View Full Version : দুই দশকে সর্বোচ্চে চীনের রফতানি
Montu Zaman
2021-03-08, 01:41 PM
কভিড-১৯ মহামারীজনিত বিভিন্ন বিধিনিষেধে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়ে। অফিস-আদালত থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যন্ত সবকিছু অনলাইনে স্থানান্তরিত হয়। ফলে বিশ্বজুড়ে ইলেকট্রনিকস পণ্যগুলোর তুমুল চাহিদা তৈরি হয়। পাশাপাশি মহামারীতে গৃহস্থালি, টেক্সটাইলসহ প্রতিরক্ষামূলক পণ্যগুলোর তীব্র চাহিদা বেড়েছে। আর এ সুযোগে স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ ট পণ্যগুলোর রফতানি বাড়িয়ে তোলে চীন। ফলে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়কালে দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে যায় দেশটির রফতানি প্রবৃদ্ধি। সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে বেশির ভাগ দেশই গত বছরজুড়ে লকডাউনসহ নানা বিধিনিষেধের মধ্যে ছিল। বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল সীমান্ত। থমকে গিয়েছিল অর্থনৈতিক কার্যক্রম। তবে প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এনে ব্যবসা-বাণিজ্যকে পুরোপুরি সচল করে তুলেছিল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ অর্থনীতি। এটিই দেশটির রফতানি বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/2015465325.jpg
SaifulRahman
2021-04-27, 11:59 AM
কভিড-১৯ মহামারীর ধকল সামলে দৃঢ়ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে চীনা অর্থনীতি। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) রেকর্ড বৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছিল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ অর্থনীতি। শক্তিশালী রফতানি ও গ্রাহক ব্যয় এবং ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়িক আত্মবিশ্বাসের উন্নতির বিষয়গুলো দেশটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে। অর্থনীতির আটটি প্রাথমিক সূচক অনুযায়ী, মার্চ থেকে চীনা অর্থনীতির দৃঢ় সম্প্রসারণ অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় এ মাসে কিছু সূচকে ব্যাপক বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। প্রথম প্রান্তিকের মতো এখনো বিশ্বজুড়ে ক্রমাগতভাবে চীনা পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। যেমন চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। এটি ২০২১ সালে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধির রেকর্ড।
http://forex-bangla.com/customavatars/1824807330.jpg
ব্লুমবার্গের ইকোনমিকসের মূল্য ট্র্যাকারের মতে, বিশ্বজুড়ে তীব্র চাহিদা চীনা পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিচ্ছে। চীনে উৎপাদক পর্যায়ের মূল্যস্ফীতি ২০১৭ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে কপারের দাম নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছিল। রডের মজুদ কমে গেলেও চীনে স্টিলের দাম রেকর্ড বেড়েছে। অন্যান্য অর্থনৈতিক সূচকের মতো এপ্রিলে দেশটির শেয়ারবাজারেও বড় উত্থান দেখা গেছে। চীনা মেইনল্যান্ডের ৩০০ সংস্থার বেঞ্চমার্ক সূচকটি ৫ হাজার ১০০ পয়েন্টের উপরে চলে গেছে। এ মাসে দেশটিতে আবাসন খাতের বিক্রি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যদিও মার্চের তুলনায় এ প্রবৃদ্ধির গতি কিছুটা কম। আবাসন বাজারে আর্থিক সহজীকরণের ফলে এ খাত পুনরুদ্ধারের পর নিয়ন্ত্রকরা এখন ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। একই সময়ে গাড়ি বিক্রির গতিও কিছুটা ধীর হয়ে গেছে। কভিড-১৯ মহামারীর পর দেশটির গ্রাহকরা ব্যয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করছেন। এ পরিস্থিতিতে গ্রাহকব্যয় বাড়িয়ে খুচরা খাত পুনরুদ্ধারে একাধিক প্রচারণামূলক কার্যক্রম শুরু করছে চীন। এরই অংশ হিসেবে মে মাসে দক্ষিণ হাইনান প্রদেশে একটি নতুন ভোক্তাপণ্য এক্সপোর আয়োজন করা হচ্ছে। গত মাসেও দেশটিতে খুচরা বিক্রি বেড়েছিল আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ। এটা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশিত ২৮ শতাংশকে ছাড়িয়ে গেছে। আরো উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হলো, মহামারীর আগে ২০১৯ সালের মার্চের তুলনায় গত মাসে খুচরা বিক্রি খাতের আয় ১২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছিল।
Powered by vBulletin® Version 4.1.9 Copyright © 2025 vBulletin Solutions, Inc. All rights reserved.