PDA

View Full Version : হিউন্দাই ক্রেটা!!



SUROZ Islam
2021-07-04, 05:06 PM
14813
হিউন্দাই ২০১৪ সালে বাজারে নিয়ে আসে তাদের বি-সেগমেন্ট সিইউভি ক্রেটা। গাড়িটার লুক নেওয়া হয় সান্তা ফে গাড়িটা থেকে, তাই দেখতে অনেক সুন্দর ছিলো। কম দামে সুন্দর চেহারার সাথে রিলায়েবিলিটি দিয়ে হিউন্দাই এই গাড়িটাকে সবার কাছে এতোটাই আকর্ষণীয় করেছিলো যে, ৬ বছরে তারা বিক্রি করে ১৪ লাখের বেশি ইউনিট!! এখন পর্যন্ত রাশিয়াতে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত এসইউভি হচ্ছে হিউন্দাই ক্রেটা। এতো হাই ভলিউমের সেলস ফিগারের একটা বড় কারণ ছিলো হচ্ছে লোকাল প্রোডাকশন। গাড়িটা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বানানো হতো ভারতে, চীন ও তাইওয়ানের জন্য চীনে, দক্ষিণ আমেরিকার জন্য ব্রাজিলে, পূর্ব ইউরোপের জন্য রাশিয়ায় ও বাকি ইউরোপের জন্য আলজেরিয়ায়। লোকাল প্রোডাকশনের জন্য দাম হতো খুবই কম, ওদিকে পার্টস সব সাউথ কোরিয়া থেকে সাপ্লাই হওয়ার কারণে রিলায়েবিলিটি থাকতো ইন্ট্যাক্ট। ২০২০ সালের শেষের দিকে হিউন্দাই বাজারে নিয়ে আসে ২য় জেনারেশনের ক্রেটা। বাংলাদেশে হিউন্দাইর ডিলার ফেয়ার টেকনোলজি লিঃ এই গাড়িটি ইন্ডিয়া থেকে এনে বিক্রি শুরু করেছে কয়েক মাস হলো। গাড়িটির দাম তারা রাখছে ৩৬.৫ লাখ টাকা।
বাহ্যিক :-
ক্রেটা গাড়িটি প্রথম দেখায় সবার নজর কাড়ার মতো। কিন্তু সেটা কিছু মানুষের চোখে ইতিবাচকভাবে, আবার কিছু মানুষের কাছে নেতিবাচকভাবে। হিউন্দাইর সবচেয়ে বড় এসইউভি প্যালিসেডের হেডলাইট থেকে আইডিয়া নিয়ে এই গাড়িটির হেডলাইট ডিজাইন করা হয়েছে। ইংরেজি অক্ষর c-এর শেপের ডে-টাইম রানিং লাইট হচ্ছে এই গাড়িটির সামনের সবচেয়ে চোখে পড়ার মতো জিনিস। অনেকের কাছেই এই ফিউচারিস্টিক-লুকিং লাইট দেখতে ভালো লাগে, আবার অনেকেই লাগে না। রিভিউ মানেই রিভিউয়ারের ব্যাক্তিগত মতামত, তাই আমাদের ব্যাক্তিগত মত যদি বলি তাহলে আমাদের কাছে ভালোই লেগেছে লাইটটা। কারণ এই ডিআরএল গাড়িটার উপস্থিতি অন্যসব গাড়ির মধ্যে বেশ ভালোভাবে জাহির করে। ডিআরএল-এর সাথেই আছে ৩টি লাইটে হেডল্যাম্পস। ২ হেডলাইটের মাঝে বেশ বড়সড় একটা গ্রিল আছে। আমাদের মতে গ্রিলটা আরেকটু ছোট হলে ভালো দেখাতো। যাইহোক, বাম্পারের ঠিক উপরে ২ সাইডে আছে একজোড়া লাইট চেম্বার। প্রত্যেকটি চেম্বারে ২টি করে লাইট, যার একটা ইন্ডিকেটর লাইট ও আরেকটা ফগলাইট। সব মিলিয়ে সামনের লুকটা বেশ ভালোই লাগে। নীচে বাম্পারের উপরে একটা গ্রিল আছে, যেটা বিদেশে ক্রেটার টার্বো ভ্যারিয়েন্টে ইন্টারকুলারকে বাতাস সাপ্লাই দেয়, কিন্তু আমাদের দেশের ক্রেটাতে ন্যাচারালি অ্যাস্পায়্যারেটে ইঞ্জিন বলে ওই গ্রিলটা এই গাড়িতে ইউজলেস।
এখন আমরা যদি সাইড প্রোফাইলে আসি, প্রথমেই বলতে হয় ৪ চাকার ফেন্ডারের উপরে করা কার্ভড ফ্লেয়ার। একেক সাইডের ২টি ফেন্ডার ফ্লেয়ারের মাঝে আছে একটা শোল্ডার লাইন। গাড়িটি ডুয়েল-টোন পেইন্টে অ্যাভাইলেবল, তাই চাইলেই বডির মূল কালারে গাড়ির উপরের অর্ধেক কালার করা এমন ইউনিট কেনা যায়, আবার চাইলে বডির নিচের অর্ধেক একরকম কালার আবার উপরের অর্ধেক কালো কালার করিয়ে নেওয়া যায়। বডির নীচে ব্ল্যাক ক্ল্যাডিং আছে, কারণ বিদেশে এই গাড়িটার ফোর-হুইল-ড্রাইভ ভ্যারিয়েন্ট অ্যাভাইলেবল। এই গাড়িতে আমরা খুঁত ধরছি না এটা নিয়ে, কারণ ক্ল্যাডিং-এর পরিমাণ অল্প।
পিছনে যদি আসি, তাহলে আমাদের চোখে এই গাড়ির সবচেয়ে বড় খুঁতটা চোখে পড়ে। সেটা হচ্ছে, এই গাড়ির টেইললাইটস। গাড়ির হেডলাইটের একই শেপে টেইললাইট বানাতে গিয়ে হিউন্দাই রীতিমতো নষ্ট করে ফেলেছে জিনিসটা আমাদের চোখে। যাইহোক, সামনের ডিআরএল-এর হুবহু একই আকারে পিছনের পজিশন ল্যাম্প বসানো, ও সামনে যেখানে হেডল্যাম্প থাকে পিছনের সেই একই জায়গায় ব্রেকল্যাম্প ও ইন্ডিকেটর ল্যাম্প থাকে। সামনের ফগলাইটের মতোই বাম্পারের একটু উপরে ব্যাকগিয়ারের লাইট বসানো। নীচে আবার একটা জালি কাটা প্লাস্টিকের অংশ আছে, যেটা দেখতে সামনের ওই গ্রিলটার মতো যেটার কথা আগে বলেছিলাম যে ইন্টারকুলারের বাতাস জোগায়। মানে একটা জিনিস যেটা বুঝলাম, হিউন্দাই চেয়েছে সামনের আর পিছনে একই ডিজাইন রাখতে, যেটা আমাদের মতে খুব একটা ভালো আইডিয়া ছিলো না। যাহোক, একটা জিনিস ভালো যে, গাড়ির সেন্টার ব্রেকল্যাম্পটা অন্য সব গাড়ির মতো উপরে স্পয়লার-মাউন্টেড না। পিছনের উইন্ডশিল্ডের নীচে ২ টেইললাইটের মাঝখানে লম্বা করে এই ব্রেকল্যাম্পটা বসানো। আর এইটার নিচেই আছে হিউন্দাইর লোগো, তার নীচে বড় করে লেখা আছে “creta”। একদম নীচে ডানপাশে ২টা টিপসহ যেই সাইলেন্সার আছে সেটা দেখতে অনেক ভালো লাগে, গাড়ির ক্যারেক্টারকে স্পোর্টি করে তুলে।
ডাইমেনশন্স :-
হিউন্দাই ক্রেটা গাড়িটার সাইজের ব্যাপারে যদি ধারনা দেই, তাহলে বলতে হবে যে গাড়িটা লম্বায় ভেজেলের সমান ও সি-এইচআরের চেয়ে কিছুটা ছোট, চওড়ায় ভেজেলের চেয়ে ১ ইঞ্চি বেশি ও সি-এইচআরের সমান। এখন, সি-এইচআরের বডি ফোলানো (কোক-বোতল) স্টাইলে ডিজাইন করা বলে বডি চওড়া হলেও ভিতরে বসার জায়গা কম। কিন্তু ক্রেটার বডি ফোলানো না বলে ভিতরে বসার জায়গা সি-এইচআরের চেয়ে বেশি। লম্বায় ভেজেল ও সি-এইচআর ২টার চেয়েই ক্রেটা বেশি উঁচু। গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এই গাড়ির একই চ্যাসিসে বানানো আরেকটা গাড়ি কিয়া সেল্টসের সমান -> ১৯০ মিমি, যেখানে সি-এইচআরের ১৩৫ মিমি ও ভেজেলের ১৭০ মিমি।
ইন্টেরিয়র :-
হিউন্দাই ক্রেটার ইন্টেরিওর বেশ মিনিমালিস্টিক। গাড়িটির ইন্টেরিওর সাদা ও কালো রঙের কম্বিনেশনে করা, ও সিটগুলোর কালারও ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটের কম্বো। সিটগুলো সব রেক্সিনে মোড়া। ড্যাশবোর্ডে ও ডোর প্যানেলে হার্ড-টাচ প্লাস্টিক দেওয়া যেটা একটা খুঁত। সাথে সেন্টার কনসোলও পুরোটাই হার্ড প্লাস্টিক। এই জিনিসগুলো দেখলে সস্তা বলে অনেকেই টার্ন-অফ খেয়ে যায়, এজন্য খুঁত। ইন্সট্রুমেন্টাল প্যানেলে আছে একজোড়া এসি ভেন্ট, যার নীচে আছে ইনফটেইনমেন্ট ডিসপ্লে। ডিসপ্লেটা ফুল টাচস্ক্রিন হলেও একটা জিনিস হিউন্দাই খুব ভালো করেছে যে, অতিব্যাবহৃত কিছু ফিচারের জন্য স্ক্রিনের ২ পাশে বাটন দিয়ে রেখেছে ডিরেক্ট সেই ফিচার চালু করার জন্য, যেমন -> রেডিও, ফেভারিট রেডিও চ্যানেল, রেডিও চ্যানেল অটো সার্চ, ও গান চেঞ্জ করা। সাথে আরও আছে ভলিউম ডায়াল ও রেডিও টিউনিং ডায়াল। ইনফোটেইনমেন্ট ডিসপ্লের রিফ্রেশ রেট খুবই বেশি ভালো। সাথে অ্যান্ড্রয়েড অটো ও অ্যাপল কারপ্লে ২টিই আছে গাড়িতে। ঠিক এর নিচেই আছে ইন্টেরিওরের সবচেয়ে বড় খুঁত। সেটা হচ্ছে এসি কন্ট্রোল প্যানেল। ২০২১-এর একটা গাড়িতে যদি এসি কন্ট্রোলের সব তথ্য দেখানোর জন্য ছোট ব্যাসিক টাইপ স্ক্রিনও না থাকে, তাহলে কি চলবে? এই গাড়ির এসি কন্ট্রোল সেই ২০ বছর আগের করোলা ১০০-এর মতো স্ক্রিনবিহীন। পাশাপাশি ৩টি ডায়াল আছে, যেগুলো দিয়ে এসির সবকিছু কন্ট্রোল করতে হয়। যাহোক, এটার নীচে আছে একটা মোবাইল ফোন হোল্ডার, যেখানে চার্জিং-এর জন্য ও ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমের সাথে কানেক্ট করার আলাদা আলাদা ২টি পোর্ট আছে। এরপর থেকে শুরু হয় সেন্ট্রাল কনসোল, যেখানে আছে লম্বা ও বড় গিয়ার স্টিক। গাড়িটি ম্যানুয়াল মোডে চালানো যাবে স্পোর্টস মোডে দিয়ে হাত দিয়ে এই গিয়ার স্টিক সামনে পিছনে ঠেলে, কিন্তু কোনো প্যাডেল শিফটার নেই। গিয়ার স্টিকের ডানে আছে একটি ডায়াল, যেটা দিয়ে ইকো, নরমাল ও স্পোর্ট মোডের মধ্যে সিলেক্ট করা যায়। ডায়ালের পিছনেই আছে ইলেকট্রনিক হ্যান্ডব্রেকের সুইচ ও জ্যামে দাঁড়ালে গাড়ির ব্রেক ধরে রাখার ব্রেক হোল্ড বাটন।
পিছনের সারিতে যদি আসি, এই জায়গাটা একদম ব্রিলিয়েন্ট! ৩টি সিটের ডানের ও বাঁয়ের সিট ২টা সাদা ও মাঝের সিটটা কালো। প্রথমত, পাশাপাশি ৩ জন বসলে ভেজেল বা সি-এইচআরের চেয়ে বেশি স্পেস তাই গা লেগে বসা লাগেনা, এরপর হেডরুম-লেগরুমও বেশি তাই লম্বা যাত্রিদের বসতে সমস্যা হবেনা। এরপর আসে সবচেয়ে মাথা নষ্ট ২টা জিনিস যেগুলো ক্রেটার ‘চাচাতো ভাই’ কিয়া সেল্টসেও ছিলো -> সানরুফ এবং পিছনে এসি। এই ২টি ফিচারের জন্যই আমি সি-এইচআর বাদ দিয়ে ক্রেটা নিয়ে নিবো পার্সোনালি। আর সানরুফ শুধু সামনের সারিতে হলেও চলতো হতো এতোটুকু গাড়িতে, সেখানে হিউন্দাই একদম বিশাল প্যানোরামিক সানরুফ দিয়ে রেখেছে যেটা পিছনের সারি পর্যন্ত চলে যায়। মাঝের সিটে কেউ না বসলে ড্রপ-ডাউন করে হ্যান্ডরেস্ট ও কাপহোল্ডার বের করা যায়।
পোয়ারট্রেইন:-
হিউন্দাই ক্রেটাতে আছে একটা ১৫০০ সিসির চার সিলিন্ডারের ইঞ্জিন, যেটার শক্তি ১১৩ হর্সপাওয়ার ও ১৪৫ নিউটন-মিটার টর্ক। এই গাড়ির শক্তি একটা প্রিমিও/এলিওনের চেয়ে ৪ হর্সপাওয়ার ও ৪ নিউটন-মিটার বেশি, কিন্তু ক্রেটা একটা সিইউভি বলে ওজন ও বাতাসের বাঁধা মিলিয়ে প্লাস-মাইনাস করে গাড়ির পার্ফরম্যান্স প্রিমিও/এলিওনের মতোই। গাড়িটির সামনের চাকায় শক্তি যায় সিভিটি গিয়ারবক্সের মাধ্যমে। এখন, আমরা যেই ক্রেটা পেয়ে থাকি, সেটা হচ্ছে সাউথ আফ্রিকার জন্য ইন্ডিয়ার ফ্যাক্টরিতে বানানো ক্রেটা। যেহেতু ইঞ্জিন বানানো হয় সাউথ কোরিয়াতে, ও এই ইঞ্জিনটি এমনভাবে বানানো যেন আফ্রিকার প্রচন্ড গরম সহ্য করতে পারে। এর উপর এই ইঞ্জিনটি আমাদের দেশের বহুল প্রচলিত জেডিএম গাড়িগুলোর মতো মাল্টি-পয়েন্ট ইঞ্জেকশন প্রোসেসে চলার কারণে আমাদের দেশের বাজে ফুয়েলে গেঞ্জাম করে না আর চাইলে সহজে এলপিজি করাও যাবে (সিএনজি-ও করা যাবে কিন্তু আমরা সিএনজি করতে সবাইকে নিরুতসাহিত করি)। সাথে আছে সিভিটি। এই কারণে বলা যায় গাড়িটির পাওয়ারট্রেইন বেশ রিলায়েবল।
গাড়ির নয়েজ ক্যান্সেলেশন বেশ ভালো, এবং পিছনে টর্শন বিম সাস্পেনশন থাকার কারণে সি-এইচআরের মতো কমফোর্ট না পাওয়া গেলেও প্রিমিওর মতো কমফোর্ট পাওয়া যাবে। গাড়ির হ্যান্ডলিং রিভিউয়ারদের মতে বেশ ভালো, সাথে স্টিয়ারিং-এ একটা ওজন আছে যার কারণে স্টিয়ারিং ঘুরাতে গেলে সামান্য কিছুটা গায়ের শক্তি খাটাতে হবে। এটুকু পড়ে খারাপ ভাববেন না স্টিয়ারিংকে, কারণ যারা ড্রাইভিংকে উপভোগ করেন, তাদের সবার কাছে ভারী স্টিয়ারিং প্রিয়। কারণ, এরকম স্টিয়ারিং থেকে রোড ফীল খুব ভালো করে পাওয়া যায়, আর হাই-স্পিডে ভারী স্টিয়ারিং থাকলে গাড়ির কন্ট্রোল হাতে থাকে বেশি কারণ হাই-স্পিডে স্টিয়ারিং একটু নড়লেই গাড়ি বেশি টার্ন নেয়। গাড়িটির ইঞ্জিন পার্ফরম্যান্স খুব আহামরি অ্যাগ্রেসিভ না, কারণ শক্তি কম আবার গিয়ারবক্স। ০ থেকে ১০০ কিমি/ঘন্টা গতি উঠাতে সময় নেয় ১২ সেকেন্ড। কিন্তু গাড়িটা বেশ ভালোরকমের ফুয়েল ইফিশিয়েন্ট। ঢাকায় গাড়িটা নাকি ১০ কিমি/লিটার করে মাইলেজ দিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে, আর হাইওয়েতে ১৫ কিমি/লিটার যাবে বলে আশা করা যায়।
ভার্ডিক্ট:-
তাহলে এবার আসি ফাইনাল মন্তব্যে। গাড়িটা কি নেওয়ার মতো? আপনার যদি গাড়িটার ডাই ভালো লাগে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই নিতে পারেন। সি-এইচআরের সাথে যদি কম্পেয়ার করি, স্পেস ও কমফোর্ট ক্রেটাতে বেশি। গাড়ির মাইলেজও ভালো, ওদিকে ১৫০০ সিসি বলে এআইটি কম। সব মিলায়ে ভালোই গাড়িটা। কিন্তু, ইন্টেরিওর ফিট-অ্যান্ড-ফিনিশ খুব একটা লাক্সারিয়াস না, আবার গাড়ির চেহারার ব্যাপারটা তো আছেই। সাথে গাড়ির সেফটি রেটিং খুব একটা ভালো না। হিউন্দাই ক্রেটা ও কিয়া সেল্টসের মধ্যে ইন্টেরিওর ও এক্সটেরিওর বেশি সুন্দর ও লাক্সারিয়াস হচ্ছে সেল্টসের, তাই একই দামে সেল্টস নেওয়াই বেশি সমীচীন। কিন্তু সেল্টসের সমস্যা হচ্ছে গাড়িটা ১৬০০ সিসি। সেল্টস ১৫০০ সিসি হলে আমরা কখনোই ক্রেটা সাজেস্ট করতাম না, কারণ একই চ্যাসিসের উপর সেল্টস সবদিক থেকে বেটার গাড়ি। আর ক্র্যাশ বা অ্যাক্সিডেন্টে ২টাই একইরকম।