PDA

View Full Version : ব্রেইন কম্পিউটার: মস্তিষ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত



DhakaFX
2021-07-28, 02:03 PM
ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (bci) হল মস্তিষ্কের সাহায্যে নিয়ন্ত্রিত হবে কম্পিউটার সিস্টেম। কম্পিউটার বা কম্পিউটারভিত্তিক ডিভাইসগুলোর সাথে মানুষের যোগাযোগ হয় মাউস, কি-বোর্ড, টাচ-স্ক্রিন, মনিটর, স্পিকারসহ ইনপুট-আউটপুট সংক্রান্ত কাজে সাহায্য করে এমন অসংখ্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে। ইনপুট ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারী কম্পিউটারকে নানা নির্দেশ দিয়ে থাকে এবং সেই নির্দেশের উপর ভিত্তি করেই কম্পিউটারের প্রসেসিং ইউনিট বা cpu কাজটি সম্পাদন করে আউটপুট ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে তা ব্যবহারকারীকে দেখার সুযোগ দেয়।
ইনফ্রারেড সুইচ, মোশন সেন্সর, স্পিচ জেনারেটেড কমান্ড, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি সহ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সভিত্ িক স্মার্ট অ্যাসিস্ট্যান্টে মতো উন্নত প্রযুক্তি কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগের এই ব্যবস্থাকে আরো সহজ করে দিয়েছে। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা থেকে শুরু করে সুস্থ, অসুস্থ- অনেক মানুষই উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে নিজের অসম্পূর্ণতা, অক্ষমতাগুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর সাথে সাথে সীমিত পর্যায়ের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে নিচ্ছে। হাত-পা নাড়াতে পারছে না এমন যে কেউ হুইল চেয়ার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। দৃষ্টিশক্তি নেই এমন যে কেউ চাইলেই ভয়েস নিয়ন্ত্রিত সফটওয়্যারের সাহায্যে কম্পিউটারকে নির্দেশনা দিতে পারছে, ফলাফল পাচ্ছে স্পিকারের মাধ্যমে। অর্থাৎ, কম্পিউটারের সাথে ইন্টার*্যাকশনের জন্য মানুষকে কোনো না কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাহায্য নিতে হয়, সামান্য হলেও পেশি শক্তির ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু যাদের দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি ও বাকশক্তি নেই, স্টিফেন হকিংয়ের মতো পুরোপুরি বোধশক্তিহীন, তারা কিন্তু চাইলেই কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবে না। অর্থাৎ, প্রযুক্তির এত সুবিধা থাকতেও সেগুলো ব্যবহারের সুযোগ তাদের নেই। থাকলেও তা সীমিত পর্যায়ে। আর এই জায়গাটিতেই ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের আগমন।
14951
মানবদেহ এবং ইন্দ্রিয়গুলো যেহেতু পুরোপুরি মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত, সেহেতু যদি কম্পিউটারগুলো ইনপুট-আউটপুটের জন্য পুরোপুরি মস্তিষ্ক নির্ভর হয়, তাহলেই উপরোক্ত সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে যায়। অর্থাৎ, ভবিষ্যতের উন্নত ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের সাহায্যে দৃষ্টিশক্তি নেই এমন কাউকে ক্যামেরার সাহায্যে প্রাপ্ত দৃশ্যের বিস্তারিত তথ্য সরাসরি ব্রেইনে প্রবেশ করিয়ে দিলেই মানুষটি সাধারণ মানুষের মতো দেখতে পারবে। স্টিফেন হকিংয়ের মতো বোধশক্তিহীন, বাকশক্তিহীন মানুষগুলো শুধুমাত্র মস্তিষ্ককে কাজে লাগিয়েই কম্পিউটারের মাধ্যমে লেখালেখি চালিয়ে যেতে পারবেন, কথা বলতে পারবেন অনবরত। এমনকি, যান্ত্রিক শরীরের সাহায্যেও সাধারণ মানুষের মতো স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডগুলো চালাতে পারবে।

Rassel Vuiya
2021-08-10, 04:55 PM
কম্পিউটার বা কম্পিউটারভিত্তিক ডিভাইসগুলোর সাথে মানুষের যোগাযোগ হয় মাউস, কি-বোর্ড, টাচ-স্ক্রিন, মনিটর, স্পিকারসহ ইনপুট-আউটপুট সংক্রান্ত কাজে সাহায্য করে এমন অসংখ্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে। ইনপুট ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারী কম্পিউটারকে নানা নির্দেশ দিয়ে থাকে এবং সেই নির্দেশের উপর ভিত্তি করেই কম্পিউটারের প্রসেসিং ইউনিট বা cpu কাজটি সম্পাদন করে আউটপুট ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে তা ব্যবহারকারীকে দেখার সুযোগ দেয়। ইনফ্রারেড সুইচ, মোশন সেন্সর, স্পিচ জেনারেটেড কমান্ড, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি সহ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সভিত্ িক স্মার্ট অ্যাসিস্ট্যান্টে মতো উন্নত প্রযুক্তি কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগের এই ব্যবস্থাকে আরো সহজ করে দিয়েছে। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা থেকে শুরু করে সুস্থ, অসুস্থ- অনেক মানুষই উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে নিজের অসম্পূর্ণতা, অক্ষমতাগুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর সাথে সাথে সীমিত পর্যায়ের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে নিচ্ছে। হাত-পা নাড়াতে পারছে না এমন যে কেউ হুইল চেয়ার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। দৃষ্টিশক্তি নেই এমন যে কেউ চাইলেই ভয়েস নিয়ন্ত্রিত সফটওয়্যারের সাহায্যে কম্পিউটারকে নির্দেশনা দিতে পারছে, ফলাফল পাচ্ছে স্পিকারের মাধ্যমে।
15022

BDFOREX TRADER
2021-08-24, 06:26 PM
বর্তমানে, ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস অনেকটা অগ্রগামী হলেও কম্পিউটারের মাধ্যমে মস্তিষ্ক থেকে সিগন্যাল গ্রহণ এবং মস্তিষ্কে সিগন্যাল প্রেরণের প্রক্রিয়াটি বিজ্ঞানীদের বেশ ঝামেলায় ফেলে দিয়েছে। সাধারণত, মস্তিষ্কের বহিরাবরণ বা করোটিতে 'ইলেক্ট্রোএনসেফ্য লোগ্রাফ' নামক অনেকগুলো ইলেক্ট্রোড স্থাপন করার মাধ্যমে নিউরন থেকে সিগন্যাল রিড করা যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, নিউরন প্রত্যেক মুহূর্তে লক্ষ লক্ষ সিগন্যাল তৈরি করে, যার অধিকাংশই মাথার শক্ত খুলির কারণে আটকে যায়; অর্থাৎ, ইলেক্ট্রোএনসেফ্য লোগ্রাফে অধিকাংশ সিগন্যালই পৌঁছতে পারে না। পৌঁছলেও, সিগন্যালগুলো অসম্পূর্ণ ও বেশ দুর্বল অবস্থায় থাকে। সরাসরি করোটির অভ্যন্তরীণ অংশে; অর্থাৎ, মস্তিষ্কের ঠিক উপরের অংশে ইলেক্ট্রোএনসেফ্য লোগ্রাফ স্থাপন করে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এতে করে মস্তিষ্কের যে জায়গাগুলো থেকে সিগন্যাল তৈরী হয়, সেসব জায়গা ও ইলেক্ট্রোড ডিভাইসগুলোর মাঝে আহামরি কোনো শক্ত বাধা না থাকায় ডিভাইসগুলোর জন্য সিগন্যাল রিড করা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু এ প্রক্রিয়াটি বেশ বিপজ্জনক। প্রথমত, এর জন্য বেশ বড় রকমের সার্জারির প্রয়োজন হয়, যা বেশ ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ। দ্বিতীয়ত, সফলভাবে সার্জারি শেষ হলেও ধীরে ধীরে করোটির অভ্যন্তরীণ টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ইলেক্ট্রোড ডিভাইসগুলো যেখানেই স্থাপন করা হোক না কেন, মস্তিষ্কে কাজ চলার সময় তৈরী হওয়া সিগন্যালগুলো একই পদ্ধতিতে কম্পিউটারে ধরা পড়ে। প্রাথমিকভাবে, সিগন্যালগুলো বেশ দুর্বল ও বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে বিধায় সিগন্যালগুলোকে অ্যামপ্লিফাই ও ফিল্টার করে একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামে রাখা হয়। প্রোগ্রামটি অনেকটা আদ্যিকালে ব্রেইন সিগন্যাল রেকর্ড করার কাজে ব্যবহৃত অ্যানসেফালোগ্রাফ র ডিজিটাল সংস্করণ; রেডিও ওয়েভের মতো দেখতে সিগন্যালগুলো এখানে কাগজে ছাপার বদলে কম্পিউটারে জমা হয়। এরপর, কোন কাজের জন্য কী ধরনের সিগন্যাল তৈরী হচ্ছে, তা রিড করে একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন অনুসরণ করে সহজেই বিসিআই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেসব সিগন্যালকে রিভার্স করে আবার মস্তিষ্কের নিউরনে স্থাপন করা যায়।
15150
ধরুন, আপনি কোনো একটি দৃশ্য দেখছেন। সাথে সাথেই নিউরন দৃশ্য দেখা সম্পর্কিত কাজটির জন্য পর্যাপ্ত সিগন্যাল তৈরি করে। সিগন্যালগুলোকে ইলেক্ট্রোডগুলো রিড করে একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামে জমা করে রাখবে। এখন চাইলেই বিসিআই প্রোগ্রামটির মাধ্যমে রিড করা সিগন্যালগুলোর নির্দিষ্ট প্যাটার্ন বুঝে ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে ধারণকৃত কোনো দৃশ্যকে রিভার্স সিগন্যালের মাধ্যমে মস্তিষ্কের নিউরনে স্থাপন করা সম্ভব। এক্ষেত্রেও, নিউরন ভিডিও ক্যামেরায় ধারণকৃত দৃশ্যটি অবলোকন করতে পারবে।