PDA

View Full Version : ক্রিপ্টোকারেন্সি বন্ধে কঠোর হচ্ছে চীন!



Tofazzal Mia
2021-06-23, 03:32 PM
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে চীন সরকার। এ ধরনের ডিজিটাল অর্থ লেনদেনকে সমর্থন না করতে দেশটির ব্যাংক ও অর্থ লেনদেন প্লাটফর্মগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার থেকে সিচুয়ান প্রদেশে বিটকয়েনের কার্যক্রম বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়া হয়। খবর বিবিসি।গতকাল পর্যন্ত এশিয়ান ট্রেডিংয়ে বিটকয়েনের দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়। গত এপ্রিলে সর্বোচ্চে উঠেছিল বিটকয়েনের মান। সে হিসাবে এখন তা প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে। চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্য পিপলস ব্যাংক অব চায়না (পিবিওসি) জানিয়েছে, সম্প্রতি তারা বেশকিছু উল্লেখযোগ্য ব্যাংক ও অর্থ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে তলব করেছিল। সেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।ব্যাংকগুলো ে কড়া ভাষায় সতর্ক করা হয়েছে, যেন তারা ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন, বাণিজ্য বা নিষ্পত্তির মতো কাজে না জড়ায়।সম্পদের দিক থেকে চীনের তৃতীয় বৃহত্তম ঋণদানকারী সংস্থা দি এগ্রিকালচারাল ব্যাংক অব চায়না জানিয়েছে, তারা পিবিওসির দেয়া নির্দেশনা অনুসরণ করছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি সঙ্গে জড়িত অবৈধ সব কার্যক্রম ও লেনদেন নির্মূল করতে গ্রাহকদের জন্য যথাযথ পরিশ্রম করবে তারা। চীনের পোস্টাল সেভিংস ব্যাংক জানিয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি িষয়ক আর কোনো লেনদেনের সঙ্গে তারা জড়িত হবে না।আর্থিক প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যান্ট গ্রুপের মালিকানাধীন দেশটির মোবাইল ও অনলাইন পেমেন্ট প্লাটফর্ম আলিপে জানিয়েছে, বেআইনি ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন শনাক্ত করতে তারা একটি কঠোর তদারকি ব্যবস্থা তৈরি করবে।মূলত সিচুয়ান প্রদেশে বিটকয়েনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার পরই কঠোর ঘোষণা দেয় চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে, বিশ্বের ৬৫ শতাংশ বিটকয়েন উৎপাদন হয় চীনে। দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক হিসেবে উঠে এসেছে সিচুয়ান প্রদেশের নাম।গত মাসে চীনের মন্ত্রিসভা ও স্টেট কাউন্সিল জানায়, আর্থিক ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাণিজ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনা হবে। বিশ্বজুড়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে কঠোর নীতিমালা নেয়ায় বিনিয়োগকারীরা বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন। ফলে পড়তে শুরু করেছে এর মান।তবে এখনো অনেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা করে যাচ্ছেন। নিলাম সংস্থা সোথবি জানিয়েছে, আগামী মাসেই বিরল একটি নাশপাতি আকৃতির হীরা নিলামে তোলা হবে। সেটি কেনার জন্য ব্যবহার করা হবে ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রথমবারের মতো এত দামি একটি হীরা ক্রিপ্টোকারেন্সি মাধ্যমে নিলামে তোলা হচ্ছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে সবার মাঝে।ক্রিপ্টোকার ন্সি এক ধরনের সাংকেতিক মুদ্রা, যেটি কেবল অনলাইনে বিদ্যমান। বাস্তবে এ মুদ্রা ধরে দেখা যায় না। পুরো লেনদেনটিই হয় অনলাইননির্ভর। পিয়ার টু পিয়ার পদ্ধতিতে এ লেনদেন সরাসরি প্রাপক থেকে প্রেরকের কাছে যায়। ফলে তৃতীয় কোনো পক্ষের এতে সংশ্লিষ্টতা থাকে না। অন্য কেউ জানতেও পারে না লেনদেনের বিষয়ে। এ কারণেই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র।এ প্রেক্ষাপটে এক বিবৃতি দিয়েছে চীনের তিন শিল্প কর্তৃপক্ষ। সেখানে বলা হয়েছে, ভার্চুয়াল কারেন্সি প্রকৃত মূল্যমান দ্বারা সমর্থিত নয় এবং এর বাণিজ্য চুক্তি চীনের আইন দ্বারা সুরক্ষিত নয়।
http://forex-bangla.com/customavatars/784900273.jpg

DhakaFX
2021-09-26, 03:50 PM
বিটকয়েনসহ সব ধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সির যাবতীয় লেনদেন অবৈধ ঘোষণা করেছে চীন।দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক, পিপলস ব্যাংক অফ চায়না বলেছে, “ভার্চুয়াল মুদ্রা সম্পর্কিত ব্যবসায়িক কার্যক্রম অবৈধ আর্থিক কার্যক্রম,” এবং এটি “জনগণের সম্পদের নিরাপত্তাকে গুরুতরভাবে বিপন্ন করে”।চীন বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টো-কারেন্সি বাজারগুলির মধ্যে একটি।চীনে ক্রিপ্টোকারেন্সি ওঠানামা প্রায়ই ক্রিপ্টো-মুদ্রার বৈশ্বিক মূল্যকে প্রভাবিত করে। সাম্প্রতিক ঘোষণার পরপরই বিটকয়েনের দাম দুই হাজার ডলারেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।চীন ক্রিপ্টাকারেন্সি ওপর বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযান চালিয়ে আসছে। দেশটি ক্রিপ্টোকারেন্সি ে অস্থিতিশীল, অনুমানমূলক বিনিয়োগ হিসাবে দেখে এবং অর্থ পাচারের সবচেয়ে খারাপ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করে।২০১৯ সালেই চীন ক্রিপ্টো-কারেন্সি লেনদেন আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করলেও সেখানে বৈদেশিক মুদ্রার মাধ্যমে অনলাইনে লেনদেন অব্যাহত ছিল।তবে, এ বছর দেশটি ক্রিপ্টোকারেন্সি ওপর ব্যপক অভিযান চালায়।অনলাইনভিত্ িক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর চাপ বড়ানোর অংশ হিসেবেই চীন মে মাসে সতর্ক করে বলে, অনলাইনে বিটকয়েন এবং অন্যান্য ডিজিটাল মুদ্রাবাণিজ্য কোনও রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পাবে না।এরপর জুন মাসে দেশটি ব্যাংক এবং পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মগুলিক ক্রিপ্টোকারেন্সি ে লেনদেনের সুবিধা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। পাশপাশি নিষেধাজ্ঞা জারি করে ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিংয়ের ওপর।সর্বশেষ ঘোষণায় চীন স্পষ্ট করেই জানান দিলো যে, দেশটি ক্রিপ্টোকারেন্সি সবরকম কার্যক্রম বন্ধ করতে চায়।যারা “অবৈধ আর্থিক ক্রিয়াকলাপের” সঙ্গে জড়িত তাদের কার্যক্রমকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও রয়েছে সরকারি ঘোষণায়।পাশাপাশি, অনলাইনে চীনা নাগরিকদের এই ধরনের সেবাদাতা বিদেশী ওয়েবসাইটগুলির কার্যকলাপও অবৈধ ঘোষণা করেছে দেশটি।
http://forex-bangla.com/customavatars/1521632596.jpg