View Full Version : মেটাভার্স’ বা ভার্চুয়াল জগত নিয়ে কি হচ্ছে?
Tofazzal Mia
2021-10-21, 01:15 PM
খুব দ্রুত প্রযুক্তি জগতের বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দে পরিণত হচ্ছে ‘মেটাভার্স’। সম্প্রতি ফেইসবুক জানিয়েছে, ইউরোপে মেটাভার্স তৈরি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দশ হাজার কর্মী নিয়োগ দেবে তারা। অন্যদিকে, মাইক্রোসফট, রোব্লক্স ও এবং ফোর্টনাইট নির্মাতা এপিক গেইমস-ও ব্যস্ত নিজ নিজ সংস্করণের মেটাভার্স তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে। কিন্তু
http://forex-bangla.com/customavatars/953353518.jpg
প্রশ্ন হচ্ছে, মেটাভার্স আদতে কী?
অনেক কল্পবিজ্ঞান বই ও চলচ্চিত্রেই দেখানো হয় মানুষ পুরোপুরি নিজেদের তৈরি এক দুনিয়ায় ডুবে রয়েছেন। সেখানে আরও দেখা যায়, বাস্তব দুনিয়া ও মেটাভার্সের মধ্যে দৃশ্যত কোনো পার্থক্য নেই। আলাদা করারও তেমন কোনো উপায় নেই। এরকম বই ও চলচ্চিত্রের উদাহরণ রয়েছে অসংখ্য। কিন্তু মেটাভার্সের বর্তমান বাস্তবতা সে অবস্থা থেকে এখনও অনেকটাই দূরে। ইন্টারনেটে বিদ্যমান ভার্চুয়াল জগতগুলো দেখলে বাস্তব জগতের বদলে সম্ভবত ভিডিও গেইমের কথাই মনে আসবে প্রথমে। ‘মেটাভার্স’ মূলত ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত একটি পরিভাষা। সাদামাটা অর্থে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রবেশ করা যাবে এমন ‘শেয়ার্ড ভার্চুয়াল পরিবেশ’ বলা যেতে পারে একে। ভার্চুয়াল রিয়ালিটি (ভিআর) বা অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর) ব্যবহার করে প্রাণবন্ত করে তোলা হয়েছে এমন কোনো ডিজিটাল স্থান বুঝাতেও অহরহ ব্যবহার করা হয়ে থাকে ‘মেটাভার্স’ শব্দটি। অনেকে আবার মেটাভার্স বলতে সুনির্দিষ্টভাবে গেইমিং জগতকে বুঝিয়ে থাকেন, যেখানে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর একটি চরিত্র থাকবে যা ঘুরে-ফিরে বেড়াতে পারবে এবং অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলতে ও নানা কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারে। এদিকে, পুরোপুরি ব্লকচেইন প্রযুক্তি নির্ভর সুনির্দিষ্ট ঘরানার আলাদা মেটাভার্সই রয়েছে। এ ধরনের মেটাভার্সে ক্রিপ্টোকারেন্সি খরচ করে ভার্চুয়াল জমি এবং অন্যান্য ডিজিটাল সম্পদ কিনতে পারেন ব্যবহারকারীরা।
মেটাভার্সে কেন?
প্রশ্ন উঠতেই পারে এতোকিছু থাকতে মেটাভার্সের দিকে কেন ঝুঁকছেন মানুষ? এর উত্তরে রয়টার্সের প্রতিবেদনের আলোকে বলা যেতে পারে-- মেটাভার্স ভক্তরা এটিকে ইন্টারনেট উন্নয়নের পরবর্তী ধাপ হিসেবে দেখছেন। বর্তমানে মানুষ যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনলাইনের বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করেন। যেমন- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন ইত্যাদি। কিন্তু মেটাভার্সের ধারণাটিই হলো এমন একটি অনলাইন স্থানের যেখানে মানুষের যোগাযোগ হবে বহুমাত্রিক। ব্যবহারকারীরা এ ধরনের স্থানে কন্টেন্ট শুধু দেখা নয়, তাতে পুরোপুরি নিজেকে নিমজ্জিত করে ফেলতে পারবেন। স্বভাবতই মানুষের আগ্রহ তৈরি হয়েছে একে ঘিরে। মেটাভার্সের প্রতি মানুষের বাড়তি আগ্রহকে কোভিড-১৯ মহামারীর একটি ফল-ও বলা যেতে পারে। বহু মানুষ এই সময়টিতে দূর থেকেই দাপ্তরিক কাজ সেরেছেন। বিশ্বের বহু শিক্ষার্থীও পড়ালেখা চালিয়ে গেছেন এ প্রক্রিয়াতেই। এ পরিস্থিতিতে অনলাইন যোগাযোগকে আরও প্রাণবন্ত করার চাহিদাও দেখা দিয়েছে মানুষের মধ্যে।
Montu Zaman
2021-10-24, 05:21 PM
মেটাভার্স এমন একটি ধারণা, যা প্রযুক্তি কম্পানি, বিপণনকারী এবং বিশ্লেষকরা পরবর্তী বড় বিষয় হিসেবে মনে করছেন। এই মেটাভার্স প্রযুক্তি জগতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান, যেমন ফেসবুকের মার্ক জাকারবার্গ এবং এপিক গেমসের টিম সুইনির মতো ব্যক্তিদের মনোযোগ আকর্ষণ করছে এবং তাদের পকেটের অর্থ ব্যয় করাচ্ছে। সাধারণ জনগণের কাছে এটি ভার্চুয়াল রিয়ালিটির (ভিআর) একটি সংস্করণের মতো মনে হতে পারে। কিন্তু কিছু মানুষ মনে করছেন, এই মেটাভার্স হলো ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ অবস্থা। শিগগিরই ইন্টারনেট মেটাভার্স যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। কম্পিউটারে থাকার পরিবর্তে, মেটাভার্সে আপনি একটি হেডসেট ব্যবহার করে ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ করতে পারেন যা সব ধরণের ডিজিটাল পরিবেশকে সংযুক্ত করে।
http://forex-bangla.com/customavatars/347290133.jpg
মেটাভার্স যুগে প্রবেশ করার পর কম্পিউটার ব্যবহার না করেই একটি হেডসেটের মাধ্যমে প্রযুক্তির দুনিয়ায় প্রবেশ করা যাবে। আর সেখানে ডিজিটাল সব ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে। মেটাভার্স আসলে বর্তমান সময়ের ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মতো নয়। ভিআর বেশিরভাগই গেমিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। মেটাভার্স নামক ভার্চুয়াল জগতটি কার্যত যে কোনো কিছুর জন্যই ব্যবহার করা যেতে পারে; যেমন - কাজ, খেলা, কনসার্ট, সিনেমা দেখা, ভ্রমণ অথবা শুধু আড্ডা দেওয়ার জন্যও উপযুক্ত থাকবে। আসলে মেটাভার্স হলো এমন অনলাইন জগৎ, যেখানে মানুষ ভার্চুয়াল পরিবেশে খেলা, কাজ এবং যোগাযোগ করতে পারবে ভিআর হেডসেট ব্যবহার করে। সম্প্রতি এই খাতে ৫০ মিলিয়ন ডলার লগ্নি করেছে ফেসবুক। তবে সত্যিকারের মেটাভার্স ধারণা বাস্তবায়নে ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লাগতে পারে।
SUROZ Islam
2021-10-27, 03:27 PM
এমন এক বিশ্বের কথা ভেবে দেখুন যেখানে একটি কোম্পানি তাদের নতুন মডেলের একটি গাড়ি তৈরি করার পর সেটা অনলাইনে বাজারে ছেড়ে দিল এবং একজন ক্রেতা হিসেবে আপনি বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে গাড়িটি চালিয়ে দেখতে পারলেন। অথবা ঘরে বসে অনলাইন শপিং করার সময় একটি পোশাক পছন্দ হলো। ওই পোশাকের একটি ডিজিটাল সংস্করণ গায়ে দিয়ে দেখার পরই আপনি জামাটি কেনার জন্য অর্ডার দিলেন। বিষয়টা হয়তো বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত সাই-ফাই মুভির মতো মনে হচ্ছে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে এখন আর সেটা কল্পনার পর্যায়ে থাকছে না। এরকম এক প্রযুক্তি তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে হয়ে গেছে। এই প্রযুক্তির ফলে অনলাইনের ভার্চুয়াল জগতকে মনে হবে সত্যিকারের বাস্তব পৃথিবীর মতো। আর এসব যে প্রযুক্তির মাধ্যমে এসব ঘটবে তার নাম মেটাভার্স
http://forex-bangla.com/customavatars/572732396.jpg
মেটাভার্সের বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে৷ তবে ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্স গত জুলাই মাসে জানিয়েছে, ২০২৪ সাল নাগাদ মেটাভার্সের বাজারমূল্য ৮০০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে৷ মেটাভার্সের সম্ভাবনা অনুমান করে ফেসবুক, মাইক্রোসফট, এপিক গেমসের মতো কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যে এই খাতে বিনিয়োগ শুরু করে দিয়েছে৷ তবে এটি পুরোপুরি সফল হতে বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে সমন্বয় হতে হবে, যা একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে৷
DhakaFX
2021-11-02, 12:13 PM
সম্প্রতি নিজের নাম পাল্টে ‘মেটা’ রেখেছে ফেইসবুক। প্রতিষ্ঠানটির মনোযোগ যে এখন মেটাভার্সের দিকে, সেটিই ফুঁটে উঠেছে এর মধ্য দিয়ে। কিন্তু মেটাভার্স নিয়ে শুধু ফেইসবুক নয়, কাজ করছে আরও অনেকেই। মেটাভার্সের ধারণাটিই হলো এমন একটি অনলাইন দুনিয়ার যেখানে মানুষের যোগাযোগ হবে বহুমাত্রিক। বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা এ ধরনের স্থানে কন্টেন্ট শুধু দেখা নয়, তাতে পুরোপুরি নিজেকে নিমজ্জিত করে ফেলতে পারবেন, ঘুরে বেড়াতে পারবেন ওই ডিজিটাল দুনিয়ার মধ্য দিয়ে। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, এটি পুরোপুরি হাতের নাগালে আসতে হয়তো এক দশকেরও বেশি সময় লাগবে এবং প্রযুক্তি জায়ান্টদের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতার প্রয়োজন পড়বে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1803319190.jpg
জুনে মেটাভার্স নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ‘এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড’ (ইটিএফ) গঠন করেছে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রাউন্ডহিল ইনভেস্টমেন্ট। ফেইসবুক নিজেদের রিব্র্যান্ডিংয়ের কয়েক ঘণ্টা আগেই আরেকটি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব মেটাভার্স ইটিএফ গঠন করেছে বলেও জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, আদতে কোন প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে মেটাভার্স নিয়ে? কারা ভূমিকা রাখছে বা রাখতে পারবে এতে?
রোব্লক্সঃ মেটাভার্স নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় প্রথমেই আসবে রোব্লক্সের নাম। এ বছরই পাবলিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে শেয়ার বাজারে পা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। রোব্লক্সের দৃষ্টিতে মেটাভার্স এমন একটি স্থান যেখানে লাখো মানুষ থ্রিডি অভিজ্ঞতায় শিখতে, কাজ করতে, খেলতে, সৃজনশীল এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবে। রোব্লক্স ব্যবহারকারী ও ডেভেলপারদের ডিজিটাল বিশ্ব তৈরির ব্যবস্থা করে দিতে চাইছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে কেনাকাটা ও ব্যবসার মতো কাজও করা যাবে তাদের প্ল্যাটফর্মে। প্ল্যাটফর্মটিতে এখই ‘রোবাক্স কারেন্সি’ নামে ভার্চুযাল অর্থ রয়েছে। সেটি খরচ করেই সব করতে হয় সেখানে।
মাইক্রোসফটঃ মেটাভার্স পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে নেই মাইক্রোসফটও। চলতি বছরেই মাইক্রোসফট প্রধান নির্বাহী সাত্যিয়া নাদেলা জানান, ‘এন্টারপ্রাইজ মেটাভার্স’ তৈরিতে কাজ করছে তার প্রতিষ্ঠান, সেখানে বাস্তব ও ডিজিটাল দুনিয়া এক হয়ে যাবে। গেইমিং কনসোল এক্সবক্স এবং জনপ্রিয় গেইম মাইনক্র্যাফট মালিক মাইক্রোসফটের গেইমিং শিল্পেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছে। এক্সবক্স প্রধান ফিল স্পেন্সার “একটি মেটাভার্স বা মিক্সড-রিয়ালিটি” গঠন পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেছেন অতীতে।
BDFOREX TRADER
2021-11-11, 06:40 PM
আগামীতে মেটাভার্সে পা রাখবে মিকি মাউস। ওয়াল্ট ডিজনি প্রধান নির্বাহী বব চাপেক জানিয়েছেন, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি বিশ্বে পা রাখার প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের প্রতিষ্ঠান। ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ মেটাভার্সের নাম নেওয়ার পর থেকেই সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে বিষয়টি। জাকারবার্গ শুধু এর নামই নেননি, জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যতও হবে এটি। ফেইসবুকের মূল প্রতিষ্ঠানের নাম ‘মেটা’ রেখেছেন তিনি। জাকারবার্গের পরিকল্পনা হলো শক্তিশালী ‘থ্রি-ডাইমেনশনাল’ পরিবেশ তৈরির, যেখানে নিজ নিজ ডিজিটাল অ্যাভাটার নিয়ে কাজ করতে, গল্প করতে এবং নিজেদের অন্যান্য শখ পূরণ করার সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারীরা। ফেইসবুক বাদেও ভিডিও গেইম নির্মাতা রোব্লক্স কর্পোরেশন ও এপিক গেইমস এবং সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট কাজ করছে নিজ নিজ মেটাভার্স সংস্করণ নিয়ে। ডিজনি এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি। শুধু জানিয়েছ, মেটাভার্সে তারা আসছে।
মেটাভার্সে থিম পার্ক তৈরির ব্যাপারে ডিজনির ডিজিটাল বিভাগের সাবেক নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট তিলাক মান্ডাডি ২০২০ সালেই লিংকডইনে লিখেছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, পরিধেয় ডিভাইস, স্মার্টফোন ও ডিজিটাল প্রবেশাধিকার পয়েন্টের মাধ্যমে “সেখানে এক হয়ে যাবে বাস্তব ও ডিজিটাল বিশ্ব”।
http://forex-bangla.com/customavatars/668234983.jpg
EmonFX
2021-11-17, 04:17 PM
ফেসবুকে মেটাভার্স নিয়ে কেন এত মাতামাতি?
15985
সম্প্রতি ফেসবুকের নাম বদলে গেছে। এর প্রতিষ্ঠাতা জুকারবার্গ নতুন নাম দিয়েছেন মেটা। মেটা শব্দটা আসলে মেটাভার্স শব্দের সংক্ষেপ। আর এই মেটাভার্স নিয়েই ফেসবুকের যত মাতামাতি। তাহল কী এই মেটাভার্স?
মেটাভার্স মানে ভার্চুয়াল একটা জগৎ, যেখানে মানুষ কম্পিউটার টেকনোলজির সাহায্যে একজন আরেকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ১৯৯২ সালে কল্পবিজ্ঞানের লেখক নীল স্টিফেনসন প্রথম ‘মেটাভার্স’ শব্দটি ব্যবহার করেন ‘স্নো ক্র্যাশ’ উপন্যাসে। যেখানে তিনি কল্পনা করেন প্রায় মানুষের মতো বিভিন্ন জীবদেহের প্রাণী থ্রিডি বহুতলে দেখা করছে। এখনকার মেটাভার্স ঠিক তেমনই একটি ভার্চুয়াল দুনিয়া। যেখানে অগমেন্টেড রিয়্যালিটি, ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি, হলোগ্রামের থ্রিডি, ভিডিও এবং সংযোগের আরও নানা দিক একসঙ্গে মিশবে।
ফোর্টনাইট, মাইনক্র্যাফ্ট এবং রোবলক্সের মতো কিছু ভিডিও গেমে অনেক আগে থেকেই এই ধরনের মেটাভার্স ছিল। এই ভিডিও গেমের সঙ্গে যে সংস্থাগুলো যুক্ত, তারা অনেক দিন থেকেই মেটাভার্সের বিবর্তনের জন্য লড়ে এসেছে।
মেটভার্স কী?
প্রযুক্তির নানা দিকে মিশছে এই মেটাভার্সে। এখানে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় বিভিন্ন সদস্য ‘বসবাস করবে’। ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি, অগমেন্টেড রিয়্যালিটি এবং ভিডিওসহ সবকিছু থাকবে একসঙ্গে।
যারা মেটাভার্সে থাকবেন, তারা তাদের বন্ধুদের সঙ্গে সারা দুনিয়াজুড়ে ভার্চুয়াল ভ্রমণে যেতে পারেন, কনসার্টে যেতে পারেন, যোগাযোগ রাখতে পারেন এবং আরও নানা রকম অনুষ্ঠানে একসঙ্গে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ রাখতে পারেন।
মেটভার্স কবে আসবে?
জুকারবার্গ অনেক ভিশনারি মানুষ। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেছেন, আমাদেরকে দেখে একটা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং কোম্পানি মনে হলেও আমাদের ডিএনএতে আসলে মানুষে মানুষে সংযোগ করে দেওয়ার নেশা। মেটাভার্স শব্দটা এখন নতুন মনে হচ্ছে, এটাই হবে ভবিষ্যতের মানুষে মানুষে সংযোগ তৈরি করার রাস্তা।
যখন আমরা ফেসবুক শুরু করি, সোস্যাল নেটওয়ার্কিংটাও কিন্তু নতুন একটা শব্দ ছিল। এই মেটাভার্স শব্দটাকে মানুষের ব্রেনে ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য পাঁচ থেকে দশ বছর লাগবে বলে ধারণা করছেন জুকারবার্গ। আর এই কাজ করতে দশ বিলিয়ন ডলার খরচ করে চাহিদামতো টেকনোলজি বানানোর প্ল্যান অলরেডি উনাদের আছে।
EmonFX
2021-12-25, 09:11 PM
মেটা ও গুগলকে সাড়ে ১১ কোটি ডলার জরিমানা
16300
আপত্তিকর কনটেন্ট না সরানোয় টেক জায়ান্ট মেটা এবং গুগলকে সাড়ে ১১ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি জরিমানা করেছেন রুশ আদালত। স্থানীয় সময় শুক্রবার দেশটির আদালত এ রায় দেন। এর মধ্যে, মেটার অধীনে থাকা প্লাটফর্মগুলোকে প্রায় দুই কোটি ৭২ লাখ এবং গুগলকে ৯ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়। ইন্টারনেটের ওপর রুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বজুড়ে অনলাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম নিয়ে নানারকম আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই রাশিয়ার আদালত আপত্তিকর কনটেন্ট মুছে ফেলায় ব্যার্থতার দায়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ টেক জায়ান্ট মেটার অন্যান্য প্লাটফর্ম এবং আরেক টেক জায়ান্ট গুগলকে জরিমানা করলো। তবে আপত্তিকর বিষয় কী তা প্রকাশ করেননি তারা।
এর মধ্যে গুগলকে ৯ কোটি ৮০ লাখ এবং মেটাকে প্রায় ২ কোটি ৭২ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা করেন আদালত। এ বিষয় নিয়ে এখনো মেটা কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য না করলেও গুগল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, এ বিষয়ে সিদ্বান্ত নেয়ার আগে তারা আদালতের রায়ের পর্যালোচনা করবেন।
রুশ সরকার এ বছর তাদের প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর ওপর চাপ বাড়ানোর পরপরই এই প্রথম কোনো প্রযুক্তি জায়ান্টকে জরিমানা করলো। এর আগেও বিষয়বস্তু আইন নিয়ে রুশ কর্তৃপক্ষের সাথে গুগল দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। মে মাসের শুরুতে রুশ মিডিয়ার ২৬ হাজার আপত্তিকর কনটেন্ট মুছে ফেলতে ব্যর্থ হলে গুগলের গতি কমিয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়া হয়েছিল।
এ বছরের শুরুতে নতুন আইন অনুযায়ী রাশিয়া তাদের তৈরি সমস্ত ডিভাইসে নিজস্ব অ্যাপ ও সফ্টওয়্যার প্রি-ইনস্টল রাখবে। এতে তারা প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর সাথে সহজেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে বলে আশাবাদী।
অগমেন্টেড ও ভার্চুয়াল রিয়ালিটিভিত্তিক মেটাভার্সে যুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ খুচরা পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির কয়েকটি ট্রেডমার্ক আবেদন থেকে ধারণা করা হচ্ছে তারা নন-ফাঞ্জিবল টোকেন বা এনএফটি ও ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়েও কাজ করতে যাচ্ছে। বিদায়ী বছরের ৩০ ডিসেম্বর কয়েকটি ট্রেডমার্কের জন্য আবেদন করে রিটেইলার জায়ান্ট ওয়ালমার্ট। আবেদনগুলো স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে প্রতিষ্ঠানটি ইলেট্রনিকস, খেলনা, তৈজসপত্র, পোশাক, ঘর সাজানোর সরঞ্জাম ইত্যাদি ভার্চুয়াল পণ্য হিসেবে বিক্রির পরিকল্পনা করছে। ক্রেতারা এসব ভার্চুয়াল পণ্য কেনার ক্ষেত্রে ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহার করতে পারবেন এবং একই প্লাটফর্মে এনএফটি কেনাবেচার সুবিধা থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয় আবেদনপত্রে। এছাড়া অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর) ও ভার্চুয়াল রিয়ালিটির (ভিআর) মাধ্যমে শারীরিক ফিটনেস এবং স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা যায় অন্য একটি আবেদনপত্র থেকে। এআর ও ভিআর ব্যবস্থায় নিজেদের নাম ও লোগো ব্যবহারের জন্য আলাদাভাবে আবেদনও করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিদায়ী বছরের ৩০ ডিসেম্বর কয়েকটি ট্রেডমার্কের জন্য আবেদন করে রিটেইলার জায়ান্ট ওয়ালমার্ট। আবেদনগুলো স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে প্রতিষ্ঠানটি ইলেট্রনিকস, খেলনা, তৈজসপত্র, পোশাক, ঘর সাজানোর সরঞ্জাম ইত্যাদি ভার্চুয়াল পণ্য হিসেবে বিক্রির পরিকল্পনা করছে। ক্রেতারা এসব ভার্চুয়াল পণ্য কেনার ক্ষেত্রে ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহার করতে পারবেন এবং একই প্লাটফর্মে এনএফটি কেনাবেচার সুবিধা থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয় আবেদনপত্রে।
এছাড়া অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর) ও ভার্চুয়াল রিয়ালিটির (ভিআর) মাধ্যমে শারীরিক ফিটনেস এবং স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা যায় অন্য একটি আবেদনপত্র থেকে। এআর ও ভিআর ব্যবস্থায় নিজেদের নাম ও লোগো ব্যবহারের জন্য আলাদাভাবে আবেদনও করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিদায়ী বছরের ৩০ ডিসেম্বর কয়েকটি ট্রেডমার্কের জন্য আবেদন করে রিটেইলার জায়ান্ট ওয়ালমার্ট। আবেদনগুলো স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে প্রতিষ্ঠানটি ইলেট্রনিকস, খেলনা, তৈজসপত্র, পোশাক, ঘর সাজানোর সরঞ্জাম ইত্যাদি ভার্চুয়াল পণ্য হিসেবে বিক্রির পরিকল্পনা করছে। ক্রেতারা এসব ভার্চুয়াল পণ্য কেনার ক্ষেত্রে ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহার করতে পারবেন এবং একই প্লাটফর্মে এনএফটি কেনাবেচার সুবিধা থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয় আবেদনপত্রে।
এছাড়া অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর) ও ভার্চুয়াল রিয়ালিটির (ভিআর) মাধ্যমে শারীরিক ফিটনেস এবং স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা যায় অন্য একটি আবেদনপত্র থেকে। এআর ও ভিআর ব্যবস্থায় নিজেদের নাম ও লোগো ব্যবহারের জন্য আলাদাভাবে আবেদনও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
16542
SaifulRahman
2022-02-07, 02:32 PM
16678
মেটাভার্স ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা জোরদার এবং হয়রানি বন্ধে নতুন টুল যুক্ত করতে যাচ্ছে ফেসবুকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটা। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্লাটফর্মে পারসোনাল স্পেস বাউন্ডারিজ নামে টুলটি যুক্ত করা হবে। মেটার নতুন পারসোনাল বাউন্ডারি টুলের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যখন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি
হেডসেটের মাধ্যমে হরিজন ওয়ার্ল্ডস ও হরিজন ভেনুসে প্রবেশ করবেন তখন নিজ ও অন্যদের অ্যাভাটারের মধ্যে ন্যূনতম চার ফুট দূরত্ব দেখতে পারবেন। মূলত প্রতিটি অ্যাভাটার দুই ফুট বাবলের মধ্যে থাকবে। ফলে দুজনের মধ্যে চার ফুটের দূরত্ব তৈরি হবে। বাবলের মধ্যে থাকা অবস্থায় কেউ অন্যের জায়গায় প্রবেশ করতে চাইলে তাদের সামনে এগোনোর মোশন বন্ধ হয়ে যাবে। ভার্জকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে মেটা জানায়, অন্যের স্পেসে প্রবেশ না করতে পারলেও ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ব্যবহারকারীরা বাবলের মধ্যে থেকে একে অন্যকে অতিক্রম করতে পারবেন। ফলে কোনো ব্যবহারকারী প্লাটফর্মের কোনায় বা রাস্তায় আটকে থাকবেন না। এক ব্লগপোস্টে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, নতুন টুলটি সাধারণভাবে সবার জন্য চালু থাকবে। এতে ব্যবহারকারীরা অপরিচিত কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত যোগাযোগ বা কথোপকথন থেকে নিরাপদ থাকতে পারবেন। হরিজন ওয়ার্ল্ডসহ বিভিন্ন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্লাটফর্মের ব্যবহারকারীরা অনলাইন হয়রানি ও আক্রমণাত্মক আচরণের বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর নতুন টুল যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় মেটা। মেটাভার্সের মতো প্লাটফর্মের অংশ হিসেবে হরিজন ওয়ার্ল্ডস ও হরিজন ভেনুসের মতো ব্যয়বহুল ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সোশ্যাল প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো বিদ্যমান সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে সমস্যাযুক্ত বিষয়বস্তু ও এর অপব্যবহার রোধে করণীয় বিষয়ে সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাপী আইনপ্রণেতা ও নিয়ন্ত্রকদের সমালোচনার মুখে রয়েছে।
মেটা জানায়, নতুন পারসোনাল স্পেস বাউন্ডারিজ টুলটি তাদের বিদ্যমান হ্যান্ড হ্যারেশমেন্ট মিজারসের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে কোনো ব্যবহারকারীর অ্যাভাটার যদি আরেকজনের ব্যক্তিগত জায়গায় প্রবেশ করে তাহলে সেটির হাত অদৃশ্য হয়ে যাবে। এতে বর্তমানে সেফ জোন নামক ফিচার রয়েছে। কোনো ব্যবহারকারী যদি হুমকি আঁচ করেন তাহলে তাদের পাশে বাবল চালু করতে পারবেন।
ফেসবুক থেকে মেটা নামকরণের পর প্রতিষ্ঠানটি মেটাভার্স তৈরিতে ও ব্যবহারকারীদের উদ্বুদ্ধ করতে ভার্চুয়াল এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটিতে বড় বিনিয়োগ করে আসছে। মেটাভার্স হচ্ছে ভবিষ্যৎ ভার্চুয়াল দুনিয়ার একটি নেটওয়ার্ক যেখানে ব্যবহারকারীর বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহার করে প্রবেশের মাধ্যমে কাজ করতে পারবে, সামাজিকীকরণ ও বিনোদন গ্রহণ করতে পারবে। এক ব্লগপোস্টে মেটা মালিকানাধীন হরিজনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিভেক শর্মা বলেন, ব্যক্তিগত সীমানা নির্ধারণের টুলটি ব্যবহারকারীদের জন্য আচরণবিধি প্রণয়নে সহায়তা করবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। তবে এখনো অনেক কাজ সম্পাদন বাকি রয়েছে। ব্যবহারকারীরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন সে লক্ষ্যে মেটা সব চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলেও জানান তিনি। ভবিষ্যতে ব্যবহারকারীরা যেন তাদের পারসোনাল বাউন্ডারির আকার পরিবর্তন করতে পারেন সে রকম ফিচার যুক্ত করতে কাজ করবে। তবে বর্তমানে দুটি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে হাই ফাইভ প্রদানে ব্যবহারকারীদের অ্যাভাটারের হাত সামনের দিকে বাড়াতে হবে বলে প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়।
SUROZ Islam
2022-02-15, 05:46 PM
মেটাভার্সের দুনিয়ার যুক্ত হচ্ছে ইউটিউব, ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। এখন এটি শুধু বিনোদন মাধ্যম নয়, ইউটিউব অনেকের আয়ের অন্যতম উৎসও বটে। এই ভিডিও প্ল্যাটফর্মে ক্রিয়েটররা যেমন নিজেদের ভিডিও নিয়মিত পোস্ট করতে থাকেন। তেমনই আবার সাধারণ মানুষই স্মৃতি ধরে রাখতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পোস্ট করে থাকেন। কন্টেন্ট ক্রিয়েটাররা এখান থেকে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকামও করছে। এবার এই ভিডিও প্ল্যাটফর্মটি মেটাভার্সে পদার্পণ করতে চলেছে। সম্প্রতি সংস্থার তরফে সেই ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২২ সালেই শুরু হয়ে যাবে ইউটিউব-এর মেটাভার্স যাত্রা। ফেসবুকের পর ইউটিউবও মেটাভার্সে প্রবেশের ঘোষণা করে দিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে যে, তারা ওয়েবথ্রি প্রযুক্তি যেমন নন-ফাঞ্জিবল টোকেন বা এনএফটির পরিকল্পনা করছে এবং সেই মোতাবেক কাজও শুরু করে দিয়েছে। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, ব্লকচেন নির্ভর নন ফাঞ্জিবল টোকেন বা এনএফটি-ও নিয়ে আসা হবে। মেটাভার্সের জন্য ইউটিউবের ভিডিও সিস্টেমও অনেকটা বদলে যাবে। ফলে মেটাভার্স জালিয়াতির সম্ভাবনা কমিয়ে দেবে অনেকটাই। শুধু তাই নয়, ব্যবহারকারীরা এর থেকে অর্থ উপার্জনও করতে পারবেন। এজন্য ইউটিউব ভিডিও এবং গেমিং কনটেন্ট, ডিজিটাল আর্টসহ আরও একধিক নতুন উপায় নিয়ে আসবে। এনএফটি-র মাধ্যমে যে কেউ ছবি, ভিডিও এবং বিভিন্ন আর্টওয়ার্ক কিনতে পারবেন। ব্লকচেন-ভিত্তিক এনএফটি প্রযুক্তির মাধ্যমে ইউটিউবের কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা অর্থ উপার্জনও করতে পারবেন। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই এনডিটি ভিত্তিক একক ডিজিটাল আর্টওয়ার্ক কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/437001008.jpg
DhakaFX
2022-02-17, 11:13 AM
বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেট জগতের সবচেয়ে আলোচিত ও জনপ্রিয় নাম মেটাভার্স। এই প্ল্যাটফর্মে নিজেদের ব্যবসায় এগিয়ে নেওয়ার কৌশল হিসেবে নতুন সিইও নিয়োগ করেছে বিনোদন জগতের বিখ্যাত নাম, সিনেমা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডিজনি। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি মাইক হোয়াইটকে নতুন সিইও হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
ডিজনি মাইক হোয়াইটকে প্রধানত মেটাভার্স প্রযুক্তিতে প্রতিষ্ঠানটির অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও ব্যবসায় এগিয়ে নেওয়ার কৌশল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। এ কাজে মাইক হোয়াইট প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি দল পরিচালনা করবেন। যাদের কাজ হবে, মেটাভার্সে ডিজিনির ব্যবসায়িক কৌশল নির্ধারণ করা।
http://forex-bangla.com/customavatars/578912641.jpg
SUROZ Islam
2022-06-14, 11:58 AM
মেটাভার্স নিয়ে অনেকদিন ধরেই ব্যাপক আলোচনা চলছে। এটি নাকি হবে এমন এক ত্রিমাত্রিক ভার্চুয়াল জগত, যেখানে আপনার এক অবতার বা প্রতিমূর্তি ঘুরে বেড়াবে। মেটাভার্সের পর এখন প্রযুক্তি দুনিয়ায় মানুষের ডিজিটাল যমজ কিভাবে তৈরি করা যায়, সেটা নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা।*ডিজিটাল যমজ বলতে বোঝানো হচ্ছে বাস্তব পৃথিবীর কোন মানুষের হুবহু কপি, তবে এর একটা অনন্য উদ্দেশ্য থাকবে- বাস্তব জগতের মানুষটির কিভাবে আরও উন্নয়ন ঘটানো যায় অথবা তাকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো যায়।*শুরুর দিকে এরকম ডিজিটাল যমজরা হবে বাস্তব মানুষদের কম্পিউটারের তৈরি করা অত্যাধুনিক ত্রিমাত্রিক প্রতিমূর্তি। তবে এর সঙ্গে যখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এবং ইন্টারনেট অব থিংস (যেখানে ঘরে-বাইরে দৈনন্দিন জীবনের সব জিনিসই ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত থাকবে) যুক্ত হবে, তখন ব্যাপারটা ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে যাবে। তখন আপনি ডিজিটাল প্রযুক্তি দিয়ে এমন যমজ তৈরি করতে পারবেন, যে বাস্তব মানুষটির কাছ থেকে সারাক্ষণ শিখবে এবং এরপর সেই শিক্ষা কাজে লাগবে বাস্তব মানুষটির উন্নতি সাধনে। ডিজিটাল যমজের ব্যবহার বরং এখন ব্যাপক এবং ভালোভাবে হচ্ছে পণ্যের ডিজাইন, বিতরণ এবং নগর-পরিকল্পনার ক্ষেত্রে। ফর্মূলা ওয়ান রেসিং এ ম্যাকলারেন এবং রেড বুল টিম তাদের গাড়ির ডিজিটাল যমজ ব্যবহার করে।*এদিকে ডিএইচএল এর মতো বিশাল ক্যুরিয়ার কোম্পানি এখন তাদের গুদামঘর এবং সাপ্লাই চেইনের একটি ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করছে যাতে কর্মদক্ষতা বাড়ানো যায়।*আর আমাদের শহরগুলোকে এখন আরও বেশি করে ডিজিটাল দুনিয়ায় তৈরি করা হচ্ছে। সাংহাই এবং সিঙ্গাপুর- এই দুটি নগরীরই ডিজিটাল যমজ আছে।এগুলো তৈরি করা হয়েছে শহরের দালান-কোঠা, পরিবহন ব্যবস্থা এবং রাস্তার নকশা থেকে শুরু করে নগর পরিচালনার কাজ যেন আরও উন্নত করা যায়, সেজন্যে।**
http://forex-bangla.com/customavatars/478587854.jpg
Montu Zaman
2023-01-22, 04:54 PM
খেনি। ডিজিটাল বিশ্বের অন্যতম মাইলফলক মনে করা হচ্ছিল মেটাভার্সকে, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা মুখ থুবড়ে পড়া থেকে আর মাত্র কয়েক কদম দূরে আছে। মেটাভার্সের গল্প যেন শুরু হবার আগেই শেষ হয়ে গেল। রিয়েলিটি ল্যাব অংশেই প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খুইয়েছে এই প্রকল্প। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মেটার হরাইজন ওয়ার্ল্ডের প্রতি ভোক্তাদের তেমন একটা আগ্রহ নেই। বেশিরভাগ মানুষই প্রথম মাসের পর আর ভার্চুয়াল জগতে ফিরে যেতে চায় না। তাই দিন দিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা একইরকম হারে কমছে। ভবিষ্যতের অন্যতম প্রযুক্তি হিসেবে মেটাভার্সের আশা দেখেছিলেন মার্ক জাকারবার্গ, তবে বেশ কয়েকটি কারণেই সে আশার গুড়েবালি।
http://forex-bangla.com/customavatars/541759946.jpg
এ লেখায় তার পেছনের সম্ভাব্য ১০টি কারণে সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে–
ঐক্যমতের অভাব: মেটা প্রকল্প থেকে মেটাভার্স সম্পূর্ণ আলাদা কোনো বিষয় নয়। কিন্তু এর আলাদাভাবে প্রভাব রাখতে চাওয়ার প্রবণতা কোম্পানির জন্য কিছুটা ক্ষতিকর। জাকারবার্গের 'ব্রেইনওয়েভ'-এর আগেও এটি ছিল। অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা ভার্চুয়াল জগতের মধ্যে সেতুবন্ধনের বাইরেও এর একটি আলাদা উপস্থিতি রয়েছে।
সাধারণ আগ্রহের অভাব
সিএমসিওয়ার-এর সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই মেটাভার্সের প্রতি তেমন কোনো আগ্রহ বা মনোযোগ দেখা যাচ্ছে না। অন্য ৩৯ শতাংশ বরং বিষয়টি ধীরে ধীরে আরও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বুঝতে চাইছে। এ ক্ষেত্রে তারা অনেকটা 'কী হয়, দেখা যাবে' মনোভাবে বিশ্বাসী।
অপরিপক্ব পরিকল্পনা
মেটাভার্সের ভিআর তথা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং এআর তথা অগমেন্টেড রিয়েলিটির পরিকল্পনায় রয়েছে বেশ অপরিপক্ব আচরণ। এর প্রকাশ ঘটে জাকারবার্গের সাম্প্রতিক এক ঘোষণার মাধ্যমে, যেখানে তিনি বলেন– 'মেটার অ্যাভাটারগুলোর জন্য পা তৈরি করা হয়েছে'। ডেমোতে থাকা অ্যানিমেশনকৃত এই পা সংযোজনের খবরটি খুব একটা ভালো সাড়া পায়নি বরং ইন্টারনেটের দুনিয়ায় হাস্যরসের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া মেটাতে সংযুক্ত থাকতে ভিআর হেডসেট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তাও কিছুটা পরস্পরবিরোধী।
অপেক্ষাকৃত বৃহৎ প্রযুক্তির সহযোগিতা
মেটাভার্সকে একটি একক, মিথস্ক্রিয়ামূলক পরিবেশ গড়ে তুলতে হলে মেটা, আলফা, মাইক্রোসফট, অ্যাপল এবং অ্যামাজনের মতো কোম্পানিগুলোর সহযোগিতার প্রয়োজন হবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য মেটাভার্স এখনো পর্যন্ত শুধু একটি বাণিজ্যিক সম্ভাবনা। এতে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর জন্য বিভিন্ন পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। তা না করে অংশগ্রহণমূলক সহযোগিতার মাধ্যমে একটি সাধারণ ক্ষেত্র নির্মাণ করা গেলে এটি ব্যবহারকারীদের জন্য আরও ভালো হবে।
ব্যবহারকারীর সংখ্যা
ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো অন্যান্য অ্যাপের নতুন কিছু ব্যবহারকারী বৃদ্ধি হওয়া নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল এই কোম্পানিকে। অন্যদিকে এ বছর এর মূল নেটওয়ার্কিং অ্যাপ ফেসবুকের এক মিলিয়নের মতো ব্যবহারকারী সংখ্যা কমেছে। ব্যবহারকারীর সংখ্যা যথেষ্ট বৃদ্ধি না পাওয়াও মেটাভার্সের মুখ থুবড়ে পড়ার একটি বড় কারণ।
ভিআর নিয়ে অযথা মাতামাতি
মার্ক জাকারবার্গ যখন মেটাভার্সের ভার্চুয়াল রিয়েলিটিকে পুনরায় ব্র্যান্ডের আওতায় আনেন, তখন এর বহু চমকপ্রদ দিক দেখা যায়। কিন্তু সেই দিকগুলো শুধুমাত্র বিটস্যাবার বা বেটাম্যাক্স ভিডিওর মতো অনলাইন গেইমেই কার্যকর হয়। ভিআর নিয়ে যতটা বেশি মাত্রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব ছিল, তা হয়নি। মাতামাতিই হয়েছে বেশি।
বিনিয়োগকারীদের উদাসীনতা
মেটা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা লাভ বা এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বুঝতে পারা বিনিয়োগকারীদের জন্য এখন অনেকটা গোলকধাঁধার মতো। বিশেষত এমন সময়ে, যখন শেরিল স্যান্ডবার্গের মতো অগ্রজদের হারাচ্ছে এই কোম্পানি। স্বল্পমেয়াদে ফিরতি অর্থের যোগান না পাওয়ার দরুণ বিনিয়োগকারীরা এই কোম্পানির ক্ষেত্রে নতুন করে আর তেমন আগ্রহ পাচ্ছেন না।
অ্যাপলের নিরাপত্তা ঢাল
সম্প্রতিকালে অ্যাপল একটি অ্যাপ ট্র্যাকিং ট্রান্সপারেন্সি ব্যবস্থার জানান দিয়েছে। এতে করে আইফোন ব্যবহারকারীরা তাদের অনলাইন কার্যক্রমকে ফেসবুকের মাধ্যমে নজরদারি করতে পারে। এই চলমান নজরদারির ফলে মেটার ব্যবসায় ভালোরকম মন্দা দেখা দেবে।
বিজ্ঞাপন রাজস্বে গুগলের থাবা
মেটার মতো গুগল ব্যবহারকারীদের তথ্যের জন্য অ্যাপলের ওপর অতটা নির্ভরশীল নয়। ওয়েনারের মতে, মেটার বিজ্ঞাপন ক্ষেত্রের চাইতে গুগলের কাছে অনেক বেশি পরিমাণে থার্ড পার্টি তথ্য বিদ্যমান। আর সেজন্যই বেশিরভাগ বিজ্ঞাপনদাতা গুগলে স্থানান্তরিত হন।
টিকটকের প্রতিদ্বন্দ্বিতা
বর্তমানে মেটার সঙ্গে অনেকটা সাদৃশ্যপূর্ণ একটি ক্ষেত্র তৈরি করছে টিকটক। এতে মেটাভার্সের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং কনটেন্ট– সবকিছুর সমন্বয় ঘটেছে। এর ব্লকচেইন ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এতটাই সক্ষম যে মেটার অস্তিত্ব এখন এতটাই হুমকির মুখে পড়েছে যে সিইও নিজেই তার কর্মচারীদের বলেছেন টিকটক ভিডিও তৈরি করতে।
Powered by vBulletin® Version 4.1.9 Copyright © 2025 vBulletin Solutions, Inc. All rights reserved.