে মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ ের (ইআইএ) সাম্প্রতিক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মন্দা ভাব বজায় থাকলেও চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি পণ্যটির উত্তোলন আগের প্রাক্কলনের তুলনায় বাড়তে পারে। খবর রয়টার্স ও সিএনবিসি।
http://forex-bangla.com/customavatars/1585883415.jpg
গত মাসে প্রকাশিত ইআইএর শর্ট টার্ম এনার্জি আউটলুকে বলা হয়েছিল, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের কূপগুলো থেকে প্রতিদিন গড়ে ৯ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন কমে আসতে পারে। তবে প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কূপগুলো থেকে ২০২০ সালে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দৈনিক গড় উত্তোলন কমতে পারে ৮ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল। অর্থাৎ দেশটিতে জ্বালানি পণ্যটির দৈনিক গড় উত্তোলন হ্রাসের প্রাক্কলন ১ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল কমিয়ে এনেছে ইআইএ। প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের কূপগুলো থেকে প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আর ২০২১ সালে দেশটিতে জ্বালানি পণ্যটির দৈনিক গড় উত্তোলন কমতে পারে তিন লাখ ব্যারেল। উত্তোলন কমার পাশাপাশি চলতি বছর দেশটিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদাও কমে আসতে পারে। প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি পণ্যটির দৈনিক গড় চাহিদা দাঁড়াতে পারে ১ কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে, যা আগের বছরের তুলনায় দৈনিক ২১ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল কম।
করোনাকালে একদিকে উত্তোলন কমে আসা, অন্যদিকে চাহিদায় পতন মার্কিন জ্বালানি তেল খাতের জন্য শাপে বর হতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, চাহিদা কমলে এমনিতেই যেকোনো পণ্যের দাম বাড়ে। তার ওপর যদি উত্তোলন খাতে মন্দা ভাব বজায় থাকে, তবে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের কাঙ্ক্ষিত মূল্যবৃদ্ধিতে তা সহায়ক হবে। আগামী বছর নাগাদ দেশটিতে জ্বালানি তেলের দাম বর্তমানের তুলনায় বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৫৫-৬০ ডলারে উন্নীত হতে পারে।

DhakaFX
2020-10-04, 06:16 PM
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের কাঙ্ক্ষিত মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্যে বৈশ্বিক উত্তোলন ও সরবরাহ সীমিত রাখাসহ নানা ধরনের উদ্যোগ এগিয়ে নিচ্ছে জ্বালানি পণ্যটির রফতানিকারকদের জোট অর্গনাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) ও এর মিত্র দেশগুলো। জ্বালানি তেলের বাজারে সৌদি আরব, রাশিয়াসহ এসব দেশের মিত্রতা ওপেক প্লাস নামে পরিচিত। এর পরও চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি আগের তুলনায় বাড়িয়েছে ওপেক প্লাস জোটের সদস্যরা। লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইএইচএস মার্কিট কমোডিটিজের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর অয়েলপ্রাইসডটকম ও রয়টার্স।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ওপেক প্লাস জোটের সদস্য দেশগুলো প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি করেছে। গত আগস্টে এসব দেশ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি হয়েছিল। সেই হিসাবে, এক মাসের ব্যবধানে ওপেক প্লাস জোটের দেশগুলো থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দৈনিক গড় রফতানি বেড়েছে ৭ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল।
http://forex-bangla.com/customavatars/170256013.jpg

BDFOREX TRADER
2020-10-15, 03:24 PM
করোনার আঘাতে বিধ্বস্ত অর্থনীতিতে অন্যতম বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া জ্বালানি তেলের বাজার এখনো নিম্নমুখী। ফলে বিক্রি কমে গিয়ে জ্বালানি পণ্যটির মজুদ বাড়ছে। এতে করে জ্বালানি তেলের বাজারে নেতৃত্ব দেয়া ওপেক প্লাস জোটের মজুদের পরিমাণ আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। ফলে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিজেদের মধ্যে চলা দীর্ঘদিনের বিরোধ এখন আরো দৃশ্যমান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে ওপেক প্লাস জোটের নেতৃত্বে এখন চিড় ধরতে পারে। জ্বালানি পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘদিন উৎপাদন ও রফতানি হ্রাস-বৃদ্ধি করার যে মতৈক্য, সেটিও এখন ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর নিজেদের এ মতানৈক্য সবশেষ জ্বালানি পণ্যটির শীর্ষ সরবরাহকারী সৌদি আরবকে মূল্যযুদ্ধে ঠেলে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর অয়েল প্রাইস ডটকম
http://forex-bangla.com/customavatars/190537229.jpg

BDFOREX TRADER
2020-11-24, 02:52 PM
সোমবার সকালে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বাড়ছে ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশার মধ্যে যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন মহামারী নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করবে। ওষুধের বিকাশে সাফল্য সম্পর্কে আশাবাদ এবং এটি যে কাঁচামালের চাহিদা পুনরুদ্ধারকে সমর্থন করবে তার আশাবাদ নভেম্বর মাসে তেলের দাম প্রায় 20% বৃদ্ধি করেছিলো। সোমবার দুপুর নাগাদ, ২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রথমবারের মতো উত্তর সাগরের ব্রেন্ট তেল মিশ্রণ এর ফেব্রুয়ারি ফিউচারের দাম ব্যারেল প্রতি $ 46 ডলারের উপরে উঠেছিল। জানুয়ারী ব্রেন্ট ফিউচার প্রতি ব্যারেল 1.47% বৃদ্ধি পেয়ে 45.63 ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের ক্লোজিং প্রাইস থেকে $0.22 (0.49%) বেশি।জানুয়ারিতে ডাব্লুটিআইয়ের অপরিশোধিত ফিউচার প্রতি ব্যারেল 1.74% বেড়ে $43.16 দাঁড়িয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1459435758.jpg
স্মরণ করুন যে শুক্রবার আমেরিকান ফার্মাসিউটিক্যাল কর্পোরেশন ফাইজার এবং জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক ইউএস ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশ কে (এফডিএ) করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে জরুরিভাবে একটি ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার জন্য একটি অনুরোধ জানিয়েছিল। এর জবাবে, মার্কিন সরকার টিকা কর্মসূচির প্রধান মনসেফ স্লাউই বলেছিলেন যে ১১-১২ ডিসেম্বরের প্রথম দিকে ড্রাগের ব্যবহার শুরু হতে পারে। ভ্যাকসিন সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সংবাদের বাজারের অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত প্রতিক্রিয়া যথেষ্ট বোধগম্য কারণ নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ এর নতুন আক্রান্তের সংখ্যা গত মাসের তুলনায় প্রতিদিন প্রায় 110,000 বেশি। এদিকে, হংকংয়ের সংক্রমণ বাড়ার কারণে হংকং ও সিঙ্গাপুর এই শহরগুলির মধ্যে 14 দিনের জন্য বিনামূল্যে ফ্লাইট পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা স্থগিত করেছে। এছাড়া বিশেষজ্ঞরা আফসোস করে বলেছিলেন যে অদূর ভবিষ্যতে ইউরোপ, আমেরিকা এবং এশিয়ার করোনভাইরাস নিয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাইহোক, বিনিয়োগকারীরা খারাপ সম্পর্কে চিন্তা না করা এবং ভ্যাকসিনের তাত্ক্ষণিক প্রভাবটিতে বিশ্বাস অবিরত করতে পছন্দ করে। এছাড়াও, তেল বাজারের অংশগ্রহণকারীদের ইতিবাচক মেজাজ এই প্রত্যাশার দ্বারা সমর্থিত যে এই মাসের শেষের দিকে, ওপেক + পূর্বে গৃহীত উৎপাদন হ্রাস এক চতুর্থাংশ বা অর্ধ বছরের জন্য বাড়িয়ে দেবে। নভেম্বরের মাঝামাঝি, ওপেক + মন্ত্রিপরিষদ মনিটরিং কমিটি তেল বাজারের পরিস্থিতি নিয়ে কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় তরঙ্গের পটভূমির বিপরীতে আলোচনা করেছিল। ফলাফল সম্পর্কে কোনও সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়নি, যদিও সংগঠনের বিশেষজ্ঞরা এর আগে সুপারিশ করেছিলেন যে মন্ত্রীরা ২০২১ সালের প্রথম 3-6 মাসের জন্য বর্তমান তেল উত্পাদন বিধিনিষেধ বজায় রাখার কথা বিবেচনা করে। কমিটি জোটের পরবর্তী সভায় এই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা ১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ ছাড়াও, ক্রেতা-ব্রিক্রেতারা সৌদি আরবের পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। এর আগে, গণমাধ্যম জানিয়েছে যে ইয়েমেনের একটি আন্দোলনরত বিদ্রোহী গ্রুপ হুতি সৌদির রাষ্ট্রীয় তেল ও গ্যাস সংস্থা সৌদি আরমকো এর বিতরণ স্টেশনে রকেট হামলার ঘোষণা করেছে।

DhakaFX
2020-11-25, 02:11 PM
ভ্যাকসিন প্রাপ্তির সম্ভাবনায় চাঙ্গা ক্রড ওয়েল এর দাম। শীত মৌসুম শুরু হতে না হতেই বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ লাগামহীনভাবে বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিনই রেকর্ড পরিমাণ রোগী বাড়ছে। বাড়তির পথে রয়েছে মৃত্যু। তবে একই সঙ্গে মহামারীর লাগাম টানতে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে আশার আলো দেখা দিয়েছে। নিজস্ব ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা দাবি করেছে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো দেশগুলো। এ আশা প্রভাব ফেলেছে জ্বালানি তেলের বাজারে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের সাপ্তাহিক গড় দাম বেড়ে প্রায় ১২ সপ্তাহের সর্বোচ্চের কাছাকাছি উন্নীত হয়েছে। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভ্যাকসিন বাজারে এলে মহামারী দূর হবে। বিশ্বজুড়ে বাড়বে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা। এমন সম্ভাবনার প্রত্যাশা জ্বালানি তেলের সাপ্তাহিক বাজার চাঙ্গা করেছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1081585687.jpg

BDFOREX TRADER
2020-12-03, 07:13 PM
করোনা মহামারীর মধ্যে বৈশ্বিক চাহিদায় রেকর্ড পতন, রাজনৈতিক বিবেচনায় সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যকার মূল্যযুদ্ধ—এমন নানা কারণে চলতি বছরের শুরু থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম টানা কমতির পথে ছিল। ইতিহাসে এবারই প্রথম জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি শূন্য ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল। বছরের শেষভাগে এসে দাম কিছুটা বাড়লেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চাহিদা ও জোগানে ভারসাম্য ফেরানো জরুরি। চাহিদা বৃদ্ধির সম্ভাবনা অনেকটাই নির্ভর করছে মহামারী পরিস্থিতির ওপর। আগামী দিনগুলোয় করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা বাড়তে পারে। নতুবা আরো কমবে। অন্যদিকে জ্বালানি পণ্যটির জোগান সীমিত করতে ভূমিকা রাখছে ওপেক প্লাসের বৈশ্বিক উত্তোলন হ্রাস চুক্তি। যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই শেষ হয়েছে অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) ও এর মিত্র দেশগুলোর মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠক।
http://forex-bangla.com/customavatars/1910535757.jpg

DhakaFX
2020-12-07, 06:34 PM
টালমাটাল পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে ২০২০ সাল পার করছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার। করোনা মহামারীর কারণে বছরের শুরু থেকে চাহিদায় রেকর্ড পতন দেখা দেয়ায় জ্বালানি পণ্যটির ব্যাপক দরপতন ঘটে। চলতি বছরই ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম শূন্য ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী। করোনাকালে চাহিদায় পতন ও মূল্যযুদ্ধের ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে জ্বালানি পণ্যটির দাম। তবে এখনো তা কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়েনি। এমনকি ২০২১ সালে গিয়েও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বর্তমানের তুলনায় খুব একটা বাড়বে না। এ ধারাবাহিকতায় আগামী বছর প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের গড় দাম ৫০ ডলারের নিচে অবস্থান করার সম্ভাবনা প্রবল।
http://forex-bangla.com/customavatars/1279828479.jpg

DhakaFX
2020-12-09, 05:46 PM
এশিয়ার দেশগুলোর জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে জ্বালানি পণ্যটির শীর্ষ রফতানিকারক দেশ সৌদি আরব। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি প্রতিষ্ঠান সৌদি আরামকোর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস ও রয়টার্স। সৌদি আরামকো জানিয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এশিয়ার দেশগুলো সৌদি আরবের কাছ থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনতে গেলে আরব লাইট ক্রুডের ক্ষেত্রে চলতি ডিসেম্বরের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি বাড়তি ৮০ সেন্ট গুনতে হবে। এর মধ্য দিয়ে আরব লাইট ক্রুডের দাম ওমান/দুবাই গ্রেডের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি ৩০ সেন্ট বাড়তি থাকবে। তবে চীন, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য বাড়ালেও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমিয়েছে সৌদি আরামকো। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, জানুয়ারিতে আরব লাইট ক্রুডের ক্ষেত্রে মার্কিন ক্রেতাদের ডিসেম্বরের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি ৩০ সেন্ট কম পরিশোধ করতে হবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/179890558.jpg

DhakaFX
2020-12-13, 07:56 PM
দেশে দেশে কোভিড ১৯ ভাইরাসের মেডিসিন বেড় হচ্ছে, আর সেই সঙ্গে বাড়ছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা। এ বাড়তি চাহিদা জ্বালানি তেল এর মার্কেটেকে আবারও চাঙ্গা করে তুলেছে। শীতের প্রকোপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা এবং মেডিসিন এর কারনে লকডাউন কম থাকায় বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। ধারাবাহিকতায় বিশ্ব বাজারে দাম বেড়ে দুই বছরের বেশি সময়ের মধ্যে দ্রত ঘুরে দাড়াচ্ছে। করোনার প্রকোপ আরো বাড়লেও জ্বালানি তেলের বাজার বর্তমানের তুলনায় আরো চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে। http://forex-bangla.com/customavatars/1288500335.jpg

BDFOREX TRADER
2020-12-15, 07:27 PM
শীতের প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারী পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে শুরু করেছে। গতকাল ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলে চাঙ্গা হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেলে বা অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। ভ্যাকসিন নিয়ে এমন আশাবাদের খবরে জ্বালানি পণ্যটির দাম আরো বেড়েছে। এ ধারাবাহিকতায় ব্রেন্ট ক্রুডের ব্যারেল ৫০ ডলারের ওপরে অবস্থান করছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গতকাল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। দিন শেষে ফেব্রুয়ারিতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম দাঁড়িয়েছে ৫০ ডলার ৬৪ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি ৮৭ সেন্ট বেশি। একইভাবে এদিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে ব্যারেলে ৬২ সেন্ট। দিন শেষে জানুয়ারিতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই বিক্রি হয়েছে ৪৭ ডলার ১৯ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।একই সঙ্গে সৌদি আরবের জেদ্দা বন্দরে একটি জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনা জ্বালানি পণ্যটির সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1189599943.jpg

BDFOREX TRADER
2020-12-23, 05:25 PM
বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এর মধ্যেই যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের নতুন একটি রূপের বিস্তার ঘটেছে, যা আগের স্বরূপগুলোর তুলনায় অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এ পরিস্থিতি করোনা নিয়ে নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে, যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের বাজারে। করোনা সংক্রমণের নতুন এ আশঙ্কা আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দরপতন ঘটিয়েছে। রয়টার্স প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সর্বশেষ কার্যদিবসে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ২২ শতাংশ কমেছে। দিন শেষে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম দাঁড়িয়েছে ৫০ ডলার ২৯ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি ৬২ সেন্ট কম।
http://forex-bangla.com/customavatars/267176969.jpg
একই চিত্র দেখা গেছে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দামেও। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সর্বশেষ কার্যদিবসে জ্বালানি পণ্যটির দাম আগের দিনের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি ৭২ সেন্ট কমেছে। দিন শেষে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআইয়ের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৭ ডলার ২৫ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ কম।
গত সোমবারও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৩ শতাংশ কমেছিল। খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, কমার এ হার অব্যাহত থাকলে বড়দিনের আগে ব্রেন্ট ক্রুডের ব্যারেল ফের ৫০ ডলারের নিচে নেমে আসতে পারে।
বছর শেষের আগে যেখানে ধনী দেশগুলো করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে ক্রমশ আশাবাদী হয়ে উঠছিল, ঠিক তখনই দুঃসংবাদ দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি জানান, ভাইরাসের নতুন একটি বিবর্তিত রূপ লন্ডন ও দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। এর পর পরই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ভারতসহ বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশ। এ পরিস্থিতি নতুন আতঙ্ক জন্ম দেয়ার পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দরপতন ঘটিয়েছে।

Rassel Vuiya
2021-01-04, 06:10 PM
বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়ায় গত বছরের বেশির ভাগ সময়ই জ্বালানি তেলের চাহিদা কম ছিল। এ কারণে দ্য অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) ও তার জোটভুক্ত দেশগুলো গত মে মাস থেকে নজিরবিহীনভাবে জ্বালানি তেলের উত্তোলন কমিয়ে দেয়, কেননা মহামারীর মধ্যে বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদা ওঠা-নামা করতে পারে। এ কারণেই জোটভুক্ত দেশের জ্বালানিমন্ত্রীর প্রতি মাসে আলোচনায় বসে ঠিক করবেন, চাহিদা অনুযায়ী ঠিক কী পরিমাণ অপরিশোধিত তেল উত্তোলন করা যায়। আগামীকাল ওপেক প্লাস ঠিক করবে, আগামী মাসে বাজারে কতটা তেল তারা সরবরাহ করবে। আসলে বাজার পরিস্থিতির ওপরই নির্ভর করবে পরবর্তী পদক্ষেপ ও দাম।
http://forex-bangla.com/customavatars/1552176851.jpg

SUROZ Islam
2021-01-07, 02:56 PM
১১ মাসের মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম সর্বোচ্চে পজিশনে রয়েছে। গতকাল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়েছে। দিন শেষে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম দাঁড়িয়েছে ৫৩ ডলার ৮৭ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি ২৭ সেন্ট বেশি। দিনের শুরুতে জ্বালানি পণ্যটির দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৪ ডলার শূন্য ৯ সেন্টে উঠেছিল। ২০২০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারির পর এটাই ব্রেন্ট ক্রুডের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড।
http://forex-bangla.com/customavatars/944568238.jpg
অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিকারকদের বৈশ্বিক তালিকায় সৌদি আরবের অবস্থান শীর্ষে। স্বাভাবিকভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যের মূল্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক সৌদি আরব। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে জ্বালানি পণ্যটির দৈনিক গড় উত্তোলন ১০ লাখ ব্যারেল কমিয়ে আনতে স্বপ্রণোদিতভাবে সম্মত হয়েছে সৌদি সরকার। মূলত ওপেক প্লাসের বৈঠকে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক উত্তোলন কমানোর বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত না আসায় এমন উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের বাজারে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে কমে এসেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ। মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ ের (ইআইএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ দাঁড়িয়েছে ৪৯ কোটি ১৩ লাখ ব্যারেলে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৭ লাখ ব্যারেল কম। মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকসের এক নোটে বলা হয়েছে, একদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মজুদ কমেছে, অন্যদিকে সৌদি আরব উত্তোলন সীমিত করতে সম্মত হয়েছে। এ দুইয়ের জের ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে জ্বালানি তেলের। তবে বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় দীর্ঘমেয়াদে বাজার পরিস্থিতি কেমন হবে- তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

FXBD
2021-01-17, 06:35 PM
আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৫০ ডলারের ওপরে অবস্থান করছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) তা আরো বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে উন্নীত হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করতে পণ্যটি উত্তোলনকারী ও রফতানিকারক দেশগুলো একযোগে কাজ করছে। বিশেষত ওপেক প্লাসের আওতায় গৃহীত উদ্যোগের সুফল মিলছে। সৌদি আরব স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জ্বালানি তেলের দৈনিক গড় উত্তোলন ১০ লাখ ব্যারেল কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। এসব উদ্যোগের ফল পাওয়া যাবে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গিয়ে। ওই সময় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৬০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সর্বশেষ কার্যদিবসে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড ৫৫ ডলার ১০ সেন্টে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) বিক্রি হয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৫২ ডলার শূন্য ৪ সেন্টে। করোনাকালীন ধাক্কা সামলে চলতি বছরের শুরু থেকেই জ্বালানি তেলের বাজার বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে, যা আগামী দিনগুলোতেও বহাল থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1455954747.jpg

DhakaFX
2021-01-18, 06:05 PM
বিদায়ী বছরের প্রায় পুরোটাজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর ধাক্কা সামলেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খাত। বছরের শেষভাগে এসে দেশে দেশে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগে খাতসংশ্লিষ্টদের মনে আশা জাগে, ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদায় উল্লম্ফন দেখা দেবে, যা জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। তবে নতুন বছরে করোনা নিয়ে উদ্বেগ পুরোপুরি কাটেনি। বরং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, করোনা সহসা বিদায় নাও নিতে পারে। বরং বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিবর্তিত রূপ ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। এ পরিস্থিতিতে চলতি বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা প্রবৃদ্ধির হার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নাও হতে পারে। এই রকম সম্ভাবনায় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৬০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1503756655.jpg

Bossking
2021-01-23, 05:09 PM
জ্বালানী তেলের একটি ব্যারেল 25 এ নেমে যেতে পারে c উপন্যাসটি বিশ্বব্যাপী কোয়েড অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম বাজারের জন্য একটি পরীক্ষার প্রতিনিধিত্ব করেছে, এমন পরিস্থিতি আর কখনও পাওয়া যায় নি। করোনার পরিস্থিতি বিশ্বকে আর্থিক মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছে। একই সাথে, আন্তর্জাতিক চাপগুলি বিশ্বের বিভিন্ন টুকরোয় আরোহণ করছে। একটি বিশেষত বহুমুখী জরুরি অবস্থা অপ্রত্যাশিতভাবে অদৃশ্য হয়ে যাবে না। সুতরাং, বিশ্বব্যাপী বাজারে কাঁচা পেট্রোলিয়ামের ব্যয় হ্রাস পেতে আর্থিক ও আন্তর্জাতিক জরুরী কারণ হতে পারে, রাশিয়ান জাতীয় ব্যাংক সতর্ক করেছে। সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে, বিশ্বব্যাপী বাজারে কাঁচা পেট্রোলিয়ামের ব্যয় সম্ভবত পরবর্তী তিন বছরে 25 ডলার ব্যারেল কমে যেতে চলেছে।

FXBD
2021-01-26, 01:08 PM
করোনাকালীন পরিস্থিতিতে টালমাটাল অবস্থার ভেতর দিয়ে সময় পার করছে জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার। রেকর্ড দরপতনের ধাক্কা সামলে গত বছরের শেষভাগ থেকে বাড়তির পথে রয়েছে জ্বালানি পণ্যটির দাম। এ ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতি ব্যারেল ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) গড় দাম ৫৬ ডলারে উঠতে পারে। মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ ের (ইআইএ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর অয়েলপ্রাইসডটকম। প্রতিষ্ঠানটির শর্ট-টার্ম এনার্জি আউটলুকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গত ডিসেম্বরে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই গড়ে ৫০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। এর পর থেকে ধারাবাহিক উত্থান-পতনের মধ্যে রয়েছে জ্বালানি পণ্যটির দাম। তবে জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে জ্বালানি পণ্যটির গড় দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৫৬ ডলারে উন্নীত হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসে ডব্লিউটিআইয়ের গড় দাম বাড়তে পারে ব্যারেলপ্রতি ৬ ডলার।
করোনা সংক্রমণ নিয়ে শঙ্কা থাকার পরও বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ধীরে ধীরে বাড়ছে। চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা করোনা-পূর্ববর্তী পর্যায়ে ফিরে এসেছে। দাম তুলনামূলক সস্তা থাকায় চীনসহ অনেক দেশ আমদানি বাড়িয়েছে। মূলত এসব কারণে চলতি বছরের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে ডব্লিউটিআইয়ের চাহিদা আগের তুলনায় বাড়বে, যা জ্বালানি পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে ইআইএ।
http://forex-bangla.com/customavatars/2010141507.jpg

Tofazzal Mia
2021-01-27, 05:59 PM
নভেল করোনাভাইরাসের মহামারী নিয়ে বিশ্বজুড়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। দেশে দেশে বাড়ছে সংক্রমণ। বাড়তির পথে রয়েছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ নতুন করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কঠোর করার চিন্তাভাবনা করছে। চীনেও করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ নিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদায় ধস নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর পরও চলতি বছরের জন্য জ্বালানি পণ্যটির গড় দামের প্রাক্কলন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ বিনিয়োগ ব্যাংক বার্কলেস পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, করোনার চ্যালেঞ্জ ছাপিয়ে চলতি শীত মৌসুমে বাড়তি চাহিদা ও উত্তোলন সীমিত রাখা ২০২১ সালে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের গড় দাম বাড়াতে পারে। ব্রেন্টের ব্যারেল দাঁড়াবে ৫৫ ডলারে ডব্লিউটিআইয়ের ৫২ ডলারে!
http://forex-bangla.com/customavatars/1390433486.jpg
খবর অয়েলপ্রাইসডটকম ও নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ।

Tofazzal Mia
2021-01-31, 02:52 PM
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে ২০২০ সালের শুরুর দিক থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একের পর এক লকডাউনে চলে যায়। মানুষ ঘরবন্দি থাকায় কার্যত স্থবির হয়ে আসে পরিবহন খাত। কার্যক্রম সীমিত হয়ে আসে শিল্প, পর্যটনসহ নানা খাতের। এমন পরিস্থিতিতে কমতে শুরু করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা। বছর শেষে মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ (ইআইএ) বলছে, করোনা মহামারী ও লকডাউনের কারণে গত বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা আগের বছরের তুলনায় ৯ শতাংশ কমেছে। তবে চলতি বছর জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা মন্দা ভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। ইআইএর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা দাঁড়াতে পারে দৈনিক গড়ে ৯ কোটি ৭৮ লাখ ব্যারেলে, যা আগের বছরের তুলনায় দৈনিক গড়ে ৫৬ লাখ ব্যারেল বা ৬ শতাংশ বেশি। যদিও ২০১৯ সালে মহামারী-পূর্ববর্তী অবস্থানের তুলনায় যা প্রায় ৩ শতাংশ কম। ইআইএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর শুধু যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দৈনিক গড় চাহিদা ১৪ লাখ ব্যারেল বাড়তে পারে। অন্যদিকে ২০২২ সালে জ্বালানি পণ্যটির দৈনিক গড় চাহিদা চলতি বছরের তুলনায় আরো ৩৩ লাখ ব্যারেল বৃদ্ধি পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা দেখছে প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজের (ওপেক) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি বছর জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক গড় চাহিদা দাঁড়াতে পারে দৈনিক ৯ কোটি ৫৯ লাখ ব্যারেলে। ২০১৯ সালে মহামারী-পূর্ববর্তী অবস্থানের তুলনায় যা দৈনিক গড়ে ৫০ লাখ ব্যারেল কম।
http://forex-bangla.com/customavatars/1407923862.jpg

BDFOREX TRADER
2021-02-03, 06:08 PM
তেলের মুল্য বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে, মঙ্গলবার অপরিশোধিত তেলের মুল্য বেড়েছে। অত্যন্ত সীমিত চাহিদা মধ্যে পুনরুদ্ধারের ইতিবাচক সম্ভাবনার কারণে বড় ব্র্যান্ডের মুল্য বেড়েছে। সৌদি আরব তেল খাতের প্রতিনিধিদের মতে, চাহিদা এখনও তার পূর্ববর্তী সূচকগুলোতে দ্রুত ফিরে আসতে সক্ষম হবে না, কারণ এখনও অনেক বাহ্যিক চাপ রয়েছে। সেরা ক্ষেত্রে, চাহিদাটি কেবল এই বছরের শেষের দিকে ফিরে আসতে পারে, তবে শর্ত রয়েছে যে কোনও গুরুতর সমস্যা নেই। তবুও, যথেষ্ট ইতিবাচক রয়েছে। বিশেষত, অনেক বিশ্লেষক মনে করেন যে বিশ্বের মহামারী সংক্রান্ত পরিস্থিতির সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলো এখনও অনেক রয়েছে, যার অর্থ হল ধীরে ধীরে করোনভাইরাস কমতে শুরু করবে, যা অপরিশোধিত তেলের চাহিদা পূর্বাভাসকেও উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করবে। কালো সোনার বাজার মার্কিন ডলারের দুর্বল থেকে অতিরিক্ত সমর্থন পেয়েছে। একটি দুর্বল ডলার পণ্যগুলোকে বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। মঙ্গলবার, ডলার সূচকটি বিশ্বের মূল মুদ্রার সাথে সম্পর্কিত 0.1% হ্রাস পেয়েছে, যদিও এই মুহুর্ত পর্যন্ত এটি তার সর্বনিম্ন সূচকগুলোতে পৌঁছেছে। কালো সোনার বাজারে এখন খুব তীব্র বিপর্যয় দেখা দিয়েছে: অংশগ্রহণকারীদের অবস্থা প্রায় ইউ-আকারের একটি পরিবর্তন দেখিয়েছে। ইতিবাচক এত দ্রুত বৃদ্ধির কারণটি করোনাভাইরাস মহামারীটির অধিক স্থায়িত্বের আশা। গণ টিকা ধীরে ধীরে সব অসুবিধাগুলো কাটিয়ে উঠেছে এবং গতি অর্জন করছে, যা আমাদের বলতে দিচ্ছে যে মাত্র দু'মাসের মধ্যে সবকিছুই উন্নতির দিকে পরিবর্তিত হতে পারে। এটিই তেলের বাজারের অংশগ্রহণকারীরা গণনা করছেন। এই মুহুর্তে যখন ঘটনার হারে অবিচ্ছিন্ন হ্রাস অর্জন সম্ভব হবে তখন কালো সোনার ব্যবসাও চড়াই উতরাই হবে। তেল বাজারও ওপেক দ্বারা সমর্থিত। স্বেচ্ছাসেবী উৎপাদন কমানোর বিষয়ে চুক্তিটি অনুমোদনকারী বেশ কয়েকটি দেশ ঘোষণা করেছে যে তারা এ বছরের দ্বিতীয় মাসে হাইড্রোকার্বন উৎপাদন আরও হ্রাস করার ইচ্ছা পোষণ করেছে। এর মধ্যে সৌদি আরবও ছিল। সাধারণভাবে, হ্রাসটি প্রতিদিন প্রায় 1.5 মিলিয়ন ব্যারেল হিসাবে হওয়া উচিত, যা ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদার মোট লেভেলের 1.5%। অধিকন্তু, প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুসারে, এই বছরের জানুয়ারিতে উৎপাদনের পরিকল্পিত হ্রাসও সেই রাজ্যগুলির দ্বারা 99% দ্বারা পূরণ করা হয়েছিল যা চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে, এখন পর্যন্ত এটি কেবলমাত্র প্রাথমিক গণনা, যা নির্দিষ্ট করা হবে। এদিকে, গত বছরের তুলনায় যে পরিমাণ লেনদেন হয়েছে তা বৃহত্তর পরিমাণে সম্পন্ন হয়েছিল সেটি মার্কেটের অংশগ্রহণকারীদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের, যারা তাদের কাজকে আরও তীব্র করার জন্য অতিরিক্ত গতি অর্জন করে। লন্ডনে ট্রেডিং ফ্লোরে এপ্রিল মাসে ডেলিভারির জন্য ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল-এর ফিউচার কন্ট্রাক্টের মুল্য প্রতি ব্যারেল 0.98% বা $0.55 থেকে $56.9 ডলারে দাঁড়িয়েছে। সোমবারের ট্রেডিং চুক্তিতে 2.4% বা $1.31 ডলার বৃদ্ধি পেয়ে শেষ হয়েছিল, যা ব্যারেল এর মুল্য $56.35 ডলারে পাঠিয়েছে। নিউইয়র্কের ইলেকট্রিক ট্রেডিং ফ্লোর মার্চ মাসে WTI অপরিশোধিত তেলের জন্য ফিউচার চুক্তির মুল্য ব্যারেল প্রতি 1.03% বা $0.55 ডলার থেকে প্রতি ব্যারেল $54.1 ডলারে দাঁড়িয়েছে। সোমবারের ট্রেডিং গ্রিন জোনে ট্রেডিং ক্লোজ হয়ে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে 2.6% বা $1.35 , যা প্রতি ব্যারেলকে চূড়ান্ত মূল্য $ 53.55 এ প্রেরণ করেছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/909566917.jpg

FXBD
2021-02-24, 06:53 PM
আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বাড়তির পথে রয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) জ্বালানি পণ্যটির দাম আরো বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস। প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৭৫ ডলারে উঠতে পারে। এর মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক জ্বালানি তেল খাতে করোনাকালীন লোকসান অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1824820373.jpg
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বর্তমানে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৬৫ ডলারের ওপরে অবস্থান করছে। এ পরিস্থিতিতে গোল্ডম্যান স্যাকস বলছে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বর্তমানের তুলনায় আরো ১০ ডলার বেড়ে ৭৫ ডলারে পৌঁছতে পারে। দ্রুত বাজারে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রত্যাশার তুলনায় কম জ্বালানি তেল উত্তোলনের জের ধরে তৃতীয় প্রান্তিক নাগাদ জ্বালানি পণ্যটির এমন মূল্যবৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।

Rassel Vuiya
2021-02-25, 04:29 PM
যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল মজুদের ফলে কমেছে রিফাইনারিগুলোর চাহিদা। গতকাল এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পরই হঠাৎ করে নেমে গেছে তেলের বাজারদর। মঙ্গলবার আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট (এপিআই) জানায়, গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেল মজুদের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ লাখ ব্যারেল বেড়েছে। রয়টার্সের জরিপে ৫২ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল উত্তোলনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। এপিআইয়ের উপাত্তে অবশ্য দেখা যাচ্ছে, শোধনাগারগুলোতে দিনপ্রতি অপরিশোধিত তেল শোধন ২২ লাখ ব্যারেল কমেছে। গতকাল জ্বালানি তেলের বাজারদর ব্যারেলপ্রতি ৬০ দশমিক ৯৭ ডলারে নেমে আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের দাম নির্ধারণকারী সংস্থা ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম আগের চেয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে ব্যারেলপ্রতি ৬১ দশমিক ৩৮ ডলার নির্ধারণ করেছে। রয়টার্সের বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস, অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম পুনরায় ৬৬ দশমিক ৪৫ থেকে ৬৬ দশমিক ৩১ ডলারে পৌঁছতে পারে। কমনওয়েলথ ব্যাংকের বিশ্লেষক বিবেক ধর বলেন, রিফাইনারিগুলোর চাহিদার চেয়ে বেশি মজুদ সংগ্রহ করা হয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1190942220.jpg

SUROZ Islam
2021-03-02, 01:34 PM
মার্কিন প্রণোদনা বিল পাসে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম, যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে বড় অংকের প্রণোদনা বিল পাসের ফলে গতকাল জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। গতকাল ব্যারেলপ্রতি ১ ডলারের বেশি বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। মে মাসের সরবরাহ চুক্তিতে অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম ১ দশমিক ৯ শতাংশ বা ১ দশমিক ২৪ ডলার বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৬৫ দশমিক ৬৬ ডলারে। গত শুক্রবার এপ্রিলে সরবরাহ চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমেডিয়েটে (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ১ দশমিক ৯ শতাংশ বা ১ দশমিক ১৮ ডলার বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৬২ দশমিক ৬৮ ডলারে।
13804

Tofazzal Mia
2021-03-10, 03:20 PM
বিভিন্ন কারণে তেলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী, মঙ্গলবার সকালে সৌদি আরবের তেল উৎপাদন ক্ষেত্রগুলোর উপর হামলার পর তেলের সরবরাহ কমে যাওয়ার প্রত্যাশার মধ্যে তেলের দাম বেড়েছে।আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে, ব্রেন্টের মে ফিউচারের ব্যয় 0.89% বৃদ্ধি পেয়ে ব্যারেল প্রতি 68.85 ডলারে পৌঁছেছে, অন্যদিকে ডব্লিউটিআইয়ের এপ্রিল ফিউচারগুলি 0.78% বেড়েছে এবং ব্যারেল প্রতি 65.56 ডলারে পৌঁছেছে। সোমবার, ডব্লিউটিআই তেলের জন্য এপ্রিল ফিউচারগুলি নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (NYMEX) প্রতি ব্যারেল প্রতি 1.48% হ্রাস পেয়ে 65.11 ডলারে লেনদেন করেছে। অন্যদিকে ব্রেন্টের জন্য মে ফিউচারগুলি 1.53% হ্রাস পেয়ে ব্যারেল প্রতি 68.30 ডলারে ট্রেডিং ক্লোজ হয়েছে। ব্রেন্ট এবং ডাব্লুটিআইয়ের মধ্যে পার্থক্য প্রতি ব্যারেল $ 3.19 ছিল। আজ ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, তেল অবিচ্ছিন্ন প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছিল, ব্রেন্টের প্রতি ব্যারেল $ 71 এবং ডব্লিউটিআইয়ের জন্য $ 68 ডলার পর্যন্ত বেড়েছে। তবে সেশনের শেষে, বৃদ্ধির বেশ কয়েক দিন পরে সংশোধনের অংশ হিসাবে দাম হ্রাস পেয়েছে। তবুও, বিশেষজ্ঞরা আশ্বস্ত করেছেন যে তেলের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক, যদিও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অস্থির এবং পরিবর্তনীয় হবে। চাহিদা প্রত্যাশাগুলিও মোটামুটি ইতিবাচক রয়েছে, জনসংখ্যার কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের উচ্চ হারের পাশাপাশি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের দেশীয় সংবাদগুলির কারণে। এর সাথে গত সপ্তাহান্তে, মার্কিন সিনেট দীর্ঘ প্রতীক্ষিত $ 1.9 ট্রিলিয়ন ডলার ব্যালআউট বিলটি অনুমোদন করেছে, যা অনেকের আশা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কারণ হতে পারে। তেল বাজারকে প্রভাবিতকারী আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সৌদি আরবের বার্তা ছিল। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হুতি বিদ্রোহীরা ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে আরব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশাল ধর্মঘট শুরু করেছে। সশস্ত্র হামলার ফলস্বরূপ, সৌদি আরামকোর তেল ক্ষেত্রগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1341659080.jpg

DhakaFX
2021-03-21, 02:41 PM
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের অন্যতম সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ফলে দেশটির উত্তোলন, মজুদ ও সরবরাহ হ্রাস-বৃদ্ধির ওপর দাম ওঠা-নামা করে। একই কারণে গতকাল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ বা ৭৪ সেন্ট কমেছে। ফলে প্রতি ব্যারেলের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৭ ডলার ২৬ সেন্ট। এর আগে বুধবার ব্রেন্টের দাম দশমিক ৬ শতাংশ কমে। অন্যদিকে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম সর্বশেষ ৬৫ সেন্ট বা ১ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেলের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৩ ডলার ৯৫ সেন্ট, যেখানে আগের সেশনে ব্যারেলপ্রতি দাম কমেছিল দশমিক ৩ শতাংশ।
13928

SaifulRahman
2021-03-25, 11:03 AM
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি হারে কমেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। ইউরোপে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং টিকাদান কার্যক্রমের ধীরগতির প্রভাব পড়েছে জ্বালানি তেলের বাজারে। তবে বিপরীতে বেড়েছে ডলারের দাম। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ২.২ ডলার অথবা ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৬২.৪২ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রভিত্ িক তেলের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ২ ডলার ১০ সেন্ট বা ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৫৯.৪৬ ডলার। গত সপ্তাহের তুলনায় দুটির দামই ৬ শতাংশ কমেছে।
জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলো করোনা মহামারীর প্রভাবে তেল উৎপাদন কমিয়ে এনেছিল, যাতে বিশ্ববাজারে কিছুটা ভারসাম্য বজায় থাকে। অন্যদিকে মার্কিন জ্বালানি তেল উত্তোলক প্রতিষ্ঠানগুলো সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে শুরু করেছে। জানুয়ারির পর থেকে এখন পর্যন্ত জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়িয়ে দিয়েছে তারা, যাতে চাহিদা বাড়লে যোগান দিতে সমস্যা না হয় এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। বলা হয়, গ্যাস ও তেল উত্তোলক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজর রাখলে বাজারের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা পাওয় যায়। দেখা গেছে, জ্বালানি তেল উত্তোলনের হার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়িয়েছে তারা। এদিকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে লকডাউন বাড়ানোর চিন্তা করছে জার্মান, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বড় বড় অথনৈতিক দেশগুলো। এসব কারণে জ্বালানি তেলের বাজারে কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1877958289.jpg

BDFOREX TRADER
2021-04-01, 12:54 PM
বিশ্ববাজারে বাড়তে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের দাম, যা দি অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ অ্যান্ড অ্যালাইসের (ওপেক প্লাস) বৈঠকে বলা হয়েছে। মূলত মে মাসে উৎপাদকরা তাদের সরবরাহ বাড়াবেন এমন আশ্বাসের বিপরীতে দাম বাড়ে। ওপেক প্লাসের এক সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় যে করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি বিশ্বব্যাপী ক্রমেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধির ওপর প্রভাব বিস্তার করবে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্যসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওপেক প্লাসের নির্ধারিত এ বৈঠক আজ অনুষ্ঠিত হবে। মূলত চলতি মাসে কভিড-১৯ মহামারীর কারণে ইউরোপে লকডাউন বৃদ্ধি, ভ্যাকসিনের ধীরগতির সরবরাহ, ভারত ও ব্রাজিলে কভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম হ্রাস পাওয়া নিয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের ঘোষণা আসার পরই মে মাসের জন্য সরবরাহ চুক্তিতে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধিতে ৩২ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৪ ডলার ৪৬ সেন্টে পৌঁছে। এর আগে মঙ্গলবার ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছিল। এছাড়া জুনে সরবরাহ চুক্তি অনুযায়ী ব্রেন্টের দাম দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধিতে ২৫ সেন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৬৪ ডলার ৪২ সেন্টে। চলতি মাসে ফেব্রুয়ারির তুলনায় বেঞ্চমার্ক কমেছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ১৮ শতাংশ বেড়েছিল। গত মাসে বাজারে অপরিশোধিত অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সরবরাহ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল ওপেক প্লাস। এমন সময় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদাও বাড়তে শুরু করেছিল। মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট অনুসারে ক্রুডের সরবরাহ চুক্তি মূল্য দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধিতে ২৬ সেন্ট বেড়ে প্রতি ব্যারেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৬০ ডলার ৮১ সেন্টে, যা আগের সেশনে ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছিল।
http://forex-bangla.com/customavatars/1423395635.jpg
কমনওয়েলথ ব্যাংকের কমোডিটি বিশ্লেষক বিবেক ধর বলেন, সরবরাহ চুক্তির শৃঙ্খলা বজায় রাখাই এখন ওপেক প্লাসের অন্যতম উদ্দেশ্য। এক্সিস সিকিউরিটিজের কারেন্সিজ অ্যান্ড কমোডিটিজ বিভাগের প্রধান সুনিল কুমার কাতকে বলেন, সবার দৃষ্টি এখন ওপেক প্লাসের বৈঠকের ওপর নিবদ্ধ হয়ে আছে। বিশেষ করে মে মাসের সরবরাহ চুক্তি ও ক্রমবর্ধমান কভিড-১৯ পরিস্থিতির দরুন ইউরোপে লকডাউন পরিস্থিতির কারণে সবাই ওপেকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছে। পাশাপাশি ডলারের মূল্যবৃদ্ধি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামকে আরো ২-৩ শতাংশ প্রভাবিত করতে পারে। তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করছি পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে সরবরাহ কমানোর যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা আগামী মে মাসে আরেকটু শিথিল করা হবে। ফলে সামনের দিনগুলোতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সরবরাহ আরেকটু বাড়তে পারে।

Tofazzal Mia
2021-04-04, 06:29 PM
আগামী মে ও জুলাইয়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন বৃদ্ধির কথা ভাবছে ওপেক ও তার মিত্ররা। এ সময়ে তারা দৈনিক জ্বালানি তেল উত্তোলন প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। করোনা মহামারী থেকে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জ্বালানি তেল উত্তোলন অনেক দিন ধরেই স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে তেল রফতানিকারক দেশগুলোর শীর্ষ সংগঠনটি। মহামারীর কারণে জ্বালানি তেলের চাহিদা তলানিতে ঠেকায় গত বছর উত্তোলন কমিয়ে দিয়েছিল ওপেক ও তার মিত্র দেশগুলো। ধীরে ধীরে উত্তোলন বৃদ্ধি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগামী মে মাসে প্রতিদিন উত্তোলন বাড়াবে ২ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল। জুন ও জুলাইয়ে উত্তোলন বাড়াবে যথাক্রমে সাড়ে তিন লাখ ও চার লাখ ব্যারেল। এদিকে সৌদি আরব ফের প্রতিদিন যে ১০ লাখ ব্যারেল উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা বাতিল করেছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/875303807.jpg

BDFOREX TRADER
2021-04-06, 01:59 PM
জ্বালানি তেলের বাজার ২০২৩ সালের আগে স্বাভাবিক হচ্ছে না। কভিড-১৯ মহামারীর ধকল কাটাতে বিশ্বের অনেক দেশই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মতো বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলো এরই মধ্যে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে নজর দিয়েছে। ফলে এসব দেশের শিল্প-কারখানাগুলোতে বেড়েছে জ্বালানি তেলের চাহিদা। বিশ্বের অর্থনৈতিক গতি ত্বরান্বিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বালানির বৈশ্বিক চাহিদাও বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তা সত্ত্বেও বেশকিছু কারণেই বৈশ্বিক জ্বলানি তেলের চাহিদা এখনই আগের অবস্থায় ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না বলেও মনে করছেন তারা।
২০২৩ সালের আগে বৈশ্বিক জ্বলানি তেলের চাহিদা করোনা মহামারীর আগের স্তরে ফিরবে না বলে মনে করছে প্যারিসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)। নতুন কার্যাভ্যাস ও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে আসায় বিশ্বের জ্বলানি তেলের চাহিদা সহসাই খুব একটা বাড়ছে না বলে মনে করছে সংস্থাটি।
http://forex-bangla.com/customavatars/1673248563.jpg
আইইএর এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর দৈনিক জ্বালানি তেল ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৯০ লাখ ব্যারেল। সেখান থেকে উন্নীত হয়ে ২০২৩ সালে জ্বলানি পণ্যটির বৈশ্বিক চাহিদা গড়ে ১ কোটি ১০ লাখ ব্যারেলে পৌঁছবে। সংস্থাটির এক প্রতিবেদন বলছে, করোনা মহামারীতে লকডাউনের কারণে বিভিন্ন দেশের মানুষকে এক ধরনের গৃহবন্দি জীবন যাপন করতে হয়েছে। ফলে রাস্তাঘাটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে জনশূন্য হয়ে যায়। অবস্থার ভয়াবহতা কমাতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এ সময় তাদের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রাখে। ফলে গত বছর জ্বালানি তেলের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকটাই কমে যেতে দেখা যায়। তবে করোনাশেষে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের চাহিদা আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসবে বলে মনে করছেন সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা। গত বছর আইইএর এক পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি দশকের মাঝামাঝিতে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ২৫ লাখ ব্যারেল কমে আসবে। পেট্রলের ব্যবহার এরই মধ্যে সম্ভাব্য শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বলেও মনে করছে সংস্থাটি। বছরের মাঝামাঝি সময়ে জ্বালানি তেলের সার্বিক অবস্থা নিয়ে প্যারিসভিত্তিক সংস্থাটির সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় জ্বালানি তেলের চাহিদা সম্ভবত আর মাহমারীর আগের অবস্থায় ফিরবে না। অর্থাৎ জ্বালানি তেলের বাজার কভিড-পরবর্তী সময়ে আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই।

SaifulRahman
2021-04-11, 02:46 PM
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উৎপাদন কিছুটা স্থিতিশীল থাকার পর ফের উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এর আগে করোনা মহামারী এবং সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে তেলযুদ্ধের কারণে বড় ধরনের ধাক্কা খেতে হয়েছে দেশটিকে। বর্তমানে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের লকডাউন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মন্থর গতি তেলের বাজারে সংকট তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে এ ধরনের সংকট মোকাবেলায় চলতি দ্বিতীয় প্রান্তিকে (মার্চ-মে) তেল উৎপাদন বাড়াচ্ছে দেশটি। এর মাধ্যমে জ্বালানি তেলের বাজারে কিছুটা নির্ভার থাকতে চাচ্ছে মার্কিন সরকার।
http://forex-bangla.com/customavatars/1257592496.jpg

SumonIslam
2021-04-25, 05:26 PM
যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদার পাশাপাশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ইউরোপের বাজারে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা বেড়েছে। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পায়। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার আদর্শ ব্রেন্ট ক্রুডের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য গতকাল ২১ সেন্ট অথবা দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৫ ডলার ৬১ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার এই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৮ সেন্ট বেড়ে যায়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তেলের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অনুসারে, ক্রুডের দাম ২৯ সেন্ট বা দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬১ ডলার ৭২ সেন্টসে পৌঁছেছে। এর আগে এটির দামও বৃহস্পতিবার ৮ সেন্ট বৃদ্ধি পায়।
http://forex-bangla.com/customavatars/91270900.jpg

Montu Zaman
2021-04-29, 01:17 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1232602245.jpg
আগামী ১ মে থেকে উত্তোলন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে ওপেক প্লাস অটল থাকলেও গত মঙ্গলবার কিছুটা বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তা যে জ্বালানি তেলের চাহিদায় তেমন প্রভাব ফেলেনি এতে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ওপেক, রাশিয়া ও তার মিত্র দেশগুলো একত্রে ওপেক প্লাস হিসেবে পরিচিত। সূত্রগুলো জানায়, গতকাল ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলোর মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে গত সোমবার একটি টেকনিক্যাল বৈঠকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে জ্বালানি তেলের চাহিদা যে অপরিবর্তিত থাকবে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ওই বৈঠক শেষে রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক বলেন, ১ এপ্রিল ওপেক প্লাসের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তা অপরিবর্তিত রাখতে চাচ্ছে প্যানেলটি। গতকাল অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭৭ সেন্ট বা ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ দশমিক ৪২ ডলার। ইউএস অয়েলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক শূন্য ৩ ডলার বা ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ দশমিক ৯৪ ডলার।

Rakib Hashan
2021-05-06, 01:50 PM
আজ বৃহস্পতিবার এশিয়ান সেশনে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের প্রাইস বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোভিড-১৯ এর পুনরুদ্ধার তেলের চাহিদা বাড়িয়ে তুলেছে। যা তেলের প্রাইসে প্রভাব ফেলছে।ব্রেন্ট ক্রুড তেলের প্রাইস বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৬৯.১৬ এবং wti বৃদ্ধি পেয়ে ৬৫.৭২ এর কাছাকাছি অবস্থান করছে। ৩০ এপ্রিল প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ ( ইআইএ) এর অপরিশোধিত তেল সরবরাহ সপ্তাহে ১.৯৯০ মিলিয়ন ব্যারেল নির্ধারিত করা হয়েছে। যা প্রত্যাশিত ২.৩৪৬ মিলিয়ন খুব সহজেই এসেছে। তেলের প্রাইস বৃদ্ধির এটা অন্যতম কারণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন সহ বড় অর্থনৈতিক দেশগুলো কোভিড-১৯ থেকে পুনরুদ্ধার এবং জ্বালানির চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে তেলের বাজার প্রত্যাবর্তন শুরু করেছে। এর ফলে জ্বালানি চাহিদা ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
14304

SUROZ Islam
2021-05-16, 06:40 PM
সরবরাহ বন্ধ থাকায় বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল সরবরাহ নেটওয়ার্ক কলোনিয়াল পাইপলাইন। এ পাইপলাইনে সাইবার হামলার পরই বাড়তে শুরু করেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। গতকাল জ্বালানি পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটে। ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারদরে ঊর্ধ্বগতি দেখল পণ্যটি। এদিকে শুক্রবার ঘটে যাওয়া ওই হামলার পর কলোনিয়াল পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তেল অবকাঠামোগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/225655120.jpg

Tofazzal Mia
2021-05-24, 06:12 PM
তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি এশিয়ার কয়েকটি অঞ্চলে মহামারী সংক্রান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কারণে থেমে গিয়েছিলো। তদুপরি, বাজারের অংশগ্রহণকারীরা ইরান থেকে তেল সরবরাহের সম্ভাবনা সম্পর্কে অনুমান অব্যাহত রেখেছে, যদি তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় ঐকমত্যে পৌঁছে যায়। একই সময়ে, বিশ্লেষকরা তেল বাজারের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তারা ভবিষ্যদ্বাণী করে যে ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধে, ব্রেন্ট ক্রুডের গড় মূল্য ব্যারেল প্রতি $ 70 ডলার হবে। যাইহোক, গতকাল, তেলের দাম 3 সপ্তাহের নিম্নতমের চেয়ে কমে গেছে। বুধবার, জুন ডাব্লুটিআই ফিউচারগুলি ব্যারেল প্রতি ৬৩.৩৬ ডলার বাণিজ্য করতে ৩.৩% হ্রাস পেয়েছে, অন্যদিকে জুলাইয়ের সরবরাহের জন্য ব্রেন্ট ফিউচারগুলি ব্যারেল প্রতি ৩.০% হ্রাস পেয়ে ৬৬.৬৬ ডলার হয়েছে। নিম্নমুখী মূল্য প্রবণতা মূলত ভারতে মহামারী সংক্রান্ত পরিস্থিতি দ্বারা সৃষ্ট হয়েছিল, যা বিশ্বের তেলের তৃতীয় বৃহত্তম ভোক্তা। সেখানে, করোনাভাইরাসের অনিয়ন্ত্রিত বিস্তার থেকে তেলের চাহিদা উল্লেখযোগ্য চাপে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছিলেন যে ভারত যখন মার্কিন পরিস্থিতি পুনরাবৃত্তি করতে পারে, তখন করোনভাইরাস মহামারী পেট্রোলের শূন্যপদ গ্রহণ এবং জ্বালানির চাহিদা হ্রাসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। বিনিয়োগকারীরা ইরান ইস্যুতেও মনোনিবেশ করছেন। সুতরাং, অদূর ভবিষ্যতে মার্কিন প্রশাসন পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনাকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে এবং ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলি নরম করতে পারে। এটি দেশকে তার তেল রফতানি বাড়ানোর সুযোগ দেবে। একই সময়ে, গতকাল, মার্কিন শক্তি তথ্য প্রশাসন জানিয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তেলের মজুদ আগের সপ্তাহে ১.৩ মিলিয়ন ব্যারেল বৃদ্ধি পেয়েছিল। বিশ্লেষকরা ২.৯ মিলিয়ন ব্যারেল হ্রাসের পূর্বাভাস করেছিলেন। মঙ্গলবার, আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট (এপিআই) তেলের মজুদে 0.6 মিলিয়ন ব্যারেল বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে। একই সময়ে, পেট্রোল মজুদ 2 মিলিয়ন ব্যারেল সঙ্কুচিত হয়ে গেছে এবং ডিসটিলেট ২.৩ মিলিয়ন ব্যারেল হ্রাস পেয়েছে। বিশ্লেষকরা আশা করেছিলেন যে পেট্রোল মজুদগুলিতে ০.৬ মিলিয়ন ব্যারেল বৃদ্ধি এবং ডিস্টিল্ট মজুদগুলিতে 0.2 মিলিয়ন ব্যারেল হ্রাস হবে। গত সপ্তাহে, বাণিজ্যিক মোটর পেট্রোলের সামগ্রিক সরবরাহ দিনে 9.244 মিলিয়ন ব্যারেল ছিল। এটি ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে সর্বোচ্চ স্তর। বিশ্লেষকরা মনে করেন যে এ জাতীয় পরিসংখ্যান তেলের চাহিদা আরও বাড়ার লক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। বিশ্লেষকরা আরও জোর দিয়েছিলেন যে এই সপ্তাহে তেলের বাজার প্রায় ইতিবাচক তথ্য উপেক্ষা করে চলেছে। এটি মূলত ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কিত খবরের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। ২০২১ সালে তেলের দাম বেশি চাহিদা এবং চাহিদা কম থাকায় বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। তেলকে অর্থনীতিগুলিও সমর্থন করে, যা কোভিড -১৯ মহামারীর পরে পুনরুদ্ধার করছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/625767837.jpg

SUROZ Islam
2021-06-01, 03:28 PM
জ্বালানি তেলের বাজার চাঙ্গা করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য টেনে ধরতে ওপেক ও ওপেক-বহির্ভূত দেশগুলোকে নিয়ে ওপেক প্লাস জোট গঠন করা হয়, যার নেতৃত্বে রয়েছে সৌদি আরব ও রাশিয়া। জোটটি দীর্ঘদিন ধরে বাজারে সরবরাহ কমানোর জন্য উত্তোলন হ্রাস-বৃদ্ধি করে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়গুলোতে উত্তোলন ক্রমেই বাড়াচ্ছে জোটভুক্ত দেশগুলো। এরই অংশ হিসেবে আগামীকাল সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রিপর্যায়ে সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে উত্তোলন আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে মে-জুনে জ্বালানি তেলের দৈনিক উত্তোলন সাড়ে তিন লাখ ব্যারেল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেক প্লাস।
http://forex-bangla.com/customavatars/1593268206.jpg
উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী জুলাইয়ে দৈনিক ৮ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে জোটটির। তবে ওপেক প্লাস বলছে, এ মাসে তারা দৈনিক উত্তোলনের পরিমাণ চার লাখ ব্যারেল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওপেকের শীর্ষ উত্তোলক দেশ সৌদি আরব এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের উত্তোলন বাড়ানো শুরু করেছে। দেশটি আগামী কয়েক মাস জোটের বাইরে এককভাবে দৈনিক অতিরিক্ত ১০ লাখ ব্যারেল উত্তোলন কমানোর কথা জানিয়েছিল। তবে তারাও এখন উত্তোলন বাড়িয়ে যাচ্ছে।

BDFOREX TRADER
2021-06-02, 02:28 PM
শক্তিশালী হচ্ছে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা। জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে। রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক নিয়ে গঠিত জোট ওপেক প্লাস এ পূর্বাভাস দিয়েছে। সোমবার জোটটির জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটি জানায়, চলতি বছর জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা দৈনিক ৬০ লাখ ব্যারেল করে বাড়বে। জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে। রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক নিয়ে গঠিত জোট ওপেক প্লাস এ পূর্বাভাস দিয়েছে। সোমবার জোটটির জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটি জানায়, চলতি বছর জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা দৈনিক ৬০ লাখ ব্যারেল করে বাড়বে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1574491789.jpg

SUROZ Islam
2021-06-10, 10:53 AM
14634
যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিতে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত আছে। চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটি দৈনিক ৩২ লাখ ৩৬ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি করে। মার্চে আমদানির পরিমাণ ছিল দৈনিক ২৬ লাখ ১৫ হাজার ব্যারেল। সে হিসেবে রফতানি বেড়েছে দৈনিক ৬ লাখ ২১ হাজার ব্যারেল। মার্কিন সেনসাস ব্যুরো কর্তৃক প্রকাশিত বাণিজ্য নথিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষ চতুর্থ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিকারক। এপ্রিলে দেশটি এখন পর্যন্ত এ বছরের সর্বোচ্চ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি করেছে। জানুয়ারিতেও জ্বালানি পণ্যটির রফতানি বড় পরিসরে বেড়েছিল। এ সময় রফতানির পরিমাণ দৈনিক ৩০ লাখ থেকে ৩০ লাখ ৭৫ হাজার ব্যারেলে উন্নীত হয়। জানুয়ারিতে রফতানিযোগ্য প্রতি ব্যরেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল ৪৯ ডলার ১১ সেন্ট। তবে এপ্রিলে পণ্যটির দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৫৮ ডলার ৮৭ সেন্টে পৌঁছে।

Tofazzal Mia
2021-06-13, 02:26 PM
চাহিদা বৃদ্ধিতে চাঙ্গা হচ্ছে ক্রড ওয়েল এর দাম। ক্রড ওয়েল বা জ্বালানি তেলের দাম গত কয়েক বছরের মধ্যে গতকাল সর্বোচ্চে পৌঁছেছে, যা সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো দাম বৃদ্ধির ঘটনা। কভিড-১৯-এর টিকা প্রয়োগের কারণে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল হওয়া এবং ইউরোপ, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদা পুনরুদ্ধারের কারণে দাম বৃদ্ধির এ ঘটনা ঘটেছে। ব্রেন্ট ক্রুডের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য ব্যারেলপ্রতি ২১ সেন্ট বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ ডলার ৭৩ সেন্টে। ২০১৯ সালের মে মাসের পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এটিই ছিল সর্বোচ্চ দাম। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য ব্যারেলপ্রতি ১৭ সেন্ট বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ ডলার ৪৬ সেন্টে। বৃহস্পতিবার দাম বৃদ্ধির পর ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর এটিই ডব্লিউটিআই ক্রুডের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড।
http://forex-bangla.com/customavatars/1667536013.jpg

SaifulRahman
2021-06-16, 12:50 PM
বিশ্ববাজারে বেড়েই চলেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বিশ্ববাজার। টানা তিন সপ্তাহের মতো পণ্যটির দাম বেড়েছে। সর্বশেষ কার্যদিবসে জ্বালানি তেলের দাম ৩২ মাসের শীর্ষে উঠে এসেছে। করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রম ত্বরান্বিত হওয়ায় বিশ্বজুড়ে ফিরছে স্বস্তি। বৈশ্বিক সংকট কাটতে শুরু করায় দৈনন্দিন জীবনধারা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এর ফলে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে গ্রীষ্মকালীন চাহিদা জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনায় বিশ্বব্যাপী যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল তা দ্রুতগতিতে কাটছে। আমেরিকানরা আবারো কাজে ফিরতে শুরু করেছে। তারা বড় কলেবরে অনুষ্ঠানাদি ও বন্ধুদের আড্ডায় শামিল হচ্ছে। সিবিএস নিউজের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। পরিস্থিতি গত বছরের তুলনায় স্বাভাবিক হতে শুরু করায় জ্বালানি তেলের চাহিদায় উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় সরবরাহ কম। ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজারদর। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেলের বাজার আদর্শ ব্রেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলপ্রতি ৭০ ডলারের ওপরে উঠে আসে। রয়টার্স জানায়, সর্বশেষ কার্যদিবসে ব্রেন্টের দাম দশমিক ৭ শতাংশ বা ৫১ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭৩ ডলার ২০ সেন্টে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৮ সালের মে মাসের পর সর্বোচ্চ। অন্যদিকে ডব্লিউটিআইয়ের দাম ৪৭ সেন্ট বা দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭১ ডলার ৩৮ সেন্টে পৌঁছেছে, যা ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ। এদিকে ব্লুমবার্গের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে কার্যদিবসের শুরুতে ডব্লিউটিআই জুলাইয়ে সরবরাহ চুক্তিমূল্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭১ ডলার ২৪ সেন্টে দাঁড়ায়। অন্যদিকে আইসিই ফিউচারস ইউরোপ এক্সচেঞ্জে ব্রেন্টের আগস্টে সরবরাহ চুক্তিমূল্যও দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য উঠেছে ৭৩ ডলার ৫ সেন্ট পর্যন্ত।
http://forex-bangla.com/customavatars/93962670.jpg

DhakaFX
2021-06-21, 04:57 PM
14718
আজ সোমবার তেলের প্রাইস বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রীষ্মের ড্রাইভিং মৌসুমে তেলের চাহিদা বৃদ্ধি এবং ইরান পারমাণবিক চুক্তিকে পুনর্জীবিত করার ফলে তেলের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ব্রেন্ট ক্রুড তেল ২৩ সেন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩.৭৪ প্রাইসের কাছাকাছি অবস্থান করছে। মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ( wti) ২৯ সেন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৭১.৯৩ প্রাইসে অবস্থান করছে। যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এর কারণে সরবরাহের ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছিল, তা দূর হওয়ার পাশাপাশি দেশে দেশে দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া গতি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ছে। এ ছাড়া আগামী আগস্টে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার আগেই দেশটি পারমাণবিক ইস্যুতে একটি চুক্তি সইয়ে ঐকমত্য হতে পারে। এমন সম্ভাবনাও তেলের পালে যেন হওয়া লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। oanda অ্যানালাইসিস্ট জেফ্রি হ্যালি বলেছেন, অর্থনৈতিক বাজারে কোলাহল সত্ত্বেও, সত্যিকার বিশ্ব সঠিক পথে চলছে এবং বিধি নিষেধ কমার সাথে সাথে তেলের প্রাইস বৃদ্ধি পাচ্ছে।

DhakaFX
2021-06-22, 03:13 PM
বিশ্ববাজারে আরো এক ধাপ বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। সর্বশেষ কার্যদিবসে জ্বালানি পণ্যটির দাম ব্যারেলপ্রতি ৭২ ডলারে উঠে আসে। খবর ব্লুমবার্গ ও রয়টার্স।পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলোর সংলাপ চলছে। ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংলাপের মধ্য দিয়ে ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তেল রফতানি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার গুঞ্জন উঠেছিল। এতে সরবরাহ বৃদ্ধির সম্ভাবনায় জ্বালানি পণ্যটির দাম সম্প্রতি কমেছিল। কিন্তু কোনো রকম চুক্তি ছাড়াই সংলাপ শেষ হওয়ায় গতকাল আবারো বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়ে। পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন ঊর্ধ্বমুখী চাহিদাও জ্বালানি পণ্যটির দাম বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা নিউইয়র্কের ফিউচার মার্কেটে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিমূল্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। টানা চার সপ্তাহ ধরে দরবৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত আছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/5993129.jpg

Rassel Vuiya
2021-07-05, 12:53 PM
চলতি বছরের জুনে প্রতিশ্রুতির দ্বিগুণেরও বেশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়িয়েছে ওপেক। জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বমুখী বৈশ্বিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্য নিয়ে সফলভাবেই বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষ করেছে রফতানিকারক দেশগুলোর জোট সংগঠনটি। জুনে ওপেক দৈনিক ৮ লাখ ৫৫ হাজার ব্যারেল করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়িয়েছে। ওপেকের গত মাসের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায় ব্লুমবার্গ। এ সমীক্ষায় দেখা গেছে, জোটভুক্ত দেশগুলো গত মাসে সব মিলিয়ে দৈনিক ২ কোটি ৬৪ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল উত্তোলন করে। ওপেকের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল উত্তোলক দেশ সৌদি আরব। দেশটি বিশ্বের শীর্ষ রফতানিকারকও। ব্লুমবার্গের সমীক্ষা বলছে, জুনে ওপেকভুক্ত দেশগুলোর মোট উত্তোলিত জ্বালানি তেলের অর্ধেকই এসেছে সৌদি আরব থেকে। এ সময় দেশটি দৈনিক ৪ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল করে উত্তোলন বাড়িয়েছে। দৈনিক মোট উত্তোলনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৯ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেলে। এর আগে চলতি মাসের এপ্রিলে ওপেক ও ওপেক নিয়ে গঠিত ওপেক প্লাসের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার চাঙ্গা করতে উত্তোলন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয় ওই বৈঠকে।
http://forex-bangla.com/customavatars/727374511.jpg

SUROZ Islam
2021-07-07, 01:10 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/310897486.jpg
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তরল জ্বালানি খাত। দেশে দেশে লকডাউনসহ নানা বিধিনিষেধ শিথিল হতে থাকায় বাড়ছে পেট্রোলিয়াম ও তরল জ্বালানি পণ্যের চাহিদা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যবহারও। এর সঙ্গে তাল মেলাতে বিশ্বপরিমণ্ডলে বাড়ছে তরল জ্বালানি পণ্যের উৎপাদন। আগামী বছর বৈশ্বিক উৎপাদন বেড়ে করোনা-পূর্ববর্তী পর্যায়ে ফিরে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ (ইআইএ)। প্রতিষ্ঠানটির শর্ট-টার্ম এনার্জি আউটলুক শীর্ষক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৯ সালে তরল জ্বালানি পণ্যের বৈশ্বিক উৎপাদন ছিল দৈনিক ১০ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল। গত বছর করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে উৎপাদন কমে প্রতিদিন ৯ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে নেমে আসে। চলতি বছর উৎপাদন কিছুটা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ইআইএ। এ সময় সব মিলিয়ে প্রতিদিন ৯ কোটি ৬৮ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল তরল জ্বালানি উৎপাদন হবে। তবে আগামী বছর ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদন মহামারী-পূর্ববর্তী পর্যায়কে ছাড়িয়ে যাবে। এ সময় উৎপাদন হবে দৈনিক ১০ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল।
প্রতিবেদনে পেট্রোলিয়াম ও অন্যান্য তরল জ্বালানি পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পূর্বাভাসও দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, গত মে মাসে বৈশ্বিক ব্যবহার গত বছরের একই মাসের তুলনায় দৈনিক ১ কোটি ১৯ লাখ ব্যারেল বেড়েছে। এ সময় সব মিলিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে দৈনিক ৯ কোটি ৬২ লাখ ব্যারেল। তবে ২০১৯ সালের মে মাসের তুলনায় ব্যবহার ৩৭ লাখ ব্যারেল কমেছে। পূর্বাভাস বলছে, ২০১৯ সালে বৈশ্বিক ব্যবহারের পরিমাণ ছিল দৈনিক ১০ কোটি ৯ লাখ ব্যারেল। গত বছর ব্যবহার কমে দৈনিক ৯ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার টনে নেমে যায়। তবে চলতি বছর ব্যবহার বেড়ে দৈনিক ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেলে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বছর ব্যবহারের পরিমাণ মহামারী-পূর্ববর্তী পর্যায়কে ছাড়িয়ে দৈনিক ১০ কোটি ১৩ লাখ ১০ হাজার ব্যারেলে উন্নীত হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা ও ব্যবহারের কারণে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক মজুদ ক্রমে কমছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দামে ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত আছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেলসমৃদ্ধ দেশগুলো উত্তোলন বাড়াচ্ছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক। ইআইএ জানায়, চলতি বছর ওপেক দৈনিক গড়ে ২ কোটি ৬৯ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল উত্তোলন করবে। আগামী বছর গড় উত্তোলন বেড়ে দৈনিক ২ কোটি ৮৭ লাখ টনে উন্নীত হবে।
ইআইএ আরো জানায়, জ্বালানি তেলের বাজার চাঙ্গা করতে উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ওপেক ও ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো। চলতি বছরের এপ্রিলে জোটের একটি বৈঠকে মে, জুন ও জুলাইয়ে ধারাবাহিকভাবে উত্তোলন বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেয়া হয়। এছাড়া জোটের সবচেয়ে বড় অংশীদার সৌদি আরব একতরফাভাবে উত্তোলন বাড়াচ্ছে। এদিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে সম্ভাবনা বাড়ছে ইরানের। চলতি বছর দেশটি ধারাবাহিকভাবে জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়াবে বলে পূর্বাভাস মিলেছে। মূলত এসব কারণেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খাতে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ইআইএ।

SUROZ Islam
2021-08-18, 05:29 PM
জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তারের অন্যতম সহায়ক হলো শেল অয়েল। কয়েক বছর ধরে শেল উত্তোলন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও গত বছর কভিড-১৯ মহামারী দেখা দিলে শেল অয়েলের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। জ্বালানি পণ্যটির চাহিদায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে লকডাউনসহ করোনা প্রতিরোধে নেয়া নানা বিধিনিষেধ। এ সময় শেল অয়েলের বাজারে দরপতন দেখা দেয়। তবে চলতি বছর পণ্যটির বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। দাম বাড়তে থাকায় মার্কিন এনার্জি ফার্মগুলোর খনন কার্যক্রমে নতুন গতি এসেছে। জ্বালানি তেল উত্তোলনসংক্রান্ত তথ্য সেবাদাতা এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বেকার হিউজের দেয়া তথ্যমতে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেল উত্তোলন কেন্দ্র ১০টি বেড়ে ৩৯৭টিতে উন্নীত হয়েছে, যা গত বছরের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ। গত বছর উত্তোলন কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১৭২টি। এদিকে জ্বালানি পণ্যের তথ্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এনভেরাস জানায়, আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় জ্বালানি তেলের সংখ্যা বেড়েছে আটটি। মোট সক্রিয় উত্তোলন কেন্দ্রের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৭৫টিতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে অ্যাপালাশিয়া ও পারমিয়ান বেসিনে। ইআইএ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শেল বেসিনগুলো থেকে সেপ্টেম্বরে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনও বাড়তে পারে। সংস্থাটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী মাসে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন ১৬ কোটি ঘনফুট বেড়ে দৈনিক ৮ হাজার ৬১০ কোটি ঘনফুটে উন্নীত হতে পারে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1648351290.jpg

SaifulRahman
2021-08-25, 07:44 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/645743339.jpg
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৫% বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। সোমবার পণ্যটির মূল্য ৫ শতাংশেরও বেশি বেড়ে পায়। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের বিনিময় মূল্য কমে যাওয়া এবং বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে প্রবৃদ্ধি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। টানা সাত কার্যদিবস নিম্নমুখী ছিল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার। তবে সোমবার পণ্যটির বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। লন্ডনের আইসিই ফিউচার এক্সচেঞ্জে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বা ৩ ডলার ৫৭ সেন্ট বৃদ্ধি পায়। কার্যদিবস শেষে ব্যারেলপ্রতি পণ্যটির মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৮ ডলার ৭৫ সেন্টে। এর আগে পণ্যটির দাম সর্বনিম্ন ৬৪ ডলার ৬০ সেন্টে নেমে গিয়েছিল। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বা ৩ ডলার ৫০ সেন্ট বেড়েছে। নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) দিন শেষে পণ্যটির ব্যারেলপ্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৫ ডলার ৬৪ সেন্টে। রয়টার্স জানায়, গত সপ্তাহে দুই বাজার আদর্শের দামই নয় মাসের সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছিল। এ সময় ব্রেন্টে দাম ৮ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআইয়ের দাম ৯ শতাংশ হ্রাস পায়।

SumonIslam
2021-08-31, 01:06 PM
মহামারীর প্রাদুর্ভাব থাকলেও অর্থনীতি পুনরায় সচল হচ্ছে। এ কারণে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জ্বালানি তেলের চাহিদা। এ বছরের জুলাইয়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম সর্বোচ্চ সূচক স্পর্শ করে। ৬ জুলাই আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭৭ ডলার ৮৪ সেন্টে উন্নীত হয়। তবে সম্প্রতি পণ্যটির দামে নিম্নমুখিতা অব্যাহত আছে।
15208

DhakaFX
2021-09-12, 04:26 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/360687600.jpg
প্রথমবারের মতো অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে চীন। নির্দিষ্ট পরিশোধকদের কাছে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে এসব জ্বালানি তেল বিক্রি করা হবে। কাঁচামাল ও উৎপাদন ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেইজিং। চীনের ন্যাশনাল ফুড অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক রিজার্ভ অ্যাডমিনিস্ট্রেশ এ ঘোষণা দিয়েছে। গত বছর করোনা মহামারীর প্রভাবে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদায় ভাটা পড়ে। তবে এ বছর চাহিদায় গতির সঞ্চার হয়েছে। ঊর্ধ্বমুখী চাহিদার কারণে বাড়ছে দাম। চলতি বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ব্রেন্টের দাম ২ শতাংশ কমলেও শুক্রবার ঊর্ধ্বমুখিতায় বাজার শেষ হয়। এদিকে চীনে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য গত বছরের তুলনায় প্রায় ৮০ শতাংশ বেড়েছে।
মূলত ঊর্ধ্বমুখী বাজারে লাগাম টেনে ধরতেই নিলামের এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন।

SaifulRahman
2021-09-21, 05:45 PM
চীনে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ব্যবহার ২০২৬ সালের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ বাড়তে পারে। ওই সময় পণটির ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়াবে দৈনিক ১ কোটি ৬০ লাখ ব্যারেলে। একই মাত্রায় বাড়বে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহারও। চায়না পেট্রোকেমিক্যাল করপোরেশন (সিনোপেক) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সিনোপেকের মতো একই রকম পূর্বাভাস দিয়েছে জ্বালানি তেলের বাজারবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রেইস্ট্যাড এনার্জি। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, পাঁচ বছরের মধ্যে জ্বালানি তেলের চাহিদা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি বাড়বে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1026562914.jpg

SUROZ Islam
2021-09-30, 01:12 PM
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ও দামেও এখন ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে সব বাজার আদর্শে পণ্যটির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলারের কাছাকাছি। উল্লেখ্য যে হারিকেন আইডার প্রভাবে চলতি বছর ইতিহাসের সর্বোচ্চ ক্ষতির শিকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মেক্সিকো উপসাগরীয় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন। হারিকেনের ধাক্কায় এ অঞ্চলের প্রায় সব কেন্দ্রেই উত্তোলন বন্ধ হয়ে পড়ে। ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ ছিল। শীর্ষ জ্বালানি তেল ও গ্যাস উত্তোলন কোম্পানি রয়েল ডাচ শেলের একটি কেন্দ্র ভয়াবহভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে। কোম্পানিটি বলছে, এ বছরের শেষ সময় পর্যন্ত কেন্দ্রটি বন্ধ থাকবে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কেন্দ্রটির অন্তত দুই বছর সময় লাগতে পারে। এছাড়া পরিশোধন কেন্দ্রগুলোও সহসাই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারছে না।
http://forex-bangla.com/customavatars/2038283264.jpg

SumonIslam
2021-10-05, 01:08 PM
বর্তমানে দেশে দেশে নভেল করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কর্মসূচি জোরদার হচ্ছে। লকডাউনসহ নানা বিধিনিষেধ শিথিল করছে দেশগুলোর সরকার। ফলে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মোকাবেলায় উত্তোলন কোটা শিথিল করেছে জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস। এটি রাশিয়ায় উত্তোলন প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। এদিকে শুধু উত্তোলন নয়, বরং জ্বালানি পণ্যটির রফতানিও বাড়িয়েছে ওপেক প্লাসের নেতৃস্থানীয় দেশ রাশিয়া। আগস্টে দেশটি বিশ্ববাজারে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৬০ হাজার টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি করে। সেপ্টেম্বরে রফতানি বেড়ে ১ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার টনে পৌঁছায়। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে রফতানি বেড়েছে ৪ শতাংশ।
http://forex-bangla.com/customavatars/1831037021.jpg

SUROZ Islam
2021-10-27, 03:24 PM
বিশ্ববাজারে ক্রমাগত বাড়ছে জ্বালানির দাম। লতি বছর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম ৮০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এমনটা উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক জানায়, আগামী বছরও শক্তিশালী চাহিদা অব্যাহত থাকবে। ফলে ওই বছর জ্বালানির দাম আরো ২ শতাংশেরও বেশি বাড়তে পারে। কমোডিটি মার্কেট আউটলুক: আরবানাইজেশন অ্যান্ড কমোডিটি ডিমান্ড শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব বিষয় উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে তীব্র সংকট থাকলেও দুই বছরের মধ্যে বাজারের চিত্র পাল্টাবে। ২০২৩ সালের মধ্যে জ্বালানি পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। আশা করা যাচ্ছে, ওই সময় দাম অনেকটাই কমবে। বিশ্বব্যাংক বলছে, আন্তর্জাতিক পণ্যবাজার বর্তমানে লাগাম ছাড়া। রেকর্ড মাত্রায় বাড়ছে সব ধরনের পণ্যের দাম। মূল্যবৃদ্ধির এ ঊর্ধ্বগতি যদি স্থায়ী হয়, তাহলে জ্বালানি আমদানিনির্ভর দেশগুলোর অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়তে পারে। স্বল্প আয়ের দেশগুলোয় মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে খাদ্যনিরাপত্তাহী তা। ইউরোপের বাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ জ্বালানি সংকট চলছে। শুধু অক্টোবরেই এ অঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ। ফলে বিদ্যুৎ, শিল্প, খাদ্যসহ সব খাতেই উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। ভোক্তা পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে পণ্যের দাম।
http://forex-bangla.com/customavatars/945829110.jpg

SaifulRahman
2021-10-31, 02:19 PM
জ্বালানি তেলের দাম সাত বছরে সর্বোচ্চ! সরবরাহসংকটে বিশ্ববাজারে অব্যাহতভাবে বাড়ছে জ্বালনি তেলের দাম। এবার দাম বেড়ে সাত বছরে সর্বোচ্চ হয়েছে। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের অশোধিত তেলের দাম ১.২ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল হয় ৮৫.০৭ ডলার, যা ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ দাম। এর পাশাপাশি লন্ডনের ব্রেন্ট তেলের দামও ১ শতাংশ বেড়ে হয় ৮৬.৫১ ডলার, যা তিন বছরে সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে এ মাসে তেলের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ এবং এক বছরে বেড়েছে ১২০ শতাংশ। তেলের পাশাপাশি প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লার দামও টানা বাড়ছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1118172985.jpg

Rassel Vuiya
2021-11-11, 06:35 PM
আন্তর্জাতিক বাজারে দুই সপ্তাহের সর্বোচ্চে উঠেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। গতকাল সর্বশেষ কার্যদিবসে জ্বালানি পণ্যটির মূল্য বৃদ্ধি পায়। কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র কভিড-১৯ জনিত সব ধরনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। ফলে বেড়েছে চাহিদা। একই সঙ্গে মহামারীর প্রভাব শিথিল হতে থাকায় সামগ্রিক চাহিদা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। কিন্তু জ্বালানি পণ্যটির সরবরাহ সে অনুপাতে বাড়েনি। এ কারণেই অব্যাহতভাবে বাড়ছে দাম। তথ্য বলছে, সর্বশেষ কার্যদিবসে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিমূল্য ১ দশমিক ৬ শতাংশ বা ১ ডলার ৩৫ সেন্ট বেড়েছে। প্রতি ব্যারেল লেনদেন হয়েছে ৮৪ ডলার ৭৮ সেন্টে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ২ দশমিক ৭ শতাংশ বা ২ ডলার ২২ সেন্ট বেড়েছে। প্রতি ব্যারেল লেনদেন হয়েছে ৮৪ ডলার ১৫ সেন্টে। চলতি বছর ব্রেন্টের দাম ৬০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। ২৫ অক্টোবর এ বাজার আদর্শের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮৬ ডলার ৭০ সেন্টে পৌঁছেছিল, যা তিন বছরের সর্বোচ্চ। ওপেক প্লাসের সীমিত সরবরাহের বিপরীতে চাহিদার উল্লম্ফনই দামকে আকাশছোঁয়া করে তোলে বলে জানান বিশ্লেষকরা।
15929

DhakaFX
2022-01-16, 05:07 PM
নতুন বছর ২০২২ সালের শুরুতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। বছরের প্রথম সপ্তাহের মতো দ্বিতীয় সপ্তাহেও বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় উত্থান হয়েছে। এতে ২০১৪ সালের অক্টোবরের পর অর্থাৎ প্রায় সাত বছর তিন মাস পর সর্বোচ্চ দামে উঠে এসেছে জ্বালানি তেল। গেল এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়ে ৭৮ দশমিক ৯৩ ডলারে উঠে আসে। বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৮৪ দশমিক ২৬ ডলারে। এতে এক মাসের ব্যবধানে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। এর মাধ্যমে ২০১৪ সালের অক্টোবরের পর এখন বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সর্বোচ্চ দামে অবস্থান করছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/269970815.jpg
এর আগে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ ভয়াবহ রূপ নিলে ২০২০ সালের ২০ এপ্রিল বিশ্ববাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দরপতনের মধ্যে পড়ে তেল। সেদিন প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ঋণাত্মক ৩৭ ডলারের নিচে নেমে যায়। রেকর্ড এই দরপতনের পরেই অবশ্যই তেলের দাম বাড়তে থাকে। এতে রেকর্ড দরপতনের ধকল সামলে ২০২০ সালের বেশিরভাগ সময় প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৪০ ডলারে আশেপাশে ঘুরপাক খাচ্ছিল। কিন্তু বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়া এবং লিবিয়ার তেল উত্তোলন বৃদ্ধি পাওয়ায় মাঝে বিশ্ববাজারে তেলের বড় দরপতন হয়। ২০২০ সালের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে অপরিশোধিত ও ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়।
তবে এই পতনের ধকল কাটিয়ে ওই বছরের নভেম্বর থেকে আবার তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। অবশ্য প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৫০ ডলারের নিচে থেকেই ২০২০ সাল শেষ হয়। ২০২১ সালের শুরুতেই তেলের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। কয়েক দফা দাম বেড়ে করোনার মধ্যে প্রথমবার ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৬০ ডলারে উঠে আসে। এর মাধ্যমে মহামারি শুরু হওয়ার আগের দামে ফিরে যায় তেল।n তবে গত বছরের জুন থেকে তেলের দাম বৃদ্ধির প্রবণতায় নতুন হাওয়া লাগে। ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর গত বছরের জুনে করোনার প্রকোপের মধ্যে প্রথমবারের মতো অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল ৭৫ ডলারে উঠে আসে। জ্বালানি তেলের এই দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে পরের কয়েক মাস। এতে গত বছরের অক্টোবরে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৮০ ডলার স্পর্শ করে। যার মাধ্যমে ২০১৪ সালের নভেম্বরের পর আবারও অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল ৮০ ডলারের দেখা পায়।

SaifulRahman
2022-03-02, 01:27 PM
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বর্তমান অবস্থানের চেয়েও আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকসের শীর্ষ কমোডিটি স্ট্রাটেজিস্ট জেফরি কুরি বলেন, দ্রুত ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির ফলে সৃষ্ট অনিশ্চয়তার কোনো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পণ্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকবে। এ পরিস্থিতি আরো বাড়ার ফলে ইউরোপের প্রাকৃতিক গ্যাস, গম, ভুট্টা ও তেলের দাম বর্তমান উচ্চস্তর থেকে আরো বাড়তে পারে। তিনি বলেন, চলতি বছরের গ্রীষ্মে ভারসাম্য তৈরির জন্য বৈশ্বিক বাজারে যে পরিমাণ তেলের প্রয়োজন তার দাম ব্যারেলপ্রতি ১২৫ ডলার পর্যন্ত স্পর্শ করতে পারে। আমরা এ-সংক্রান্ত পরিষ্কার ঝুঁকি দেখতে পাচ্ছি। আমরা মনে করি, তেলের বৈশ্বিক বাজারে ভারসাম্য বাজার রাখতে হলে চাহিদার পরিমাণও কমিয়ে আনতে হবে। ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এখনো প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলারের বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে।
16890

SumonIslam
2022-05-22, 01:07 PM
ফেব্রুয়ারির শুরুর পর থেকে অপরিশোধিত তেলের মূল্য প্রথমবারের মতো টানা চতুর্থ সপ্তাহে মূল্য বেড়ে কমোডিটি মার্কেটে আপ ট্রেন্ড রেকর্ড করা হয়েছে। ব্রেন্ট তেলের জুলাই ফিউচারের দাম ব্যারেল প্রতি ০.৪৬% বেড়ে $১১২.৫৭ হয়েছে, যেখানে WTI তেলের জুলাই ফিউচার ০.৪% বেড়ে ব্যারেল প্রতি $১১০.৩৫ হয়েছে। গতকাল, উভয় চুক্তি ২.৭% বেড়েছে। আগের দিন তেলের মূল্যের প্রধান ঊর্ধ্বমুখী ফ্যাক্টর ছিল গত সপ্তাহে মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ এনার্জি প্রকাশিত বাণিজ্যিক রিজার্ভ পতনের পরিসংখ্যানের পটভূমিতে অপরিশোধিত তেলের আসন্ন ঘাটতি সম্পর্কে পণ্য বাজারের অংশগ্রহণকারীদের উদ্বেগ। দেশটির জ্বালানি বিভাগের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, তেলের মজুদ সপ্তাহে ৩.৪ মিলিয়ন ব্যারেল কমে ৪২০.৮ মিলিয়ন ব্যারেলে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে, বিশ্লেষকরা ১.৪ মিলিয়ন ব্যারেল রিজার্ভ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছেন।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন বার্ষিক হারিকেন ঋতুর সময়, যখন বৃষ্টির দিনের জন্য কাঁচামালের মজুদ প্রধান ফ্যাক্টর হয়ে ওঠে, তেলের রিজার্ভ সূচকে এই ধরনের একটি দর্শনীয় মন্দার মূল কারণ। প্রায় তিন মাস ধরে চলমান রাশিয়ান-ইউক্রেনীয় সশস্ত্র সংঘাতের কারণে সরবরাহ হ্রাস অব্যাহতভাবে বাজারের অংশগ্রহণকারীদের ভবিষ্যত ঘাটতির আশঙ্কার একটি অতিরিক্ত কারণ।
স্থায়ীভাবে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির হারের প্রেক্ষাপটে মুদ্রানীতি কঠোর করার জন্য মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ ইউরোপীয় ট্রেডারদের নজরে পড়েনি। এইভাবে, মে মাসের প্রথম দিকে তার বৈঠকের পর, ইউএস ফেড তার মূল হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে, এখন এর পরিসর বার্ষিক ০.৭৫-১%। এর আগে মার্চে, মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছিল। শেষবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরপর দুটি বৈঠকে রেট বাড়ায় ২০০৬ সালে। একই সময়ে, ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি ২০০০ সাল থেকে দেখা যায়নি। ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সম্প্রতি বলেছেন যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রাজ্যগুলিতে মূল্যস্ফীতির হারকে ২% এর লক্ষ্যে ফিরিয়ে আনতে আক্রমণাত্মকভাবে কাজ করার পরিকল্পনা করেছে। মার্কিন ফেডের সিদ্ধান্ত, পাওয়েল বলেছেন, স্বল্পমেয়াদে পতনশীল অর্থনীতির সম্ভাবনার দ্বারাও প্রভাবিত হবে না। উপরন্তু, শুক্রবার, বিনিয়োগকারীরা মার্কিন তেল ও গ্যাস পরিষেবা সংস্থা বেকার হিউজের প্রতিবেদনের মূল্যায়ন করেছে, যা রিপোর্ট করেছে যে গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় তেল রিগ সংখ্যা ১৩ থেকে ৫৭৬ ইউনিট বেড়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/2116129491.jpg