PDA

View Full Version : এপ্রিল ২০২১ থেকে নতুন নিয়মে যেভাবে বরাদ্দ দেয়া হবে আইপিও শেয়ার



Rakib Hashan
2021-03-18, 01:32 PM
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় থাকা নতুন কোম্পানিগুলোর শেয়ার পেতে বিনিয়োগকারীদের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদন করতে হতো। দীর্ঘ দিন ধরে চলা এ প্রথা গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বাতিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই পদ্ধতি ১লা এপ্রিল, ২০২১ থেকে আর থাকছেনা। এতেকরে প্রত্যেক আবেদনকারী শেয়ার পাবেন। এ বিষয়ে সবাই আবগত রয়েছেন।
নতুন নিয়ম অনুযায়ি আইপিও আবেদন করার জন্য একজন বিনিয়োগ কারিকে তার বিও অ্যাকাউন্ট নাম্বারে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা সেকন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ থাকতে হবে। আইপিও লটারির পরিবর্তে আনুপাতিক হারে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে। সেখেত্রে একজন বিনিয়োগকারিকে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা বা তার গুনিতক ২০ হাজার, ৩০ হাজার, ৪০ হাজার টাকা করে চাঁদা জমা দিতে হবে। কিন্তু বিষয়টি একদমি সেরকম নয়, কোন কম্পানি আইপিওতে শেয়ার বরাদ্দ দেয়ার জন্য প্রথমে ১০ হাজার টাকার চাঁদাকে বিবেচনা করা হবে। অর্থাৎ ১০ হাজার টাকা করে বিবেচনায় নেয়ে শেয়ার বরাদ্দ করা হবে এর পরে যদি অতিরিক্ত থাকে তাহলে সেটা বেশি টাকা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টন করা হবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/999283145.jpg
নতুন নিয়মের বিষয়টি উদাহরণের মাধ্যমে নিচে দেওয়া হলো- ধরি, ABC কম্পানি ১ কোটি টাকার শেয়ার ইস্যু করবে এখন আইপিওতে ১ হাজার আবেদন কারি ২ কোটি টাকার আবেদন করল, এখানে শুরুতে বিবেচনায় নেয়া হবে প্রত্যেকের ১০ হাজার করে চাঁদার পরিমাণ । এক্ষেত্রে ওই ১ হাজার জনের ১০ হাজার করে মোট চাঁদার পরিমাণ হয় ১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এতে ১০ হাজার টাকার উপরে যারা আবেদন করেছেন তারা ওই অতিরিক্ত টাকার আবেদনের জন্য কোন শেয়ার পাবেনা।
আবার যদি ১ হাজার আবেদনকারীর কম আবেদন হত তবে অবিক্রিত থাকা শেয়ারগুলি যারা ১০ হাজারের বেশি চাঁদা জমা দিয়েছিলেন তাদেরকে আনুপাতিক হারে বরাদ্দ দেয়া হবে।

​স্মাপ্রতিক আইপিও আবেদনের সংখ্যা বিবেচনা করলে দেখা যায় প্রতিটি আইপিওতে কয়েকগুণ বেশি আবেদন জমা পরে। সে হিসেবে নতুন নিয়মে ১০ হজার টাকার বেশি আবেদন করে হয়ত কোন লাভ হবেনা।