PDA

View Full Version : ডিএসইর ‘ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক)’ আবেদনের সময় বেড়েছে



BDFOREX TRADER
2021-03-18, 01:44 PM
নতুন ‘ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক)’-এর আবেদনের জন্য সময় বাড়িয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ। সম্ভাব্য আবেদনকারীর সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে আবেদনের সময়সীমা ১৮ মার্চের পরিবর্তে ২৮ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে ডিএসইর পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর ৯৯০তম পর্ষদ সভায় সংশ্লিষ্ট আইন, স্কিম, বিধিমালা ও প্রবিধানমালা অনুযায়ী যোগ্যতার ভিত্তিতে এক্সচেঞ্জটির অধীনে সিকিউরিটিজ লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ট্রেক ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ডিমিউচুয়ালাইজেশন তথা স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করা-সংক্রান্ত আইনে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের বাইরেও শেয়ার কেনাবেচার সুযোগ দেয়ার বিধান রয়েছে। এর আওতায় কেউ ব্রোকারেজ সেবা দিতে চাইলে তাকে ট্রেক নিতে হবে। বিধি অনুসারে, ব্রোকার হাউজ চালু করতে হলে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদেরও ট্রেক নিতে হয়। তবে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য ও ট্রেকহোল্ডারের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের ভোটাধিকার আছে। স্টক এক্সচেঞ্জ লভ্যাংশ ঘোষণা করলে তারা ওই লভ্যাংশ পেয়ে থাকে। কিন্তু ট্রেকহোল্ডারের ভোটাধিকার ও লভ্যাংশ পাওয়ার অধিকার থাকবে না।
ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনের আলোকে ট্রেক ইস্যুর জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সর্বশেষ কমিশন ট্রেক ইস্যু-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু সেই কমিশন খসড়া বিধিমালা অনুমোদন করে যেতে পারেনি। বর্তমান কমিশনের মেয়াদে গত ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) বিধিমালা, ২০২০-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ট্রেক ইস্যুর বিষয়ে সময়ক্ষেপণের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ জানুয়ারি বিএসইসি এক চিঠিতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে এ-সংক্রান্ত পরিকল্পনা জানানোর নির্দেশ দেয়। চিঠিতে এক্সচেঞ্জ দুটিকে পরিকল্পনা জানানোর জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ডিএসই ট্রেক ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ট্রেক রুলস অনুযায়ী, প্রতিটি সনদের জন্য নিবন্ধন ফি দিতে হবে ১ কোটি টাকা। তবে ডিএসই শুরু থেকেই ট্রেক মূল্য আরো বেশি থাকার যুক্তি দেখিয়ে বিএসইসির নির্ধারিত ফি নিয়ে বিরোধিতা করে আসছে। এমনকি ডিএসইর পর্ষদের মধ্যেও এ নিয়ে বিরোধ দেখা গেছে। ডিএসইর আপত্তির কারণে আগের কমিশন ট্রেক বিধিমালা প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি। তারা পরবর্তী কমিশনের কাছে এ দায়িত্ব দিয়ে যায়। এরপর অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন ট্রেক বিধিমালা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ নভেম্বর ট্রেক বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করা হয়।
গেজেট অনুযায়ী, কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কমিশনের অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠান স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেক কিনতে পারবে। এ জন্য ১ লাখ টাকা ফিসহ এক্সচেঞ্জ বরাবর আবেদন করতে হবে। আর ১ কোটি টাকা দিতে হবে নিবন্ধন ফি হিসেবে। এই ফির অংক নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে ডিএসই।
তাদের মতে, সর্বশেষ ২০১৩ সালে ডিএসইর একটি মেম্বারশিপ বিক্রি করা হয়েছে ৩২ কোটির বেশি টাকায়। এমনকি কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির দর হিসেবে একটি ব্রোকারেজ হাউজের দাম রয়েছে ১৫ কোটি টাকা। সেখানে এখন অনেক কমে ট্রেক ইস্যু করা হবে। বিএসইসির খসড়ার আলোকে মতামত দেয়ার জন্য গত ৮ জুলাই ডিএসইর পর্ষদ ৫ কোটি টাকা নিবন্ধন ফিতে ট্রেক বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া আবেদন ফি ১০ লাখ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যা বিএসইসিকে জানানো হয়।
তবে নতুন ট্রেকহোল্ডাররা যেহেতু স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারহোল্ডার হবে না এবং তারা শুধু শেয়ার ও ইউনিট বেচাকেনা করার সুযোগ পাবে, ফলে লভ্যাংশ পাবে না, সেহেতু এসব বিষয় বিবেচনায় নির্ধারিত নিবন্ধন ফি যৌক্তিক বলে মনে করছে কমিশন। চূড়ান্ত বিধিমালা অনুযায়ী, ট্রেক নেয়ার জন্য কমপক্ষে ৫ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে ও স্টক এক্সচেঞ্জে ৩ কোটি টাকা জামানত দিতে হবে। তবে বিদেশীদের সঙ্গে যৌথভাবে ট্রেক নেয়ার ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন ৮ কোটি টাকা ও শুধু বিদেশীদের ক্ষেত্রে ১০ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে। আর জামানতের ক্ষেত্রে বিদেশীদের সঙ্গে যৌথভাবে ট্রেক নেয়ার জন্য ৪ কোটি টাকা ও শুধু বিদেশীদের জন্য ৫ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে। আর ট্রেকের বার্ষিক ফি হিসেবে ১ লাখ টাকার কথা বলা হয়েছে।
স্টক এক্সচেঞ্জ ট্রেক সনদ ইস্যুর লক্ষ্যে দুটি দৈনিক সংবাদপত্রে (ইংরেজি ও বাংলা) ও এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করবে। এক্সচেঞ্জ ট্রেক প্রাপ্তির যোগ্যতা পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই-বাছাই করে সন্তুষ্ট হলে ট্রেক ইস্যু করবে। ট্রেক নেয়ার ছয় মাসের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যবসা শুরু করতে না পারলে তার সনদ বাতিল হয়ে যাবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1591902102.jpg