PDA

View Full Version : উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে গাড়ি নির্মাতারা



kohit
2021-09-05, 02:15 PM
কভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে চিপ সংকট প্রকট হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে এ সংকট থেকে পুনরুদ্ধারের আশাও করা হচ্ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এশিয়ার উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে কভিডের সংক্রমণ পুনরুত্থান এ সংকটকে আরো ঘনীভূত করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আবারো গাড়ি উৎপাদন কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ করার কথা জানিয়েছে শীর্ষ গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

এপির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্পিউটার চিপের ঘাটতি ক্রমে খারাপ হচ্ছে। এ পরিস্থিতি গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলোকে জনপ্রিয় পিকআপ ট্রাক তৈরির কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ করতে বাধ্য করছে। সম্প্রতি মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জনারেল মোটরস (জিএম) ও ফোর্ড সাময়িকভাবে কারখানা বন্ধের কথা জানিয়েছে। এর আগে টয়োটা, নিশান ও স্টেলান্টিসও একই ঘোষণা দিয়েছিল।

জেনারেল মোটরস জানিয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে উত্তর আমেরিকার ১৫টি সংযোজন কারখানার মধ্যে আটটির উৎপাদন বন্ধ করা হবে। বন্ধের তালিকায় মার্কিন গাড়ি নির্মাতা সংস্থাটির সর্বাধিক বিক্রীত শেভ্রোলেট সিলভেরাডো পিকআপ তৈরির দুটি কারখানাও রয়েছে।

এদিকে ক্যানসাস সিটি অ্যাসেম্বলি প্লান্টে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য পিকআপ তৈরি বন্ধ করবে আরেক মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ড। এছাড়া সংস্থাটি মিশিগানের ডিয়ারবর্ন ও কেনটাকির লুইসভিলের আরো দুটি ট্রাক কারখানার শিফট কমিয়ে আনবে।

এদিকে চিপ সংকটের কারণে স্টেলান্টিস এ সপ্তাহে মিশিগানের স্টার্লিং হাইটসে ট্রাক কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। সংস্থাটির বেলভিডিয়ার, ইলিনয়, ছোট এসইউভি কারখানা এবং অন্টারিওর উইন্ডসরের একটি মিনিভ্যান কারখানাও দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ রয়েছে।


টয়োটা জাপান ও উত্তর আমেরিকায় আগামী দুই মাসের জন্য উৎপাদন অন্তত ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনবে। কেবল সেপ্টেম্বরেই সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে ৩ লাখ ৬০ হাজার ইউনিট যানবাহনের উৎপাদন হ্রাস করবে। একই কারণে গত মাসের মাঝামাঝিতে নিশান টেনেসির স্মিরনায় তার বিশাল কারখানাটি ৩০ আগস্ট পর্যন্ত দুই সপ্তাহ বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে বন্ধের মেয়াদ ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

বণিক বার্তা

kohit
2021-09-08, 05:15 PM
ডেল্টার সংক্রমণ সত্ত্বেও আগস্টে চীনের বাণিজ্যে উল্লম্ফন

আগস্টে চীনের রফতানি আয় ২৯ হাজার ৪৩০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। চীনের নানটং বন্দর ছবি: এপি
গত বছরের মাঝামাঝি থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল চীনা অর্থনীতি। কভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে রেকর্ড প্রবৃদ্ধির দেখা পায় দেশটি। এরপর চলতি বছরের মাঝামাঝিতে আবারো ছড়িয়ে পড়ে কভিডের অতি সংক্রামক ডেল্টার প্রাদুর্ভাব। গত মাসে কয়েকটি কনটেইনার বন্দরের কার্যক্রম স্থগিত রাখতেও বাধ্য হয় দেশটি। ঝুঁকি তৈরি হয় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে। এমন পরিস্থিতিতেও আগস্টে চীনের বাণিজ্যপ্রবাহ অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়েছে। খবর এপি।

গতকাল প্রকাশিত চীনের শুল্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে চীনের রফতানি আয় ২৯ হাজার ৪৩০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। আয়ের এ পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। দেশটির রফতানি আয়ে এমন প্রবৃদ্ধি জুলাইয়ে ১৮ দশমিক ৯ শতাংশকেও ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পণ্যের তুমুল চাহিদা চীনের রফতানি বাড়াতে সহায়তা করেছে।

রফতানির পাশাপাশি দেশটির আমদানিও রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। গত মাসে আমদানি ৩৩ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ২৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। জুলাইয়ে এ প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ, যদিও আগস্টে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত কিছুটা সংকুচিত হয়েছে। এ সময় দেশটির বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ১ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৮৩০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।

গত বছরের বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধের প্রভাব এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে পুনরায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় চীনের বাণিজ্যপ্রবাহে শ্লথগতির শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। পুনরায় সংক্রমণ বৈশ্বিক শিল্প উৎপাদন চেইনে দীর্ঘস্থায়ী বাধার সৃষ্টি করে এবং প্রভাবিত করে ভোক্তাদের অনুভূতিকে। আবার স্বাস্থ্য সংকট কমে যাওয়া, বিনোদন ও অন্যান্য পরিষেবা শিল্প পুনরায় চালু এবং বৈদেশিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা বিশ্ববাজারে ফিরে আসার বিষয়টিও চীনের রফতানি প্রবৃদ্ধিতে শঙ্কা তৈরি করেছিল। যদিও বিশ্বজুড়ে চীনা পণ্যের তুমুল চাহিদা আশঙ্কাগুলোকে পরাজিত করতে সহায়তা করেছে।

বণিক বার্তা