View Full Version : বাংলাদেশের কারেন্সি টাকার ইতিহাস!
BDFOREX TRADER
2020-09-23, 06:32 PM
বাংলাদেশের কারেন্সির নাম টাকা। টাকা শব্দটি সংস্কৃত “টঙ্ক” শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে যার অর্থ রৌপ্যমুদ্রা। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের মুদ্রার নাম টাকা রাখে। পরবর্তীতে টাকার সংকেত ৳ নির্ধারণ করা হয়। ১৯৭২ সালে ৫, ১০ ও ১০০ টাকা মূল্যের নোট ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৫ সালে প্রথম ৫০ টাকার নোট, ১৯৭৭ সালে ৫০০ টাকা ও ১৯৮০ সালে প্রথম ২০ টাকার নোট ঘোষণা হয়। ১০০০ মূল্যমানের প্রথম নোট আসে ২০০৮ সালে।টাকা টাকা টাকা, টাকা ছাড়া দুনিয়াটা ফাকা।১, ২, ৫ টাকার নোট বা কয়েন হলো সরকারি মুদ্রা। আর বাকী গুলো সব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।এটা সবাই জানে বর্তমানে এক ডলারে প্রায় ৮৫ টাকা হয়। ১৯৪৭ সালের দেশে বিভক্তের আগে টাকা/রুপি ও ডলারের মান সমান ছিল। কালের বিবর্তনে টাকা দূর্বল হয়ে গেছে। ১৯৮০ সালের ১ টাকার ভ্যালু বর্তমানের ১৩ টাকার সমান। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে বাংলাদেশের কি পরিমান টাকা আছে???উত্তর হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে ২০১৯ সালে সমগ্র দেশে ১ লক্ষ ৫২ হাজার কোটি টাকা আছে। ২০১৫ সালে এর পরিমাণ ছিল ৯৩ হাজার কোটি টাকা। তো এই সমস্ত টাকার ৯০% হলো ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোট। আর বাকী ১০% হলো ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০ টাকার নোট। বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে ৩৯ বিলিয়ন ডলার। আর এই রিজার্ভ ৭ টা কারেন্সি + গোল্ডে আছে।মজার বিষয় হলো বাংলাদেশের ব্যাংক গুলো থেকে সর্বমোট ঋনের পরিমাণ হলো ১০ লক্ষ কোটি টাকা। এর মানে সবাই এক সাথে ব্যাংকের টাকা উঠালে ব্যাংক ১৫% টাকা দিতে পারবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন টাকা কি পরিমাণে দৌড়ায়। একজনের পকেট থেকে আরেক জনের পকেটে যায়। যার ফলে সরকারের এত টাকা ছাপাতে হয় না। সংক্ষেপে ১ টাকার ভ্যালু ১০ টাকার সমান বা ১০ জন ঐ একই টাকার পিছনে ছুটে। যেমন আপনার যেটা আয় সেটা আরেক জনের ব্যায় আবার আপনার যেটা ব্যায় সেটা আরেক জনের আয়। এই ভাবেই টাকা সার্কেলের মতো ঘোড়ে।
12339
বঙ্গ রাজ্যে সবসময় টাকা শব্দটি যেকোনো মুদ্রা বা ধাতব মুদ্রাকে বোঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। ১৪ শতাব্দীতে ইবনে বতুতা লক্ষ্য করেছিলেন যে বাংলা সালতানাতের লোকজন, সোনা এবং রূপার ধাতবকে দিনার না বলে “টাকা” বলতো। বাংলা ভাষার একটি অংশ হিসেবে বাঙালিরা সব ধরনের কারেন্সি বা নোট বা মূলধন বোঝাতে ‘টাকা’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। টাকা (মুদ্রা প্রতীক: ৳; ব্যাংক কোড: BDT) হল বাংলাদেশের মুদ্রা। বাংলাদেশের জন্ম ১৯৭১ সালে হলেও শুরুটা ছিল ১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে। তখন দেশে পাকিস্তান রুপির প্রচলন ছিল, যেটিকে কাগজে–কলমে টাকাও বলা হতো। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতীয়তাবাদীরা বেসরকারিভাবে পাকিস্তানি টাকার একপাশে ‘বাংলা দেশ’ এবং অপর পাশে ‘Bangla Desh’ লেখা রাবার স্ট্যাম্প ব্যবহার করতেন।
১৯৭১ সালের ৮ জুন পাকিস্তান সরকার এই রাবার স্ট্যাম্প যুক্ত টাকাকে অবৈধ এবং মূল্যহীন ঘোষণা করে। জানা যায় এরপরেও ১৯৭৩ সালের ৩রা মার্চ পর্যন্ত এই রাবার স্ট্যাম্পযুক্ত পাকিস্তানি টাকা চলেছিল সারা দেশে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে নতুন মুদ্রা প্রচলনের ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে সময় লেগেছিল তিন মাসের মতো। তাই ঐ সময়ে পাকিস্তানি রুপিই ব্যবহৃত হতো। ১৯৭২ সালের ৪ঠা মার্চ বাংলাদেশি কারেন্সিকে ‘টাকা’ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।
নিজস্ব কাগুজে মুদ্রার আবির্ভাব
এক টাকা:
বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর কিছু দিন পাকিস্তানি ১ রুপি প্রচলিত ছিল। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ৪ঠা মার্চ বাংলাদেশী ১ টাকার নোট ইস্যু হয়। ১৯৭৩ সালের ২রা মার্চ প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক সম্বলিত ১ টাকার নোট ইস্যু হয়। এরপর ১৯৭৩ সালের ১৮ই ডিসেম্বর পুনরায় আরেকটি ১ টাকার নোট ইস্যু হয় এবং ১৯৭৯ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর “রয়েল বেঙ্গল টাইগার“-এর জলছাপ সম্বলিত ১ টাকার নোট ইস্যু হয়।
http://forex-bangla.com/customavatars/705401434.png
দুই টাকা:
২ টাকার নোটটি পরিচিতি পায় ১৯৮৯ সালে। ২০১২ সালে রাশিয়ার একটি অনলাইন এন্টারটেইনমেন্ট আউটলেটে পোলের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নোট হিসেবে স্বীকৃতি পায় ২ টাকার এই নোটটি।
http://forex-bangla.com/customavatars/1754227729.png
পাঁচ টাকা:
১৯৭২ সালের ৪ঠা মার্চ প্রথম ৫ টাকার নোট ইস্যু হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালের ১লা সেপ্টেম্বর এবং ১৯৭৪ সালে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান” – এর ছবি সম্বলিত আরো দু’টি নোট ইস্যু হয়। ১৯৭৬ সালের ১১ই অক্টোবর “তারা মসজিদ”- এর ছবি সম্বলিত নোট ইস্যু হয়।
১৯৭৮ সালের ২রা মে “তারা মসজিদ”-এর পরিবর্তে “কুসুম বাগ মসজিদের মেহরাব”- এর ছবি সম্বলিত নোট ইস্যু হয়। ২০০৬ সালের ৮ই অক্টোবর, ১৯৭৮ সালের নোটটি ইস্যু হয়। পার্থক্য হল নোটটিতে ৩ মি.মি. চওড়া নিরাপত্তা সূতা ব্যবহার করা হয়। এর মাঝে ১৯৯৩ সালের ১লা অক্টোবর ৫ টাকার কয়েন ইস্যু করা হয়।
http://forex-bangla.com/customavatars/1866620007.png
Powered by vBulletin® Version 4.1.9 Copyright © 2024 vBulletin Solutions, Inc. All rights reserved.