ওমিক্রোনে শঙ্কায় চীনা অর্থনীতি.

[SaifulRahman]

সামগ্রিকভাবে চীনের অর্থনীতি ২০২১ সালে শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, চীনে রিয়েল এস্টেট সংকট, নতুন করে কোভিড প্রাদুর্ভাব এবং ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বেইজিংয়ের কঠোর অবস্থানের প্রভাবে আগামী মাসগুলোয় প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর হয়ে যাবে। এ অবস্থায় চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২০ সালের এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো মধ্যমেয়াদি ঋণে সুদের হার কমিয়েছে। কিছু বিশ্লেষক আশা করছেন, আবাসন খাতের ডেভেলপারদের খেলাপি হওয়া ঠেকাতে আরো নীতি সহজ করা হবে। পিপলস ব্যাংক অব চায়না জানিয়েছে, কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৭০ হাজার কোটি ইউয়ান মূল্যের এক বছরের মধ্যমেয়াদি ঋণ সুবিধার সুদের হার ১০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ করা হয়েছে। ব্যাংকটি সাতদিনের রিভার্স রেপো রেটও কমিয়েছে। ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের বিশ্লেষকরা একটি নোটে বলেছেন, পুনরায় ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং ঋণে জর্জরিত আবাসন খাতের জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি দুর্বল রয়ে গেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের প্রথমার্ধে সুদের হার আরো কমানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অফিশিয়াল তথ্যের ভিত্তিতে রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুসারে, ডিসেম্বরে আবাসন খাতে বিনিয়োগ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। গত বছর এ খাতে বিনিয়োগ ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। এ বাড়ার হারও ২০১৬ সালের পর সবচেয়ে ধীর।
সাংহাইয়ের হাওয়াবাও ট্রাস্টের প্রধান অর্থনীতিবিদ নি ওয়েন বলেন, নীতিনির্ধারকদের জন্য এ বছরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো চলমান শূন্য কভিড নীতির মধ্যে কীভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ থেকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ গতিতে স্থিতিশীল করা যায়।
16521