PDA

View Full Version : নন ফাঞ্জিবল টোকেন: সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত



EmonFX
2021-07-03, 03:15 PM
14806
ডিজিটাল দুনিয়ার নিত্য-নতুন খেলা বোঝা দায়। কিছু দিন পরপর ভার্চুয়াল এই দুনিয়ায় শুরু হয় নতুন নতুন একেকটি ট্রেন্ড। হালে চলছে ‘নন ফাঞ্জিবল টোকেন’ (এনএফটি)। নন ফাঞ্জিবল টোকেন হচ্ছে কোনো একটি ইউনিক বা দুষ্প্রাপ্য ডিজিটাল সম্পদের মালিকানার প্রামাণ্য দলিল। ডিজিটাল দুনিয়ার এই টোকেনের মাধ্যমে লাখ ডলার খরচ করে একজন শৌখিন ক্রেতা একটি আর্ট পিস কিংবা ক্রিয়েটিভ ডিজিটাল কোনো শিল্পকর্মের মালিকানা বুঝে নেন নিজ নামে। ভার্চুয়াল কেনা-বেচার এই মাধ্যমে একজন প্রতিভাবান আর্টিস্ট সহজেই ঘরে বসে পেতে পারেন তার প্রতিভার সঠিক আর্থিক মূল্যায়ন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি (বিটকয়েন) গল্পটি বেশ পুরনো এখন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- ডিজিটাল এই কারেন্সি দিয়ে কী কী করা যেতে পারে। যদিও এই প্রশ্নের হাজারটি ব্যবসায়িক উত্তর আছে। তবে শৌখিন মানুষদের জন্য সবথেকে আনন্দের খবর হলো- তিনি তার কারেন্সির যথাযথ খরচ করতে পারবেন এই এনএফটির পেছনে।
এনএফটি হচ্ছে সেই টোকেন যা সহজে বিনিময়যোগ্য নয়। একজন মানুষ দোকানে পাঁচশ টাকার একটি নোটের বিনিময়ে পাঁচটি একশ টাকার নোট নিতে পারেন; যার বিনিময়মূল্য একই। এজন্য টাকা কিংবা এই ধরনের কোনো কিছুকে ফাঞ্জিবল কিংবা বিনিময়যোগ্য বলা যায়। কিন্তু একজন একটি ছবি আঁকলেন কিংবা ক্রিয়েটিভ কোনো জিফ বানালেন- তবে তিনি ঠিক কীভাবে এটির বিনিময় করবেন? শিল্পকর্ম বিনিময়যোগ্য নয়। সর্বোচ্চ অর্থের বিনিময়ে মালিকানা পরিবর্তনযোগ্য।

এজন্য কালে কালে বড় বড় শিল্পীর ছবি নিলামে উঠে, মানুষ কিনে এবং সেই ছবি শোভা পায় তাদের বসার কিংবা শোয়ার ঘরে। শৌখিন মানুষেরা লাখ কিংবা কোটি টাকা খরচ করেন তাদের শখ মেটাতে এবং তাদের সৌন্দর্য পিপাসু মনের চাহিদা পূরণে। তারা চাইলেই ছবিটি ছুঁয়ে দেখতে পারেন। কিন্তু এনএফটির সীমাবদ্ধতার জায়গাটা এখানেই। চাইলেই নিলামে কিংবা অনলাইনে কেনা এই ছবিটি ছুঁয়ে দেখা যাবে না। কেবল ভার্চুয়ালি শোভা পাবে এটি মালিকের ডিভাইসে এবং মালিকানার প্রমাণস্বরূপ থাকবে সেই নন ফাঞ্জিবল টোকেনটি।

এবার কথা উঠতেই পারে, যে ছবি একজন ডাউনলোড করে সহজেই নিজের ডিভাইসে রেখে দিতে পারে তার পেছনে এত টাকা খরচ করবে কেন? এর উত্তরটিও সহজ। চাইলে একজন হাজার টাকা খরচ করে পেশাদার শিল্পী দিয়ে পিকাসোর গুয়ের্নিকা আঁকিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু সেটির সঙ্গে আসল গুয়ের্নিকার বিন্দুমাত্র তুলনা চলে না। সত্যি শিল্পীর আঁচড় আর সেই আঁচড়কে নকল করার মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ।