View Full Version : ভারতে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারে ফেইসবুক ও টুইটার!
Tofazzal Mia
2021-05-25, 05:07 PM
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ‘অপপ্রয়োগ’ ঠেকাতে বেশ কিছু শর্ত পূরণে ভারত সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার শেষ দিনেও নির্দেশনা মানেনি ফেইসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামসহ অন্য মাধ্যমগুলো। এ অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগের এই জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো ভারতে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বে কি না- সেই প্রশ্ন আলোচিত হচ্ছে দেশটির সংবাদমাধ্যমে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1413072025.jpg
সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোক তিন মাস সময় দিয়ে শর্ত পূরণের নির্দেশ দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ২৫ মের মধ্যে এসব শর্ত পূরণ করতে বলা হয়েছিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সেই সময়সীমা মঙ্গলবারই শেষ হচ্ছে। কিন্তু এখনও শর্ত পূরণ করেনি ফেইসবুক, টুইটার কিংবা ইনস্টাগ্রাম। দেশটির তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটি লিখেছে, “নির্দেশনা না মানলে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু কিংবা বেআইনি কন্টেন্ট তাদের প্ল্যাটফর্মে শেয়ার হলে অপরাধী হিসেবে দায় পড়বে তাদের।” ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ ধারায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা পোস্ট নিয়ে আইনি ব্যবস্থা এড়াতে পারে যে কোনো কেম্পানি। তবে শর্ত না মানলে তারা সেই সুযোগ পাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া নির্দেশনায় তিন স্তরের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করে প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মের জন্য অবশ্যই অভিযোগ নিরসন প্রক্রিয়া রাখার কথা বলা হয়েছে। সেজন্য ভারতে তাদের অফিস থাকতে হবে, সেখানে একজন প্রধান নির্বাহী থাকবেন এবং তাকে ভারতের বাসিন্দা হতে হবে। প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মে যোগাযোগের জন্য একজনকে দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে শর্তে, যিনি আইনরক্ষকদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলবেন।
এসব পদে এখনও কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি কেন এবং সরকারের শর্ত পালনের বিষয়ে কোম্পানি কী ভাবছে- তা জানতে চেয়ে ফেইসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষকে ইমেইল করা হলেও জবাব মেলেনি বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
BDFOREX TRADER
2021-05-27, 10:45 AM
14458
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে ভারত সরকারের নতুন নিয়ন্ত্রণমূলক নীতির কার্যকারিতা আটকাতে দিল্লির হাই কোর্টে মামলা করেছে ফেইসবুকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হোয়াটসঅ্যাপ।হোয় টসঅ্যাপ বলছে, তাদের ব্যবহারীদের বার্তার গোপনীয়তা এনক্রিপশনের মাধ্যমে আদান-প্রদানকারীর মধ্যেই সুরক্ষিত থঅকে। এখন ভারত সরকারের নতুন নিয়ম মানতে হলে হোয়াটসঅ্যাপকে তথ্য গ্রহিতা এবং তথ্য দাতা- দুই পক্ষের গোপনীয়তাই ভাঙতে হবে।কোভিড-১৯ নিয়ে ‘ভুল তথ্য’ সরিয়ে ফেলার পাশাপাশি মহামারীর বিস্তার ঠেকাতে সরকারের কার্যকমের সমালোচনাগুলোও সরিয়ে ফেলতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে চাপ দিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ‘অপপ্রয়োগ’ ঠেকাতে বেশ কিছু শর্ত পূরণের নির্দেশনা দিয়ে ২৫ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ফেইসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামসহ অন্য কোম্পানিগুলো তা পূরণ করেনি।ফেইসবুক বলেছে, সরকারের নির্দেশনার বেশ কিছু শর্তের সঙ্গে তারা একমত, তবে কিছু বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করতে চায়। আর সরকারের কথা মত পোস্ট না সরানোর কারণে তোপের মুখে থাকা টুইটার কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৩ কোটি , ইউটিউব ব্যবহারকারী ৪৪ কোটি ৮০ লাখ, ৪১ কোটি মানুষ ফেইসবুক ব্যবহার করেন, ইনস্টাগ্রামের ২১ কোটি অ্যাকাউন্ট ভারতীয়দের, আর টুইটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে ১৭ কোটির বেশি।
ভারতের কেন্দ্র সরকারের নতুন সোস্যাল মিডিয়া নীতি মানতে রাজি হয়ে গেল অধিকাংশ সামাজিক মাধ্যম। কেন্দ্রের দেয়া শর্ত মেনে ফেসবুক, গুগল, কু, শেয়ারচ্যাট, টেলিগ্রাম, লিঙ্কডইন এমনকি হোয়াটসঅ্যাপও রাজি হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে নতুন শর্তাবলি নিয়ে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের জন্য সব সোস্যাল মিডিয়াকে একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। দেশের অধিকাংশ সামাজিক মাধ্যমই বিবাদ ভুলে সেই নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছে, এবং কেন্দ্রের কাছে তার বিস্তারিত পাঠিয়ে দিয়েছে। তবে ব্যতিক্রম ছিল টুইটার, তারা এখনো কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। খবর পিটিআই। প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে সোস্যাল মিডিয়ার রাশ টানতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। বেঁধে দেয়া হয়েছিল সময়সীমাও। ইলেকট্রনিকস ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক ডিজিটাল কনটেন্ট সংক্রান্ত ওই নয়া নির্দেশিকা জারি করে তা কার্যকর করার জন্য তিন মাস সময় দিয়েছিল। সেই সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে ২৫ মে। তার পরও সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্টগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রের বিরোধ অব্যাহত। ফেসবুকের তরফে নিঃশর্তে কেন্দ্রের নতুন গাইডলাইন মানার ইঙ্গিত দেয়া হলেও বেঁকে বসে হোয়াটসঅ্যাপ ও টুইটার। সরকারের নতুন নিয়মের বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। তাদের অভিযোগ ছিল, এর ফলে বিঘ্নিত হবে গ্রাহকদের গোপনীয়তা। কেননা নয়া নিয়ম মেনে হোয়াটসঅ্যাপে করা প্রতিটি মেসেজের দিকে নজর রাখতে গেলে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ নিয়ম ভঙ্গ হয়ে যাবে। একইভাবে টুইটারও জানায় ভারতের এ নয়া আইন বাকস্বাধীনতার পরিপন্থী হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/235339628.jpg
Rakib Hashan
2021-07-01, 01:54 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/880849184.jpg
ভারতের প্রযুক্তিমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়েছেন, মার্কিন সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলি যেসব দেশে ব্যবসা করছে সেই দেশের আইন অবশ্যই মেনে চলতে হবে। ব্যবহারকারীর তথ্য এবং কনটেন্ট নিয়ে কাজ করে এমন যে কোনো বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে ভারতে কাজ করতে হলে ‘কমপ্লায়েন্স অফিসার’ নিয়োগ করতে হবে, দেশটি সম্প্রতি এমন নীতি তৈরি করেছে। টুইটার সেই নীতি মেনে চলছে না- নরেন্দ্র মোদীর সরকার এমন অভিযোগ তোলার পরপরই প্রযুক্তিমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ এই মন্তব্য করলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স। “আপনারা ভারতে কাজ করছেন, ভারত থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ কামাই করছেন ... কিন্তু বলবেন- আমি কেবল মার্কিন আইনেই চলবো, এটা একেবারেই গ্রহনযোগ্য নয়।” ইন্ডিয়া গ্লোবাল ফোরাম ২০২১ এর এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় বলেন প্রসাদ। “আপনাকে ভারতের সংবিধান এবং ভারতের আইন মেনে চলতে হবে।”মন্ত্রী তার বক্তৃতায় এক বছর আগে করা একটি টুইটের কারণে তার টুইটার অ্যাকাউন্ট অল্প সময়ের জন্য ব্লক করে দেওয়া নিয়েও কথা বলেন। টুইটার কারণ হিসেবে বলেছিল, বিশেষ ওই টুইটটি মার্কিন আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মন্ত্রী বলেন, তা-ই যদি হয়, তবে টুইটারকে ভারতের আইনও মানতে হবে।
একদিকে টুইটারের সঙ্গে ভারতের দ্বন্দ্ব, অপরদিকে ফেইসবুক মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ এবং অ্যামাজনের মতো অন্যান্য মার্কিন ডিজিটাল জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ভারতের নতুন আরোপিত নীতিমালার বিধিনিষেধ মিলে সম্ভাবনাময় এই বাজারের পরিবেশ তিক্ত করে তুলছে, দেশটিতে প্রযুক্তি নির্বাহীরা এমনটাই মনে করছেন বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে। ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের ৫৩ কোটি এবং ফেইসবুকের ৪১ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই ভারত সবচেয়ে বড় বাজার। অপরদিকে দেশটিতে টুইটার ব্যবহারকারী আছেন প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে টুইটার অন্তত পাঁচটি পুলিশী মামলায় পড়েছে। এর মধ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো, মানচিত্রে ভারতের কিছু অংশকে ভারতের বাইরে দেখানো, শিশু নগ্নতার মতো বিষয় রয়েছে। মানচিত্র প্রশ্নে কোনো মন্তব্য না করলেও শিশু নিপীড়ন প্রশ্নে প্রতিষ্ঠানটি শূন্য সহনশীলতার কথা বলেছে।
Powered by vBulletin® Version 4.1.9 Copyright © 2025 vBulletin Solutions, Inc. All rights reserved.