PDA

View Full Version : বৈশ্বিক পরিশোধন চাহিদা অর্ধেক কমিয়ে দেবে বৈদ্যুতিক গাড়ি



kohit
2021-09-23, 01:16 PM
কার্বন নিঃসরণ কমাতে বৈদ্যুতিকে রূপান্তর হচ্ছে অটোমোবাইল শিল্প। জ্বালানি তেলনির্ভর গাড়িগুলো হয়ে উঠছে বৈদ্যুতিক। এ কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের জ্বালানি তেল পরিশোধনক্ষমতার চাহিদা অর্ধেক কমে যাবে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রিস্ট্যাড এনার্জি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।

রিস্ট্যাড এনার্জির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুকেশ সহদেব বলেন, এভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি ৯০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। আর এ দৃশ্য সম্ভবত বৈশ্বিক পরিশোধন ক্ষমতার চাহিদা ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেবে।

মুকেশ বলেন, বৈদ্যুতিক যানবাহন বিশ্বজুড়ে পেট্রল ও ডিজেলের ব্যয় কমিয়ে দেবে। তবে নগরায়ণের কারণে উড়োজাহাজ, সামুদ্রিক পণ্য পরিবহনকারী জাহাজ ও পেট্রোকেমিক্যাল খাতে জ্বালানি তেলের উচ্চ চাহিদা থাকতে পারে। তবুও এ পরিস্থিতি পরিশোধন খাতের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।


তিনি বলেন, পরিশোধনের বাকি ৫০ শতাংশ ক্ষমতা আমরা কীভাবে ব্যবহার করতে পারি? এটি পুরো সরবরাহ চেইনজুড়ে নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি করতে চলেছে। এক্ষেত্রে পেট্রাল ও ডিজেল উৎপাদনে ব্যবহূত কোকার ইউনিট আপগ্রেড করে ব্যাটারিতে গ্রাফাইটের জন্য আরো পেটকক উৎপাদন করা যেতে পারে। এভাবে পরিবর্তন করতে না পারলে জ্বালানি তেল পরিশোধন খাতে অস্তিত্বের সংকট দেখা দেবে।

বণিক বার্তা

kohit
2021-09-26, 03:02 PM
জার্মানির ব্যবসায়িক সূচকে পতন অব্যাহত

চিপ ও অন্যান্য কাঁচামাল সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছে জার্মানির শিল্প খাত। বিশ্বের অর্থনীতি যখন পুনরুদ্ধারের পথে এগোচ্ছে, তখন চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে জার্মানির শিল্পপ্রতিষ্ঠানগ লো।

রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানির সরবরাহ চেইনে অপ্রতুলতার কারণে দেশটির ব্যবসায়িক সূচক চলতি সেপ্টেম্বরে তৃতীয় মাসের মতো নিম্নগামী। আইএফও ইনস্টিটিউট ইনডেক্স গত আগস্টে ৯৯ দশমিক ৬ থেকে নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৮ পয়েন্টে।

মিউনিখভিত্তিক আইএফও ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, মূল সমস্যাটি হলো কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী জরুরি পণ্যগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। আর এসব পণ্যই দেশের অর্থনীতিকে পেছনের দিকে টেনে ধরছে। ফলে জার্মানির শিল্প খাত বড় ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়েছে।

জার্মানির অর্থনীতিকে গোটা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বড় বলে ধরা হয়। গত বছর মহামারীর কারণে গোটা বিশ্বের মতো তাদের অর্থনীতিও মন্দার মুখে পড়ে। চলতি বছর জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি দেখা দিতে শুরু করে। গত বছরের এ সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে চলতি বছর অনেকটাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছিল। কিন্তু চিপ ও কাঁচামাল সংকট আবারো নতুন সমস্যা সৃষ্টি করেছে।


বড় উৎপাদক যেমন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডেইমলার, বিএমডব্লিউ ও ফক্সওয়াগনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েছে চাহিদা অনুযায়ী সেমিকন্ডাকটর বা চিপ না পেয়ে। আধুনিক গাড়ি নির্মাণ শিল্পে চিপের কোনো বিকল্প নেই। এছাড়া ইস্পাত, নির্মাণসামগ্রী ও প্লাস্টিক সংকটেও পড়েছে অন্যান্য শিল্প-কারখানাগুলো।

বণিক বার্তা