Rassel Vuiya
2021-08-09, 03:53 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/705484471.jpg
গত বছরের মাঝামাঝি থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল চীন। কভিড-১৯ মহামারীর বিধ্বস্ত অবস্থাকে পেছনে ফেলে প্রবৃদ্ধির রেকর্ড করছিল দেশটি। চলতি বছরের শুরুতেও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। তবে বছরের মাঝামাঝিতে এসে ধাক্কা খেয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পণ্যের তীব্র চাহিদা চীনের রফতানি ও আমদানি বাড়াতে সহায়তা করেছে। তবে কভিডের ডেল্টা ধরন ছড়িয়ে পড়ায় ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও ভোক্তা ব্যয়ের প্রবৃদ্ধি কমে গেছে।এপির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের এ সময়ে বিশ্বজুড়ে নানা বিধিনিষেধ জারি থাকায় ভোক্তা চাহিদা কম ছিল। তবে বর্তমানে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় বিশ্বজুড়ে তুমুল ভোক্তা চাহিদা তৈরি হয়েছে। আর সেই সময়ের তুলনায় চীনের রফতানি ও আমদানিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে সাধারণ সময়ের তুলনায় এ প্রবৃদ্ধি খুব বেশি নয়।
চীনের শুল্ক বিভাগের তথ্যে দেখা গেছে, গত মাসে চীনের রফতানি আয় ২৮ হাজার ২৭০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। আয়ের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। তবে জুনের তুলনায় এ আয় ৩২ দশমিক ২ শতাংশ কম। অন্যদিকে জুলাইয়ে চীনের আমদানি ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ২২ হাজার ৭১০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। যেখানে জুনে এ প্রবৃদ্ধি ছিল ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন, বিনোদন ও অন্যান্য পরিষেবা শিল্প পুনরায় চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে যাবে, ভোক্তা ব্যয় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে এবং মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত চীনা প্রতিযোগীরাও বৈশ্বিক রফতানি বাজারে ফিরে আসবে। কভিডের অতি সংক্রমণপ্রবণ ডেল্টা ধরন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ায় দেশগুলো ব্যবসা বন্ধসহ পুনরায় বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করতে বাধ্য হয়। এটি চীনের পণ্য রফতানি বাড়াতে সহায়তা করেছে।
বেইজিংয়ের প্রযুক্তিগত উচ্চকাঙ্ক্ষা নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী শুল্কযুদ্ধ চলছে। তবু যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রফতানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ৯৬০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। যেখানে জুনে এ প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময়ে মার্কিন পণ্যের আমদানি ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪২০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ প্রবৃদ্ধি জুনে ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশের চেয়ে কম।
গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণ করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এখনো তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুরু করা চীনের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা দেননি। তবে দুই পক্ষের দূতরা অনলাইনে কথা বললেও বিষয়টি নিয়ে এখনো আলোচনার তারিখ ঘোষণা করেননি। জুলাইয়ে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৬৬০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। তবে এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য বেড়েছে। এ বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৫৪০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। চীন মহামারী থেকে বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নেতৃত্ব দিয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ ভোক্তা ব্যয় ও অন্যান্য কার্যক্রম প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল রয়ে গেছে। রফতানিকারকরা চিপসহ শিল্প উপাদানগুলো নিয়ে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনের বাধার সম্মুখীন হন।
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গত বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। তবে বছরের শুরুর দিকের তুলনায় এ প্রবৃদ্ধি অন্যান্য অর্থনীতির মতো ধীর হয়ে গেছে। প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৩ শতাংশ। এ প্রবৃদ্ধির চিত্র দুর্বল কারখানা কার্যক্রম ও ভোক্তা ব্যয়কে প্রতিফলিত করে। এ সময়ে ভোক্তা কার্যক্রমের পুনরুদ্ধার পিছিয়ে আছে। জুনে খুচরা ব্যয় বেড়েছে ১২ দশমিক ১ শতাংশ। এ প্রবৃদ্ধিও আগের মাসের ১২ দশমিক ৪ শতাংশের চেয়ে কম।
গত বছরের মাঝামাঝি থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল চীন। কভিড-১৯ মহামারীর বিধ্বস্ত অবস্থাকে পেছনে ফেলে প্রবৃদ্ধির রেকর্ড করছিল দেশটি। চলতি বছরের শুরুতেও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। তবে বছরের মাঝামাঝিতে এসে ধাক্কা খেয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পণ্যের তীব্র চাহিদা চীনের রফতানি ও আমদানি বাড়াতে সহায়তা করেছে। তবে কভিডের ডেল্টা ধরন ছড়িয়ে পড়ায় ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও ভোক্তা ব্যয়ের প্রবৃদ্ধি কমে গেছে।এপির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের এ সময়ে বিশ্বজুড়ে নানা বিধিনিষেধ জারি থাকায় ভোক্তা চাহিদা কম ছিল। তবে বর্তমানে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় বিশ্বজুড়ে তুমুল ভোক্তা চাহিদা তৈরি হয়েছে। আর সেই সময়ের তুলনায় চীনের রফতানি ও আমদানিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে সাধারণ সময়ের তুলনায় এ প্রবৃদ্ধি খুব বেশি নয়।
চীনের শুল্ক বিভাগের তথ্যে দেখা গেছে, গত মাসে চীনের রফতানি আয় ২৮ হাজার ২৭০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। আয়ের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। তবে জুনের তুলনায় এ আয় ৩২ দশমিক ২ শতাংশ কম। অন্যদিকে জুলাইয়ে চীনের আমদানি ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ২২ হাজার ৭১০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। যেখানে জুনে এ প্রবৃদ্ধি ছিল ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন, বিনোদন ও অন্যান্য পরিষেবা শিল্প পুনরায় চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে যাবে, ভোক্তা ব্যয় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে এবং মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত চীনা প্রতিযোগীরাও বৈশ্বিক রফতানি বাজারে ফিরে আসবে। কভিডের অতি সংক্রমণপ্রবণ ডেল্টা ধরন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ায় দেশগুলো ব্যবসা বন্ধসহ পুনরায় বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করতে বাধ্য হয়। এটি চীনের পণ্য রফতানি বাড়াতে সহায়তা করেছে।
বেইজিংয়ের প্রযুক্তিগত উচ্চকাঙ্ক্ষা নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী শুল্কযুদ্ধ চলছে। তবু যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রফতানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ৯৬০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। যেখানে জুনে এ প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময়ে মার্কিন পণ্যের আমদানি ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪২০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ প্রবৃদ্ধি জুনে ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশের চেয়ে কম।
গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণ করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এখনো তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুরু করা চীনের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা দেননি। তবে দুই পক্ষের দূতরা অনলাইনে কথা বললেও বিষয়টি নিয়ে এখনো আলোচনার তারিখ ঘোষণা করেননি। জুলাইয়ে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৬৬০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। তবে এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য বেড়েছে। এ বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৫৪০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। চীন মহামারী থেকে বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নেতৃত্ব দিয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ ভোক্তা ব্যয় ও অন্যান্য কার্যক্রম প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল রয়ে গেছে। রফতানিকারকরা চিপসহ শিল্প উপাদানগুলো নিয়ে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনের বাধার সম্মুখীন হন।
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গত বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। তবে বছরের শুরুর দিকের তুলনায় এ প্রবৃদ্ধি অন্যান্য অর্থনীতির মতো ধীর হয়ে গেছে। প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৩ শতাংশ। এ প্রবৃদ্ধির চিত্র দুর্বল কারখানা কার্যক্রম ও ভোক্তা ব্যয়কে প্রতিফলিত করে। এ সময়ে ভোক্তা কার্যক্রমের পুনরুদ্ধার পিছিয়ে আছে। জুনে খুচরা ব্যয় বেড়েছে ১২ দশমিক ১ শতাংশ। এ প্রবৃদ্ধিও আগের মাসের ১২ দশমিক ৪ শতাংশের চেয়ে কম।