সংকোচনের মুখে সৌদি অর্থনীতি!

[BDFOREX TRADER]

২০২০ সালের প্রথম চার মাসের তুলনায় এ বছর সৌদি আরবের অর্থনীতি ৩ দশমিক ৯ শতাংশ সংকোচন হয়েছে। তেল খাতের মন্দাই এ সংকোচনের প্রধান কারণ। তবে গত বছরের শেষভাগের সঙ্গে তুলনা করলে এটিকে ভালোই বলা যায়। কারণ কভিড-১৯ মহামারীর প্রভাবে সে সময় সংকোচনের হার ছিল ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে আগের মতো ব্যবসায় ফিরতে শুরু করেছে দেশটি। খোদ সরকারি পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে। তবে তেলভিত্তিক অর্থনীতির বাইরের অংশ ও চাকরির বাজারে চতুর্থ প্রান্তিকে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ সংকোচন ঘটেছে। অন্যদিকে তেল খাতে এ সংকোচনের পরিমাণ ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। ব্লুমবার্গের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১১ সালের পর এটিই সবচেয়ে বড় সংকোচন। তবে গত ডিসেম্বরের তুলনায় এ বছর ফেব্রুয়ারিতে তেলের দাম বেড়েছে, যা মহামারী শুরুর পর সর্বোচ্চ।
http://forex-bangla.com/customavatars/1266201972.jpg

[DhakaFX]

নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর জের ধরে বড় ধাক্কা খেয়েছে সৌদি আরবের অর্থনীতি। জ্বালানি তেলনির্ভর হওয়ায় দেশটির অন্যতম আয়ও আসে এ খাত থেকে। যদিও গত বছর দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি প্রতিষ্ঠান সৌদি আরামকোর মুনাফা প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের রেকর্ড দরপতনের কারণে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফায় এ পতন দেখা দিয়েছে। কভিড-১৯ মহামারীতে ২০২০ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর দিয়ে রীতিমতো সুনামি বয়ে গেছে। উৎপাদন, আমদানি-রফতানি থেকে শুরু করে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সব খাত। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের বাজারে রেকর্ড ধস নামে। ফলে সৌদি আরবের মতো জ্বালানিনির্ভর অর্থনীতির দেশগুলোর অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়েছে। দেশটির আয়ের একটি বিরাট অংশ আসে জ্বালানি খাত থেকে, যার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ সৌদি আরামকোর হাতে। প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন বলছে, গত বছর তাদের নিট আয় কমেছে ৪৪ শতাংশের বেশি। এ বছরে মুনাফা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1697143568.jpg