PDA

View Full Version : গ্যাস এর নতুন কূপগুলো বাংলাদেশে জ্বালানী খ্যাতে নতুন সম্ভাবনা



SaifulRahman
2021-10-28, 12:07 PM
গ্যাসের প্রচলন সব খানে থাকলেও। এই গ্যাসের চাহিদা মেটানো এখন হয়ে যাচ্ছে দুষ্কর। কারন এখনো আমাদের দেশের গ্যাস আমদানি নির্ভর অনেকাংশেই। তাই দিন দিন গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দিন দিন চাহিদা অনুযায়ি যোগান বাড়াতে গিয়ে গ্যাসের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে চরম আকারে, যা সাধারণ অ মধ্যবিত্ত ভোক্তাদের জন্য কষ্টের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। তাই নিজেদের দেশের মাটিতেই যদি এই প্রাকৃতিক সম্পদের অনুসন্ধান করা সম্ভব হয় ও এর খাত পাওয়া যায় তবে তা হবে দেশের মানুষের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
তাই এই সময়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের এই সংকটের সময়ে বাংলাদেশের জন্য সুখবর হতে পারে কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকায় অনুসন্ধানকৃত গ্যাস কূপগুলো। সেখানে ইতোমধ্যে মহেশখালী কাঞ্চন-১ নামে একটি কূপে প্রায় ১.৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর কাঞ্চন-১ কূপটি খনন শুরু হয়। সেখানে তিনটি লেয়ারে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খননকৃত কূপের গভীরতা ৪ হাজার ২০০ মিটার পর্যন্ত।
তবে পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত হতে অন্তত আরও ছয় মাস ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ আরও তিন মাস গ্যাস অনুসন্ধান করা হবে এবং তিন মাস সময় নেওয়া হবে কূপটি থেকে উত্তোলিত গ্যাসের বাণিজ্যিক উপযোগিতা নির্ধারণে।
স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশের অন্যতম জ্বালানী ছিল নিজস্ব কূপ থেকে উত্তোলিত প্রাকৃতিক গ্যাস। সেটাও দিন দিন কমে আসায় ২০১৮ সাল থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি আমদানি করে দেশীয় গ্যাসের সঙ্গে মিলিয়ে চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এত ব্যয়বহুল জ¦ালানি আমদানি করে কত দিন দেশের জ্বালানি ব্যবস্থা ঠিক রাখা যাবে। অন্যদিকে এত ব্যয়বহুল জ্বালানি ব্যবহারে শিল্পকারখানাগুলো সক্ষম হবে কিনা আগামী দিনগুলোতে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। ফলে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের উচিত দ্রুত নিজেদের অনুসন্ধান, উত্তোলনে মনোযোগ দেওয়া।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি বিদেশ এবং ইন্ডিয়ান অয়েলের সঙ্গে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে প্রডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট চুক্তি করে পেট্রোবাংলা। চুক্তি অনুযায়ী অগভীর সমুদ্রের ৪ ও ৯ নম্বর ব্লকে প্রতিষ্ঠান দুটি অনুসন্ধান করবে। ওএনজিসি সাড়ে ৫ হাজার লাইন কিলোমিটার দ্বিতীয় মাত্রার ভূকম্পন জরিপ করে তেল-গ্যাস পাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখেছে। এরপর ২০২০ সালে কূপ খননের উদ্যোগ নেয়। যদিও এই কূপ খনন এক বছর পিছিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে। পেট্রোবাংলার কাছে ওএনজিসি বিদেশ যে তথ্য-উপাত্ত জমা দিয়েছে তাতে বলা হচ্ছে, অগভীর সমুদ্রে তিনটি কূপ খনন করে পাওয়া যেতে পারে ১.৯ টিসিএফ গ্যাস।
15812