যুক্তরাষ্ট্রে নিম্ন আয়ের ভোক্তাদের ক্রয়প্রবণতা কমেছে

[kohit]

চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিম্ন আয়ের গ্রাহকদের ক্রয়প্রবণতা অপ্রত্যাশিতভাবে কমে গেছে। বার্ষিক আয় ৭৫ হাজার ডলারের নিচের পরিবারগুলো নিজেদের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে হতাশার মধ্যে ছিল। যদিও জো বাইডেন প্রশাসন আরো এক দফা কভিড-১৯ অনুদান বিতরণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। দেশজুড়ে করোনার টিকাদান কর্মসূচি এবং নতুন সংক্রমণের সংখ্যা হ্রাস সত্ত্বেও গত শুক্রবার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত তথ্যে ক্রয়প্রবণতা হ্রাসের এ চিত্র উঠে এসেছে। খবর রয়টার্স।

নতুন এ ডাটা দেশটির তথাকথিত কে-আকৃতির পুনরুদ্ধারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। যেখানে বেশি বেতনভুক্ত কর্মীরা ভালো করলেও কম বেতনভুক্ত কর্মীরা পেছনে পড়ে যাচ্ছে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে সরকার ৯০ হাজার কোটি ডলারের আর্থিক প্রণোদনা বিতরণ করেছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে সরাসরি নগদ সহায়তা এবং সাপ্তাহিক বেকার সহায়তার আওতা বাড়ানোর বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। এছাড়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবিত ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার পরিকল্পনায় কাজ করছে মার্কিন কংগ্রেস। এটি দরিদ্র পরিবারগুলোকে আরো নগদ সহায়তা প্রদান করবে।

নিউইয়র্কের বিনিয়োগ ব্যাংক ব্রেইন ক্যাপিটালের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জন রাইডিং বলেন, আস্থা হ্রাসের বিষয়টি কিছুটা অবাক হওয়ার মতো। এটি কে-আকৃতির পুনরুদ্ধার থিমের আরেকটি পৃষ্ঠা হতে পারে।

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রয়প্রবণতা হ্রাসের সূচকটি এ মাসের প্রথমার্ধে ৭৬ দশমিক ২-এ নেমে গিয়েছিল। আর এক্ষেত্রে বার্ষিক ৭৫ হাজার ডলারের নিচে আয় করা পরিবারগুলো ভূমিকা রেখেছে। এ সূচক জানুয়ারিতে চূড়ান্ত রিডিং ৭৯ থেকে পিছিয়ে পড়েছে।

বণিক বার্তা

[786.ariful.islam.bd]

২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক সংকোচন হয়েছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই, এর কারণ হচ্ছে কোভিডজনিত বিধিনিষেধ। দেশটির অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) বলছে, ‘প্রবৃদ্ধির হিসাবরক্ষণ শুরু হওয়ার পর এর আগে সর্বোচ্চ যে সংকোচন হয়েছিল, এটা তার দ্বিগুণের বেশি।’ গত বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সংকোচন হয়েছিল যুক্তরাজ্যের। তবে বছরের শেষ দুই প্রান্তিকে সংকোচন হার কমে আসে। এমনকি ডিসেম্বর মাসে ১ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধিও হয়। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা ছিল, সংকোচন হার দুই অঙ্কের ঘর ছোঁবে। তবে শেষমেশ তা হয়নি। ওএনএসের তথ্যমতে, হোটেল-পর্যটন, গাড়ি ও কেশ বিন্যাসের ব্যবসা বছরের শেষ প্রান্তিকে অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।