PDA

View Full Version : অর্থনীতির আকার প্রথমবার ছাড়াল ১ ট্রিলিয়ন ডলার



DhakaFX
2022-01-16, 04:58 PM
ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার প্রথমবারের মতো চলতি মাসে হাজার বিলিয়ন ডলার বা ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক পেরিয়েছে বলে প্রক্ষেপণ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। জানা গেছে, বিশ্বের যেকোনো দেশের অর্থনীতির আকার মূল্যায়নের মাপকাঠি হলো মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)। দুটি পদ্ধতিতে জিডিপির আকার মূল্যায়ন করা হয়। এগুলো হলো চলতি মূল্যের ভিত্তিতে (বেজ অন কারেন্ট প্রাইস) এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (বেজ অন পারচেজ পাওয়ার)। এ দুই পদ্ধতিতেই প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতো বিশ্বের প্রভাবশালী সংস্থাগুলো। দুইটি পদ্ধতির মধ্যে চলতি মূল্যের ভিত্তিতে সম্প্রতি বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৪১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আর সরকার আগামী অর্থবছরে জিডিপির আকার ৫০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করার পরিকল্পনা করেছে।
আইএমএফের তথ্য বলছে, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে পিপিপির ভিত্তিতে দেশের অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ২৬৭ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৫০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে প্রায় এক দশক সময় লাগে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে অর্থনীতির আকার ছিল ৫২০ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার।
সংস্থাটির প্রক্ষেপণ বলছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ছিল ৯৬৬ দশমিক ৪৮৫ বিলয়ন ডলার, যা ২০২২ সালে ১ হাজার ৬১ দশমিক ৫৭১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালে ১ হাজার ১৬৪ দশমিক ৮২৫ বিলিয়ন ডলার, ২০২৪ সালে ১ হাজার ২৭৬ দশমিক শূন্য ২২ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৫ সালে ১ হাজার ৩৯৫ দশমিক ৪০৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। তবে দেড় ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অর্জন করবে ২০২৬ সালে। এ সময়ে পিপিপির ভিত্তিতে অর্থনীতির আকার হবে ১ হাজার ৫২২ দশমিক ৪৭৮ বিলিয়ন ডলার।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের (সিইবিআর) ২০১৯ সালের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩০তম। বাংলাদেশের জিডিপির পরিমাণ ছাড়িয়েছিল ৮০০ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা আরো এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের গবেষণার তথ্য বলছে, চলতি মূল্যের ভিত্তিতে জিডিপির আকারে ২০০৮ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৬০তম। এখন ৪১তম অবস্থানে এসেছে বাংলাদেশ। ২০৩৬ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ১০০ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করতে স্বাধীনতার প্রথম ৩৮ বছর সময় লেগেছিল। তার বিপরীতে মাত্র ১২ বছরে অর্থনীতির আকার চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪১১ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করেছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1553957897.jpg

Tofazzal Mia
2022-01-17, 12:33 PM
২০২১ সালে বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের পণ্য বাণিজ্য প্রথমবারের মত $১০০ বিলিয়ন অতিক্রম করে গেছে। গত বছর বাংলাদেশের বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্যের আকার ছিল $১১৬.২৩ বিলিয়ন ডলার। এর অর্থ দাঁড়ায় বাংলাদেশ বিশ্বের আরো গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হয়ে উঠছে। এর প্রভাব ও আমরা দেখছি। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া এমনকি তুরস্ক ও এখন লাভের অংশের অংশীদার হতে চায়। গতবছর বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি $৪৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
তবে সামনের দিনগুলি বাংলাদেশের জন্য খুব বেশি সুখকর হবে বলে মনে হয়না। এর প্রধান কারন ২০১৩ সালের মত এবারো বাংলাদেশের চলতি হিসাবের ঘাটতির রেকর্ড হতে চলেছে। জুলাই,২১ থেকে নভেম্বর,২১ পর্যন্ত পাঁচ মাসে ঘাটতি $৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ অঙ্কটি $১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর চাপ কিছুটা হলেও রিজার্ভের উপর পড়েছে।
বিশ্বের অধিকাংশ কারেন্সি ডলারের বিপরীতে মূল্য হারিয়েছে। যদিও টাকার মান তুর্কি লিরা, ইন্ডিয়ান রুপি বা অন্য অনেক দেশের কারেন্সির মত খুব বেশি অবমূল্যায়ন হয়নি তবে কৃত্রিম ভাবে টাকার দর ধরে রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ধারনার থেকেও বেশি ডলার বাজারে বিক্রি করতে হয়েছে। কিন্তু এতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। সবশেষ bc selling rate 86.05 টাকা ছাড়িয়ে গেছে। মুদ্রাস্ফীতির চাপ ও পড়ছে মানুষের উপর।
এই মূহুর্তে অর্থনীতিকে স্বাভাবিক রাখতে এখন থেকেই ছক আঁকা উচিত। কাজাখিস্তান, তুরস্ক, আমাদের জন্য শিক্ষা হয়ে থাকতে পারে। আফগানিস্থানে মানুষ খেতে পারছে না। কিডনি ও হিউম্যান অরগান বিক্রির হিড়িক পড়েছে সেখানে। কাজাখিস্তানে মুদ্রার দরপতন ও তেলের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি পুরো দেশকে প্রায় ধ্বংস্তুপে পরিনত করেছে। তুরস্ক শুধুমাত্র লিরার মূল্য কৃত্রিম ভাবে ধরে রাখতে গিয়ে $১২০ বিলিয়নের বেশি রিজার্ভ থেকে বাজারে ছেড়েও নিয়ন্ত্রন করতে পারেনি। পড়েছে ভয়াবহ রিজার্ভ সঙ্কটে। উত্তরনের জন্য এখন তারা বলছে ডলার কে ডিচ করবে। কিন্তু এতে হয়ত সমস্যা আরো ঘনীভূত হবে। শ্রীলঙ্কাও খাদের কিনারে।
সব মিলিয়ে এখন আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ সতর্ক ভাবে নেয়া উচিত। অপ্রয়োজনীয় খরচ (মেট্ররেলের জন্য আজগুবি অঙ্কের অতিরিক্ত অর্থ চাওয়া) বন্ধ করা উচিত। অপ্র*্যজনীয় আমদানির ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে।
16500