View Full Version : রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধ অবস্থায় অর্থনৈতিক প্রভাব।
বর্তমান বিশ্বের সবথেকে আলোচিত বিষয় হচ্ছে রাশিয়ায় ইউক্রেনের অচলাবস্থা। যেখানে আমেরিকাসহ ইউরোপীয় কান্ট্রি গুলো বলছে যেকোনো সময় ইউক্রেনে রাশিয়া আগ্রাসন চালাতে পারে। যদিও রাশিয়া বার-বার এমন অভিযোগ প্রতাখ্যান করে আসছে কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো এই যুদ্ধের সংখ্যার কথা বারবার বলছে। যদি দুই দেশের মধ্যকার পরিস্থিতি যুদ্ধের দিকে ধাবিত হয় তবে এর প্রভাব অবশ্যই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পড়বে। রাশিয়ায় ইউরোপের বেশ কিছু দেশে তেল সরবরাহ করে থাকে এবং যার প্রভাব বিস্তার করতে চাইবে। ফলে তেলের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে যাবে। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক অবরোধে যুক্ত করবে। যুদ্ধ কখনোই সমাধান না আমরা চাই শান্তি আলোচনা সাপেক্ষ সমাধান হোক। ধন্যবাদ।
SumonIslam
2022-02-22, 12:19 PM
ইউক্রেন সীমান্তে সৈন্যসামন্ত জড়ো করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর হামলা চালাতে চায়। যদিও এ দাবি শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে মস্কো। কিন্তু এর পরেও কমছে না উত্তেজনা। এ সংকটের রেশ পড়ছে বিশ্ববাণিজ্যেও। গমের বাজার থেকে শুরু করে জ্বালানির দাম, আঞ্চলিক সভরিন ডলার বন্ড থেকে পুঁজিবাজার পর্যন্ত, সবখানেই পড়েছে এ উত্তেজনার প্রভাব। বিশ্ববাণিজ্যের কোন কোন ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা উঠে এসেছে রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে। সাধারণত, কোনো বড় ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনা ঘটলে দেখা যায় বিনিয়োগকারীরা বন্ডে ফিরে যেতে শুরু করেন। এ পরিস্থিতিতে তারা সবচেয়ে নিরাপদ সম্পদে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। এবারো হয়তো তার ব্যতিক্রম হবে না। এমনকি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের শঙ্কায় এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে এবং সে কারণে বেশির ভাগ দেশে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে।
গত কয়েক দশকের মধ্যে মূল্যস্ফীতি এখন সর্বোচ্চে রয়েছে। অন্যদিকে সুদের হার বৃদ্ধি দিয়ে বছরের সূচনা করেছে বন্ড মার্কেট। তবে ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে সংঘাত শুরু হলে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। যেকোনো ভূরাজনৈতিক ঝুঁকির পরিস্থিতিতে ইউরোজোনের জন্য ফরেক্স মার্কেটে ইউরো বা সুইস ফ্রাংকের এক্সচেঞ্জ রেটকে সবচেয়ে বড় ঝুঁকির সূচক হিসেবে দেখা হয়। কারণ একটা দীর্ঘ সময় ধরে বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সুইস ফ্রাংক পরিচিত। যে মুদ্রাটি ২০১৫ সালের জানুয়ারির পর এবারই সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছেছে। এছাড়া সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য আরেকটি আশ্রয় হলো স্বর্ণ। এ মুহূর্তে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ১৩ মাসের সর্বোচ্চে রয়েছে। ইউক্রেন সীমান্তে সৈন্যসামন্ত জড়ো করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর হামলা চালাতে চায়। যদিও এ দাবি শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে মস্কো। কিন্তু এর পরেও কমছে না উত্তেজনা। এ সংকটের রেশ পড়ছে বিশ্ববাণিজ্যেও। গমের বাজার থেকে শুরু করে জ্বালানির দাম, আঞ্চলিক সভরিন ডলার বন্ড থেকে পুঁজিবাজার পর্যন্ত, সবখানেই পড়েছে এ উত্তেজনার প্রভাব। বিশ্ববাণিজ্যের কোন কোন ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা উঠে এসেছে রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে।
সাধারণত, কোনো বড় ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনা ঘটলে দেখা যায় বিনিয়োগকারীরা বন্ডে ফিরে যেতে শুরু করেন। এ পরিস্থিতিতে তারা সবচেয়ে নিরাপদ সম্পদে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। এবারো হয়তো তার ব্যতিক্রম হবে না। এমনকি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের শঙ্কায় এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে এবং সে কারণে বেশির ভাগ দেশে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে।
গত কয়েক দশকের মধ্যে মূল্যস্ফীতি এখন সর্বোচ্চে রয়েছে। অন্যদিকে সুদের হার বৃদ্ধি দিয়ে বছরের সূচনা করেছে বন্ড মার্কেট। তবে ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে সংঘাত শুরু হলে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। যেকোনো ভূরাজনৈতিক ঝুঁকির পরিস্থিতিতে ইউরোজোনের জন্য ফরেক্স মার্কেটে ইউরো বা সুইস ফ্রাংকের এক্সচেঞ্জ রেটকে সবচেয়ে বড় ঝুঁকির সূচক হিসেবে দেখা হয়। কারণ একটা দীর্ঘ সময় ধরে বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সুইস ফ্রাংক পরিচিত। যে মুদ্রাটি ২০১৫ সালের জানুয়ারির পর এবারই সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছেছে। এছাড়া সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য আরেকটি আশ্রয় হলো স্বর্ণ। এ মুহূর্তে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ১৩ মাসের সর্বোচ্চে রয়েছে। কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল থেকে ভুট্টাজাতীয় শস্যের প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হলে তার প্রভাব গিয়ে পড়ে বিশ্ববাজারে পণ্যের দামের ওপর। পরবর্তী সময়ে যা মূল্যস্ফীতির সৃষ্টি করে। কভিড-১৯ মহামারী বিশ্বজুড়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর এমনিতেই বেশ বড় প্রভাব ফেলেছে। তার ওপর মূল্যস্ফীতি বাড়তি চাপ তৈরি করে। কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল থেকে ভুট্টাজাতীয় শস্যের প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হলে তার প্রভাব গিয়ে পড়ে বিশ্ববাজারে পণ্যের দামের ওপর। পরবর্তী সময়ে যা মূল্যস্ফীতির সৃষ্টি করে। কভিড-১৯ মহামারী বিশ্বজুড়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর এমনিতেই বেশ বড় প্রভাব ফেলেছে। তার ওপর মূল্যস্ফীতি বাড়তি চাপ তৈরি করে। ২০২০ সালে লকডাউনসহ নানা বিধিনিষেধসহ নানা কারণে চাহিদা কমায় রাশিয়া থেকে তুলনামূলক কম গ্যাস রফতানি হয়েছে। চলতি বছর চাহিদা বাড়লেও রফতানি এখনো পুনরুদ্ধার হয়নি। এতে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে গ্যাসের দাম।
তালিকাভুক্ত অনেক পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানেও পড়তে পারে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রভাব। যুক্তরাজ্যের বিপি, শেলের মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশীদারিত্ব রয়েছে রাশিয়ার বিভিন্ন প্রকল্পে। রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কোম্পানিরও অংশীদারিত্ব। আর্থিক খাতের দিকে আবার ঝুঁকিটা ইউরোপকেন্দ্রিক। সব মিলিয়ে রাশিয়া যদি ইউক্রেনের ওপর হামলা চালায়, তাহলে প্রতিষ্ঠানগুলোও কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
16810
DhakaFX
2022-02-23, 04:15 PM
করোনা-পরবর্তী বিশ্ব-অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে থাকা দেশগুলো যখন মূল্যস্ফীতির চাপে খাবি খাচ্ছে, তখন সেই আগুনে ঘি ঢেলে দিচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উত্তেজনা। বেসামাল হয়ে উঠছে জ্বালানি তেল ও সার্বিক পণ্যবাজার। গতকাল এক দিনেই জ্বালানি তেলের দাম সাড়ে ৩ শতাংশ বেড়ে ১০০ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। সরবরাহ উদ্বেগে অত্যাবশ্যকীয় নিত্যপণ্য গম, ভুট্টা, ভোজ্য তেল, সোনা, রুপা ও শিল্পের প্রয়োজনীয় খনিজ ধাতুর দামই ঊর্ধ্বমুখী।
অস্থিরতা দেখা গেছে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারেও। গতকাল সকালের বাণিজ্যে ইউরোপের বড় বাজারগুলোতে দরপতন ঘটে, তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের পথ খোলা আছে জানানো হলে বাজার ফের ইতিবাচক ধারায় ফেরে। তবে এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলোতে দরপতন ঘটেছে। হংকংয়ের হ্যাংগ সেংগ সূচক ২.৭ শতাংশ পড়েছে। রাশিয়ার শেয়ারবাজারে সর্বোচ্চ দরপতন হয় ৮ শতাংশের বেশি। গতকাল মঙ্গলবার সকালের বাণিজ্যে লন্ডনের অপরিশোধিত ব্রেন্ট তেলের দাম ৩.৪৮ ডলার বা ৩.৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল হয় ৯৮.৮৭ ডলার। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত ডাব্লিউটিআই তেলের দাম ৪.৪১ ডলার বা ৪.৮ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল হয় ৯৫.৪৮ ডলার। যদিও দিন শেষে ব্রেন্ট তেল ৯৮ ডলারে নেমে আসে। তবে তা আগের দিনের চেয়ে ২.৫ শতাংশ বেশি।
16834
Rassel Vuiya
2022-02-24, 05:15 PM
বৃহস্পতিবারে দিনের শুরুতে পূর্ব ইউক্রেনে "ইউক্রেনীয় সৈন্য প্রত্যাহার" এবং "বেসামরিকীকরণ" এর জন্য রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ফলে বিশ্ব বাজারে পতনের সূচনা হয়েছে। আজ সকালে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শেয়ার বাজারের সূচকে আজ সকালে 2.0% এরও বেশি পতন হয়েছে। ইউরোপীয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান স্টক সূচকের ফিউচারের মূল্য লক্ষণীয়ভাবে হ্রাস পাচ্ছে। পূর্ব ইউক্রেনকে ঘিরে রাশিয়ান ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্তের ফলে জ্বালানি পণ্যের দাম, বিশেষত তেলের দামে শক্তিশালী বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। তেলের গ্রেড WTI এবং ব্রেন্টের মূল্য 5% এর বেশি বেড়েছে। ইয়েন ব্যতীত অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মান উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সোনার দাম প্রতি ট্রয় আউন্স 1940.00 ডলারের উপরে উঠে গেছে। আইসিই ডলার সূচক 96.56 -এ উঠেছে, কিন্তু এই বৃদ্ধি এখনও তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। ডলার, ইয়েন এবং সোনার মতো নিরাপদ ক্ষেত্রে বেশি বিনিয়োগের ফলে মার্কিন সরকারের বন্ডের ইয়েল্ড তীব্রভাবে হ্রাস পেয়েছে। তাই বেঞ্চমার্কের 10-বছর মেয়াদী ট্রেজারির ইয়েল্ড 5%-এর বেশি হ্রাস পেয়েছে। এটা স্পষ্ট যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার সামরিক অভিযান অবশ্যম্ভাবীভাবে বিশ্ববাজারে প্রবল নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এবং এখন এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ যে পতন কতক্ষণ অব্যাহত থাকবে এবং কখন এটি শেষ হবে। আমরা ধারণা করছি যে পশ্চিম জোট ইউক্রেনে রাশিয়ান ফেডারেশনের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও মৌখিক আক্রমণ পর্যন্তই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখবে। যার অর্থ দাঁড়ায় পশ্চিমা জোট এবং রাশিয়া মাঝে কোনও সামরিক সংঘর্ষ হতে যাচ্ছে না। এই ক্ষেত্রে, সামরিক অভিযান শেষ হওয়ার পরে, বাজারে স্থিতিশীলতা আসতে পারে এবং রাশিয়ান ফেডারেশন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সাথে সাথেই এটি ঘটতে যাচ্ছে। সম্ভবত অর্থবাজারসমূহের পরিস্থিতি যুদ্ধের প্রথম ধাক্কার পরে স্থিতিশীল হতে পারে। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত থাকা উচিৎ যে এই সংঘাত ইউক্রেনের ভূখণ্ডের বাইরে ছড়িয়ে পড়বে না। ফলে আবারও ফেডের সুদের হার বৃদ্ধির বিষয়টিকে সবার সামনে চলে আসবে। কিন্তু এক্ষেত্রে আকর্ষণীয় কিছু সিদ্ধান্ত আসতে পারে। আগে ধরে নেওয়া হয়েছিল যে অবিলম্বে আগামী 16 মার্চ ফেড সুদের হার 0.50% বাড়াতে পারে। তাহলে গতকালের মতামতের স্পষ্টভাবে সংশোধনের সুর শোনা গিয়েছিল। এখন প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে সুদের হার 0.25% বৃদ্ধি পাবে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিটি বৈঠকে সুদের হার উল্লিখিত পরিমাণ অনুযায়ী বাড়াতে পারে। যদি সত্যিই এটি হয়, তবে অর্থবাজারে আতঙ্ক কমার পর, ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের চাহিদা বাড়বে। পূর্বাভাস: USDJPY পেয়ারটি 114.40 স্তরের উপরে ট্রেড করছে। মূল্য এই স্তর ভেদ করলে 113.60 -এর স্তরের দিকে এই পেয়ারের পতনের ধারাবাহিকতা থাকবে। ইউক্রেনের সঙ্কট বৃদ্ধির কারণে WTI অপরিশোধিত তেলের মূল্য বেড়ে ব্যারেল প্রতি 95.00 ডলারের উপরে উঠেছে। আমরা ধারণা করছি যে এই গ্রেডের তেলের দাম ব্যারেল প্রতি 100.00 পর্যন্ত উঠবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1892158334.png
Powered by vBulletin® Version 4.1.9 Copyright © 2025 vBulletin Solutions, Inc. All rights reserved.