PDA

View Full Version : জেফ বেজোস সম্পর্কে জেনে নিন অজানা কিছু তথ্য।



EmonFX
2021-02-08, 10:35 AM
13639

বৈশ্বিক ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ ছাড়ছেন জেফ বেজোস। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন অ্যামাজনেরই ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসা বিভাগের প্রধান অ্যান্ডি জ্যাসি। আগামী জুলাই থেকে এ পরিবর্তন কার্যকর হবে। অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস সম্পর্কে জেনে নিন কিছু অজানা তথ্য নিয়ে।

১৯৬৪ সালে জেফ বেজোস যখণ জন্মগ্রহণ করেন তখন তার মা জ্যাকলিনের বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। ওই সময় তিনি জুনিয়র হাইস্কুলের শিক্ষার্থী। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ বেজোসের মা জ্যাকলিনকে তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করতে বাঁধা প্রদান করে। পরে অবশ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ নমনীয় হয়।

এদিকে, স্কুল শেষ করার পর জেফ বেজোসের পিতা টেড জর্জেনসেনকে ডিভোর্স দেন জ্যাকলিন। ওই সময় জেফ বেজোসের বয়স ছিল মাত্র এক বছর। এরপর নতুন একটি কলেজে ভর্তি হন জ্যাকলিন।
নতুন ওই কলেজে শিশুসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ক্লাস করতেন তিনি। সেখানেই কিউবার নাগরিক মাইক বেজোসের সঙ্গে জ্যাকলিনের পরিচয় হয় এবং পরে তারা বিয়ে করেন। মাইক বেজোসের নামের সঙ্গে মিল রেখে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতার নামের সঙ্গে বেজোস যুক্ত হয়।

জেফ বেজোসের জন্মদাতা পিতা টেড জর্জেনসেন একটি সার্কাস দলের পারফরমার ছিলেন। তবে অ্যামাজনের সাফল্যের কারণে তিনিও এখন একজন বিলিয়নিয়ার। ২০১৫ সালের ১৬ মার্চ ৭১ বছর বয়সে মারা যান টেড জর্জেনসেন। এর আগে এক সাক্ষাত্কারে টেড জর্জেনসেন জানান, কয়েক দশক ধরে জেফ বেজোসের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়নি এবং তিনি অনুধাবন করতে পারেন না জেফ বেজোসের জন্মদাতা পিতা তিনি।

বিভিন্ন জিনিস কীভাবে কাজ করে সে সবের প্রকৌশল বিষয়ে ছোটবেলা থেকে আগ্রহী ছিলেন জেফ বেজোস। বেজোস যখন খুবই ছোট, তখন শুধু স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে নিজের সবকিছুকে খুলে বাসা থেকে আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন। হাইস্কুলে প্রবেশের পর বেজোস তার নিজস্ব উদ্ভাবনী প্রতিভার বিকাশে বাসার গ্যারেজকে ল্যাবরেটরিতে পরিণত করেছিলেন।

সূত্র: সিএনবিসি

EmonFX
2021-02-28, 03:35 PM
যেভাবে শীর্ষ কোটিপতি হলেন আমাজনের জেফ বেজোস।
13779
একটা বিষয় পরিষ্কার, কোনো কিছু নিয়ে অভিযোগ করা যাবে না। পৃথিবী যেমন, সেভাবেই খাপ খাইয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। প্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে সমালোচিত প্রধান নির্বাহীদের একজন তিনি। এখন বিশ্বের সবচেয়ে কোটিপতি।
বলছি, জেফ বেজসের কথা। নিউ মেক্সিকোতে ১৯৬৪ সালে জন্ম তার। তার মা ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষিকা। বাবা ছিলেন একজন কিউবা অভিবাসী, তিনি বেজসকে দত্তক নিয়েছিলেন। তার জন্মদাতার সঙ্গে তার কোনোদিনই দেখা হয়নি।

বয়স যখন ২২, তখন প্রিন্সটোন থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। সঙ্গে ছিল কম্পিউটার সায়েন্স ডিগ্রিও। মাত্র ৩০ বছর বয়সে অনলাইন টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান আমাজন চালুর পরিকল্পনা করেন তিনি। বেজসের বাবা মা তাকে ৩ লাখ ডলার দিয়ে কোম্পানির কার্যক্রম শুরু করতে বলেন।
বেজস তার গ্যারেজে স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম শুরু করে। প্রথম দিকে তিনি শুধু অনলাইনে বই বিক্রি করতেন। ধীরে ধীরে তিনি বুঝতে শুরু করেন ইন্টারনেটের ব্যবহার সারাবিশ্বে কীভাবে বাড়ছে। কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তিনি সমালোচিত। কারণ সাধারণ বইয়ের দোকানের প্রচলন তিনি অনলাইনভিত্তিক করে তুলছিলেন।

১৯৯৭ সালে জনসমক্ষে আসে আমাজন। অনলাইনে মিউজিক, ইলেকট্রনিকসসামগ্ ী বিক্রি করেই বাজিমাত করে এ অনলাইন জায়ান্ট। এরপর শুরু করে পোশাক আর খেলনা বিক্রি। এরপর শুরু করে গৃহস্থালি পণ্য বিক্রি। এসবই অনলাইনে বিক্রি করে আমাজন পুরো বিশ্বে। অনেকেই জিজ্ঞাসা করত, আমাজন কবে লাভের মুখ দেখবে, বেজস কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতেন না। কিন্তু শেষমেশ উত্তর দেয়ার সুযোগ এসেছে। ২০১৮ সালে আমাজনের বাজারমূল্য এক লাখ ৭০ হাজার ডলার বেড়ে যায়।

এরপর তিনি হোলসেল ফুড মার্কেট, অডিও বুক পাবলিশার অডিবল ডট কম, লাইভ স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম টুইচ, পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক বনে যান। ৩৬ বছর বয়সে যাত্রা শুরু করে তার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ব্লু অরিজিন। এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য মহাকাশে পর্যটন ব্যবস্থা সম্প্রসারিত করা। বেজস বলেন, পৃথিবীতে অনেক কিছুই করা সম্ভব না, যেটা মহাকাশে সম্ভব।
২০১০ সালে বিল গেটস আর ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে চুক্তিতে আসতে অসম্মতি জানান বেজস, বর্তমানে যাদের মতো বেজসও একজন বিলিয়নিয়ার। ২০১৮ সালে তিনি বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তির স্থান দখল করতে শুরু করেন। তার মোট সম্পদ হয় ১১ হাজার ২০০ কোটি ডলার। এই খবরে আন্দোলনে নামে আমাজন কর্মীরা। তাদের দাবি, বেতন কম দেয়া হয়, কর্মঘণ্টা অনেক বেশি, এর সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে অনেক কিছু সহ্য করতে হয় কর্মীদের।

৫৫ বছর বয়সে স্ত্রী ম্যাকেনজি বেজসকে তালাক দেন তিনি। ২৫ বছরের বৈবাহিক জীবনের ইতি টানেন। এই দম্পতির সন্তান ৪ জন। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল তালাকের একটি বেজসের তালাক। এরপর ম্যাকেনজি বেজস হয়ে যান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী। ভাগ হয়ে যায় তাদের ১৪ হাজার কোটি ডলারের সম্পত্তি।

২০১৯ সালে আমাজনের ১৫শ’ কর্মী বিক্ষোভে নামে। কাজের পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিত বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। বেজস আমাজনকে তখন ২০৪০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণমুক্তভাবে পরিচালনার ঘোষণা দেন। ২০১৯ সালে আমাজন বিশ্বের সবচেয়ে বড় খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের জায়গা করে নেয়। ওয়ালমার্ট পড়ে যায় পেছনে। ২০২০ সালের আগস্টে যখন আমাজন রেকর্ড মুনাফার তথ্য প্রকাশ করে, মজুরি বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেন কর্মীরা।
২০২১ সালে ফেব্রুয়ারিতে বেজস জানান, আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে সরে যাচ্ছেন তিনি।

সূত্র:- বণিক বার্তা।