EmonFX
2022-02-18, 11:27 AM
দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষ শর্টকাট পছন্দ করে।
মানুষ দশ দিনে ইংরেজি শিখতে চায়। কিন্তু আসলে কি দশ দিনে কিংবা দশ মাসেও ভালো ইংরেজি শেখা সম্ভব? যারা বই লেখে—তারা বইয়ের নাম দেয় দশ দিনে ইংরেজি শিখুন। আর যারা কেনে, তারা মনে করে দশ দিনে আসলেই ইংরেজি শেখা সম্ভব! কারণ শর্টকাট অর্জনের তাড়না কাজ করে।
শিক্ষকরা ১০০% সাজেশন্স দেন। কারণ স্টুডেন্টদের আছে শর্টকাটে এ-প্লাস পাওয়ার বাসনা।
কোচিং সেন্টারগুলো বলবে—তিনমাসে বিসিএস প্রস্তুতি। মাত্র একমাসে করুন আইএলটিএস! এক মাসে কোরিয়ান ভাষা শিখে লক্ষ টাকার বেতন! এক হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ছয় মাসে হয়ে যান লাখপতি। মানুষকে প্রলুব্ধ করার সহজ উপায় হলো শর্টকাট পথের কথা বলা।
দুনিয়াতে শর্টকাট অর্জন নেই। চুরি-চামারি ছাড়া, মানুষকে ঠকানো ছাড়া, অসৎ উপায় ছাড়া শর্টকাটে কিছু করা যায় না। পরিশ্রম করে অর্জন করতে গেলে সেটার জন*্য সময় লাগে। সেটার জন*্য অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। ঠেকে-ঠুকে শিখতে হয়। উত্থান-পতনের মধ*্য দিয়েই অর্জন করতে হয়।
দুনিয়াতে সবাই একই পরিবেশে জন্ম নেয় না। একই ধরণের পারিবারিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশে বেড়ে উঠে না। একই ধরণের শিক্ষা পায় না। একই ধরণে মানসিক শক্তি, মনোবল, অদম*্য ইচ্ছে শক্তি নিয়ে বড়ো হয় না। আর এগুলোই মানুষের অর্জনের সময়কে তফাৎ করে দেয়।
কিন্তু সত*্যটা হলো— অর্জন করতে গেলে নিজেকে দহন করতে হয়। শ্রম দিয়ে, ধৈর্য*্য দিয়ে নিজেকে পুড়তে হয়। অভিজ্ঞতা দিয়ে নিজের খুঁটিকে শক্ত করতে হয়। ঠকতে হয়। ঠেকতে হয়। হারাতে হয়। পড়ে গিয়ে উঠে দাঁড়াতে হয়। এভাবেই মানুষের অর্জন আসে। সে অর্জনের ভিত হয় শক্ত।
জীবনের সবকিছু সমকোনী ত্রিভূজের অতিভূজের মতো নয় যে অতিভূজ ধরে চললেই শর্টকাট পথ খুঁজে পাওয়া যায়। জীবন কখনো কখনো উলম্ব পথে চলে। কখনো কখনো পাহাড়ি ঢালুর মতো পথে। সবসময় টানেল পাওয়া যায় না যে পাহাড় ভেদে শর্টকাট পথে দিবো পাড়ি।
সবসময় শর্টকাটের চিন্তা মানুষকে অসহিঞ্চু করে তোলে।মানুষের যে হৃদয় প্রতি মিনিটে শতবার কম্পন দিয়ে উঠে, সে হৃদেয়ে সহিঞ্চুতার আবাদ করাই সবচেয়ে কঠিন। ধীমান প্রাজ্ঞ মানুষরা সেই সহিঞ্চুতার আবাদ করে। শর্টকাটের লোভ মানুষের ভিতর অসততার জন্ম দেয়।
যে গাছ ঝড়ের ঝাপটা সয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, সে গাছই সূর্যের আলো পায় বেশি। বিস্তৃত আকাশের পায় দেখা।
জীবনে শর্টকাটের পেছনে দৌঁড়াতে নেই। ভিত শক্ত হয় না।
মানুষ দশ দিনে ইংরেজি শিখতে চায়। কিন্তু আসলে কি দশ দিনে কিংবা দশ মাসেও ভালো ইংরেজি শেখা সম্ভব? যারা বই লেখে—তারা বইয়ের নাম দেয় দশ দিনে ইংরেজি শিখুন। আর যারা কেনে, তারা মনে করে দশ দিনে আসলেই ইংরেজি শেখা সম্ভব! কারণ শর্টকাট অর্জনের তাড়না কাজ করে।
শিক্ষকরা ১০০% সাজেশন্স দেন। কারণ স্টুডেন্টদের আছে শর্টকাটে এ-প্লাস পাওয়ার বাসনা।
কোচিং সেন্টারগুলো বলবে—তিনমাসে বিসিএস প্রস্তুতি। মাত্র একমাসে করুন আইএলটিএস! এক মাসে কোরিয়ান ভাষা শিখে লক্ষ টাকার বেতন! এক হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ছয় মাসে হয়ে যান লাখপতি। মানুষকে প্রলুব্ধ করার সহজ উপায় হলো শর্টকাট পথের কথা বলা।
দুনিয়াতে শর্টকাট অর্জন নেই। চুরি-চামারি ছাড়া, মানুষকে ঠকানো ছাড়া, অসৎ উপায় ছাড়া শর্টকাটে কিছু করা যায় না। পরিশ্রম করে অর্জন করতে গেলে সেটার জন*্য সময় লাগে। সেটার জন*্য অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। ঠেকে-ঠুকে শিখতে হয়। উত্থান-পতনের মধ*্য দিয়েই অর্জন করতে হয়।
দুনিয়াতে সবাই একই পরিবেশে জন্ম নেয় না। একই ধরণের পারিবারিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশে বেড়ে উঠে না। একই ধরণের শিক্ষা পায় না। একই ধরণে মানসিক শক্তি, মনোবল, অদম*্য ইচ্ছে শক্তি নিয়ে বড়ো হয় না। আর এগুলোই মানুষের অর্জনের সময়কে তফাৎ করে দেয়।
কিন্তু সত*্যটা হলো— অর্জন করতে গেলে নিজেকে দহন করতে হয়। শ্রম দিয়ে, ধৈর্য*্য দিয়ে নিজেকে পুড়তে হয়। অভিজ্ঞতা দিয়ে নিজের খুঁটিকে শক্ত করতে হয়। ঠকতে হয়। ঠেকতে হয়। হারাতে হয়। পড়ে গিয়ে উঠে দাঁড়াতে হয়। এভাবেই মানুষের অর্জন আসে। সে অর্জনের ভিত হয় শক্ত।
জীবনের সবকিছু সমকোনী ত্রিভূজের অতিভূজের মতো নয় যে অতিভূজ ধরে চললেই শর্টকাট পথ খুঁজে পাওয়া যায়। জীবন কখনো কখনো উলম্ব পথে চলে। কখনো কখনো পাহাড়ি ঢালুর মতো পথে। সবসময় টানেল পাওয়া যায় না যে পাহাড় ভেদে শর্টকাট পথে দিবো পাড়ি।
সবসময় শর্টকাটের চিন্তা মানুষকে অসহিঞ্চু করে তোলে।মানুষের যে হৃদয় প্রতি মিনিটে শতবার কম্পন দিয়ে উঠে, সে হৃদেয়ে সহিঞ্চুতার আবাদ করাই সবচেয়ে কঠিন। ধীমান প্রাজ্ঞ মানুষরা সেই সহিঞ্চুতার আবাদ করে। শর্টকাটের লোভ মানুষের ভিতর অসততার জন্ম দেয়।
যে গাছ ঝড়ের ঝাপটা সয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, সে গাছই সূর্যের আলো পায় বেশি। বিস্তৃত আকাশের পায় দেখা।
জীবনে শর্টকাটের পেছনে দৌঁড়াতে নেই। ভিত শক্ত হয় না।