PDA

View Full Version : কালাডোবার হাওর- হবিগঞ্জ



BDFOREX TRADER
2020-12-13, 07:48 PM
হবিগঞ্জ শহর পার হয়ে কালাডোবা হাওর, এলাকার নাম কালাডোবা বলেই হাওরের নামও কালাডোবা। কালডোবা হাওর শাপলায় কতক লাল আর কচুরিপানায় কতক সবুজ হয়ে হাওরের স্বচ্ছ জল, এখানে মাছ ধরার নৌকা, ভেসাল, দেশি নৌকায় মানুষ-জনের পারাপার দেখে দেখে যে দ্বীপ প্রান্তর চোখে পড়ে। বানিয়াচং উপজেলার বিথঙ্গল গ্রামের বহু বছরের পুরাতন বিথঙ্গল আখড়া। অনেকে বলেন বিথঙ্গল বৈষ্ণব আখড়া। ছবিতে বিথঙ্গল আখড়ার চমৎকার নির্মাণ শৈলী দেখে মুগ্ধ হবেন।
13096 13097
কীভাবে যাবেন
সারাবছর বিথঙ্গল যাওয়া গেলেও বর্ষা ও শরতের শেষ তারিখ পর্যন্ত বা যতদিন হাওরে পানি থাকে ততদিন এখানে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়। অক্টোবরের পর বিথঙ্গল আখড়ায় যেতে চাইলে জিপ গাড়ি ভরসা। সুতরাং অক্টোবর শেষ হবার আগেই একবার বিথঙ্গল ঘুরে আসতে পারেন। ঢাকার সায়দাবাদ বা মহাখালি থেকে সারাদিনই হবিগঞ্জের বাস পাবেন। চাইলে রাতের উপবনে চলে যেতে পারেন। দশটায় উপবন ছাড়ে শায়েস্তাগঞ্জ থামে রাত তিনটায়। সেখান থেকে অটোতে হবিগঞ্জ। তবে বাসে ঝামেলা কম। একেবারে হবিগঞ্জ শহরে নামতে পারবেন। রাতের বাকি সময় কোনও আবাসিক হোটেলে বিশ্রাম নিয়ে আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে বের হয়ে কালাডোবা খেয়াঘাট চলে আসুন। তারপর দরদাম করে বজরায় চেপে বসুন। সন্ধ্যার মধ্যে হবিগঞ্জ ফিরে বাস ধরলে, রাত বারোটা পেরুবার আগেই বাড়ি থাকবেন আশা করি। চাইলে কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম, নিকলি বা বাজিতপুর থেকেও যাত্রা করতে পারেন। সময় দুইঘন্টা লাগবে। যেভাবেই আসেন সৌন্দর্য গিলেই আরেক সুন্দরের কাছে আসবেন। তবে শুকনা মৌসুমে খুব কষ্টকর।
থাকা-খাওয়া
বিশ্রামের জন্য হবিগঞ্জ আবাসিক হোটেল পাবেন। খাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ শহরই ভরসা। বিথঙ্গল যাত্রার সময় সঙ্গে শুকনা খাবার নিবেন। সকালের নাস্তাটা হবিগঞ্জ সেরে নিবেন। বিথঙ্গলে খাবার যা পাবেন তা হল আখড়ার পাশের মিষ্টির দোকানের ভাজাভুনা, মিষ্টি ও দৈ-চিড়া।