PDA

View Full Version : সারা বিশ্বে তরুণদের বেকারত্ব ১৪.৬%



786.ariful.islam.bd
2021-06-11, 12:03 PM
গত দেড় বছরে কোভিডের অভিঘাতে তছনছ হয়ে গেছে বিশ্ব অর্থনীতি। অনেক মানুষের কাজ গেছে। অনেক মানুষের আয় কমেছে। তবে সবচেয়ে বেশি কাজ গেছে তরুণ ও নারীদের। বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি ২৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তথ্যানুসারে, ২০২০ সালে সারা বিশ্বে তরুণদের বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে ২৫-এর বেশি বয়সী মানুষের বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ।

কাজ হারানোর পাশাপাশি অনেক মানুষ নিষ্ক্রিয় বসে আছেন। সে জন্য অর্থনীতিবিদেরা এ নিষ্ক্রিয় ও বেকার মানুষের মধ্যে পার্থক্য করে থাকেন। যাঁরা এখন কাজে নেই, তবে কাজের খোঁজ করছেন, তাঁরা বেকার। অন্যদিকে যাঁরা সক্রিয়ভাবে কাজ খুঁজছেন না বা নিজের ব্যবসা চালু করার অপেক্ষায় আছেন, তাঁরা অর্থনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় হিসেবে বিবেচিত হন।
মহামারিতে মধ্য আয়ের দেশগুলোর তরুণেরা সবচেয়ে বেশি বেকার হয়েছেন। যেমন আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পেরু। এ দেশগুলোর অর্থনীতি পর্যটনের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। আর এ পর্যটন খাতে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয় তরুণদের। স্বাভাবিকভাবে তাঁদের শরীরেই ধাক্কাটা বেশি লেগেছে। এ ছাড়া উন্নত দেশগুলোর মতো সক্ষমতা তাদের নেই। ফলে দীর্ঘমেয়াদি লকডাউন দিয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও কর্মীদের জন্য বড় অঙ্কের প্রণোদনা ঘোষণা করাও তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।

আইএলওর তথ্যে দেখা যায়, যেসব দেশে প্রণোদনা বা সরকারি সহায়তা কম দেওয়া হয়েছে, তারাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে।

তার মানে অবশ্য এই নয় যে উন্নত দেশের তরুণদের গায়ে আঁচ লাগেনি। ইউরোপের তরুণেরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। মহামারির শুরুতে স্পেন ও ইতালি ইউরোজোন সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিল। স্পেনের পুনরুদ্ধার কার্যক্রম উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মতো শক্তিশালী অর্থনীতির পক্ষে তরুণদের বেকারত্ব অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। এসব দেশের সরকার বিপুল অঙ্কের প্রণোদনা দিয়েছে। এ টাকা দিয়ে অনুদান, ঋণ, সহায়তা সবই করা হয়েছে। যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিপাকে পড়েছে, তাদের সহায়তা দিয়েছে সরকার। দিয়েছে করছাড়। কর্মীদের বেতনও দেওয়া হয়েছে এ টাকায়।

অন্য বড় অর্থনীতিগুলোতে দেখা গেছে, মহামারির শুরুর দিকে বেকারত্বের হার বাড়লেও সরকারি নীতি সহায়তার বদৌলতে তারা তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে।

জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় তরুণদের বেকারত্বের হার বাড়েনি। যুক্তরাষ্ট্রের লকডাউনের শুরুতে বিপুল মানুষ বেকার হয়ে পড়লেও পরবর্তীকালে ট্রাম্প ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিশাল প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে বেকারত্বের হার আর বাড়েনি।