EmonFX
2020-12-21, 06:57 AM
স্বর্ণ বা সোনার চরিত্র অদ্ভুত। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকলে সোনার দাম থাকে কম, আবার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকলে সোনার দাম কেবল বাড়তেই থাকে। এই যেমন ধরুন করোনার প্রাদুর্ভাবে অর্থনীতি যখন বিপর্যস্ত, প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক, মন্দায় বেশির ভাগ দেশ, আয় কমে গেছে সাধারণ মানুষের, ঠিক তখনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম। জ্বালানি তেলের মতো অতি প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেখানে অনেক কম, সেখানে সোনার মতো বিলাসী পণ্যের দাম কেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে?
কেবল যে এখন বাড়ছে তা নয়, গোল্ডম্যান সাকস বলছে, আগামী বছর আরও বাড়বে। তাদের প্রাক্কলন বলছে, ২০২১ সালে সোনার দর বাড়বে ২২ শতাংশ। আর তাতে আন্তর্জাতিক বাজারে এক আউন্স সোনার দর বেড়ে হবে ২ হাজার ৩০০ ডলার। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে এক আউন্স সোনার দর ১ হাজার ৯০০ ডলারের কাছাকাছি। মাঝে অবশ্য ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই দর ২ হাজার ডলার ছাড়িয়ে ২০৬৪ বলার পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। ২৮ দশমিক ৩৫ গ্রামে এক আউন্স আর ১১ দশমিক ৬৬ গ্রামে হয় এক ভরি। গোল্ডম্যান সাকস মনে করে, আগামী বছরও অনিশ্চয়তা থেকে যাবে। ফলে সোনার দরও বাড়ব। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দর বেড়েছে ২৬ শতাংশ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অনিশ্চয়তায় কেন সোনার দাম বাড়ে?
হলিউডের সিনেমা ম্যাকানাস গোল্ড মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৯ সালে। লুকিয়ে রাখা সোনার সন্ধান আছে একটা ম্যাপে। সেই ম্যাপ একবার দেখেই পুড়িয়ে ফেলেছিলেন গ্রেগরি পেক। পুরো ম্যাপ বা নকশাটা ছিল গ্রেগরি পেকের মাথায়। সেই সোনার সন্ধানে প্রথমে হাজির হন ম্যাক্সিকান আউট ল ওমর শরীফ। তারপর একে একে অন্যরা। পুরো সিনেমাটাই স্বর্ণের সন্ধানে এক রুদ্ধশ্বাস অভিযানের গল্প। সঙ্গে ছিল নানা অনিশ্চয়তা, খুন, অবিশ্বাস, দুর্ঘটনা। সোনা ভবিষ্যৎ জীবনে নিশ্চয়তা আনবে, নিরাপত্তা দেবে, এই আশায় জীবন বাজি রেখে সোনার সন্ধানে যাওয়া। এখন যেমন, সামনের অনিশ্চিত সময়ে নিশ্চয়তা দেবে, এই আশায় সোনা কিনে যাওয়া। আর এ কারণেই বাড়ছে সোনার দাম। সব সময়ই সোনা হচ্ছে নিরাপদ সঞ্চয়। এর কোনো ক্ষয় নেই। সোনা এমনই এক পণ্য, যার সংরক্ষণমূল্য অনেক বেশি।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশেও বাড়ছে সোনার দর। তবে এখানে গয়না ছাড়া সোনার চাহিদা নেই বললেই চলে। আরও অনেক দেশের মতো বিনিয়োগের উপাদান হিসেবে সোনার কোনো ভূমিকা নেই। তবে চোরাচালানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সোনার রুট হোসেনের বেশি ব্যবহার হয়। দেশে এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার অলংকার কিনতে লাগবে প্রায় ৭৬ হাজার টাকা। শীতের এই বিয়ের মৌসুমে বিবাহ প্রত্যাসীদের জন্য দুঃসংবাদই বটে।
কেবল যে এখন বাড়ছে তা নয়, গোল্ডম্যান সাকস বলছে, আগামী বছর আরও বাড়বে। তাদের প্রাক্কলন বলছে, ২০২১ সালে সোনার দর বাড়বে ২২ শতাংশ। আর তাতে আন্তর্জাতিক বাজারে এক আউন্স সোনার দর বেড়ে হবে ২ হাজার ৩০০ ডলার। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে এক আউন্স সোনার দর ১ হাজার ৯০০ ডলারের কাছাকাছি। মাঝে অবশ্য ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই দর ২ হাজার ডলার ছাড়িয়ে ২০৬৪ বলার পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। ২৮ দশমিক ৩৫ গ্রামে এক আউন্স আর ১১ দশমিক ৬৬ গ্রামে হয় এক ভরি। গোল্ডম্যান সাকস মনে করে, আগামী বছরও অনিশ্চয়তা থেকে যাবে। ফলে সোনার দরও বাড়ব। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দর বেড়েছে ২৬ শতাংশ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অনিশ্চয়তায় কেন সোনার দাম বাড়ে?
হলিউডের সিনেমা ম্যাকানাস গোল্ড মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৯ সালে। লুকিয়ে রাখা সোনার সন্ধান আছে একটা ম্যাপে। সেই ম্যাপ একবার দেখেই পুড়িয়ে ফেলেছিলেন গ্রেগরি পেক। পুরো ম্যাপ বা নকশাটা ছিল গ্রেগরি পেকের মাথায়। সেই সোনার সন্ধানে প্রথমে হাজির হন ম্যাক্সিকান আউট ল ওমর শরীফ। তারপর একে একে অন্যরা। পুরো সিনেমাটাই স্বর্ণের সন্ধানে এক রুদ্ধশ্বাস অভিযানের গল্প। সঙ্গে ছিল নানা অনিশ্চয়তা, খুন, অবিশ্বাস, দুর্ঘটনা। সোনা ভবিষ্যৎ জীবনে নিশ্চয়তা আনবে, নিরাপত্তা দেবে, এই আশায় জীবন বাজি রেখে সোনার সন্ধানে যাওয়া। এখন যেমন, সামনের অনিশ্চিত সময়ে নিশ্চয়তা দেবে, এই আশায় সোনা কিনে যাওয়া। আর এ কারণেই বাড়ছে সোনার দাম। সব সময়ই সোনা হচ্ছে নিরাপদ সঞ্চয়। এর কোনো ক্ষয় নেই। সোনা এমনই এক পণ্য, যার সংরক্ষণমূল্য অনেক বেশি।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশেও বাড়ছে সোনার দর। তবে এখানে গয়না ছাড়া সোনার চাহিদা নেই বললেই চলে। আরও অনেক দেশের মতো বিনিয়োগের উপাদান হিসেবে সোনার কোনো ভূমিকা নেই। তবে চোরাচালানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সোনার রুট হোসেনের বেশি ব্যবহার হয়। দেশে এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার অলংকার কিনতে লাগবে প্রায় ৭৬ হাজার টাকা। শীতের এই বিয়ের মৌসুমে বিবাহ প্রত্যাসীদের জন্য দুঃসংবাদই বটে।