Log in

View Full Version : গতি ফিরছে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতিতে!



BDFOREX TRADER
2021-07-18, 02:27 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1209340085.jpg
নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর নতুন ধরন মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপের কারণে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) সংকুচিত হয়েছে সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক কার্যক্রম। তবে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির চিত্র অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটির অর্থনীতি এক দশকের তুলনায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক কভিড টিকা প্রয়োগের হার বৃদ্ধির ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় আগের মতো গতি ফিরে পেলে এ অবস্থার দ্রুতই উত্তরণ হবে। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে যখন অনেক দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত অবস্থা অতিবাহিত করেছে তার তুলনায় সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি যথেষ্ট ভালো অবস্থানে আছে বলে মত তাদের। অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ অ্যালেক্স হোমস জানান, করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করায় বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি কিছুটা হোঁচট খেয়েছে। তবে নতুন করে সংক্রমণের হার হ্রাস এবং বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে অর্থনীতি কয়েক মাসের মধ্যেই আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসবে বলে আশা করা যায়।
অ্যালেক্স হোমস আশা করেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ সিঙ্গাপুরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সরকারের প্রত্যাশিত ৪ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশের মতো স্পর্শ করবে। ২০১৯ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি দশমিক ৯ শতাংশ কম অর্জিত হয়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি ২ শতাংশের মতো হ্রাস পেয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতিতে ৩ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছিল। বুধবার দেশটির সরকারের প্রকাশিত এক প্রাথমিক তথ্যে এমনটা দেখা যায়।
সিঙ্গাপুরের ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বার্ষিক হিসাব অনুযায়ী চলতি বছরের এপ্রিল-জুন সময়কালে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ। রয়টার্সের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ সময়ে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদরা। ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির বার্ষিক ভিত্তিতে জিডিপির হ্রাস ঘটেছিল সর্বোচ্চ হারে। ওই বছর দ্বিতীয় প্রান্তিকে সিঙ্গাপুরের জিডিপি ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল। এ সময় দেশটির অধিকাংশ অঞ্চলই নভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলার স্বার্থে লকাডাউন অবস্থায় ছিল। মে মাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করে সিঙ্গাপুর। এ সময় জনসমাগম ও অন্যান্য নিয়মিত কাজকর্মের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। টিকাদান কার্যক্রম বিস্তৃত হওয়ার পর কয়েক সপ্তাহ ধরে এসব বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।

Montu Zaman
2021-09-01, 04:18 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/179910585.jpg
কভিড-১৯ আঘাত হানার পর সিঙ্গাপুরের সবকিছু যেন বদলে যায়। দেশটির অর্থনীতি ঐতিহ্যগতভাবেই বিদেশী নাগরিকদের ওপর নির্ভর করে। আঞ্চলিক সদর দপ্তর থাকা বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর উচ্চ উপার্জনকারী পেশাদার থেকে শুরু করে গৃহকর্মী পর্যন্ত নগর রাষ্ট্রটি বিদেশীদের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। এখন মহামারীর কারণে দেশটিতে অর্থনৈতিক চাপ বেড়েছে। যদিও তুলনামূলকভাবে কমই রয়েছে বেকারত্বের হার। তবে কিছু সিঙ্গাপুরবাসীর মধ্যে উচ্চ সংখ্যার বিদেশী কর্মী নিয়ে ক্রোধ বাড়ছে। কেউ কেউ বলছেন, তারা বিদেশী পেশাজীবীদের কারণে চাকরির ভালো সম্ভাবনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। অন্যদিকে সাংস্কৃতিক পার্থক্য ও কিছু ঘটনায় উচ্চপদস্থ পেশাজীবীরা খারাপ ব্যবহারের শিকারও হয়েছেন। যেমন গত বছর লকডাউনের নিয়ম ভাঙার অপরাধে বিদেশীদের একটি দলের কাজের পাস বাতিল করা হয়েছিল। এছাড়া একজন ব্রিটিশ ট্রেনে মাস্ক ব্যবহার করতে অস্বীকৃতি জানানোয় সম্প্রতি তাকে নির্বাসিত করা হয়েছে। এ অঞ্চলের অন্যান্য সরকারের মতো সিঙ্গাপুরেও মহামারীর সময় তার নাগরিক ও বিদেশী বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাদা আচরণ করা হয়েছে। এমনটা ঘটেছে কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা দেয়ার ক্ষেত্রেও। পাশাপাশি স্থানীয়দের নিয়োগ দিতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাপ বাড়ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু শিল্পের জন্য বিদেশী শ্রমিক কোটা পরিবর্তন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর বিদেশী কর্মীদের ভিসার মানদণ্ডকে ধীরে ধীরে এবং ক্রমবর্ধমানভাবে কঠোর করবে। এ নীতিগুলো এরই মধ্যে দেশটির কর্মী সংখ্যার ওপর প্রভাব ফেলছে।
দেশটির জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে সিঙ্গাপুরে বিদেশী শ্রমিকদের সংখ্যা প্রায় ১৪ শতাংশ কমে গেছে। এ সংখ্যা একেবারেই নগণ্য নয়। কমে যাওয়ার পরও দেশটিতে এখনো ১২ লাখের বেশি বিদেশী কর্মী রয়েছেন। তাদের সংখ্যা সিঙ্গাপুরের মোট কর্মীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।