PDA

View Full Version : ডিজিটাল লেনদেন এর জন্য মোবাইল ব্যাংকিং



BDFOREX TRADER
2020-09-21, 06:46 PM
ঘরে থেকেই এখন ডিজিটাল কেওয়াইসি (গ্রাহকসম্পর্কিত তথ্য) ফরম পূরণ করে সহজেই হিসাব খোলা যায়। রয়েছে ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তোলার সুযোগ। আর বিভিন্ন পরিষেবা ও কেনাকাটার বিল পরিশোধ, মোবাইল ফোনে রিচার্জ এবং কাউকে টাকা পাঠানো প্রভৃতি লেনদেনও করা যাচ্ছে ঘরে বসে। এর সবই সম্ভব হয়েছে মোবাইলে আর্থিক সেবার (এমএফএস) সুযোগ হাতের নাগালে পৌঁছে যাওয়ায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনাকালের এক মাসের ব্যবধানে জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের পরিমাণ বেশ বেড়েছে। এই মাসে মোট লেনদেন হয়েছে ৬২ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। এর আগের মাস জুনে লেনদেন হয়েছিল ৪৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বা মোবাইল ফোনভিত্তিক আর্থিক সেবার মাধ্যমে লেনদেন বেড়েছে ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ। জুলাইয়ে ৩১ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৩৮০টি লেনদেন হয়েছিল। এই সংখ্যা জুনে ছিল ২৫ কোটি ৬০ লাখ ৯৭ হাজার ৭৭২টি। টাকা জমা, টাকা উত্তোলন, স্থানান্তর, পরিশোধ, বিল পরিশোধ—সবকিছু মিলেই হিসাব হয় লেনদেনের। বিকাশ, রকেট ও শিওর ক্যাশের মতো ডাক বিভাগের সেবা নগদের ব্যবহারও বেশ বেড়েছে। জুলাইয়ে নগদের সক্রিয় হিসাব সংখ্যা ৩৫ শতাংশ ও লেনদেন ৪২ শতাংশ বেড়েছে।
12305

Tofazzal Mia
2020-11-05, 06:12 PM
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক বাড়ছে দ্রুতগতিতে। গত সেপ্টেম্বর মাসেই গ্রাহক বেড়েছে প্রায় ১৮ লাখ। গ্রাহক বৃদ্ধির সঙ্গে এ মাসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ লেনদেনও বেড়েছে। মোট লেনদেন বৃদ্ধির হার প্রায় ১৮ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, তাত্ক্ষণিক এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে সবার কাছে বেশ জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং। শুধু অর্থ পাঠানোই নয়, অনেক নতুন নতুন সেবাও মিলছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান এবং বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোসহ (রেমিট্যান্স) বিভিন্ন সেবা দেওয়া হচ্ছে। এসব সুবিধার কারণে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোট ১৫টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত আছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়ায় ৯ কোটি ৪৭ লাখ ৮৭ হাজারে, যা এর আগের মাস আগস্টের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি। মোট গ্রহকসংখ্যার সঙ্গে সক্রিয় গ্রাহকসংখ্যাও বেড়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে এমএফএস সক্রিয় গ্রাহক এক মাসের ব্যবধানে ১.১ শতাংশ বেড়ে চার কোটি ১০ লাখ ৩৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে। নিয়মানুযায়ী, টানা তিন মাস একবারও লেনদেন করেনি, এমন হিসাবকে নিষ্কিয় হিসাব বলে গণ্য করা হয়। এই সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ১৭ হাজার ৫৫ জনে।প্রতিবেদনে দেখা যায়, সেপ্টেম্বরে ৪৯ হাজার ১২১ কোটি ২৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬৩৭ কোটি ৩৭ হাজার টাকা। হিসাবগুলোতে টাকা জমা পড়েছে ১৪ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা।
12792

SumonIslam
2020-11-16, 06:14 PM
বর্তমানে নগদ, বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, শিওরক্যাশসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস দিয়ে থাকে। ১০০ টাকায় এদের ক্যাশ আউট চার্জ অপারেটর ভেদে ৬০ পয়সা থেকে এক টাকা ৮৫ পয়সা পর্যন্ত। তাই একটি অভিন্ন ক্যাশ আউট চার্জ নির্ধারণ করেছে সরকার। এমএফএসে অভিন্ন ক্যাশ আউট চার্জ ০.৭০ শতাংশ নির্ধারণ করে গত ১২ নভেম্বর অর্থ বিভাগ থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও সরকারের অন্যান্য ক্ষেত্রের সুবিধাভোগীরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অ্যাকাউন্টে সরকারের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ এই হারে চার্জ দিয়ে ক্যাশ আউট, অর্থাৎ এমএফএস এজেন্টের কাছ থেকে নগদ টাকা নিতে পারবেন। ১০০ টাকা ক্যাশ আউট করলে ৭০ পয়সা চার্জ দিতে হবে, এক হাজার টাকায় দিতে হবে ৭ টাকা।
12873